কোম্পানীগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
মো. শরীফ আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে কোম্পানীগঞ্জ বউ বাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অটোরিকশার ধাক্কায় আহত আব্দুর নুর (৬০) মারা গেছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তার উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনায় তার মস্তিষ্কেপ্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলে জানাযায়।
নিহতের ছেলে সোহেল রানা বলেন, গত বুধবার রাত নয়টার সময় অটো রিকশার আঘাতে গুরুতর আহত হোন তিনি। দীর্ঘ ৩ দিন জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে আজ সকালে ইহলোক ত্যাগ করেন। বেপরোয়া অটোরিকশা ও ড্রাইভারদের দক্ষতার অভাবেই এ ঘটনা ঘটছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের সভাপতি হেলাল আহমদ দৈনিক স্বাধীন বাংলাকে বলেন, সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ির গতি বিশেষ করে অবৈধ অটোরিক্সা চলাচলের কারণে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। অটোরিকশাগুলোকে একটা নিয়মের আওতায় এনে, ড্রাইভারদের দক্ষতা ছাড়া ড্রাইভিং না করতে বিশেষ একটা নিয়মের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট সকলকে।
অবৈধ গাড়ি পার্কিং এবং অনিয়ন্ত্রিত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও বিশেষ কোনো কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। সেইসাথে তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সার্জেন্ট অফিসার হামিদুর রহমান জানান, অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধ আবদুর নূর মিয়ার মৃত্যুর ঘটনা জানা নেই। তবে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে বিভিন্ন গাড়ি ও অটোরিকশা দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে। কিন্তু অটোরিকশা হচ্ছে অবৈধ যান, তারপরও আমরা প্রতিদিনই অবৈধ অটোরিকশাকে আটক করে আইন অনুযায়ী জরিমানা করছি।
|
মো. শরীফ আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে কোম্পানীগঞ্জ বউ বাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অটোরিকশার ধাক্কায় আহত আব্দুর নুর (৬০) মারা গেছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তার উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনায় তার মস্তিষ্কেপ্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলে জানাযায়।
নিহতের ছেলে সোহেল রানা বলেন, গত বুধবার রাত নয়টার সময় অটো রিকশার আঘাতে গুরুতর আহত হোন তিনি। দীর্ঘ ৩ দিন জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে আজ সকালে ইহলোক ত্যাগ করেন। বেপরোয়া অটোরিকশা ও ড্রাইভারদের দক্ষতার অভাবেই এ ঘটনা ঘটছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের সভাপতি হেলাল আহমদ দৈনিক স্বাধীন বাংলাকে বলেন, সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ির গতি বিশেষ করে অবৈধ অটোরিক্সা চলাচলের কারণে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। অটোরিকশাগুলোকে একটা নিয়মের আওতায় এনে, ড্রাইভারদের দক্ষতা ছাড়া ড্রাইভিং না করতে বিশেষ একটা নিয়মের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট সকলকে।
অবৈধ গাড়ি পার্কিং এবং অনিয়ন্ত্রিত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও বিশেষ কোনো কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। সেইসাথে তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সার্জেন্ট অফিসার হামিদুর রহমান জানান, অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধ আবদুর নূর মিয়ার মৃত্যুর ঘটনা জানা নেই। তবে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে বিভিন্ন গাড়ি ও অটোরিকশা দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে। কিন্তু অটোরিকশা হচ্ছে অবৈধ যান, তারপরও আমরা প্রতিদিনই অবৈধ অটোরিকশাকে আটক করে আইন অনুযায়ী জরিমানা করছি।
|
|
|
|
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভার শ্রীপুর-টুকের বাজার রাস্তা পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিডিউল বহির্ভূতভাবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তার কাজ করছে ঠিকাদার। তাই তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন থেকে কানাইঘাট পৌরসভার টুকের বাজার হতে দলইমাটি পর্যন্ত ৫’শ মিটার রাস্তাটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যায়ে পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের কাজ যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কেএইচএম আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক খাজা শামীম আহমদ শাহীন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল আহমদ, মুহিবুর রহমান সহ এলাকার অনেকেই।
