আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। খুশিতে মন ভরে গেছে কৃষকদের। কৃষির উপর নিরর্ভশীল কৃষকরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে মাঠের বুক ছিড়ে ফলিয়েছে সোনালী রংয়ের আমনের ফসল।
আর কয়েকদিন পরেই ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে এমনটাই আশার আলো বুকে নিয়ে বুক বেধে বসে দিন গুনছে কৃষকরা। ইরি ধান আবাদে খরচের চেয়ে আমন আবাদে কৃষকদের খরচ অনেক কম হয়। ফলে লাভজনক ফসল এটি। ৬২ শতাংশের জমিতে আমন ধান হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মন।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ফসলি জমির মাটি বেশ উর্বর। প্রতিবছরই বন্যার সময় ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের ঘোলা পানি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মাটির উর্বরতা বেড়ে যায়। যার ফলে এ অঞ্চলের জমিতে বাম্পার ফলন উৎপাদন সম্ভব হয়।
নওদাপাড়া গ্রামের কৃষক সৈয়দ জামাল জানান, এবার প্রায় ৩ একর জমি আমনের চাষ করেছি। ঘনঘন বৃষ্টি হওয়ায় খরচ অনেকটা কম হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ধান কাটা পড়বে। ভালো ফলন হওয়ায় অনেক খুশি হয়েছি।
খনজনম্রাা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। এত সুন্দর ধান হয়েছে যা ইতিপূর্বে ককনো হয়নি।
এবিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জনান, চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ৫’শ হেক্টর সেখানে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আমন চাষ হয়েছে প্রায়ই ১০ হাজার হেক্টরের মতো। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকরা ধান কাটা মাড়াই শুরু করবেন বলে আশা করছি।