জানুয়ারিতে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৫
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নতুন বছরের প্রথম মাসে সারাদেশের সড়ক ও মহাসড়কে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এছাড়া রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে বিদায়ী ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানী ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, ৫ জন সাংবাদিক, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন আইনজীবী ও ৩ জন প্রকৌশলী ও ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এতে আরও বলা হয়, উল্লেখিত সময়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণে, দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে এবং ১ দশমিক ০১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নতুন বছরের প্রথম মাসে সারাদেশের সড়ক ও মহাসড়কে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এছাড়া রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে বিদায়ী ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানী ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, ৫ জন সাংবাদিক, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন আইনজীবী ও ৩ জন প্রকৌশলী ও ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এতে আরও বলা হয়, উল্লেখিত সময়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণে, দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে এবং ১ দশমিক ০১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ, যুগোপযোগী ও জনবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘রাজস্ব সম্মেলন’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন করছি এবং একটি সমৃদ্ধ রাজস্ব ভান্ডার গড়ে তোলার ওপর প্রাধান্য দিচ্ছি। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ, যুগোপযোগী ও জনবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘রাজস্ব সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আনন্দিত। একই সময়ে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত রাজস্ব ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে, যা রাজস্ব সম্মেলনকে আরও অর্থবহ এবং স্মরণীয় করে রাখবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান স্বাধীনতার পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। তাই অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থা সুসংহত করার মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি সরকারি ব্যয় নির্বাহ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে এনবিআরের গুরুত্ব অপরিসীম।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এনবিআর রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে ‘লক্ষ্যমাত্রা ১৭.২’ বাস্তবায়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব সম্মেলন’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি চমৎকার উদ্যোগ; একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস। এই সম্মেলনের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে। রাজস্ব সম্মেলনের মাধ্যমে কর আহরণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও চ্যালেঞ্জসমূহ ফুটে উঠবে এবং তা উত্তরণে সংশ্লিষ্ট সকলে সততা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান সংঘাতের ফলে বৈশ্বিকসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও নানাবিধ বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক এই প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আরো উদ্যমী হয়ে কাজ করবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাচ্চাদের হাতে মোবাইল না দিয়ে বই তুলে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বলেছেন, এখন অভিভাবকরা দেখি বাচ্চাদের খাওয়ার সময় মোবাইল হাতে দিয়ে খাওয়ান। তাদের হাতে বই দিন, মোবাইল দেবেন না।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় সিসিমপুর আয়োজিত শিশু প্রহরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাফর ইকবাল বলেন, অনেক বাচ্চাদের দেখা যায় তাদের বুদ্ধিমত্তা কম। এটার কারণ তাদের বই না পড়া। অভিভাবকদের বলব, আপনারা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল না দিয়ে বই তুলে দিন।
অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ শিশুদের আমরা নিয়ে যেতে পারব। আমরা শিশু প্রাঙ্গণটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। মেলার কিছু দিন যাওয়ার পর শিশু ও তাদের অভিভাবকরা বুঝতে পারবে স্থানটি কেমন হয়েছে। সিসিমপুর শুধু বিনোদন নয়,এটি শিক্ষারও একটি অংশ।
উল্লেখ্য, এবারের বইমেলায় শিশু প্রহরের আয়োজন করেছে সিসিমপুর। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় শিশু প্রহরের উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’। ভেজালের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি এবার অভিযোগ, পরামর্শ ও ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে তথ্য দিতে চালু করা হয়েছে টোল ফ্রি কল সেন্টার, যার নাম্বার ১৬১৫৫।
অনিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে যে কোনো তথ্য দিতে, অভিযোগ জানাতে ও অনিরাপদ খাবার কীভাবে নিরাপদ করা যায়, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৬১৫৫ নম্বরে কল করা যাবে। এতে কোনো ধরনের চার্জ কাটা হবে না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে নিরাপদ খাদ্য দিবসের কর্মসূচি ও টোল ফ্রি কল সেন্টার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
উদ্বোধনকালে মন্ত্রী নিজের মোবাইল ফোন থেকে সরাসরি ১৬১৫৫ নম্বরে কল করেন। এসময় অন্য প্রান্ত থেকে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন জানতে চাইলে মন্ত্রী নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাকে সব প্রশ্নের সমাধান জানানো হয়। এরপর মন্ত্রী এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (এফএও) ইন্টারন্যাশনাল ফুড সেফটি এক্সপার্ট সঞ্জয় দেব।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২০টি স্বর্ণের বারসহ মো. হারুনুর রশীদ (৩৯) নামে এক বাসচালককে আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ। জব্দ হওয়া স্বর্ণের বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এ সময় স্বর্ণের বার পরিবহন করা বাসটিও জব্দ করা হয়।