তাদের অভিযোগ, সিডিউলের কোন নির্দেশনাই মানছেন না ঠিকাদার। চরম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
তবে, এ বিষয়ে ঠিকাদার হোসন আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে রাস্তার কাজ সিডিউল অনুযায়ী করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পৌরসভার দু’জন ইঞ্জিনিয়ার নিয়মিতভাবে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করছেন। কাজে কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে না।
পৌরসভার প্রকৌশলী মনিরুদ্দিন বলেন, সড়কের উন্নয়নমূলক কাজ পৌরসভার তদারকির মাধ্যমে সিডিউল অনুযায়ী করা হচ্ছে। এতে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না। যারা বলছেন কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে না তারা কর্তৃপক্ষ অবহিত করতে পারতেন।
|
|
|
|
জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি : বিশেষ অভিযানে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় ৮ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধ জব্দ করেছে সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় চোরাচালানে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ উপজেলা সদরের চাঙ্গগীল ব্রিজ সংলগ্ন সিলেট তামাবিল সড়কে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম)`র দিক নিদের্শনায় জৈন্তাপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহীদ মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানে চাঙ্গগীল এলাকায় ব্যাটারী চালিত টমটম গাড়ি তল্লাসী করে ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের ওষধ জব্দ করা হয়। এসময় কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার চন্দ গ্রামের বাসিন্দা জমরোদ মিয়ার পুত্র ফয়জুল করিম মিন্টু (৪২) এবং জৈন্তাপুর আসামপাড়া আদর্শ গ্রামের সবুজ মিয়ার পুত্র সোহেল আহমদকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে বেশকিছু ভারতীয় অবৈধ ওষষুধসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, জৈন্তাপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান ও ভারতীয় অবৈধ পণ্যের ব্যবসা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধ ভাবে ভারতীয় ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : সিলেট সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সদস্য মো: ওবায়দুল্লাহ ইসহাক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এক শোক বার্তায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে শনিবার দিবা-গত রাতে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সালটিকর এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন সঙ্গীসহ তিনি মারা যান। উদীয়মান জনপ্রতিনিধি হিসেবে মৃত্যুকালে তিনি পরিবার-পরিজন ও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন সহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের রেখে গেছেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হালিয়ার পাড়া জামেয়া কাদেরিয়া ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজ চেক জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতারের পর জেলহাজতে রয়েছেন। চেক জালিয়াতি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর শাহপুর গ্রামে। এছাড়া উনার বিরুদ্ধে কাগজপত্র জাতিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে।
|
|
|
|
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেটের ওসমানীনগরে ১৭ বছরের তরুনীর সন্তান প্রসবকে কেন্দ্র করে উপজেলা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিয়ের আগেই ধর্ষণ কান্ডে সন্তান প্রসবের পর পিতার স্বীকৃতি পেতে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে দেড় মাসের শিশুসন্তান নিয়ে ১৫ ঘন্টা অনশন করেও কোন সুরাহা হয়নি। পুলিশ আবারও ধর্ষিতাকে তার বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আলোচিত এই ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও ৪ মাসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ধর্ষণ হওয়া কিশোরী। গত বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে উঠেন কিশোরী। সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত ওই বাড়িতে অবস্থান নিলেও ঘরের কেউ দরজা না খোলায় আকুতি মিনতে করেও স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দেন কিশোরী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলতে না পেরে তরুনীর সাথে আলোচনা করে মধ্য রাতে শিশু সন্তানসহ তাকে বাবার বাড়িতে ফেরেত পাঠায় পুলিশ।
সরজমিনে কিশোরীর বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু সন্তান নিয়ে একটি ঘরে বসে আছেন কিশোরী। বর্তমানে শিশু সন্তানসহ বাবার বাড়িতে থাকলেও ধর্ষক সজু গ্রেফতার না হওয়া, প্রভাবশালীদের চাপ ও সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন হওয়ার কথা জানিয়ে ভুক্তভোগী তরুনী বলেন, আমি আমার ছেলের পিতৃ পরিচয় চাই।
