|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
যশোরে লিচুর বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছে না চাষিরা
শিমুল ইসলাম, যশোর মধু মাসের আগাম ফল হিসেবে যশোর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও লিচু চাষিরা দাম পাচ্ছে না, প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ লিচু ধরেছে। চাষিরা খুশি হলেও যথাযথ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুতে বেশ ভালো দাম ছিল কিন্তুু এখন ব্যাপারীরা এক হাজার লিচুর দাম দিচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৮০০‘শ টাকা দিচ্ছে। শুরুতে দাম ছিল ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা বলে জানান লিচু চাষিরা, যশোর ফলপট্টি, সাতমাইল, বারো বাজার, ঝিকগোছা, নাভারন, মনিরামপুর কেশবপুর, বসুন্দিয়াসহ অনেক মোকামে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিক্রির জন্য আসা লিচু মিষ্টি ও উন্নতজাতের যা শতভাগ বিষমুক্ত।
এখানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও বড় বড় হাট বাজার থেকে পাইকাররা আসছেন। ঢাকা থেকে আসা ব্যাপারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুজিবুর রহামান ভুইঞা, আক্তার হোসেনসহ অনেক ব্যাপারি অভিযোগ করে বলেন ঘাটে পারাপারে ও যানজটে গাড়ী আটকে থাকার কারনে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব লিচু ক্রয় করে ফেরত যেতে হবে। বসুন্দিয়া ফল ভান্ডারসহ অনেক মোকামের আড়ৎদাররা বলেন আমাদের এই বাজারে প্রতি দিন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ্ টাকার লিচু বেচাকেনা হয়। নড়াইল, বসুন্দিয়া, সুদুল্লাপুর, মাহমুদপুর, জংঙ্গলবাদাল, জয়রামপুর, দিয়াপাড়া থেকে লিচু এই মোকামে আনা হয়, সকাল ৭ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকে। বেচা কেনা ভালো, দূরের পাইকাররা আমাদের এখানকার আতিথিয়েতায় খুশি, তারা লিচু ক্রয়ে দারুন লাভবান হবেন।
এদিকে যশোর কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা স্বাধীন বাংলাকে বলেন এবার যশোর ও আশপাশে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষীরা ভালোভাবে লিচু বিক্রয় করতে পারবেন, লিচু বাগানে গতবারের চেয়ে এবছর লিচুর দারুন ফলন হয়েছে চাষীরা অনেক বেশি লিচু পাবে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে দুই থেকে তিনজন কৃষি অধিদপ্তরের লোক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত লিচু বাগান পরিদর্শন করছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। দেশি, চাইনা থ্রী, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর ফলন এবারে ভালো হয়েছে।
|
শিমুল ইসলাম, যশোর মধু মাসের আগাম ফল হিসেবে যশোর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও লিচু চাষিরা দাম পাচ্ছে না, প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ লিচু ধরেছে। চাষিরা খুশি হলেও যথাযথ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুতে বেশ ভালো দাম ছিল কিন্তুু এখন ব্যাপারীরা এক হাজার লিচুর দাম দিচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৮০০‘শ টাকা দিচ্ছে। শুরুতে দাম ছিল ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা বলে জানান লিচু চাষিরা, যশোর ফলপট্টি, সাতমাইল, বারো বাজার, ঝিকগোছা, নাভারন, মনিরামপুর কেশবপুর, বসুন্দিয়াসহ অনেক মোকামে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিক্রির জন্য আসা লিচু মিষ্টি ও উন্নতজাতের যা শতভাগ বিষমুক্ত।
এখানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও বড় বড় হাট বাজার থেকে পাইকাররা আসছেন। ঢাকা থেকে আসা ব্যাপারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুজিবুর রহামান ভুইঞা, আক্তার হোসেনসহ অনেক ব্যাপারি অভিযোগ করে বলেন ঘাটে পারাপারে ও যানজটে গাড়ী আটকে থাকার কারনে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব লিচু ক্রয় করে ফেরত যেতে হবে। বসুন্দিয়া ফল ভান্ডারসহ অনেক মোকামের আড়ৎদাররা বলেন আমাদের এই বাজারে প্রতি দিন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ্ টাকার লিচু বেচাকেনা হয়। নড়াইল, বসুন্দিয়া, সুদুল্লাপুর, মাহমুদপুর, জংঙ্গলবাদাল, জয়রামপুর, দিয়াপাড়া থেকে লিচু এই মোকামে আনা হয়, সকাল ৭ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকে। বেচা কেনা ভালো, দূরের পাইকাররা আমাদের এখানকার আতিথিয়েতায় খুশি, তারা লিচু ক্রয়ে দারুন লাভবান হবেন।
এদিকে যশোর কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা স্বাধীন বাংলাকে বলেন এবার যশোর ও আশপাশে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষীরা ভালোভাবে লিচু বিক্রয় করতে পারবেন, লিচু বাগানে গতবারের চেয়ে এবছর লিচুর দারুন ফলন হয়েছে চাষীরা অনেক বেশি লিচু পাবে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে দুই থেকে তিনজন কৃষি অধিদপ্তরের লোক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত লিচু বাগান পরিদর্শন করছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। দেশি, চাইনা থ্রী, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর ফলন এবারে ভালো হয়েছে।
|
|
|
|
আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
এবারের বোরো মওসুমে ফসলে ভরপুর ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সোনালী ফসলের মাঠ। উপজেলার প্রায় সকল মৌজাতেই হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের বাম্পার ফলন। ফসলের এ বাম্পার ফলন দেখে আনন্দে হেসেছিল কৃষকেরা।
কিন্তু স্থানীয় কয়েকটি রাইচমিল কেন্দ্রিক ধান ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজির কারনে মুহুর্তেই যেন মলিন হয়ে গেছে তাদের সেই হাসিমুখ। ধানের মূল্য শুনে তারা হতবাক।
