ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোনকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
আশুলিয়া, প্রতিনিধি :
ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হতে ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে র্যাবের এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে আজ সকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রানা সরকার (৩২), মো. রবিউল শেখ ওরফে রবি (২৪) ও মো. রাব্বি (২৩)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। আসামী রানা মূলত উক্ত এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এবং তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ ও আসামিদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ভুক্তভোগী তার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতো। গত ২৭ মে রাতে প্রতিবেশী আকবর ভুক্তভোগীর বাসায় তার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য যায়।
একই সময় আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আকবরের পিছনে পিছনে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আকবরকে বেপরোয়াভাবে এলোপাতারিভাবে মারধর করতে থাকে।
এ ঘটনা দেখে ভুক্তভোগী ও তার ছোট দুই ভাই বাহিরে আসলে আসামিরা তাদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দুই ভাইকে নিয়ে পুনরায় বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে তৎক্ষণাৎ আসামিরাও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর বাসায় প্রবেশ করে এবং তার ভাইদের উপর্যুপুরি মারধর করে রুমের মধ্যে আটকে রাখে।
পরবর্তীতে দুই ভাইয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তার শয়ন কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতঃপর বাঁচার জন্য চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দরজায় তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে র্যাব বরাবর বর্ণিত ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব।
|
আশুলিয়া, প্রতিনিধি :
ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হতে ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে র্যাবের এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে আজ সকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রানা সরকার (৩২), মো. রবিউল শেখ ওরফে রবি (২৪) ও মো. রাব্বি (২৩)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। আসামী রানা মূলত উক্ত এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এবং তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ ও আসামিদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ভুক্তভোগী তার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতো। গত ২৭ মে রাতে প্রতিবেশী আকবর ভুক্তভোগীর বাসায় তার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য যায়।
একই সময় আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আকবরের পিছনে পিছনে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আকবরকে বেপরোয়াভাবে এলোপাতারিভাবে মারধর করতে থাকে।
এ ঘটনা দেখে ভুক্তভোগী ও তার ছোট দুই ভাই বাহিরে আসলে আসামিরা তাদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দুই ভাইকে নিয়ে পুনরায় বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে তৎক্ষণাৎ আসামিরাও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর বাসায় প্রবেশ করে এবং তার ভাইদের উপর্যুপুরি মারধর করে রুমের মধ্যে আটকে রাখে।
পরবর্তীতে দুই ভাইয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তার শয়ন কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতঃপর বাঁচার জন্য চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দরজায় তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে র্যাব বরাবর বর্ণিত ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিন :
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বেপরোয়া সেলফি পরিবহনের দুই বাসের গতি প্রতিযোগিতায় কোরআনের হাফেজা শিলা (১৬) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই বাসসহ (ঢাকা মেট্রো গ ১৫৯০৬৮ ও ঢাকা মেট্রো গ ১৩১৮২৬) এক চালককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ মে) দুপুর দুইটার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিলা গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার শিকরামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।এছাড়াও আহতরা হলেন—নিহতের মামা হযরত আলী ও তার মেয়ে সুমাইয়া।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ডেইরি গেটের পাশে ফুটওভার ব্রিজের নিচে ঢাকাগামী লেনে একটি সেলফি পরিবহনের বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। পেছনে থাকা আরেকটি সেলফি পরিবহনে বাস লেনের নিচ দিয়ে আগে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দুই বাসের চাপে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী হযরত আলীসহ তার ভাগ্নি শিলা ও মেয়ে সুমাইয়া মাটিতে পড়ে যায়। এসময় শিলার মাথার ওপর দিয়ে একটি বাসের চাকা গেলে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিলাকে মৃত ঘোষণা করে।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক বলেন, বাস দুটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আটক করেছে৷ মামলা প্রক্রিয়াধীন।
|
|
|
|
মোঃ সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
ঢাকার আশুলিয়া থানার জিরাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনারুল ইসলাম (৩০) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)’ এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিউ)।
শনিবার (২৭ মে) তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এটিউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান।
তিনি জানান, জেএমবি সদস্য আনারুল ইসলাম আশুলিয়া থানা এলাকায় নাম-পরিচয় গোপন করে ওয়েলডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার আনারুল প্রথমে হানাফী মাযহাবের তরিকায় নামাজ পড়তেন। পরে মাযহাব পরিবর্তন করে আহলে হাদীসের তরিকায় নামাজ পড়া শুরু করেন। তখন নীলফামারী ইপিজেড এলাকায় চাকরি করার সময় জেএমবি সদস্য আহিদুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তার মাধ্যমে তিনি জেএমবিতে দীক্ষিত হন।