মামলা সূত্রে জানায়, গত বছরের ২০ অক্টোবরে ভোরে কিশোরী পূজার ফুল তুলতে গিয়ে নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের রাখাল দেবের ছেলে সজু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে একাধিকবার ধর্ষণ করে সজু। একপর্যায়ে কিশোরী শারিরীক পরিবর্তন হয়ে বিষয়টি জানাজানি হয়। সজুর পক্ষ হয়ে ইউপি সদস্য দীপংকর দেব নগদ ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কথিত ডাক্তার বাসু দেবের মাধ্যমে অনাগত সন্তানের গর্ভপাত ঘটিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করেন। এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের লোকজন সালিশে বসলে নির্ধারতি দিনে ইউপি সদস্যসহ সজুর পরিবারের কেউ উপস্থিত হননি।
পরে ২ মে থানায় সজুকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা। চার দিন পর রাতে মামলার বাদিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কথিত ডাক্তার বাসু দাশের চেম্বারে আটকে রাখা হয়। বাসু দাশসহ অভিযুক্ত সজুর ভাই রঞ্জু দেব, দিপংকর দেব ৫ লক্ষ টাকা প্রদানের মাধ্যমে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও কিশোরীর গর্ভপাত করাতে চাপ সৃষ্টি করেন। এই ঘটনা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশের পরামর্শক্রমে তিনদিন পর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন নির্যাতিতার পিতা।
অন্যদিকে, ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে চলতি বছরের ১৯ জুন ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে ছিলেন নির্যাতিতার পরিবার।
মামলার বাদি কিশোরীর পিতা জানান, ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গর্ভপাত করাতে নানা কৌশল অবলম্বন করে ব্যর্থ হয় সজু। পরে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করছে না। আমার মেয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অনশনে গেলে পুলিশ তাকে আমার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মাসুদুল আমিন বলেন, শিশুসহ মেয়েটি বর্তমানে তার বাবার বাড়িতে রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
|
|
|
|
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেটের কানাইঘাটে কামিল হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে শনিবার ভোর রাতে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মার নেতৃত্বে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানা এলাকা থেকে কামিল আহমদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হারুন রশিদকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ।
প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কামিল আহমদ স্থানীয় গাছবাড়ী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার আপন চাচা এলাকার প্রভাবশালী আলা উদ্দিন ও চাচাতো ভাইয়েরা হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে কামিল আহমদকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমীন বেগম বাদী হয়ে চাচা আলা উদ্দিন সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকান্ডের পর থেকে খুনীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে থানা পুলিশ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর কামিল হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তোতা মিয়াকে থানা পুলিশ জৈন্তাপুর উপজেলার ছইয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
এরপর শনিবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা মামলার অপর আসামী হারুন রশিদকে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
|
|
|
|
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের উঁচু নিচু টিলা ভূমি বেষ্টিত কয়েকটি গ্রামে রয়েছে ছোট বড় প্রায় শতাধিক বাতাবিলেবুর (জাম্বুরা) বাগান। প্রতিটা বাগানে জুুম পড়েছে গাছ থেকে বাতাবিলেবু পাড়ার বা হার্বেস্টিং করার। প্রতি বছরের মতো এবার ও বাতাবিলেবু যাচ্ছে সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৬৬ হেক্টর জমিতে বাতাবি লেবুর চাষ হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২০ টন।
সরজমিনে দেখা যায়, জুড়ী লাঠিটিলা সড়কের কালামাটিতে বাতাবিলেবু গুলো বস্তাবন্দি করে একটি বড় ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এছাড়াো বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট পিকাপ যোগে কালামাটিতে নিয়ে আসছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে বড় ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাঁচা বাজারে।
