এ সপ্তাহে শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
এ সপ্তাহ থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দিয়েছে ফাইজার। যা র্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এসব টিকা দিয়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে চতুর্থ এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্প্রতি বাড়লেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় পাঁচগুণ জানান তিনি।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
এ সপ্তাহ থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দিয়েছে ফাইজার। যা র্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এসব টিকা দিয়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে চতুর্থ এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্প্রতি বাড়লেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় পাঁচগুণ জানান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বুধবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে ন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩: সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার। কাজেই সে এটি পাওয়ার হকদার। অতএব আমাদের হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই ধরনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে গেলে তারা স্বস্তিবোধ করে। এমন যেন না হয়, সেখানে গেলে তারা অহেতুক হয়রানির শিকার হয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো স্থানে এমন হয়, চিকিৎসক গল্প করছেন, রোগীর প্রতি মনযোগ দিচ্ছেন না, এই দেখছি, এমনটা যেন অহেতুক না হয়। আমরা সবাই এটার প্রতি খেয়াল রাখবো। তাহলে আমার মনে হয় আজকের বিষয়টা অর্জিত হবে।
গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, যেখানে গবেষণা বিষয়ক ফলাফল অনুষ্ঠিত হয় কষ্ট হলেও আমি সেখানে যাই। গবেষণা আমাদের জন্য খুবই অপরিহার্য। হেলথ সেক্টরের গবেষণায় আমরা খুব ভালো একটা অবস্থানে নেই। এটি আমরা সবাই স্বীকার করি। যারা বিশেষজ্ঞ তারা কেন গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না, এটি আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে। আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে বসেও বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে পারি। আশা করি আপনারা বিষয়টা গুরুত্ব দেবেন।
সম্মেলনটির আয়োজন করে অ্যাডভানসিং সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস (অ্যাডসার্চ) আইসিডিডিআর,বি।
যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং গবেষক-উদ্ভাবক, আইনপ্রণেতা, পেশাজীবী ও তরুণদের একত্র করা ছিল সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
সম্মেলনে বাংলাদেশের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিস্তারে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনজন বিশিষ্টজনকে ‘এক্সিলেন্স ইন এসআরএইচআর অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়। অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা শাহলা খাতুন, হালিদা হানুম আকতারকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার ও এ বিষয়ে উদ্ভাবন নিয়ে দুটি পৃথক বৈজ্ঞানিক সেশনের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষজ্ঞগণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য সম্মেলনের আগে গবেষণা ধারণাপত্র ও উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা আহ্বান করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাছাইকৃত সেরা গবেষণা ধারণাপত্র ও উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন করা হয় এবং সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীর বছরব্যাপী বিশেষজ্ঞদের তত্বাবধানে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ পাবেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেলথ সার্ভিস ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, হেড অব ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন, হাই কমিশন অব কানাডা জো গুডিংস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ (নিপোর্ট) ডিরেক্টর জেনারেল শফিকুল ইসলাম।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রজনন অঙ্গে সংক্রমণের (পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ) কারণে সহস্রাধিক নারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।
একইসঙ্গে জরায়ুমুখের ক্যান্সারে বাংলাদেশে প্রতিবছর আরও প্রায় পৌনে ৪ হাজার নারীর মৃত্যু হচ্ছে। আর অনিরাপদ মিসক্যারেজ বা অ্যাবরশনের কারণে বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনের মতো নারী।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে আইসিডিডিআর,বির সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩: সেক্সচুয়্যাল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী ড. আহমেদ এহসানুর রহমান। তিনি বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্যের একটা বিশাল অংশ হলো মাতৃস্বাস্থ্য। মাতৃস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার জন্য পৃথিবীব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭১ জন মারা যায়। এই জটিলতায় প্রতিবছর বাংলাদেশে মারা যাচ্ছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার জন।
এহসানুর রহমান বলেন, প্রজননস্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নারীদের প্রজনন অঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। এজন্য সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৪৩ হাজারের বেশি নারী মারা যাচ্ছে, আর বাংলাদেশে মারা যাচ্ছে প্রায় ১ হাজার জন নারী। বর্তমান সময়ের এই উৎকর্ষতার যুগে এসে, অ্যান্টিবায়োটিকের সহজপ্রাপ্যতা এবং আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই অবস্থায় এসে এত সংখ্যক মায়ের জীবন চলে যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক।
