গাজীপুরে বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নি হ ত
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় কোনাবাড়ী কলেজের সামনে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রকিবুল ইসলাম(৩৫)। রকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শাজাহান আলীর ছেলে।
নিহতরে ভাই জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে কোনাবাড়ি কলেজের সামনে তাকওয়া পরিবহন গাড়ি তার ভাইকে চাপা দিলে সে প্রাণ হারায়।
পুলিশ ও স্থানীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী রকিবুল সকালে গাজীপুরের চন্দ্রামুখি যাচ্ছিলেন। কোনাবাড়ী কলেজের সামনে পৌঁছালে একটি বাস মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। আর এতে ঘটনাস্থলেই রকিবুল প্রাণ হারান।
কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
|
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় কোনাবাড়ী কলেজের সামনে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রকিবুল ইসলাম(৩৫)। রকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শাজাহান আলীর ছেলে।
নিহতরে ভাই জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে কোনাবাড়ি কলেজের সামনে তাকওয়া পরিবহন গাড়ি তার ভাইকে চাপা দিলে সে প্রাণ হারায়।
পুলিশ ও স্থানীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী রকিবুল সকালে গাজীপুরের চন্দ্রামুখি যাচ্ছিলেন। কোনাবাড়ী কলেজের সামনে পৌঁছালে একটি বাস মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। আর এতে ঘটনাস্থলেই রকিবুল প্রাণ হারান।
কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
|
|
|
|
হাসি আক্তার:
গাজীপুর মহানগরীর ভেতরে ব্যঙের ছাতার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওষুধের দোকান। অনেক সময় এসব ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে মানুষের প্রাণ হানির আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশেনের কোনাবাড়ী থানার ভেতরে রয়েছে ৯শ’ থেকে ৯৫০টি ওষুধের দোকান। এরমধ্যে মাত্র ৩শ’ থেকে ৩২০ফি ওষুধের দোকানের বৈধতার কাগজপত্র আছে। বাকিগুলোর কোনো বৈধতা নেই। অথচ দিব্যি মানুষের জীবন রক্ষাকারী নানারকম ওষুধ বিক্রি করে যাচ্ছে এসব ফার্মেসির মালিকরা। এসব ওষুধ বিক্রেতারা নিজেরাই নানা রোগের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রিও করে থাকেন। এ বিষয়ে গাজীপুর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বাদল শিকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লাইসেন্স বিহীন ওষুধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে আইনানুগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|
|
|
|
রবিউল ইসলাম লাভলু, রংপুর প্রতিনিধি:
আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের কাজ লজ্জার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আবু সাঈদকে কারা গুলি করলো, কীভাবে মৃত্যু হলো, এটি প্রমাণ করার জন্য খুব বেশি সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না। এরপরও আবু সাঈদের হত্যা পরবর্তী পুলিশ যে কাজ করলো, একটা অপ্রাপ্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে হত্যাকারী সাজানো হলো, এটিও বিশ্ববাসী দেখলো। এটি অত্যন্ত লজ্জার।
এরকম কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো লোকদেখানো তদন্ত নয়, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীকে বের করা হবে।
নবাগত পুলিশ কমিশনার বলেন, আবু সাঈদ যেভাবে শহীদ হয়েছেন, সেটি দেখে বিশ্বের মানুষ শিহরিত হয়েছে। দেশের মধ্যে বীর আবু সাঈদ ঘরে ঘরে জন্ম নিয়েছে। আবু সাঈদের দৃষ্টান্ত পরবর্তীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে বীর হিসেবে চিহ্নিত হবে এটি আমার বিশ্বাস। আমি যোগদানের পরই আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি এবং পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি।
পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত কমিশনার মজিদ আলী বলেন, স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকে পুলিশের ভালো ভূমিকা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনী দীর্ঘদিনের মধ্যে সব ভালো কাজ করেছে, সেটা যেমন নয়, তেমনি সব খারাপ কাজও করেনি। রাষ্ট্রগঠনসহ দেশের মানুষের কল্যাণমূলক কাজ করেছে এই পুলিশ। করোনা মহামারিসহ নানাবিধ কাজ করে প্রসংশিত হয়েছে। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী ও অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যের জন্য পুলিশ বাহিনীর আজকের পরিণতি। কিন্তু এটা মাথায় নিয়ে সরে থাকলে কিংবা সমাজ থেকে আলাদা থাকলে এই বাহিনীর অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং আমাদের পেছনে থাকার সময় নাই, চুপ করে থাকার সময় নাই, আমাদের ফিরে আসতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক পুলিশিং, ধানকাটা পুলিশিং, মানবিক পুলিশিং, লোক দেখানো পুলিশিং, শো অফ করা পুলিশিং আমি করবো না, কথা দিচ্ছি। পুলিশের যা কাজ, তা করতে চাই। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আমাকে তুলে ধরার কিছু নেই। আমি এই শহরকে চিনি, এই অঞ্চলে আমার বাড়ি। এখানেই বেড়ে উঠেছি। পুলিশের যে প্রকৃত কাজ তা করতে চাই। এরমধ্য দিয়ে মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে, রাস্তায় চলাচল করতে পারে, যুবতী মহিলা শপিং করতে পারে, রাস্তায় সন্ধ্যায় হাঁটতে পারে নির্বিঘ্নে এসব নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিএসবি প্রধান আবু বক্কর সিদ্দিক, ডিবি প্রধান ইবনে মিনানসহ রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য অফিসারবৃন্দ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নূর আলম (২২) নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেলহক, সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্ল্যাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১৩৯জনের নামে এবং তাদের সহযোগী আওয়ামী লীগের অজ্ঞাতনামা আরোও ১০০/১৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় মামলাটি রুজু হয়।
মামলার বাদী হয়েছেন নিহত নূর আলমের পিতা মোঃ আমির আলী (৪৪)। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকায়। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ১৮নং ওয়ার্ডের তেলিপাড়া এলাকার ডাক্তার নাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৬ জনের নির্দেশ অনুযায়ী বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতি, কোবা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে গত ২০ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের তেলিপাড়াস্থ হানিমুন রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় অবস্থানরত আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরীভাবে কিল ঘুষি মেরে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করেছেন ও ধারালো দা দ্বারা কুপিয়ে খোরশেদ আলম রশিদ (১৯) সহ প্রায় ২৫/৩০ জন আন্দোলনকারীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে তাদের হুকুমে ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় অবৈধ অস্ত্রধারী এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে গুলি ছুড়িতে শুরু করে। ঐ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে বেলা সোয়া ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নূর আলম (২২) এর ডান চোখের উপর অংশ দিয়ে ভিতরে গুলি ঢকে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে নূর আলম নিহত হয়।
ঘটনার পর ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে শোকাহত হয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কোন আইনী সহায়তা না নিয়ে তাৎক্ষনিক ছেলের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে যান এবং লাশ দাফনের সম্পন্ন করেন। ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের লোকজন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে দেশের বিদ্যমান অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দিতে বিলম্ব হয়।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান (স্টাফ রিপোর্টার) গাজীপুর:
গাজীপুরের বিভিন্ন থানা থেকে গত ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া বিভিন্ন মডেলের ৩টি পিস্তল, ৫টি শর্টগানসহ বিভিন্ন গুলি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসব অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের মাধ্যমে পুলিশের কাছে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের সিইও লে. কর্নেল লুৎফর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ঈলতুৎমিশ, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা এলাকায় খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের সেনা সদস্যরা। এসময় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া অনেকে স্বেচ্ছায় অস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেন। ধারাবাহিক অভিযানে সেনা সদস্যরা তিনটি পিস্তল, ৫টি শর্টগান, একটি ওয়ালথার, ৬টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ৪টি পিস্তল বক্স, একটি এসএমজি ম্যাগাজিন, ৮৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ২০ রাউন্ড বল অ্যামো, পুলিশের রায়ট সরঞ্জামসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এখন খোয়া যাওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হলে কাউকে কিছু বলা হবে না। তবে যৌথ অভিযান শুরু হলে যার কাছে অস্ত্র পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরে ট্রেন স্টপেজের দাবীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আর রোববার সকালে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের (রাজবাড়ী-ভাঙ্গা- রাজবাড়ী) ফরিদপুর রেলস্টেশনে স্টপেজের দাবীতে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি আবরার নাদিম ইতু সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সিটি পেইজের সদস্য আশিষ কুমার কুন্ডু, সেলিম মিয়া, আলী মকিম, ঘুরিফিরি ফরিদপুরের সদস্য ইকবাল হোসেন, সোহান আলী, আরিফ শেখ সহ ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ফরিদপুর একটি প্রাচীন জেলা শহর এবং অসংখ্য যাত্রী ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত যাত্রা করে। স্বল্প খরচ এবং অল্প সময়ে তারা এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু স্টপেজ না থাকায় যাতায়াতের সুবিধা হচ্ছে, বঞ্চিত হবে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। আগামীকাল থেকে এই ট্রেন যাতে ফরিদপুরবাসী সুবিধা পেতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচর রেলওয়ে স্টেশনে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা- রাজবাড়ী (চন্দনা কমিউটার) ও ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা (ভাঙ্গা কমিউটার) ট্রেন দুটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