এক সময় সিলেটের বাজারে অবহেলিত ছিল জুড়ীর বাতাবিলেবু। বিক্রি নিয়ে ছিল শঙ্কা। কালের বিবর্তনে এখন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ প্রায় সারাদেশে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে জুড়ীর অবহেলিত ফল। টক, মিষ্টি ও কিছুটা তিতা আছে এই ফলে একে স্থানীয়রা নাম রেখেছেন (মাতু জামির) আবার কেউ কেউ (জাম্বুরা) নামে চিনে ।সারাদেশব্যাপী চাহিদা থাকায় এখন মৌলভীবাজারের অন্যতম মূল্যবান হয়ে উঠেছে বাতাবিলেবু।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ও সিলেটের জৈন্তা এলাকায় আবাদ হয়। জুড়ীতে এসবের বাম্পার ফলন হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে বছরে আনুমানিক শতাধিক ট্রাক জাম্বুরা জুড়িতে আবাদ হয়। এক সময়ের অবহেলিত ফল এখন জুড়ীর সম্ভাবনাময়। স্থানীয় বাজারে মৌসুমে এই ফলের তেমন চাহিদা না থাকলেও রয়েছে শহরে।
জুড়ীতে ২০২১ সালে গবেষণা করে বাতাবিলেবুর আরো দুটি জাত উদ্ভাবন হয়েছে, জুড়ী ১ ও জুড়ী ২ নামে। এই জাতের জাম্বুরা সাইজে অনেক বড় হয় এবং খেতে খুব সুস্বাদু।
শুকনাছড়া, লালছড়া ও জড়িছড়া এলাকার কৃষকরা জানান, এক সময় বাতাবিলেবুর তেমন চাহিদা ছিল না শুধু সিলেট বিভাগে বিক্রি করা হতো। চাহিদা না থাকায় আমরা বিক্রি নিয়ে চিন্তিত থাকতাম। এখন সরাসরি রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে বিক্রি করা হয়। এখন এই ফলের অনেক মূল্যায়ন বেড়েছে, মানুষের চাহিদা বেড়েছে, তাই বিক্রি নিয়ে এখন কোন অসুবিধা হয়না। তবে চাষীরা বিভিন্ন রোগবালাই ও কাঠবিড়ালির উপদ্রবের কারণে অতিষ্ঠ।
স্থানীয় বাতাবিলেবু ব্যবসায়ী কালা মিয়া ও হেলাল উদ্দিন জানান, এই এলাকায় তাদের বেশ কয়েকটা বাগান বছর চুক্তি অগ্রিম কেনা। সে সব বাগান থেকে সময় মতো লেবার দিয়ে জাম্বুরা হার্বেস্টিং করে মেইন সড়কের সাইটে নিয়ে আসেন। এর পরে জাম্বুরার আকারভেদে বাছাই করে বস্তাবন্দী করে বড় ট্রাক যোগে রাজধানী যাত্রাবাড়ীর কাচা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আড়তদার বস্তা আকারে পাইকারি বিক্রি করেন।
ঢাকা যাত্রাবাড়ীর ফল ব্যাবসায়ি মারুফ আহমদ জানান, এখানে জুড়ীর উপজেলার বাতাবিলেবু ‘অমৃত’ খুব বেশি চাহিদা। ক্রেতারা অনেক বেশি পচন্দ করে তাই দ্রুত বিক্রি করতে পারি। এগুলোর স্বাদ বেশি এবং কোন কেমিক্যাল না থাকায় ক্রেতাদের চাহিদা বেশি।
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো: মাহমুদুল আলম খান বলেন, সারাদেশে বাতাবি লেবুর চাহিদা থাকলেও সঠিক জাতের বাতাবি লেবু বাজারে পাওয়া যায়না। দিন দিন বাতাবি লেবুর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে জুড়ী কৃষি অফিস বাতাবি লেবু-১ ও ২ এবং বারি বাতাবি লেবু ৫ এর চারা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া চারা গাছ পরিচর্চার জন্য ৬ ধরণের সার, চুন, দুই ধরণের কীটনাশক, এক ধরণের ছত্রাক নাশক, স্প্রে মেশিন, সিকেচার, গ্রাফটিং নাইফ এবং মালচিং পেপার বিতরণ করা হয়েছে।
|
|
|
|
সিলেট ব্যুরো:
দীর্ঘ ৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। অনুমোদন পেল সিলেট মহানগর যুবলীগের ১৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। তবে, কমিটিতে ৪৭টি পদ খালি রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল অনুমোদিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মহানগরের কমিটিতে আলম খান মুক্তিকে সভাপতি ও মুশফিক জায়গীরদারকে সাধারণ সম্পাদক রেখে ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদনপ্রাপ্ত এ কমিটির সহ-সভাপতি ১৪টি পদের ৫টি খালি রেখে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- ১ম সহ-সভাপতি ফায়াজ খান সলিট, ২য় সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট লিটন মিয়া, সৈয়দ গুলজার আহমদ, রাহেল আহমদ চৌধুরী, মো. আব্দুল লতিফ রিপন, শান্ত দেব, আব্দুর রব সায়েম, মো. আনিসুজ্জামান আনিস।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন সুবেদুর রহমান মুন্না। অপর ৪টি পদ খালি রাখা হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদকের ৭টি পদে ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. ময়নুল হক ইলিয়াসি দিনার চৌধুরী, সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, মো. রিমাদ আহমদ, এমদাদ হোসেন ইমু।
প্রচার সম্পাদক পদে মো. মোহাইমিন চৌধুরী বাপ্পি, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. সাকিয়া হোসেন সাকির, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম সুহেল, অর্থ সম্পাদক আনিসুর রহমান তিতাস, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম লিটন (টিলাগড়), আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সারোয়ার মাহমুদ, ত্রাণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ সাজু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এ কে এম কাওসার আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ কামাল সুফি, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক সাজার আহমদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সেবুল আহমদ সাগর, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম, জনশক্তি ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক আবিদুর রহমান শিপলু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রুপম আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক মনজুর আহমদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ফয়সল আজাদ খান, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুদ মিয়া পীর, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালিক লাবলু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রাবেয়া সিদ্দিকা রাবু, উপ-প্রচার সম্পাদক শূন্য রাখা হয়েছে। উপ-দপ্তর সম্পাদক এহসানুল কারীম মাবরুর, উপ-গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক এহিয়া আহমদ সুমন, উপ অর্থবিষয়ক সম্পাদক পদ শূন্য রাখা হয়েছে। উপ-শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রিপন, উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ শূন্য, উপ-ত্রাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, উপ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নাহিদ (আব্বাস), উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদ শূন্য রাখা হয়েছে। উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক সজল দাস অনিক, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ শূন্য, উপ-স্বাস্থ্য জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক এবিআই চৌধুরী বুলবুল, উপ জনশক্তি ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক ও উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদ শূন্য, উপ ক্রীড়া সম্পাদক সোহরাব আলী, উপ পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সুশান্ত রায় শাওন, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জিয়া, উপ কৃষি ও সমবায়, উপ-মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক, উপ মহিলাবিষয়ক সম্পাদক খালি রাখা হয়েছে। এছাড়া সহ-সম্পাদক পদে ২১ জন ও সদস্য ৪১ জনকে রাখা হয়েছে।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অভাব। দেশের লক্ষ-কোটি মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। সবার আগে দারিদ্রতা দূর করতে চাই। তাই দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বলুন বিগত সরকারগুলো এ অঞ্চলে কি উন্নয়ন করেছে। আর আওয়ামীলীগের উন্নয়ন আপনাদের চোখের সামনে দেখুন। ন্যায় বিচার করুন। আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনাদের কাছে ন্যায় বিচার চাই। আপনাদের ভোটে শেখ হাসিনা সরকার আবার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। আমরা হিংসা বিদ্বেষ চাই না। সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।তিনি বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলেন, কারো কথায় শেখ হাসিনা যাবে না। সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচন ছাড়া শেখ হাসিনাকে সরানো সম্ভব নয়। তিনি বিশ্ব মোড়লদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কারো গোলাম নই। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরাও বিশ্বের ধনী দেশের মতো এগিয়ে যেতে চাই। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভারত চন্দ্র জয় করেছে গায়ের জোরে নয়। তারাও এক সময় আমাদের মতো গরীব দেশ ছিল। শিক্ষা ও মেধাশক্তি দিয়ে আজ তারা চন্দ্র জয় করেছে। একদিন আমরাও পারবো। এ জন্য মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে হবে। আগে মিথ্যা কথা পরিহার করতে হবে। সততা, নিষ্টা, কর্ম-দক্ষতা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তাহলে আমরাও বিশ্ব জয় করতে পারবো।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর আদর্শ কলেজে সৈয়দপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে পরিকল্পনামন্ত্রীকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ ও জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ সাইদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সৈয়দ আতাউর রহমান ও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান প্রমূখ।
এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা, সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুর রব সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, পরিকল্পামন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস সহ সরকারি কর্মকর্তা, আ.লীগের দলীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো জনতা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়। এছাড়া আরো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
|
|
|
|