গবেষণায় বলা হয়, বর্তমান সময়ে প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য আরেকটি বিশাল সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সারভাইক্যাল ক্যান্সার (জরায়ুমুখের ক্যান্সার)। বিশ্বব্যাপী জরায়ুমুখের ক্যান্সারের জন্য প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ জন নারীর মৃত্যু হয়, আর বাংলাদেশে মারা যাচ্ছে প্রায় পৌনে ৪ হাজার জন। এছাড়াও প্রজনন স্বাস্থ্যের অন্যান্য যেসব কমপ্লিকেশন এবং ডিজঅর্ডারগুলো আছে, সেগুলোতে প্রতি বছর আরও প্রায় সাড়ে তিনশো থেকে চারশো জন নারীর মৃত্যু হয়।
ড. এহসান আরও জানান, প্রজনন স্বাস্থ্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার নাম হলো জ্যানিটাল প্রলাপ্স বা প্রজনন অঙ্গ নিচের দিকে নেমে আসা। এই সমস্যায় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার জন্য প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ হাজার এবং বাংলাদেশে প্রায় দেড়শো জনের মতো নারীর মৃত্যু হয়।
গবেষণায় তিনি আরও বলেন, মিসক্যারেজ এবং অ্যাবরশন যদি অনিরাপদ অবস্থায় হয়, তাহলেও নারীদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি বিশ্বব্যাপী এই সমস্যার কারণে প্রায় ২০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়, আর বাংলাদেশে মৃত্যু হয় ১৫০ জন থেকে ২০০ জনের।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইসিডিডিআর,বির অ্যাডভান্সিং সেক্সচুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস (অ্যাডসার্চ) যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে মানসম্মত গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে তরুণ ও নবীন গবেষকদের তারা বিশেষভাবে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনব্যাপী গবেষণা ও উদ্ভাবন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে তরুণ গবেষকবৃন্দ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে তাদের গবেষণা ধারণাপত্র` ও ‘উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা’ তুলে ধরেন।
জানা গেছে, এর আগে অ্যাডসার্চ গবেষণা প্রস্তাবনা ও উদ্ভাবনী ধারণা আহ্বান করেছিল। সেখান থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে ১০০টি গবেষণা প্রস্তাবনা ও ৫৭টি উদ্ভাবনী ধারণাকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বিশেষজ্ঞদের নম্বরের ভিত্তিতে সেরা ২২টি গবেষণা প্রস্তাবনা ও ২১টি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপনের জন্য বাছাই করা হয়। সেখান থেকে দুটি বিভাগে সেরা ৩টিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র ডিরেক্টর ও ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের সিনিয়র সাইন্টিস্ট শামস এল আরেফিন, অ্যাডসার্চের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর কামরুন নাহারসহ আরও অনেকে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীতে আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশের আরও ১০০টি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বৈকালিক ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে আরও ১০০টি প্রতিষ্ঠানে বৈকালিক সেবা চালু করা যাবে।
স্বাস্থ্যখাতকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগে দেশের স্বাস্থ্য খাতে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো না। তাদের প্রশিক্ষণকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ে আসতে কাজ শুরু হয়েছে।
এছাড়া প্রতিবছর একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। যে পদ্ধতিতে ডিসি ও পুলিশ সুপারের কনফারেন্স করা হয়, সেই একইভাবে চিকিৎসকদের নিয়েও প্রতিবছর কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সারাদেশে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন পরিচালকসহ প্রায় ৭০০ কর্মকর্তা রয়েছে। সবাইকে নিয়ে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। ওই কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। আশা করি তিনি আমাদের এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে প্রাথমিক অবস্থায় ঢাকা বিভাগের ১০ জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের আট জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা, খুলনা বিভাগের চার জেলা, রাজশাহী বিভাগের তিন জেলা, রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা, বরিশাল বিভাগের তিন জেলা ছাড়াও সিলেট ও বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলায় ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস কার্যক্রম শুরু হয়।
|
|
|
|
মানিকগঞ্জ, প্রতিনিধি :
যত্রতত্র অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহার রোধে আগামী সংসদেই আইন পাস হচ্ছে। আইনে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান। এমন কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে ভার্চুয়ালি দেশের ৮ মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব ও ই- লাইব্রেরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ৮ মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব ও সকল মেডিকেল কলেজে ই-লাইব্রোরির ফলে দেশের চিকিৎসা শিক্ষায় নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো। এর ফলে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্বমানের ডাক্তার হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে চিকিৎসায় স্মার্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। একদিন সময় আসবে একজন মানুষও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, নানা কারণে চিকিৎসক ও নার্সদের পদোন্নতি বন্ধ ছিল। সব জটিলতা কেটেছে, শিগগিরই তাদের পদোন্নতি হবে।একই সাথে দেশের সকল হাসপাতালে শুন্যপদ গুলোও পুরণসহ নতুন করে দক্ষ জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের জন্য আট বিভাগে নির্মিত আটটি হাসপাতাল আগামী এক বছরের মধ্যে চালু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার দুপুরে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে আটটি মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব ও ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ই-লাইব্রেরির উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের রোগ অনেক বেড়েছে। যতো লোক মারা যায় তার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। হাসপাতালগুলো চালু হলে মৃত্যুর হার কমবে।
