মানিকগঞ্জের চরের জমিতে ফসলের সমাহার, কৃষকের বুকে স্বপ্ন বেধেছে ঘর। দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর মাঝখানে চরকাটারী ইউনিয়ন, যে ইউনিয়নের অধিকাংশ লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন পর নদীর বুকচিরে উঠেছে নতুন চর, চরের নতুন মাটিতে ভালো ফসল ফলানোর আশায় কৃষক তড়িঘড়ি করে চাষাবাদ শুরু করে। এবারের মৌসুমে তারা বোরো ধান, গম, ও সরিষার আবাদ করেছ। সরজমিনে গিয়ে এবারে বোরো ধান ও সরিষা, গম খেত দেখে মনে হচ্ছে কৃষকের দুঃখ কিছুটা হলেও দূর হবে।
এ বিষয়ে চরকাটারীর কৃষক আয়নাল ফকিরের সাথে আলাপ করে যানা যায়, তারা সঠিক সময়ে সরিষা বিজ বুনেছেন, আশা করছেন ভালো ফলন হবে। প্রতি বিঘায় মোটামোটি ৬/৭ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। তিনি আরো জানান, এবার চরে রোরো ধানের জমি বেশ ভালো হয়েছে, সবাই বোরো ধান লাগাতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভালো ফলনের আশাবাদি সবাই।
আবার গম চাষেও বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। তবে চড়া দামে গম বিজ কিনতে হিমসিম খাওয়ার কথা বলেছেন। প্রতি কেজি গমের বিজ ৯০টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে তাদের। দৌলতপুর উপজেলায় বিজ না পাওয়ায় অসন্তোসও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এ দিকে চরের অনেক জমিতে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেক কৃষক, কর্দমাক্ত পলিমাটিতে বোরো ধানের চাষ খুব সুন্দর হয়। বিঘায় বিঘায় চরের জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করতে কুয়াশা ঢাকা ভোরে নদীপার হয়ে ছুটে যায় কৃষক। শীতের সকালে সবাই দলবেধে চলে যায় জমিতে, যেন শীতকে পাত্তাই দিচ্ছেন না তারা। সব কৃষক পাল্লা পাল্লি করে বোরো ধান রোপন করে যাচ্ছে। উৎসবের আমেজে বোরো ধান রোপন করছেন। তাদের চোখে-মুখে কেবলই স্বপ্ন, নেই কোন ক্লান্তি-অবসাদ।