দিপংকর বনিক দিপু, দিরাই :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা মোছাব্বির হোসেন জুনেদকে সম্মান ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম দিরাই একাত্তর টিভি কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। মোছাব্বির হোসনে জুনেদ দিরাই একাত্তর টিভির উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায়। দৈনিক ভোরের কাগজের দিরাই প্রতিনিধি জাকারিয়া হোসেন জুসেফ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মুকুল চৌধুরী, রাজনীতিক লিপন হাসান চৌধুরী, ব্যবসায়ী রুবেল চৌধুরী, রাশেদ আহমদ, আলমগীর হোসেন, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, দিরাই রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোশাহিদ আহমদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল পুরকায়স্থ, যুগ্ম সম্পাদক মুহিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ রবিনুর মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিপংকর বনিক দিপু প্রমুখ।
এ সময় সংবর্ধিত অতিথি মোছাব্বির হোসেন জুনেদ বলেন, সকলের সহযোগিতায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম দিরাই একাত্তর টিভি সমাজের গতানুগতিক ধারার অনেক কিছুই তুলে ধরেছে। সাংবাদিকগণ সমাজের দর্পণ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উন্নত সমাজ গঠনেও সংবাদিকের ভূমিকা অপরেসীম, সমাজে পশ্চাদ্পদ মানুষের জন্য সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে হবে। সাংবাদিকদের লেখনিতে মানুষকে আশাবাদী করতে হবে, গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ না করলে মানুষ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম দিরাই একাত্তর টিভির উত্তরত্ব সাফল্য কামনা করেন।
|
|
|
|
জিতু তালুকদার, মৌলভীবাজার :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবার পুতুল নাচ শুরু করেছে। তিনি বলেন এই পুতুল নাচ করে লাভ নেই। বিএনপির বন্ধুরা এখনও সময় আছে, চিন্তা করুন খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি, তারেক জিয়া একজন পালাতক ও দন্ডপ্রাপ্ত আসামী, তারা কোনদিন নির্বাচন করতে পারবে না। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান কোনদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সুতরাং বিএনপির বন্ধুরা আপনাদের প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করে বিএনপিকে গণতান্ত্রীক ধারায় নিয়ে আসুন। তাহলে বিএনপির শেষ রক্ষা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। গণতন্ত্রের পথে নির্বাচনের আসুন, নির্বাচনের না এসে অবার আব্দুর রহমান, বাঙলা ভাই জঙ্গি জেএমবি তৈরী করে কুলাউড়ায় গোপনে ট্রেনিং দেওয়াবেন? নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য অস্ত্র ডোকিয়ে সন্ত্রাস করবেন? তা আর সহ্য হবে না।এই দেশ আমাদের এই দেশ আপনাদের, এই দেশের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। তাই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে শিল্পকলা মিলনায়তনে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল। বিএনপির আমলে মাত্র তিন হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। বিদ্যুৎ কবে আসবে সেই খবর মানুষ জানতে চাইতো। আজকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ২৫ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান এই খুনের সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তারেক রহমান ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে। যেই গ্রেনেড পাকিন্তান আর্মি ব্যবহার করে, সেই গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করেছে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান, স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল হক, পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট মাস স্মরণে জেলা পরিষদ ছাত্রছাত্রীদের এককালিন ২৫ লক্ষ টাকার বৃত্তি প্রদান, গরীব ও একশত সেলাই মেশিন, ২৫ লক্ষটাকার ক্রিড়া সামগ্রী বিতরণ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষনার্থীদের সনদ প্রদান করেন।
বক্তব্য রাখেন, চা শ্রমিক প্রতিনিধি ও রাজঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত। একাটুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, জেলা পরিষদের প্যানের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম,কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ শিপার উদ্দিন আহমদ, রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সোয়েব, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসরুল হক ও সহ-সভাপতি অপুর্ব কান্তী ধর, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভেঙে যাওয়া সেই বেইলি সেতু ফের চালু করতে মেরামত কাজ চলছে। এতে ভূক্তভোগী জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি বিরাজ করছে। গত ২২ আগস্ট সুনামগঞ্জ থেকে জগন্নাথপুর হয়ে ঢাকা আঞ্চলিক মহসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা এলাকায় স্থানীয় কাটা নদীর উপরে থাকা পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর এপ্রোচ অংশ ভেঙে সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক নদীতে পড়ে গেলে ২ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামত কাজ করছে সওজ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দেখা যায়, ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুর অংশে গাছের ফাইলিং বসানোর কাজ করা হচ্ছে। এ সময় কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই মেরামত কাজ চলছে।