রমজান মাসের শেষের দিকে ধান কাটা শুরু হয়ায় এ বার বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কৃষকদের, ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দৈনিক মজুরীতেও ঠিক ভাবে মিলেনি ধান কাটার শ্রমিক বা কামলা।
তা ছাড়া সম্পূর্ণ সেচের পানি নির্ভর এই চাষে উপজেলার মৌজা সমূহে কানি(৪০ শতক)জমি প্রতি পানির মূল্য ছিল ২ হজার থেকে ২২শত টাকা। তার উপর কয়েক প্রকারের সার ও উচ্চমূল্যের কীটনাশকতো রয়েছেই। সব মিলিয়ে কানি প্রতি চাষের খরচ ও ফলনের হিসেব বিবেচনায় ধানের মূল্য একেবারে অপ্রতুল বলে জানান কৃষকেরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চিকন প্রজাতির ধান প্রতি আড়ি(১০কেজি) ২২০ টাকা এবং মোটা প্রজাতির ধান প্রতি আড়ি(১০কেজি) ১৯০ টাকা দরে ক্রয় করছেন স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার বটতলী, চাঁপাতলী, গুন্দ্বীপ, বারশত ও তুলাতলী মৌজার বেশ ক`জন কৃষকের সাথে আলাপকালে ধানের দর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁরা বলেন দিনরাত পরিশ্রম করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে যারা কাজ করছি তাঁদের খবর আজ কেউ রাখেনা। অতি কষ্টে ফলানো ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে অতি কম মূল্যে, তাঁরা আরওবলেন ধান ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে যেখানে সবকিছুর দাম উর্ধ্বমূখী সেখানে ধানের এই অবমূল্যায়ন সত্যিই দুঃখজনক।
গুন্দ্বীপের কৃষক জাগির খান, চাঁপাতলীর মোহাম্মদ হোসেন, নুরুল ইসলাম, বারশতের মকবুল আহমদসহ তুলাতলী মৌজার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বললে তাঁরা দৈনিক স্বাধীন বাংলাকে জানান ব্যায়বহুল এ মওসুমে এক কানি(৪০শতক) জমিতে ধান রোপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পড়ে ১৭থকে ১৮হাজার টাকা। তার উপরে তিন থেকে সাড় তিন মাস ধরে নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমতো আছেই। বিপরীতে কানি প্রতি ধান উৎপাদন হয় ৮০ থেকে ৯০ আড়ি। (১০ কেজি আড়ি)। বর্তমান ধানের বাজার মূল্য হিসাব করলে নিজের পরিশ্রমতো দুরের কথা এর পেছনে নগদে খরচ করা অর্থও উঠে আসছেনা।
ধানের এই অবমূল্যায়নের জন্য স্থানীয় কয়েকটি রাইচমিল কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করে তাঁরা বলেন, আমাদেরকে চরম ভাবে ঠকানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের নজরদারি প্রয়োজন, কৃষক যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সে ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তাঁরা। অন্যথায় আগামীতে কৃষিকাজের প্রতি মানুষের অনীহা আসতে পারে বলেও আশংকা করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন স্থানীয় পর্য্যায়ে ধানের মূল্য কম এর বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, শিগগিরই এই ব্যাপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন এই মওসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সকল প্রজাতির ধান প্রতি আড়ি(১০কেজি)২৭০ টাকা দরে সংগ্রহ করছে উপজেলা খাদ্য অফিস। কৃষকেরা চাইলে সেখানে ধান সরবরাহ করতে পারেন।
|
|
|
|
রুবেল ইসলাম, মিঠাপুকুর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অতিবৃষ্টির প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানক্ষেতে পানি জমায় ধান কর্তনে ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছেন কৃষক। গত কয়েকদিনে লাগাতার বৃষ্টিতে স্হানীয় নদনদীর পানি বৃদ্ধি এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মাঠের হাজার হাজার হেক্টর পাকা ধান নষ্ট এবং তলিয়ে যেতে বসেছে।
উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন জুড়েই কৃষকদের চোখে মুখে বাড়ছে হতাশা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোন কোন জমিতে হাঁটু সমপরিমাণ পানি, কোথাও আবার আধাপাকা ধান হালকা বাতাসে পানিতে ভেঙ্গে পড়েছে। কেউ কেউ আবার ধানক্ষেতের পাকা ধান শ্রমিকের অভাবে কাটতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
শ্রমিক সংকটের বিষয়টি বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন স্হানীয় কৃষকরা। তারা জানান- একমন ধান বিক্রি হচ্ছে স্হানভেদে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর একজন শ্রমিকের মজুরি নির্ধারন করা হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। একজন শ্রমিকের মজুরি সমান সমান এক`মন ধান। পানিতে ধান কর্তন করে ডাঙ্গায় উঠাতে গিয়ে শ্রমিকেরা তেমন ধান কর্তন করতে পারেনা। ফলে মারাত্মক লোকসানে পড়ছেন কৃষকরা।
এদিকে ধান কর্তন করার পর ধান শুকানোর জায়গা এবং মাড়াই করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এতে ধান নষ্ট হয়ে পঁচে যাচ্ছে। পঁচে যাওয়ায় বেপারী এবং পাইকাররা ধান ক্রয় করতে অনিহা প্রকাশ করে সুযোগে ধানের দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। ধান মাড়াই এবং খড় শুকাতে কৃষকরা উঁচু স্হান হিসেবে রংপুর হাইওয়ে সড়ক কিংবা আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে ধান মাড়াই করছেন। এর ফলে বাড়ছে মোটরসাইকেলসহ নানান দূূর্ঘটনা। সামান্য সূর্য উঁকি দিলেই আঞ্চলিক আর গ্রামীণ পাকা রাস্তাগুলোতে ধান আর খড় শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কিষাণ-কৃষাণী আর শ্রমিকরা। উপজেলা প্রশাসন বারবার হাইওয়ে সড়কে ধান মাড়াই কিংবা শুকাতে নিষেধ করার পরও থামছেনা ধান মাড়াই। এতে বিভিন্ন সময়ে বাড়ছে দূর্ঘটনা।
ধান কর্তনে ব্যস্ত শ্রমিক দলের কয়েকজনের সঙ্গে খোড়াগাছ ইউনিয়নের রুপসি গ্রামে কথা হলে তারা জানান, তারা পাশ্ববর্তী রানীপুকুর ইউনিয়ন থেকে ১৪ জনের একটি টিম এসেছেন। বিঘা অনুযায়ী তারা চুক্তিতে ধান কর্তন করছেন। গতবার বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি ৩০০০/৩৫০০ টাকায় তারা ধান কর্তন করেছেন। কিন্তু এবার বৃষ্টির আগে কয়েক দিন বিঘা প্রতি ৩৫০০ টাকায় ধান কর্তন এবং মাড়াই করলেও বৃষ্টির পানি আর বাতাসে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলে পানিতে নেমে ধান কাটায় প্রচুর সময় ব্যয় হচ্ছে। জমি থেকে কোন কোন সময় ১ কিঃমিঃ, কিংবা দেড় কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে শুকনো জায়গায় ধান মাথায় করে নিয়ে আসা লাগতেছে। এতে শ্রম আর সময় বেড়ে যাওয়ায় বিঘা প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা নিয়েও সঠিক মজুরি পাওয়া যাচ্ছেনা। তাছাড়া প্রতিদিনই কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