|
|
|
|
সাবরীন জেরীন:
স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার (২৮এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯ টায় জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণ হতে পায়রা উড়িয়ে আদালতের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে আলোচনা সভা, শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবীকে সম্মাননা প্রদান, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও সেচ্ছায় রক্তদান র্কমসূচী ও ৩দিন ব্যাপী লিগাল এইড মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত), লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান লায়লাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে ও জেলা লিগাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ তানিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশিদ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বাবুল আকতার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদারসহ অন্যান্যরা। এসময় শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবীদেরকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,যুগ্ন জেলা জজ মোঃ শরীফুল হক, যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ কোহিনুর আরজুমান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ-উল হাসান, সহকারী জজ মোঃ আতিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, সহকারী জজ পলিনা আকতার স্মৃতি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,দরিদ্রদের বিনামূল্য আইনী সহায়তা দেবার জন্য লিগ্যাল এইড চালু করেছে বর্তমান সরকার। প্রতিটি অস্বচ্ছল মানুষের আইন সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বর্তমান সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তবে আদালতে না গিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আপোস-মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি উত্তম পথ। এর ফলে সরকার ‘বিনা বিচারে কারাগারে আটক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডি কর্মজীবী, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু কোন ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক যার বার্ষিক আয় করমুক্ত তাদের বিনামূল্যে আইনী সহায়তা প্রদান করছে।
|
|
|
|
রাব্বি রাশেদ পলাশ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে বাল্যবিয়ে বন্ধ ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এসএসবিসি প্রকল্পের স্ট্রেনদেনিং সোশ্যাল এন্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে ও ইউনিসেফের অর্থায়নে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন, হিসাব সহকারী তাসলিমা আক্তার, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলা ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম সহ আরো অনেকে।
আরো বক্তব্য দেন এসএসবিসি প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার জেমস উজ্জ্বল শিকদার প্রমুখ, এসএসবিসি প্রজেক্টের কমিউনিটি ফেসিলিটেটর বাবুল চন্দ্র রায় ও সুলতানা রাজিয়া। বক্তারা বলেন- বাল্যবিয়ে বন্ধে সকল শ্রেণী পেশার মানুষজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
|
|
|
|
রবিউল ইসলাম লাভলু, রংপুর:
সারা দেশের ন্যায় রংপুরেও বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বরণ করা হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ। ঈদ আনন্দের আমেজ কাটতে না কাটতেই বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ ঘিরে নানা আয়োজনে মেতে উঠেছে বিভাগীয় নগরী রংপুর।
সকাল ১০টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠ থেকে রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ অংশ নেয়া বিভিন্ন বয়সী মানুষের উচ্ছ্বাস আর বাহারি পোশাক পরিধান, নাচ-গান, হইহুল্লোড়ে তৈরি হয় অন্যরকম আমেজ। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
পরে বৈশাখী বটতলা মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই রংপুরবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) এস এম রশিদুল হক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এরপর সেখানে শিশু-কিশোরসহ বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসতে শুরু করেন। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা নারীদের বেশিরভাগের পরনে ছিল শাড়ি আর মাথায় নানা রঙের ফুল দেখা গেছে। পুরুষদের পরনে সাদাসহ নানা রঙের পাঞ্জাবি ছিল। অনেকেই শরীরে এঁকেছেন বাঙালির ঐতিহ্যের নানা প্রতীক।