আটক বাসচালক একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের এমটি অপারেটর, এপ্রোন হিসেবে কর্মরত। তিনি গাজীপুর জেলার তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বাজার রোডের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১১টায় বিমানবন্দরের ২১নং গেটসংলগ্ন এপ্রোন এলাকায় এই আটকের ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সংবাদ আসে , দুবাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড একটি ফ্লাইটে সক্রিয় রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। যাত্রীদের বিমান হতে টার্মিনাল পর্যন্ত আনা-নেওয়া বাস এবং কারে স্বর্ণের বার পাচার করবে চক্রটি।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল বিমানবন্দরের ২১নং গেট এবং তৎসংলগ্ন এপ্রোন এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেয়।
বাস এবং কার হতে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর পর তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। এক পর্যায়ে একটি বাসচালক মো. হারুনুর রশীদকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হারুনুর রশীদ স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা স্থানটি শনাক্ত করেন। পরে সেখান থেকে কালো স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৪টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এসব প্যাকেটে সব মিলিয়ে ১২০টি স্বর্ণের বার ছিল, যার প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে মোট ওজন ১৩ হাজার ৯৯০ গ্রাম। সবগুলো বারই ২৪ ক্যারেটের।
কাস্টমস সূত্র আরও জানায়, উদ্ধার হওয়া এসব স্বর্ণের বার বিমান বন্দরের শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েঝে। এ সময় জব্দ হওয়া বাসটি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিকট জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত অন্যান্য আলামত বিমানবন্দর থানায় জমা প্রদান করা হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দুই দিনের সফরে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০-র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ সময় জানান, ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি সফর নিয়ে আলাপ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
আগামী মার্চে জি-২০-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন যোগ দেবেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। ১ হাজার ২৩২ টাকা থেকে ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই দাম ঘোষণা করেছে। বর্ধিত এই দাম আজ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি ১২ কেজি এলপিজির দাম ৬৫ টাকা কমানো হয়। তার আগের মাস ডিসেম্বরে ১ হাজার ২৫১ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৯৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডে। আগামী ৬-৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সফর করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন সাপ্তাহিক ব্রিফিং করেন।
সেহেলী সাবরিন জানান বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডে ম্যারি ক্রিস্টিন ঘিসলেইন ডি’উডেকেম ডি’আকোজ জাতিসংঘের মহাসচিবের এসডিজি অর্জনের জন্য নিয়মিত ১৭ জন অ্যাডভোকেটের একজন হয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি বাংলাদেশ সফরকালে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবারের হজের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছর কোরবানি ছাড়া বেসরকারিভাবে হজের প্যাকেজ মূল্য ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানান হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- হাব এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। তিনি জানান, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হজ যাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে। এবার কোনো এয়ারলাইনস নিয়মিত ফ্লাইটে হজযাত্রী বহন করতে পারবে না। ২১ মে থেকে এবছর হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
হাব সভাপতি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে, তা আরও কমানোর দাবি জানিয়েছে হাব। এবার কোনো বয়সের সীমা নেই হজযাত্রীদের জন্য। আলাদা করে হজযাত্রীদের যাওয়ার সময় কোরবানির অর্থ নিতে হবে। বর্তমানে হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। অব্যাহত রাখতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশ ও জনগণের কল্যাণে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে ডিআইজি থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চার কর্মকর্তার র্যাংক ব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে আজ এ পর্যায়ে এসেছেন। আমি আশা করি, আগামীদিনেও আপনারা সেবার ব্রত নিয়ে মেধার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য, স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য, প্রধানমন্ত্রীঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আইজিপি বক্তব্যের শুরুতে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক না দিলে আজকে আমরা এ অবস্থায় আসতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করায় আমাদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আইজিপি এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পাওয়ায় তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আইজিপি।
এছাড়া আইজিপি এবং কর্মকর্তাদের স্ত্রীরা পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। আইজিপি পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দিত করেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও আইজিপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে গ্রেড-১ পদে ও অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপিরা হলেন- জামিল আহমদ বিপিএম, মো. হুমায়ুন কবির, ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং মীর রেজাউল আলম।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। এতে খরচ হবে ১৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাম্মী ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে গ্লোবাল করপোরেশনের কাছ থেকে এই তেল কেনা হবে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এই সয়াবিন তেলা কেনা হবে।
এমতাবস্থায়, জরুরি ভিত্তিতে টিসিবি কর্তৃক স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য নির্দেশক্রমে প্রত্যাশামূলক অনুমোদন দেওয়া হলো। এতে খরচ হবে ১৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এদিন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সয়াবিন তেল কেনা সংক্রান্ত এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