কৃষকরা শ্রমিক সংকটে পড়ায় কম্বাইন হারভেষ্টার মেসিনের জন্য বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন সুফল না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে শ্রমিককে বেশী মজুরি দিয়ে ধান কর্তন করছেন। ধান শুকানোর জায়গা এবং রোদ না থাকায় মিল মালিক কিংবা স্হানীয় ব্যপারীদের কাঁচা ধান ৪০ থেকে ১০০ টাকা কম নেওয়ার শর্তে বস্তা করে দিচ্ছেন। এতে ব্যাপক ক্ষতি আর লোকসানে পড়ে সর্বশান্ত ও ঋনের বোঝা চাপার কথাও জানান অনেকে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, মিঠাপুকুরে এবার ৩৪০০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। শ্রমিক সংকট সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ভূর্তকি মূল্যে ২ টি কম্বাইন হারভেষ্টার মেসিন প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের কথা চিন্তা করে, পর্যায়ক্রমে আরো তিনটি মেসিন প্রদান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্হ কৃষকদের সহায়তায় বিষয়টি নিয়ে তারা ভাবছেন।
|
|
|
|
রুবেল হোসেন, নওগাঁ: খাদ্যভান্ডার খ্যাত বরেন্দ্র অঞ্চলের নওগাঁর জেলা আম উৎপাদনে দেশজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে। মৌসুমের আম নামানো শীগ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। বেঁধে দেওয়া সময় মেনে বাগান থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। ২৫ মে প্রথমদিন গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে স্থানীয় গুটি জাতের আম।
ধান-চালের রাজ্যে খাটো খাটো গাছে এখন আমের রাজত্ব। অধিক লাভজনক হওয়ায় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাগান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২১-২২ মৌসুমে নওগাঁয় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এরমধ্যে পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০, সাপাহারে ১০ হাজার, পত্মীতলায় ৮ হাজার ৮৬৫, নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫, মহাদেবপুরে ৬৮০, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর। এছাড়া বদলগাছীতে ৫২৫, নওগাঁ সদরে ৪৪৫, মান্দায় ৪০০, আত্রাইয়ে ১২০ ও রানীনগরে ১১০ হেক্টর। এ পরিমাণ জমি থেকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এবার প্রায় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। বৈশাখে পরিপক্ব হওয়া এই জাতের আম দিয়েই সংগ্রহের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন বাগানিরা।
অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৫ মে থেকে গুটি আম পাড়তে পারছেন চাষিরা।
আমজাদ শাহ্, আমিনুল শাহ্সহ ৪০-৫০ জন আমচাষি জানান, আম্রপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, নাগফজলি, ফজলি, আর্শ্বিনা, হিমসাগর, গোপলভোগ, লেংড়া ও খিরশাপাত জাতের আম চাষ করেছেন। পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক স্প্রে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম চাষ বাড়ছে বলেও জানান তারা।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, গত বারের চেয়ে জেলায় এবার ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে বেশি আম চাষ বেশি হয়েছে। এ মৌসুমে বড় পরিসরে রপ্তানীর চিন্তা করা হচ্ছে।
আম গবেষণা কেন্দ্র, সংরক্ষাণাগার স্থাপন ও বিশ্ববাজারে রপ্তানী বৃদ্ধি করতে কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কমানা করেছেন নওগাঁর লাখো কৃষক।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক সম্প্রতি প্রকৃতিক দুর্যোগ ও আবহাওয়া অনূকূলে না থাকার কারণে মাঠে থাকা বোরো ধান এবং সয়াবিনসহ বিভিন্ন রবি শস্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। মাঠে এখনো যাদের কাঁচা ধান এবং সয়াবিন আছে তারা সেগুলো নিরাপদে ঘরে তোলা নিয়ে আতঙ্কে আছে।
অন্যদিকে, ঝড়ো বাতাসে কিছু কিছু ধান গাছ মাটিতে ভেঙে পড়ায় সেগুলো অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া সয়াবিন ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, মাঠের ধান ৮০ শতাংশ পাকলে কেটে ফেলার উপযুক্ত হয়। আর যে সকল ক্ষেতের সয়াবিন গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে সেগুলো তুলে ফেলা যায়।
তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মাঠের ফসল রক্ষার্থে দ্রুত কেটে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে যাচ্ছে। ফলে ফসল কাটতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
এদিকে, বাড়ির উঠানে থাকা ধান নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে গৃহস্তরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ধান শুকানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলাতে ৩৫ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, আর সয়াবিনের আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে। ৯ মে পর্যন্ত মাঠ থেকে ধান কর্তন করা হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আর সয়াবিন তোলা হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চরআলী হাসান গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন এবং ৮০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। সয়াবিনগুলো এখনো কাঁচা। ধান কিছুটা কাটা হয়েছে। তাই ক্ষেতের ফসল নিয়ে এখনো শঙ্কায় আছি। সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে আছে, সয়াবিনে পানি লাগলে সেগুলোর রং কালো হয় যায়।