মন্ত্রী বলেন, সিমুলেশন ল্যাবে অ্যাডভান্সড ডিজিটাল ডিসেকশন টেবিল ব্যবহার করে ডিজিটাল মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা। তারা এর মাধ্যমে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে। এতে করে মৃতদেহের ব্যবহার কমে আসবে। এছাড়া বার বার ব্যবহারের মাধ্যমে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অনেক বেড়ে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের এফডব্লিউসিগুলো ( ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি বিভাগ) দৈনিক আট ঘণ্টা চলে। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি প্রতিটি এফডব্লিউসি এখন ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দেবে। ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিলে ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারির সংখ্যা বেড়ে যাবে। তার মাধ্যমে মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে এবং সিজারের সংখ্যা কমে যাবে।
তিনি বলেন, নানা জটিলতায় যে সকল চিকিৎসক ও নার্সদের পদোন্নতি হয়নি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি দেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যত শূন্য পদ আছে সকল শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াো শুরু হয়েছে। এখন আর একটি পদও শূন্য থাকবে না।
এসময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. টিটো মিঞা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক আরশাদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গত ৫ বছরে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সিজারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ থেকে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (নিপোর্ট) পরিচালিত ‘বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০২২ (বিডিএইচএস) থেকে এ কথা জানানো হয়।
জরিপে বলা হয়, বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় দরিদ্র মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় ধনীদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের মাত্রা ছয় গুণ বেশি ছিল। ২০২২ সালে দরিদ্রদের তুলনায় ধনীদের সেবা গ্রহণ দ্বিগুণে নেমে এসেছে।
৮৮ শতাংশ মহিলা অন্তত একবার প্রশিক্ষিত কোন স্বাস্থ্য কর্মী থেকে গর্ভকালীন সেবা গ্রহণ করেছেন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৮২ শতাংশ। কিন্তু কোভিড চলাকালীন চারবারের বেশি গর্ভকালীন সেবা গ্রহণ করেছেন এই সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪১ শতাংশে নেমে এসেছিল।
জন্ম বিরতিকরণ প্রসঙ্গে জরিপে বলা হয়, জন্ম বিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার বিগত সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহারের হার ৩ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।
অল্প বয়সে বিয়ের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ২০ থেকে ২৪ বছরের মহিলাদের মধ্যে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ার মাত্রা ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ, ২০১৭ এটা কমে দাঁড়ায় ৫৯ শতাং এবং ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, মহিলা প্রতি সন্তানের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ জন। তবে, কিশোরী বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্রা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। ২০১৭ সালে এ মাত্রা ছিল ২৮ শতাংশ, ২০২২ সালে এটা কমে হয়েছে ২৩ শতাংশ।
নিপোর্ট মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), ইউএসএইড বাংলাদেশ পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন পরিচালক ক্যারি রাসমুসেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ নার্স রয়েছে, তার চেয়ে আরও দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা গত দশ বছরে ৩৪ হাজার নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে চাহিদামতো আরও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কমপ্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একজন রোগীকে ডাক্তার শুধু দেখে যায়, আর নার্সরা সার্বক্ষণিক সেবা দেয়। স্বাস্থ্য সেবার জন্য নার্সদের ভূমিকা অনেক। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে করে নার্সিং সেবা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তবে নার্সদেরকে আরও আন্তরিকতার সাথে রোগীদের সেবা দিতে হবে।
বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরাও চাই আমাদের নার্সরা বিভিন্ন দেশে সেবা দিয়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনুক। এজন্য তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের আওতায় এনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। দেশে নার্সদের ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার সিট আছে।
চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুইটার পরে কোনো ডাক্তার থাকে না। কিন্তু দুইটার পরেই হাসপাতালে রোগী বেশি থাকে। সেকারণে আমরা হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দিত, সেটাই এখানে দিবে। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারিদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের মোট ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী।
কেন্দ্র ও কোর্স অনুযায়ী পরীক্ষার্থী সংখ্যা
কোর্স অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারির পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ১৬৫ জন, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে পরীক্ষার্থী ৪০ জন, ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সে ২ হাজার ৬৫২ জন এবং বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে ২ হাজার ৪৮৩ জন।
রাজধানীর ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষা দিয়েছে ৪ হাজার ৬১৯ জন, হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২ হাজার ১৫০ জন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২ হাজার ৬৫২ জন এবং সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে ২ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর (এনডিসি), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক টিটো মিয়া প্রমুখ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দীর্ঘ আড়াই বছর অতিবাহিত করেছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম। এই সময়টিতে নানা সফলতার পাশাপাশি কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম বড় সমস্যা হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেঁনেসায় আয়োজিত ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) খসড়া স্ট্রাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মহাপরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আমার দুইবছর আট মাসের মতো কাজের অভিজ্ঞতা। আমাদের প্রতিবছর অসংখ্য পরিকল্পনা থাকে, কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাজ করতে না পারার কারণগুলোর মধ্যে প্রথম হলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অনভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের অভাব।
তিনি বলেন, আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো, যেকোনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে কাজে দায়মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু এটা আমরা ঠিকমতো পাচ্ছি না। এর আরেকটি কারণ হলো বিভাগগুলোতে এমন লোকজন পদায়িত হচ্ছেন, যারা তাদের চাকরির শেষ সময়ে। তারা ওই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে বড় কোনো কাজও করতে চান না। শেষ সময়টা তারা পায়ে পা তুলেই কাটিয়ে দেন। এজন্য আমি মনে করি, কোনো দায়িত্বে পদায়নের ক্ষেত্রে অন্তত তিন বছর সময় নিয়ে দেওয়া উচিত।
খুরশিদ আলম বলেন, আমাদের লাইন ডিরেক্টর আর ডিরেক্টর পদ নিয়ে কিছু বিরোধ আছে, যে কারণে অনেক কাজও আটকে আছে। আমাদের রেফারেল সিস্টেম এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। এমনকি আমাদের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসেও নানা সমস্যা আছে। আমাদের উচিত উবার ও পাঠাওয়ের মতো অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা।
গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, গবেষণায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। গবেষণা বাড়াতে হলে আইইডিসিআরকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, তাহলে রিসার্চ আরও এগিয়ে যাবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারকে (নিলমার) আমরা শক্তিশালী করতে পারিনি। এটিকেও আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের জন্য মেডিকেল ওয়েস্ট মেনেজম্যান্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) একটি বড় ঝুঁকির বিষয়, এটিকেও এইচপিএনএসপি প্ল্যানে যুক্ত করতে হবে। জন্মগত বধির শিশুকে দুই বছরের মধ্যে শনাক্ত করতে পারলে তাদের সুস্থ করে তোলা যায়। এইচপিএনএসপি প্ল্যানে ওরাল হেলথকেও আনা দরকার।
সবশেষে খুরশিদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য খাতে নানা ধরনের সমস্যা ও অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়, এর কারণ হলো আমাদের প্রশিক্ষণ ও মনিটরিংয়ের অভাবে এরকম হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
এছাড়াও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, বিএমএর সভাপতি ও মহাসচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, লাইন ডিরেক্টর, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৪৬ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৫৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় ১০৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০৪৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি চিকিৎসকদের কর্মসময়ের পর হাসপাতালেই ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। আগামী ৩০ মার্চ থেকে এই ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্র্যাকটিস করা যাবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি জানান, প্রথমে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় এই প্র্যাকটিস শুরু হবে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা, বাকিটা অন্যরা। সরকারও একটি অংশ পাবে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের (অধ্যাপক) ৫০০ টাকা ফি (ভিজিট), তবে তিনি পাবেন ৪০০ টাকা। সিনিয়র কনসালটেন্ট পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপক পাবেন ২০০ টাকা। তাকে যারা সহযোগিতা করবেন, তারা পাবেন ৫০ টাকা করে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯৩ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। তাই মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৫ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ জন।