দুই শিশুসন্তান জাপানি মায়ের জিম্মায় রাখার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আত্মগোপন করায় ছোট মেয়েসহ বাবাকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল।
র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আদালতের রায় ছিল জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে দুই সন্তান। কিন্তু রায় প্রতিপালনে থানা পুলিশ বাবাসহ ছোট মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিল না। আদালতের রায় উপেক্ষা করে মায়ের কাছে সন্তানকে হস্তান্তর না করে ছোট মেয়েসহ বাবা আত্মগোপনে চলে যান এমন তথ্য পায় র্যাব। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থানাধীন কালাচাঁদপুর এলাকায় আত্মগোপন করা বাবা ইমরান শরিফকে ছোট মেয়েসহ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে আদালতের রায় অমান্য করে মঙ্গলবার রাতে জাপানি মা নাকানো এরিকোও দ্বিতীয়বারের মতো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছেন। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে তিনি কোন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগেও এই জাপানি মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টা করলে আদালতের রায়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের ‘বাংলা সংস্করণ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষার মাসের প্রথম দিনে বাংলায় এ ওয়েবসাইটের সংস্করণ করা হলো।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওয়েবসাইটটির ‘বাংলা সংস্করণের উদ্বোধন করেন। এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানসহ সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট একটি তথ্যবহুল, জনমুখী ও জনবান্ধব ওয়েব পোর্টাল। দেশের আপামর জনসাধারণ, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, আইনের শিক্ষার্থী, গবেষকসহ দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনও ব্যক্তি এই ওয়েবসাইট থেকে সুপ্রিম কোর্টের মামলা সংক্রান্ত এবং অন্যান্য তথ্য পেতে পারেন।
উল্লেখ্য, এতদিন বাংলা সংস্করণ না থাকায় ওয়েবসাইট থেকে অনেকেরই তথ্য সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হতো। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে মহান ভাষার মাসের শুরুতেই মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণের উদ্বোধন করলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বায়ু দূষণ রোধে সরকার ঘোষিত বিশেষ অভিযানে ঢাকা ও আশেপাশের পাঁচটি স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে পরিবেশ দূষণের দায়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি যানবাহনকে ৮৫ হাজার টাকা ও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং, ঢাকা মহানগর কার্যালয়, ঢাকা জেলা কার্যালয়, গাজীপুর জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন ঢাকা এসব অভিযান চালায়। ঢাকা জেলার সাভার, মানিক মিয়া এভিনিউ, খিলক্ষেত, আফতাব নগর এবং গাজীপুর জেলার বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব জরিমানা আদায় করা হয়।
এর মধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউ, খিলক্ষেত ও আফতাব নগরে পরিচালিত অভিযান পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটি মহাসড়ক নির্মাণকারী দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাভার এলাকায় যানবাহনের হর্ন বাজিয়ে শব্দ দূষণের অপরাধে চারটি যানবাহনের কাছ থেকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ু দূষণের অপরাধে চারটি যানবাহনের কাছ থেকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
খিলক্ষেত এলাকায় হর্ন বাজিয়ে শব্দ দূষণের অপরাধে সাতটি যানবাহনের কাছ থেকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ু দূষণের অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আফতাব নগর এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রাখায় সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ু দূষণ করায় ১১টি যানবাহনকে মোট ২৯ হাজার টাকা করা হয়।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতি জেলার জেলা প্রশাসকদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় যাতে স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে এজন্য বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশ উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, সমাজের সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করলে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে দূষণ নিয়ন্ত্রণ দুঃসাধ্য।
পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে যা যা করা দরকার সরকার তা করবে। জনগণ যাতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। সরকার জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। একইসঙ্গে সরকার বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো ফেব্রুয়ারি জুড়ে মাসব্যাপী এই প্রাণের আসর।
করোনার কারণে প্রায় তিন বছর পর এবার সশরীরে হাজির হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা। পাকিস্তানী শাসকরা এক সময়ে আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। কিন্তু আমাদের ভাষা শহীদরা সে অধিকার ফিরিয়ে এনেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলায় বইমেলায় আসতাম। সারাদিন মেলায় ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পায়ে শেকল পড়ে গেছে। এখন চাইলেও বইমেলায় ইচ্ছেমত সারাদিন ঘুরতে পারি না। নিয়ম মতো আসতে হয়, আবার চলেও যেতে হয়। আগের মতো সেই স্বাধীনতা আর নেই। আগে বটতলায় অনেক সময় কাটিয়েছি আমরা। দীর্ঘদিন পর বইমেলায় আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে আজ।
এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে জনপ্রতি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে এ হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরিদুল হক খান বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন।
তবে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যেতে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ এর জন্য ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর জন্য ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
|
|
|
|
|
|
|