একই এলাকার কৃষক নুর আলম বলেন, এক একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি। সেগুলো এখনো ক্ষেতে। বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে আছে। পানি নামার কোন ব্যবস্থা নেই।
কৃষক রহিম ঢালী বলেন, বোরো ধানের ক্ষেতে পানি জমে আছে। ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটার ব্যবস্থা থাকলেও ক্ষেতে পানি থাকার কারণে প্রতি একরে দুই হাজার টাকা বাড়তি দিয়ে কাটতে হচ্ছে। ক্ষেত শুকনো থাকলে সময় এবং টাকা কম লাগতো।
আরেক কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ক্ষেতে থাকা ধান এখনে ভালোভাবে পাকেনি। এরই মধ্যে ঝড়ো বাতাসে ধান গাছ ভেঙে জমিতে বিছিয়ে গেছে। এতে পানি এবং পোকা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা থাকায় কাটতেও পারছি না।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ধান নিয়ে খুব বিপদে আছি। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে মাঠের ধান শুকিয়ে ঘোলায় না তোলা পর্যন্ত আমাদের দুঃচিন্তা কাটবে না। ইতোমধ্যে যেগুলো কেটে ঘরে তুলেছি, সেগুলো শুকানো নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং পর্যাপ্ত রোধ না থাকায় শুকনো ধান ঘোলায় তুলতে পারছি না।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, এবার ধান এবং সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ঘুর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষেতে থাকা ফসল নিয়ে কৃষকরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। তাই আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি- দ্রুত ফসল ঘরে তোলার। ক্ষেতের ধান ৮০ শতাংশ পাকলে কাটার উপযোগী হয়। আর সয়াবিন গাছের পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে সেগুলো তুলে ফেলার উপযুক্ত হয়৷
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক জেলার লালমাই পাহাড়ে কচুর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। লাইমাই পাহাড় কুমিল্লার দর্শনীয় অন্যতম একটি স্থান। কুমিল্লা আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা জুড়ে এ লালমাই পাহাড়টি অবস্থিত। পাহাড়ের উত্তর-দক্ষিণে ১১ মাইল লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২ মাইল চওড়া। এ পাহাড়ের মাটি লাল হওয়ার কারণে পাহাড়ের নামকরণ লালমাই করা হয়। লামমাই পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫০ ফুট।
আর এ লালমাই পাহাড়ের বুকে বিভিন্ন সময় শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি উৎপাদন হয়ে আসছে। চলতি বছরে আগাম বৃষ্টির হওয়ার কারণে লালমাই পাহাড়ে কচুর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। লালমাই পাহাড়ের আদি অধিবাসীদের একমাত্র প্রধান পেশা হলো কচু চাষ করা। একজন চাষি আগ থেকে বলতে পারেন কোন বছর তাদের বাম্পার ফলন হবে।
যে বছর বৃষ্টি বেশী হবে, সেই বছর কচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে। চারা বপনের সময়ে প্রথমে কৃষকরা পাহাড় কোঁদাল দিয়ে মাটি কেটে বীজ বপনের জন্য প্রস্তুুত করা হয়। মাটি কাটা শেষ হলে বীজ বপনের কাজ শুরু হয়। বীজ রোপণ করতে হয় এক হাতের (১৮ ইঞ্চি) মধ্যে তিনটি। প্রতি শতকে উৎপাদনে খরচ হয় ৮০০-১০০০ টাকা। আর তা বিক্রি করা হয় ১২০০-১৫০০ টাকা। শতকে উৎপাদন হয়ে থাকে ৩-৪ মণ। কৃষকরা এ পেশার অর্থ উপার্জন দিয়ে সংসার, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও ভরণ পোষণ করে থাকেন।
সদর দক্ষিন উপজেলা কৃষি অফিসারের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় চলতি বছর ৪০ হেক্টর জমিতে কচু উৎপাদন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে কচুর উৎপাদন হবে ২০ টন। ৪০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হবে ৮০০ টন। এক সময় এ লালমাই পাহাড়ের কচু দেশের সকল জেলার চাহিদা মিঠিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে উপার্জন করা হতো বৈদাশিক মুদ্রা।
লালমাই পাহাড়ের পশ্চিম শ্রীবিদ্যার এলাকার কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, পাহাড়ে পানি সেচ দেওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টির উপর আমাদের ফসলের নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। যেহেতু এ বৎসর আগাম বৃষ্টি হয়েছে তাই আমরা বেশী ফলনের আশা করতে পারি। অপর কৃষক হরিচন্দ্র পাল জানান, আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পাহাড়ের অধিবাসী কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পাহাড়ে কচু চাষে বিপ্লব ঘটবে।
সুত্র : বাসস
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান, চৌহালী:
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে সব অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সোনালী ধান বাম্পার ফলনের (বোরো ফসল) কৃষকের গোলায় উঠার অপেক্ষা। বর্তমান চৌহালী উপজেলার কৃষি মাঠজুরে শুধু ধান আর ধান বাতাস দোল খাচ্ছে। এখন ধান কাটা, মড়াই করা, মাঠে শুকানো ও গোলায় তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণী শ্রমিক জনতা। জানা গেছে, চৌহালীতে ৭টি ইউনিয়নে ২১০৮৬ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিকনিদর্শনা ও কৃষকদের উৎসাহিত করে কৃষি মাঠকে সাজিয়ে তুলেছেন। বিনামূল্যে সার বীজ সহ সরকারি কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয় কৃষিকে আরো বেগবান করতে। সব মিলিয়ে সবার প্রচেষ্টায় এবছর জমিতে বাম্পার বোরো ধান উৎপাদন ও বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় আছে কৃষক। গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়- কৃষি মাঠে ২৮ ধান কাটা, মাঠে ধান শুকানো ও মড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছে কৃষক-কৃষাণী ও শ্রমিকরা। পাশাপাশি ২৯ সহ অন্যান্ন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষক মাজম সিকদার সহ অনেকেই বলেন, উপজেলা জুড়ে বোরো আবাদে বাম্পার ফসল কৃষকের গোলায় উঠা শুরু করেছে। এতে কৃষক কৃষাণীর মুখে মুখে হাসি ফুটছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ রেজিন আহমেদ দৈনিক স্বাধীন বাংলা বলেন, উপজেলায় উপসি বোরো ২০১০০ হেক্টর, হাইব্রিড বোরোধান ৮৬ হেক্টর তথা ২১০৮৬ হে, জমিতে ধানের আবাদ করেছেন কৃষক। সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৯২৮৬ মেঃটন চাউল নির্ধারন করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ৮০ % ধান পাকা মাত্রই কর্তন করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময় মতো সার বীজ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আবাদের বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় আছে কৃষক।