২০২১ ও ২০২২ সালে নীলফামারী সদর থানার ইপিজেড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় তার সহযোগী আহিদুল, নুর আমীন, ওয়াহিদ, আপেলসহ বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার হন। এ সময় আনারুলের নাম প্রকাশ হলে কৌশলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
তার নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিন : ঢাকার সাভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সাভারে কর্মরত ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)র উপপরিদর্শক (এস আই)সুলতান মাহমুদ আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আহত পুলিশের এস আই(ডিবি) সুলতান মাহমুদ মটর সাইকেল নিয়ে সাভারের জামশিং শুক্কুরজান স্কুল সংলগ্ন সড়ক দিয়ে তার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন।
তখন তার ব্যাবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী দিলু সহ ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ঢাকা জেলা উত্তর(ডিবি)র অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান,এস আই সুলতান প্রতিদিনের ন্যায় তার নিজ ভাড়া বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে হামলা করা হয়, তখন আহত অবস্থায় স্থানীয় ফার্মেসিতে পৌছালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়,সে সময় তিনি সিভিল পোশাক পরিধানে ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ছিনতাই নাকি অন্য উদ্দেশ্যে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে,তদন্তের স্বার্থে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বর্তমানে আহত এস আই সুলতান মাহমুদ চিকিৎসা অবস্থায় সুস্থ্য আছেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকার ধামরাইয়ে ১৪ বছরের কিশোর দানিশকে অপহরণের পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জিন্নাত আলীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। তিনি গত ১২ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার (২৬ মে) ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. ক. আব্দুর রহমান।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ২০০৯-১০ সাল থেকে গ্রেফতারকৃত জিন্নাতের গ্যাং নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ধামরাই এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। তার গ্যাংয়ের সদস্যরা ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের কাশিপুর গ্রামের ১৪ বছরের কিশোর দানিশকে অপহরণ করে। পরে তারা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। তার পরিবার আর্থিকভাবে বেশি স্বচ্ছল না হওয়ায় তারা দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করতে সমর্থ ছিল না। পরে পরিবার মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে জিন্নাতসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দানিশের লাশ উদ্ধার করে পরিবার। এ ঘটনায় জিন্নাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে ১৮ মাস কারাভোগের পর তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
র্যাব জানায়, গত বছর এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। এতে জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। তিনি গ্রেফতার এড়াতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করেন। সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে গার্মেন্টসে চাকরি ও রিকশাচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাকে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে বাগবিতণ্ডায় ছুরিকাঘাতে ইকরাম মিয়া (৩০) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়ার ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারি রিমোর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ইকরাম মিয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ইকরাম জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, ইকরাম মিয়া শহরের মুন্সেফপাড়ায় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য রেদোয়ান আনসারি রিমোর বাসায় আসা যাওয়া ছিল। সন্ধ্যায় তার বাড়িতে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে রিমোর মামাতো ভাই রায়হানের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রায়হান ইকরামকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রায়হানকে আটক করা হয়েছে।
|
|
|
|
মোঃ সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৪মে) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
বুধবার (২৪ মে) সকালে আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা মোঃ মানিক হোসেন (৩৫), মোঃ মাহবুর রহমান (৩১) ও মোঃ মহিবুর (২৬)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
র্যাব জানায়, বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ লোক চক্ষুর আড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল সংগ্রহ করে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইসহ নিকটবর্তী বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসছিলো।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, আটককৃতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইনসহ মোছা. মৌলুদা বেগম (৬১) নামে এক বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকার শ্যামপুর মডেল থানাধীন শহীদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের হেরোইনসহ (৯৮ গ্রাম) মৌলুদা বেগম নামে ওই নারীকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ৭ হাজার ৫১০ টাকা জব্দ ও ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আটক মৌলুদা বেগম বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
|
|
|
|
মোঃ সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হলেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবুল হাসান। ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক উদ্ধার ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহ সার্বিক বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সোমবার (২২ মে) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় তাকে মার্চ মাসের শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও প্রাইজমানি প্রদান করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।
