সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ১.৩৩ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জেলার সাত উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৪ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ১২০ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ৬ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন জমিতে ৮ হাজার ৭৭৮ মেট্রিক টন, তালায় ৮৯৬ হেক্টর জমিতে ৯৯৭.৫ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ৪৫০ হেক্টর জমিতে ৪৬৫.৫ মেঃটন , আশাশুনি ৩৫৫ হেক্টর জমিতে ৩৩২.৫ মেঃটন ও শ্যামনগর ২৭০ হেঃ জমিতে ২৬৬.৫ মেট্রিক টন। জেলায় ১৩ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন ।
জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলার কৃষকরা কম সময়ে অধিক লাভবান ও উচ্ছ ফলনশীল বীজ পাওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
সরজমিনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাসহ, কলারোয়া, তালা ও দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের আবাদকৃত জাতের মধ্যে বারি-১৪, ৯, ১৭, ১৮ বিনা- ৪, ৯ ও স্থানীয় জাত উল্লেখ যোগ্য। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হচ্ছে বারি-১৪, ১৭ জাতের সরিষার।
কলারোয়ায উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের সরিষা চাষি আজিজুর রহমান, আবদস সামাদ, রফিকুল ইসলাম, তালা উপজেলার কৃষক হাফিজুল ইসলাম ও রেজাউল করিম বলেন, চলতি মৌসুমে যদি কোন দূর্যোগ না হয়,ফলন ভাল আসলে, বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচে ৭ থেকে ৮ মন সরিষা ঘরে তুলতে পারবো। যার বাজার মুল্য ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তারা আরো বলেন, আমাদের সাতক্ষীরার মাটি অনেক উর্বর। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত সাহায্য করলে সরিষা চাষে আমরা অনেক ভাল করবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সাতক্ষীরা’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন বলেন, এ বছর জেলায় সরিষা আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমি। তবে অল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে অধিক ফলন পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে দিন দিন লাভজনক ফসল হিসেবে সরিষার কদর বেড়েছে জেলার কৃষকদের কাছে। অধিক আগ্রহে সরিষা আবাদের ফলে, আশা করছি আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে ।
তিনি বলেন, ফুলের পরাগায়ন বৃদ্ধিতে এ মৌসুমে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে মধু সংগ্রহের জন্য ৬ থেকে ৭ হাজার বক্র বসানো হয়েছে। যার ফলে কৃষকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ বেশী ফলন পাবে ।