|
|
|
|
রাফসান সাইফ সন্ধি, ঘটাইল, টাঙ্গাইল:
মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অধিকাংশ শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছে শহরে। কর্মরত রয়েছে বিভিন্ন মিল-ফ্যাক্টরিতে। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ইরি-বোরো ধান কাটা শ্রমিকদের। ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে শত শত কৃষক। এক মণ ধানের দামেও মিলছেনা একজন শ্রমিক। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। তিন বেলা খাবার সহ জনপ্রতি শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ৯ শত টাকা, এছাড়াও রয়েছে চা, পান-সিগারেট সহ অন্যান্য যাবতীয় খরচ। এদিকে এক মণ ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ৭ থেকে ৮শ’ টাকা। ফলে এক মণ ধানের বাজার মূল্যে একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে না পারায় হতাশ কৃষকরা।
সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলেও দেখা দিয়েছে এমন চিত্র। উপজেলার স্থানীয় কৃষকরা জানায়- বোরো ধান চাষের জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, পানি সেচ, সার-কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটার শ্রমিক খরচ সহ প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ পরছে প্রায় হাজার টাকা। কালবৈশাখী ঝড়-তুফানের আগে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা থাকলেও শ্রমিক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে তা। শ্রমিক সংকটের কারনে বাধ্য হয়েই উচ্চ মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে কৃষকদের। আবার অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন।
উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক খলিল আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, দুইএকর জমির পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, শ্রমিকের বড়ই অভাব। আকাশে মেঘ দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সাধুটি গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, শ্রমিকের মজুরি বেশি, এ দামে ধান কেটে পোষায় না। ধান তো আর মাঠে ফেলে রাখা যাবে না, বাধ্য হয়েই শ্রমিক নিতে হয়। উত্তর পাড়া গ্রামের কৃষক রেজা মিয়া বলেন, ধানের যে দাম আর শ্রমিক সংকটে আমাগো জীবন শেষ। লাভ তো পরের হিসাব, খরচ-ই উঠব না।
এসকল সমস্যার সমাধানের বিষয়ে কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইলে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে বর্তমানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার রয়েছে চারটি। নতুন আরো সাতটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার আসলেও কৃষকরা গ্রহণ করেছে একটি এবং ফেরত যাচ্ছে ৬টি। কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভরশীল না হলে এসকল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় ক্রয় করবে খাদ্য অধিদপ্তর, এমনটাই জানালেন ঘাটাইল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খোরশেদ আলম মাসুদ। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন কৃষকরা। সরকারের সহযোগিতা পেলে কৃষকদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতে পারে এমনটাই অভিমত স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।
|
|
|
|
জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে চলছে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ, পাঁচবিবি, কালাই ক্ষেতলাল এবং আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে শ্রমজীবীরা এখন আগাম জাতের বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২১-২০২২ রবি ফসল উৎপাদন মৌসুমে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় এবার ৬৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পুরোদমে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর বোরো ধান খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফসল উৎপাদনের ক্ষতি ধরা হয়েছে ৯০০ মেট্রিক টন। আর এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।’
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার পর্যন্ত ১০ শতাংশ জমির ধান কাটা-মাড়াই করা হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন আগে যে কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টি হলো, তার প্রভাবে পুরো জেলার প্রায় ২ হাজার ১৩ হেক্টর বোরো ধান খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফসল উৎপাদনের ক্ষতি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টন। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা।’
সরেজমিনে জেলার ধানচাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি কালবৈশাখীর প্রভাবে বয়ে যাওয়া ঝড়বৃষ্টির কারণে তাদের পাকা এবং আধাপাকা ধানের গাছ জমিতে নুয়ে পড়েছে। কিছু কিছু নীচু জমিতে এখনও পানি জমে আছে। তাই ধান কেটে নিতে হচ্ছে চড়া দামে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতি বিঘা ধান কাটা যেতো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এখন সেই ধান কাটতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এখন প্রতি বিঘা ধান কেটে নিতে হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়।