অপরদিকে, সকাল ৭টা থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রংপুরের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিক পরিবেশনা শুরু হয়। রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা বৈশাখের গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটিকা পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। রাত পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রংপুরের সংগঠক রাজ্জাক মুরাদ। এ ছাড়াও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের নানা আয়োজন করা হয়।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে রংপুর নগরীতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মহানগর পুলিশ। সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে নগরজুড়ে। নববর্ষ উদযাপনে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সবখানে মোতায়েন আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
বকেয়া বিল ও কর আদায়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। বকেয়া রাজস্ব আদায়ে আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী পৌর রাজস্ব মেলা। সকালে মেলার উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র নায়ার কবির। পরে তিনি মেলার সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কুদদূস, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউসার আহমেদ, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কাউসার, সহকারি প্রকৌশলী সবুজ কাজী, নগর পরিকল্পনা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল ভূইয়া, কর আদায় শাখার প্রধান মোঃ ইলিয়াস মিয়া, ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান আল মাসাদ প্রমূখ।
এদিকে সকাল থেকেই শহরের বিপুল সংখ্যক পৌরবাসী তাদের বকেয়া বিল ও কর পরিশোধ করতে উৎসবমূখরভাবে মেলায় অংশ নিচ্ছে। প্রত্যেকেই মেলাতে এসে একসাথে একই ছাতার নীচে তাদের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করছেন। সে সাথে মেলায় থাকা ব্যাংকের বিভিন্ন স্টলে তাদের বকেয়া পরিশোধ করছেন।
বকেয়া প্রদানকারী গ্রাহকরা জানান, এমনিতে বিল পরিশোধের জন্য এক পৌরসভায় আবার ব্যাংকে দৌড়ঝাপ করতে হয়। এতে অনেক সময় ঝামেলা এড়াতে বিল বকেয়া পরে থাকে। তবে এই মেলার মাধ্যমে আমরা একাসাথে সবধরণের সেবা পাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের বকেয় বিল ও কর পরিশোধ করে খুব আনন্দিত। এ ধরণের মেলা যেন সব সময় আয়োজন করা হয় সেটাই প্রত্যাশা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কুদদূস জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট পৌরসভার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্য নিয়ে এবং পৌরসভার নিজস্ব আয় বাড়াতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ১২ কোটি ৮৭ টাকার বকেয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। পৌর নাগরিকদের কর আদায়ের সুবিধার্থে বিশেষ ছাড়ের পাশাপাশি পুরস্কার সহ সম্মাননার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলবে মেলার সার্বিক কার্যক্রম।
|
|
|
|
কুমিল্লা সংবাদদাতা:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সামনেই এক ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে ২ জন আহত হয়েছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সুমন। আহতরা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারের সমর্থক।
শনিবার (০৯ মার্চ) সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক জহিরুল আহমেদ ও তুহিন নামে দুই ব্যক্তিকে গুলি করেন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুমন।
পরে আহত জহিরুল ও তুহিনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত জহির বলেন, ভোট ক্যাম্পের পাশে আমি দাঁড়িয়ে থাকার সময় বাস মার্কার সমর্থক মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুজন আমাকে ও তুহিনকে পুলিশের সামনেই গুলি করেন।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার সমর্থকরা কাউকে ভোট দিতে আসতে দিচ্ছেন না। বিভিন্ন স্থানে তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমার কর্মীরা। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার হাসান আহমেদ কামরুল বলেন, ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের সীমানার বাইরে ঘটেছে। আমি বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছি।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গুলির ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
|
|
|
|
হাসমত, স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরে মাদক নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় সাংবাদিক সমাজ গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন কাশেমপুর থানার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা।
মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলা টিভির কাশিমপুর থানা প্রতিনিধি মোঃ হাসান সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বার্তা বাজার প্রত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ মারুফ হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জনবানী পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ জামাল আহম্মেদ, মোঃ সৌরাভ হোসেন, মোস্তাকিন শিকদার রাজিব, মোঃ বিএইস সাজু, সেকেন্দার আলী, হাবিবুল বাসার সুমন, শাকিল আহম্মেদ সুজন, শাহাদাৎ হোসেন সরকার, ইউছুপ আলী খান, আরিফুল ইসলাম খান শাহীন, হাসমত, জসিম খান, মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ আরমান হোসেন, মোঃ শাহীন, মোঃ শাহ্ আলম, এস কে শুভসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, গত পহেলা ফ্রেব্রুয়ারি র্যাব-১ এর অভিযানে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মোল্লার গোডাউন থেকে ৯৫২ পিস ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এই মাদক উদ্ধারের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তিনি দাবি করেন উক্ত গোডাউনটি তার নয়। তিনি দাবি করেন, তার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর শাহীন মোল্লা তিনজন সংবাদকর্মীর নামে ১১ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টাকার একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন।
শাহিন মোল্লা উক্ত গোডাউন তার নয় দাবি করলেও ১৩১৯৬নং দলিল মূলে জমিটি তার তার নামেই দেখা যায়। দলিল মূলে গোডাউনটির মালিক শাহিন মোল্লা ও তার স্ত্রী। সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে সরেজমিনে এলাকাবাসীর বক্তব্যেও এই গোডাউনটি শাহিন মোল্লার বলে সত্যতা পাওয়া যায়। আর র্যাব যে ৯৫২ পিস ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছিলো তা কাউন্সিলর শাহিন মোল্লার সেই গোডাউন থেকেই উদ্ধার করে। একই সাথে চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
সাংবাদিকরা বক্তব্যে আরো বলেন, দৈনিক জনবানী পত্রিকার কাশেমপুর থানা প্রতিনিধি মো: জামাল আহম্মেদ, আলোকিত সকালের প্রতিনিধি সৌরাভ হোসেন, নিউজ টোয়েন্টি ওয়ান এর স্টাফ রিপোর্টার শাকিল আহমেদ সুজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সাংবাদিক নেতারা দুইদিন সময় দিয়ে বলেন, এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে আমরা আরো জোরালো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
উক্ত বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
|
|
|
|
মোঃ রেজাউল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৯। এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯টি আসনের ৫৯টি অনলাইন টিকেট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকেট বিক্রয়ের ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে (র্যাব-৯) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো, শহরের উত্তর মোড়াইল এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫) মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), মোঃ শাহিন মিয়া (৪০) ও মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮)। এর আগে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
(র্যাব-৯) এর সহকারী পুলিশ সুপার মো: মশিহুর রহমান সোহেল জানান, টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম থামাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অভিযান চালায়। এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯ টি আসন বিশিষ্ট ৫৯ টি টিকেট, কালোবাজিরর কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৮ হাজার টাকাসহ পাঁচ কালোবাজারিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
|
|
|
|
হাসি আক্তার:
গাজীপুর রিজিয়ন গাজীপুর নাওজোড় হাইওয়ে থানার সৌজন্যে হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে থানায় আলোক সজ্জা, ড্রপ ডাউন ব্যানার, ফেস্টুন, কেক কাটা, চালকদের মাঝে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ, স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে মহাসড়ক পারাপারে সচেতনতা, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার, ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয় এবং Hello HP apps বিষয়ে বিভিন্ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিদিন ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, পল্লীবিদ্যুৎ, মৌচাক কোনাবাড়ী এলাকায় নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং চালক ও যাত্রীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে নাওজোড় হাইওয়ে থানা পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের সেবামুলক কাজে সহযোগীতা করেন টিআই মোঃ আনোয়ার হোসেন, এসআই মোহাম্মদ ইসরাইল হোসেন, সার্জেন্ট শরিফুল ইসলাম, এটিএসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম, এএসআই মোঃ আজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল এনামুল, শরীফুল ইসলাম ও ড্রাইভার মনিরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালনে ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের ফারুকী পার্ক স্মৃতি সৌধ চত্বরে তোপধ্বনীর মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। পরে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রথমেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পরে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী-পেশা মানুষ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এছাড়াও দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জাতীয় পাতকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান। তিনি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহগীর আলমকে প্রত্যাহার করে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব পদে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
|
|
|
|
|
|
|