২৪ ঘণ্টায় ১৫১৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫১৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ২৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৯ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। তাই মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৫ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ জন।
২৪ ঘণ্টায় ১৩২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৩২৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ২৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৪ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। তাই মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৫ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার (২০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭৩০ জন।
২৪ ঘণ্টায় ২০৬৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২০৭১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ২৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডাক্তারদের জন্য নতুন করে পোস্ট তৈরি করা এবং পদোন্নতির যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ‘বিশ্ব মৌখিক (ওরাল) স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি (বিডিএস)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর ডেন্টাল কর্তৃপক্ষের কিছু দাবি ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পোস্ট ক্রিয়েশন এবং প্রমোশনের বিষয়ে। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কিছু পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের আমি নিশ্চিত করছি, আগামীতে যেখানে যেই প্রমোশনের প্রয়োজন আছে, তা করে দেওয়া হবে। তবে প্রমোশনের বিষয় অনেক আগে থেকেই ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে দিয়ে প্রমোশনের কার্যক্রম বর্তমানে সচল আছে।
ডেন্টাল ইনস্টিটিউট করে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ডেন্টিস্টদের জন্য একটা ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন আছে, যা আমিও মনে করি। বর্তমানে অনেকগুলা ইনস্টিটিউট আছে। আমাদের হার্ট ইনস্টিটিউট আছে, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আছে, গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট আছে, আই এবং ইএনটি ইনস্টিটিউটও আছে। সেই হিসাবে কেন ডেল্টাল ইনস্টিটিউট হবে না। তাই আমরা পরিকল্পনা করছি আগামীতে ডেন্টিস্টদের জন্য একটা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট করে দেব।
১৭ কোটি মানুষের জন্য ১৫ হাজার ডেন্টিস্ট অনেক কম উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, দাঁতের চিকিৎসা বিষয়ে আমাদের জনবল এবং প্রতিষ্ঠান দুটিই কম আছে। ডব্লিউএইচও-এর রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী প্রতি দশ হাজার লোকের জন্য ১২ জন করে ডেন্টিস্ট থাকা প্রয়োজন। কিন্তু দেশের হিসেব অনুযায়ী ১২ হাজার লোকের জন্য মাত্র একজন ডেন্টিস্ট আছে দেশে, যা খুবই অপ্রতুল। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোনো স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিয়মিত চেকআপ প্রয়োজন। কিন্তু গ্রামের মানুষের সাধারণ চিকিৎসা নিতেই কষ্ট হয়, সেখান দাঁতের চিকিৎসা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে। মুখের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হয়, যা আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মানুষই পারে না। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা যতটুক দেওয়া সম্ভব দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারপরও এটা খুবই অপ্রতুল।
ওরাল হেলথের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, মুখের স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশের অনেকেই মনোযোগী নয়। অনেকে নিয়মিত ব্রাশ করে না, এমনকি আমাদের দেশে অনেকেই তামাক সেবন করে। আর মুখের ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান ও তামাক সেবন। এ বিষয়গুলোকে আমাদের আরও কঠিন করে দেখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ডেন্টালের যত বিভাগ আছে, সেগুলো রোগীরা ভালো করে জানে না। কোন সমস্যা হলে কোন ডেন্টিস্টের কাছে যাবেন, সেটা নিয়ে সাধারণ রোগীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই ডেন্টিস্টদের এসব বিষয়ে বেশি করে প্রচারণার দরকার আছে। আর এই ডেন্টিস্ট পেশায় যেন নতুন করে সরকারিভাবে চাকরির সুযোথ তৈরি হয়, সে আশা করছি সরকারের প্রতি।
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) প্রেসিডেন্ট ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ডেন্টাল সেবা এখন বাংলাদেশের মধ্যে অনেক জরুরি সেবায় পরিণত হয়েছে। তাই এই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে ডেন্টাল শিক্ষাকে ৪ বছর থেকে ৫ বছরে উন্নতি করা হয়েছে, যা ডেন্টাল খাতকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।
অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৩ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। তাই মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৫ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭১৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় ১৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৬৭৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ২৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
|
|
|
|
|
|
|