এদিকে শ্রমজীবীরা জানান, বেশি দামে ধান কেটেও পড়তা হচ্ছে না তাদের। ধান গাছ নুয়ে না পড়লে এবং জমিতে পানি না জমে থাকলে যে সময়ে তারা ৩ বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে পারতেন; এখন এক থেকে দেড় বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে তাঁদের সেই সময় লাগছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রামের কৃষক কাউছার রহমান জানান, তাঁর ৮ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমিই বর্গা রেখেছেন তিনি। ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের বোরো ধান জিরাশাইল চাষ করেছেন। এক সপ্তাহ আগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর কারণে পাকা ধানগাছ জমিতে নুয়ে পড়ছে। ৫ হাজার টাকা বিঘা দরে সে ধানগুলো কেটে দিচ্ছেন শ্রমিকরা।
ইীলফামারী জেলার ডোমার থেকে আসা শ্রমিক দলের সর্দার মোসলেম উদ্দিন জানান, জমির ধান নুয়ে পড়ায় এবং জমিতে পানি জমে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে ধান কাটা যাচ্ছে না। তাই ৫ হাজার টাকা বিঘা দরে ধান কেটেও পড়তা হচ্ছে না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক জেলায় হলুদ রঙ্রে তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন স্থানীয় এক কৃষক আনোয়ার হোসেন। বর্তমান তার জমিতে ছোট-বড় কয়েকশ তরমুজ গাছের ডোগায় ডোগায় ঝুলছে দেখা গেছে। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নিজস্ব উদ্দ্যোগে ৬০ শতাংশ জমিতে হলুদ রঙের তরমুজও চাষ করেন।
উঁচু বেডের মাটি মালচিং শিট পলিথিন দিয়ে তরমুজ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তার মাঝে গোল করে কাটা স্থানে তরমুজ গাছ লাগানো হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ। যাতে ছিঁড়ে না যায় তাই নেটের ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হালকা বাতাসে সারি সারি তরমুজ দুলছে। হলুদ রঙের সাথে কালো রঙের ব্ল্যাক সুইট-২ তরমুজও চাষ করা হয়েছে। এখানে কৃষক মার্চ মাসের ২০ তারিখে চারা লাগিয়েছেন। ১০দিন পর তরমুজ কাটতে পারবেন।
স্থানীয় কমলপুর গ্রামের মো.ইউনুস বলেন, এর আগে এ কৃষক ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ করেছিলেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে খেয়েছিলেন। দেখতে সুন্দর ও খেতে মিষ্টি। এবার হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। আশা করছেন এবারের তরমুজও খেতে ভালো লাগবে। কাজী আনোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢাকা বেড তৈরি করি। পলিথিনের নিচে একসাথে সার গোবর দিয়ে দেন। পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়ায় সার নষ্ট হয় না,একাধিকবার দিতে হয় না।
এতে পোকার আক্রমণ কম হয়। মাচা তৈরি করেন। তাতে সুতা বেঁধে দেন। তরমুজ বড় হলে নেটের ব্যাগ দিয়ে সুতায় ঝুলিয়ে দেন। এবার তরমুজ হলুদ হলেও এটির ভিতরে লাল ও স্বাদে কড়া মিষ্টি হবে। তিনি আরো বলেন, প্রথমে স্থানীয় কৃষকরা তার অসময়ে এ তরমুজ চাষের বিষয়টিকে পাগলামি বলতেন। এখন ভালো ফলন দেখে সবাই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এবার ৬০ শতক জমিতে তার এক লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছেন ১০ লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, জমিটি পরিদর্শন করেছি। হলুদ তরমুজ চাষ কুমিল্লায় প্রথম। তার ফসল তোলার সময় মৌসুমী তরমুজ কমে আসবে। সে কারণে আনোয়ার ভালো দাম পাবে।
|
|
|
|
কামরুল ইমলাম, ভালুকা প্রতি বছরের মত বোরো ধান চাষ করে পুরো সংসারের চাহিদা পূরণ করে আসছিলেন। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাও গ্রামের কৃষকরা। চলতি বছর বোরো মওসুমে প্রায় অনেক জমিতে ‘ব্রি-ধান ২৯ আবাদ করেন এ গ্রামের শতাধিক কৃষক স্বপ্ন ছিলো অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও পরিবারের চাহিদা মেটানোর। কিন্তু সেটি আর হচ্ছে না। তাদের আবাদকৃত বেশিরভাগ জমির ধানেই ব্লাস্টের আক্রমণে চিটা হয়ে গেছে। এতে করে চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন এবং হতাশায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোছাঃ সাবেরা আক্তারকে তারা কেউই চিনেন না। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোন পরামর্শ দেননি। কৃষকরা তার সাথে যোগাযোগ করলে খারাপ ব্যাবহার করেন তিনি। কৃষকদের মাঝে বরাদ্দকৃত সরকারি কৃষি প্রণোদনা কতিপয় মুখচেনা লোকদের মাঝে বিতরণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা যায় ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার সাবেরা আক্তার মওসুমে একবারও কৃষকদের ধারে কাছে যান না। স্থানীয় বাজারে সার কিটনাশকের দোকানে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান। এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর তারা সকল কৃষক মিলে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধানে চিটা হওয়ার দাবি করছেন কৃষকরা। ব্রি-২৮ জাতের ধান কাটা শুরু হলে মাড়াই করতে গিয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, উপজেলায় এবছর ১৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পোঁকা আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ব্রি-২৮ ধানসহ বেশ কয়েকটি জাতের ধানে চিটা দেখা দিয়েছে, তবে তার মাত্রা বেশি নয়। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সাবেরা আক্তারের বিরুদ্বে আনা লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, তদন্তপূর্বক তার বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : ঝড় বৃষ্টির আগে কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে মরিয়া বগুড়ার কৃষক। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনকুল থাকায় বগুড়ায় এবারও বোরোর বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ইতোমধ্যে জেলা নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরো ধান কাটা-মাড়াই চলছে। তবে ঝড়-ঝঞ্জা ও শীলা বৃষ্টির আতংকে দিন কাটাচ্ছে কৃষক। অনেক ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ভয়ে আগেই ধান কাটা শুরু করেছে। তবে আগামাী মাসের ১০ তারিখ থেকে পুরোপুরি বোরো ফসল কাটা শুরু হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান জেলা এবার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর জামিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। গতবছর বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ লাখ ৭ হাজার ৬২৩ টন (চাল)।
এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমনটি জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তারা। এবার জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা বিঘা প্রতি ২৪ থেকে ২৮ মন জিরাসাইল ফসল উৎপাদন হবে বলে জানান- নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষক রওশন আলী। কৃষক রওশন বলেন- এখন বাজারের ভেজা ধান ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর শুকনা ধান (জিরাসাইল) ধান ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা। মানুষের জীবন মানের উন্নতি ঘটায় বগুড়ায় মোটা জাতের বোরো চাষ কমে গেছে। বগুড়ায় থেকে ধীরে-ধীরে বোরো মোট জাতের ধান বিলিন হতে চলেছে। এই অঞ্চলে সরু জাতের বোরো উৎপাদন বেড়ে গেছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : আজ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। এ সংগ্রহ অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
আজ খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যামে যুক্ত হয়ে এ সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান কিনে অবৈধ মজুদ করতে পারবেন না। কে কত টুকু ধান কিনছেন কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রি করছেন তা খাদ্য বিভাগকে জানাতে হবে। খাদ্য কর্মকর্তাদের এসব তথ্য নিয়মিত অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। কেউ অবৈধভাবে মজুদ করছে কিনা তা কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও চাল সংগ্রহ হবে ৭ মে থেকে। ৭ থেকে ১৬ মের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে মিল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন ক্রমেই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বাড়ানো হবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সংগ্রহ অভিযান সফল করতে একটি সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। সংগ্রহ মৌসুমের শেষের দিকে তাড়াহুড়ো না করে পরিকল্পনা মোতাবেক সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি নির্দেশনা দেন।
এ সময় ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ , রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল বিভাগের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ থেকে জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা মোতাবেক ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। গুদামে ধান দেয়ার সময় কৃষকরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ধান এবং চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : দেশে প্রতি বছর কর্মক্ষম নারী ও পুরুষ যুক্ত হচ্ছে ২০ থেকে ২২ লাখ। তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে বাড়বে বেকারত্ব। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির পাশাপাশি প্রয়োজন উদ্যোক্তা তৈরি করা। কৃষিতে তরুণদের আগ্রহ বাড়াতে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন : অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষি পণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, উদ্যোক্তাদের কল্যাণে দ্রুত এ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশের কৃষিকাজ এখন তারুণ্যনির্ভর। কৃষিকাজে জড়িতদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী। তরুণদের এ অংশগ্রহণের ফলে কৃষিকাজেও আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জও কম নয়। বাধা পেরিয়েই এগোতে হচ্ছে তাদের। নীতিমালা না থাকা, ব্যাংক ঋণ পেতে ভোগান্তি, সরকারি প্রণোদনার ঘাটতিসহ নানা রকম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে এ ফাউন্ডেশন গঠনের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। দেশে প্রতি বছর কর্মক্ষম ২০ থেকে ২২ লাখ তরুণ যুক্ত হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থান অনেকটাই অনিশ্চিত। এ পরিস্থিতিতে তরুণদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে কৃষি। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন তৈরি করলে তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরিতে কৃষি মন্ত্রণালয় নানা রকম সহায়তা দেবে।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন গঠন করতে কাজ করছে। এখন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উৎসাহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাদেশে কৃষি উদ্যোক্তারা কে কোন ফসল চাষ করবেন, কোন ধরনের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করবেন, তাদের কী সহযোগিতা দরকার- এসব বিষয়ে দেখভাল, সহযোগিতা ও যোগাযোগ রক্ষা করবে এ ফাউন্ডেশন।