মো.আবুল হাসান টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার টোকচাঁনপুর গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের সন্তান। তিনি ২০১৪ সালে এসআই (নি:) পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। এরপর দীর্ঘদিন সততা ও সুনামের সহিত গাজিপুরে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় যোগদান করেন। এখানেও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে তিনি এবার ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হলেন।
জানা যায়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদক উদ্ধার, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার, ওয়ারেন্ট তামিলসহ সার্বিক বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে তাকে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ সিডিএমএস অফিসার নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল হাসান বলেন, যে কোন ধরণের পুরস্কার কাজের গতি আরও বৃদ্ধি করে বা কাজের উৎসাহ প্রদান করে। এ গৌরব আমার একার নয়, এটি থানার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের। এ পুরস্কার আমি থানার প্রত্যেক সদস্যের প্রতি উৎসর্গ করছি। আমাকে ঢাকা জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত করায় আমার শ্রদ্ধেয় পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে আমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) স্যার, সার্কেল স্যার, ওসি স্যার ও তদন্ত ওসি স্যারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিন :
ঢাকার আশুলিয়ায় যুবককে অপহরণের ১০ দিনপর বস্তাবন্ধি লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব ৪ সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল।এ সময় অপহরনের মূলহোতা সহ ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৮মে) আসামীদের সীকারক্তি মোতাবেক আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্ধি হৃদয়(২০)এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ০৮ মে ২০২৩ তারিখ বিকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকা হতে ভিকটিম মোঃ হৃদয় (২০) প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হয় পরবর্তীতে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ভিকটিম হৃদয় বাসায় ফেরত না আসায় তার পরিবারের লোকজন আশেপাশে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজাখুঁজির পরেও কোনো সন্ধান পায়নি,এমন সময় ঘটনার দিন অজ্ঞাত পরিচয়ে ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে অপহরণ এবং জীবিত ফেরত পাবার শর্তে ৫০,০০,০০০/-(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামীরা, অন্যথায় ভিকটিমকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন এবং র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করলে র্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে যার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম এর লাশ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত ঘটনার মুলহোতা ময়েজ হোসেন ওরফে পরান(২২) ও সহযোগী মোঃ সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামী ময়েজ হোসেন ওরফে পরান (২২), মানিকগঞ্জ জেলা ও মোঃ সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩), বগুড়া জেলার বাসিন্দা, আসামীদ্বয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় তাদের কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী ও ঘটনার মূলহোতা ময়েজ হোসেন ওরফে পরান জানায় যে, ভিকটিম হৃদয় ও আসামী পরান একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। ভিকটিম হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যাক্তি। গ্রেফতারকৃত আসামী ময়েজ হোসেন ওরফে পরান ও তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি, অপরাপর দুই জন পলাতক আসামী আকাশ এবং শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম হৃদয়’কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো। পূর্ব পরিকল্পনামতে গত ০৮ মে ২০২৩ তারিখ বিকেলে আসামীরা ভিকটিমকে আড্ডা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে পলাতক আসামী আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিম’কে জোড়পূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০,০০,০০০/-(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা দাবী করে। গ্রেফতারকৃত আসামী ময়েজ হোসেন ওরফে পরান’কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে ভিকটিমের গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। অতঃপর সন্ধায় ভিকটিমের লাশ বস্তা বন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে রিকসাযোগে শ্রীপুর এলাকাধীন একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। অতঃপর আসামীরা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রীয়াধীন এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকার নবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদককারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) তাদের আটকের বিষয়টি জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকোপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক তিন লাখ ছয় হাজার টাকা মূল্যের ১০২ বোতল ফেনসিডিলসহ সেলিম রানা (৩৪) ও শবিতা (৩২) নামে দুই মাদককারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ এক লাখ তিন হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন পূর্ব চনপাড়া এলাকায় পরিচালিত অপর এক অভিযান প্রায় ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের ২৬ বোতল ফেনসিডিলসহ তোবারক হোসেন (৫৬) নামে আরেক মাদককারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ আট হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা পেশাদার মাদকবিক্রেতা। তারা বেশ কিছুদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন। তাদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
|
|
|
|
নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তপু চন্দ্র ঘোষসহ চারজনকে ডিবি পুলিশ সেজে এক প্রাবাসীর ১৭ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন আসামিরা।