সেতুর ভাঙন অংশে ফাইলিং করে মাটিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সোমবার রাতের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। মঙ্গলবার থেকে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
|
|
|
|
মো. শরীফ আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ :
চোখ যতদূর যায় ডানে, বামে ও সামনে সারি সারি উঁচু উঁচু সবুজ পাহাড়। এ পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণ। আকাশ যেনো হেলান দিয়ে আছে পাহাড়ের বুকে। পাহাড়ের বুক চিড়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ঝর্ণার শীতল স্বচ্ছ জলরাশি বয়ে চলছে সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জের উৎমা ছড়া নদ দিয়ে।
এ নদের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় বিভিন্ন রংয়ের অসংখ্য অগণিত পাথর। এ যেনো ছোট বড় পাথর ও স্বচ্ছ জলের মিশ্রিত বিছানা। সবুজ পাহাড় ঘেঁষা আকাশের নীলের ছায়া ও সাদা সাদা মেঘের খেলা। এমন এক সৌন্দর্য যা স্বচক্ষে না দেখলে বর্ণনা দিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের মনের পিপাসা মিটানো সম্ভব না। এ স্থানকে সিলেটের নতুন ‘পর্যটন কেন্দ্র’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের চরারবাজারের পাশেই যার অবস্থান।
রূপ-লাবণ্যে যৌবনা উৎমাছড়া পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছে সম্মোহনী সৌন্দর্য। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন অরণ্যের সাহচর্য পেতে উৎমাছড়ার বিকল্প নেই। আছে সবুজের সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের খেলা, পাথর ছড়ানো চারপাশ, দুধসাদা জলরাশি, পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলরাশির কলতান, পাখির কিচিরমিচির। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই প্রকৃতি প্রেমীদের।
উৎমাছড়া ভ্রমণের শ্রেষ্ট সময় বর্ষাকাল। বছরের এপ্রিল মাস থেকে অক্টোবর মাসের যে কোন দিন উৎমাছড়া ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের সর্বোৎকৃষ্ট দিন। প্রকৃতি কন্যা সিলেটের সৌন্দর্য্যটা আসলে বর্ষাকালেই বেশী উপভোগ করা যায়। আর তা ছাড়া বর্ষার সময়ে উৎমাছড়ার নদের স্বচ্ছ জল, গাঢ় সবুজের পাহাড় ও আকাশে মেঘের ছুটাছুটি এখানের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়।
৬১ টি জেলা ভ্রমণকারী বাইকার ডাঃ আব্দুল আওয়াল ‘দৈনিক স্বাধীন বাংলা’কে বলেন, আমি বাংলাদেশের ৬১টি জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণ করেছি। সারা দেশের তুলনায় সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো একটু বেশিই সুন্দর। তার মাঝে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়া একটু ভিন্ন রকম সুন্দর। পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলরাশির ঝর্ণা পাথরের বুক বেদ করে উৎমাছড়া নদের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পাহাড় ও আকাশ একত্রে মিশে যায়, এ সৌন্দর্য আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, তা স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বুঝবেন না। তবে এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রচার প্রচারণা না থাকায় ভ্রমণ পিপাসুরা এখানে আসে না। এই স্থানটিকে প্রচার-প্রচারণা করা হলে সিলেটের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে এতে এই এলাকার মানুষের কিছু কর্মসংস্থান হওয়ার পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণের রাজস্ব পাবে বলে আমি মনে করি।
স্থানীয় ভ্রমন প্রেমী বিজয় পাড়–য়া গ্রামের সুমিত সিংহ জানান, উৎমাছড়া এলাকায় এক সময় পাথর কোয়ারি ছিল। এখানে হাজার হাজার শ্রমিক, ব্যবসায়ীর কর্মসংস্থান ছিল। বর্তমানে এলাকার মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে দিশেহারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টের আদেশে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় উৎমাছড়া নতুন রূপে সেজেছে। স্থানীয় মানুষজন এখানে এসে প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে আনন্দ উল্লাস করে। উৎমাছড়ার সৌন্দর্যের প্রচার-প্রচারণা করা হলে সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে ঘুরতে আসবে। সৌন্দর্যপূর্ণ এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোঘনা করা হলে পর্যটকদের আগমণে স্থানীয়দের কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি।
কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদ জানান, উৎমাছড়ার অপরূপ সৌন্দর্যে স্থানীয় মানুষ মুগ্ধ হয়ে ভ্রমণ করতে আসেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এখানে আসার প্রধান সড়ক কলাবাড়ী সেতু থেকে উৎমাছড়া (চরার বাজার) এর রাস্তা খুবই খারাপ থাকায় দূর-দূরান্তের পর্যটকেরা আসতে পারে নাই। এ বছর স্থানীয় সাংসদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের বরাদ্দ প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের প্রচার-প্রচারণায় এই স্থানটি হয়ে উঠতে পারে সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার ফলে সিলেট সহ সারা দেশ থেকে আসা পর্যটকেরা সহজেই এই মনোমুগ্ধকর অপরূপ সৌন্দর্যপূর্ণ স্থানটি ভ্রমণ করতে পারবেন। সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সোহেল রানা বলেন, উৎমা ছড়া একটি মনোরম ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্পট। সিলেটের পর্যটন ক্ষেত্রে উৎমা ছড়ার রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তনরা পরিকল্পনা করে সাজালে এটাও সাদা পাথরের মত পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, উৎমাছড়া এলাকাটি অপরূপ সুন্দর। যা দেখলে যে কোন বয়সের মানুষের হৃদয়ে প্রশান্তি আসবে। উৎমাছড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমি গিয়েছি কয়েক বার। এই স্থানটি কে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের। সিলেট থেকে উৎমাছড়া যাওয়ার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। উৎমাছড়া এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়াতে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই বিজিবির একটি ক্যাম্প স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিজিবির ক্যাম্পটি হয়ে যাবে। এটি হয়ে গেলেই উৎমাছড়া এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রচার-প্রচারণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট-৪ আসনের সাংসদ ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মহোদয় কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা করেছেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর হয়ে উৎমাছড়া টু বিছনাকান্দি ও জাফলংয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতি মধ্যেই এ সড়ক যোগাযোগের তৈরি করার জন্য একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে সড়ক নির্মাণে কাজ শুরু হবে। এতে করে সারাদেশ থেকে আসা পর্যটকেরা এক দিনেই সাদা পাথর, উৎমাছড়া, বিছনাকান্দি ও জাফলং পর্যটন কেন্দ্র খুবই সহজে ভ্রমণ করতে পারবেন।
|
|
|
|
দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন দিরাই রিপোর্টার্স ইউনিটি`র নবম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার(২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মোশাহিদ আহমদ সরদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল পুরকায়স্থের সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি জীবন সুত্রধর, যুগ্ম সম্পাদক আকতার সাদিক, মহিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ রবিনূর চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিপংকর বনিক দিপু প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর দিরাই রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সাধারণ সভায় রিপোর্টার্স ইউনিটির আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি সহ সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের অজু খানার পানি নিস্কাশন বন্ধের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের সামনে প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন পালন করা হয়। এতে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষে মির্জা দিলওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মসজিদের অজু খানার পানি নিস্কাশন হতো সরকারি খালে গিয়ে।
বর্তমানে খালটি মাটি ভরাট করেছেন পাটলি গ্রামের বাবুল মিয়া। এতে পানি নিস্কাশন বন্ধ হওয়ায় অজু খানায় হাঁটু পানি জমে গেছে। এখন মেশিন দিয়ে পানি সেচে অজু করতে হচ্ছে। ফলে হাজারো মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ও দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের স্বার্থে আমরা বাধ্য রাস্তায় নেমেছি। তাতেও কাজ না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উক্ত মানববন্ধনে মসজিদের ইমাম মাওলানা মির্জা আবুল কালাম সহ শতশত মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন।
|
|
|
|
|
|
|