এসিআই এগ্রিবিজনেস প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী বলেন, আমাদের দেশে কৃষি উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন তৈরি করা দরকার। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঋণ দিতে পারলে দেশের যুবক এবং তরুণ ছেলে-মেয়েরা কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ফলে দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে। অনেক তরুণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা দিতে পারলে তারা ফলের বাগান, মুরগির খামার, গরুর খামার, মাছের খামার করতে সক্ষম হবেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : নিরাপদ সবজি চাষ করে এলাকায় সফল সবজি চাষির খাতায় নাম লিখেছেন মনোয়ারা বেগম। সফলতা দেখে অনেকে সবজি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানান যায়, নিরাপদ শাক সবজি পেতে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের বিকল্প নেই এমন চিন্তা থেকে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল পাঁচগাছী গ্রামের মনোয়ারা বেগম ৭ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন পুষ্টি বাগান।
মনোয়ারা বেগমের পুষ্টি বাগানে রয়েছে পুঁই, কলমি, ডাটা, কাটুয়া ডাটা, কচু, জগন্নাথ ও লাল শাক। এ ছাড়াও অন্যান্য ফসলের মধ্যে রয়েছে মরিচ, বেগুণ, শসা, করলা ও ঝিঙা। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ”জাকস ফাউন্ডেশন’র কারিগরি সহায়তায় ওই পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন বলে জানান, মনোয়ারা বেগম। মনোয়ারা বেগম জানান, শাক সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ৫ হাজার ২ শ টাকার শাক সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা একটুকরা জমিও যেন পতিত না থাকে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’।
পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের দিক নির্দেশনায় বাড়ির আনাচে কানাচে পড়ে থাকা পতিত জমিতে নানা ধরনের শাক সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কাজ করছে জাকস ফাউন্ডেশন বলে জানান, নির্বাহী পরিচালক মো. নূরুল আমিন। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন কারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হেসেন শাহিন বলেন, সবজি চাষে সফলতা দেখে অনেকেই এখন বাড়ির পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিত করাসহ বিদেশে রপ্তানির দাবি জানিয়েছে রংপুরের আলুচাষিরা। দাবি আদায়ে মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করে চাষিরা।
এ সময় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সড়কে আলু ফেলে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান চাষিরা। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোল্ড স্টোরেজ ভাড়া বৃদ্ধিসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার কেজিপ্রতি আলু উৎপাদনে ১১ থেকে ১৩ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ মাঠ পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে আট থেকে নয় টাকা কেজি। এতে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বিদেশে পর্যাপ্ত আলু রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হলে এই লোকসান থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে বলে দাবি তাদের।
পীরগাছার কল্যাণী এলাকার আলুচাষি মোবারক হোসেন বলেন, সোগ কিছুর দাম বাড়ে। খালি হামার মতো চাষির দাম বাড়ে না। প্রত্যেক বছর হামরা কষ্ট করি আলু আবাদ করি, কিন্তু বেচাবার সময় দাম মিলে না। এইভাবে চলতে থাকলে আলুর আবাদ কমতে কমতে এক সময় বন্ধ হয়্যা যাইবে।
মাহিগঞ্জ আমতলী এলাকার আলু ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, এখনো রংপুর থেকে পর্যাপ্ত আলু বিদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ধীর গতিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। এখন আলুর যে বাজারদর এতে চাষি-ব্যবসায়ী কেউই লাভের মুখ দেখবে না। প্রত্যেক বছর আলু আবাদের পর লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারের সহায়তা চাই।
রংপুর নগরের মডার্ণ ধর্মদাস এলাকার আলুচাষি সোহেল রানা বলেন, রংপুরে আলু ফলন বরাবরই বেশি হয়। উৎপাদন ভালো হলেও দামের বেলায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার বিদেশে আলু রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকা থেকে আলু বিদেশে যেতেও শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন দামের যে পরিস্থিতি তাতে বেশি করে বিদেশে আলু রপ্তানি করা উচিত। এটা হলে লোকসান থেকে আমরা রক্ষা পাব।
সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ জানানোর সময় রংপুর নগরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার চাষি ও ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে মাহিগঞ্জ এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
এদিকে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকমল হোসেন জানান, এবার রংপুর জেলায় রেকর্ড ৫১ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। তবে রংপুরে যে আলু চাষবাদ হয়, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশে এ আলুর চাহিদা নেই। কারণ আমাদের উৎপাদিত আলুর বেশির ভাগ আকারে ছোট।
এ কারণে আমরা উন্নত জাতের বীজ সরবারহ এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে এবার বিদেশে আলু রপ্তানি শুরু করতে সক্ষম হয়েছি। এখন যেভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আলু কেনার চাহিদা বাড়ছে, তাতে করে এবার রংপুর থেকে আলু রপ্তানির পরিমাণ ৫০ হাজার টনের কাছাকাছি পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, সারা দেশে চাহিদার ২৫ ভাগ আলুর জোগান দেয় রংপুর বিভাগ। তাই রংপুর বিভাগ থেকে আলু রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সরকার। বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশে রংপুরের আলু রপ্তানি হচ্ছে।
বিদেশিদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে উত্তম পদ্ধতিতে রংপুরে উন্নত আলুর চাষাবাদ করা হচ্ছে। দেশের উদ্বৃত্ত প্রতিটি ফসল বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|