তপু চন্দ্র ঘোষ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের অর্জুনদি গ্রামের সাধন চন্দ্র ঘোষের ছেলে৷ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোগরাপাড়ায় ‘লন্ডন জুস বার অ্যান্ড ক্যাফ’ নামে তপুর একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে৷ গত মাসে তিনি দোকানটির কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমোদিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকায় সতেরোটি সহ-সভাপতি পদের মধ্যে তপু চন্দ্র ঘোষের নাম এগারোজনের পরে রয়েছে।
গ্রেপ্তার অপর তিন আসামি হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার ছোট অর্জুনদি গ্রামের এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে রোহান (২১), একই উপজেলার বড়নগর এলাকার শুভঙ্কর চন্দ্র রাজবংশীর ছেলে কৃষ্ণচন্দ্র রাজবংশী (৩২), বগুড়া জেলার শেরপুরের খাজা আশ্রমপাড়া এলাকার চাঁন শেখ মিয়ার ছেলে এরশাদ (২৪)৷
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের হাজী সাহেবের মোড় এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন উজ্জ্বল হোসেন নামে এক সৌদি প্রবাসী। ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আসামিরা তার কাছ থেকে সতেরো লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়৷ দুইদিন পর বন্দর থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই সৌদি প্রবাসী৷
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, তপু চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে ডিবি পরিচয়ে আসামিরা ছিনতাই করে৷ এর আগেও তারা এই কাজ করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন৷ নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে টাকা ভাগাভাগির সময় তপু বেশি ভাগ নিতেন বলে অপর আসামিরা জানিয়েছেন৷
তদন্তকারী এই কর্মকর্তা আরও জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে তপু চন্দ্র ঘোষসহ তার সহযোগীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তের পর আসামিদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গত শনিবার রাতে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা তপু ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ গ্রেপ্তাররা দিনের বেলা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সৌদি প্রবাসীর টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকারও করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাবা অসুস্থ। তাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে আছি। এখন কথা বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ যে সাংগঠনিক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে তা নেওয়া হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল বলেন, আমাদের সংগঠনের কেউ অপরাধ করলে আমরা কাউকে ছাড় দেই না। এর আগে অনেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তপু চন্দ্র ঘোষের অপরাধ প্রমাণ হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি জানাবো।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর কদমতলী ও ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৫০০ বোতল ফেনসিডিলসহ আসমা বেগম নামে এক নারী মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।
সোমবার (১৫ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. আনিচ উদ্দীন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার কদমতলী থানার পূর্বধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ আসমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসমাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ভাড়া বাসায় আরও ফেনসিডিলের আরও মজুদ রয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে আরও ৪৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আসমা দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল নিজ হেফাজতে রেখে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন। তার বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এডিসি আনিচ উদ্দীন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ৪৭ কেজি গাঁজাসহ সাত মাদকবিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ঝাউচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- হাসিব ওরফে মোয়াজ (২৭), সজিব (২৪), বাবু (২৮), ইলিয়াস (২৫), শুভ হোসেন (২০), শহিদুল ইসলাম (২৪) ও ইয়াসিন (১৯)।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন জানান, কুমিল্লার হোমনা এলাকা থেকে মাদকবিক্রেতার একটি চক্র বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে কেরানীগঞ্জের ঝাউচর এলাকায় আসছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪৭ কেজি গাঁজাসহ সাতজনকে আটক করা হয়। জব্দ করা গাঁজার আনুমানিক মূল্য ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আটকরা বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিলেন। তাদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকায় রহিমা স্টিল মিলে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িছে চার জনে। আগুনের ঘটনায় আলমগীর (৩০) নামে চিকিৎসাধীন আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়। সকালে নিয়ন (২০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা যায় দগ্ধ ইলিয়াস আলী। তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
সর্বশেষ রূপগঞ্জের আগুনের ঘটনায় আলমগীর (৩০) নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে হয়েছে চারজন। শুক্রবার (৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার আজাদ আলীর ছেলে আলমগীর। আরও দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টিল মিলে লোহা গলানোর সময় বিস্ফোরণে শংকর (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দগ্ধ আরও ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকাল ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে আহতদের ভর্তি করা হয়। এসময় আহতাবস্থায় শংকর নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রূপগঞ্জের স্টিল মিলে লোহা গলানোর সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আহত সাত জনকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। এর মধ্যে শংকর নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের শরীরের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ পুড়ে গেছে। `
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন- জুয়েল (২৫), রাব্বি (৩৫), ইব্রাহিম (৩৫), ইয়াছিন (৩৫), লিয়ন (২০), আলমগীর (৩৩)। বর্তমানে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
|
|
|
|
|
|
|