জগন্নাথপুরে চেয়ারম্যানকে জনপ্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে গত ২৫ মে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের মৃত্যুতে এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে দেশে ও বিদেশে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্যে ৩০ মে মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন, সাবেক পৌর প্রশাসক মোঃ মুকিত মিয়া, সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূইয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক, বর্তমান প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, উপজেলার কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মিয়া, পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আংগুর মিয়া, প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কামালী, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ূব খান, পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অভিনন্দন জ্ঞাপনকারীদের মধ্যে অনেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুরুল ইসলামের মতো একজন যোগ্য ও সজ্জন মানুষকে মনোনীত করেছিলেন বলেই নৌকার সহজ জয় হয়েছে। এবার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এর উন্নয়ন সারথী হয়ে নুরুল ইসলামকে জনপ্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে। তাঁকে নিজ কর্ম দক্ষতায় জগন্নাথপুর উপজেলার কাঙ্খিত উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের দেয়া ভোটের প্রতিদান দিতে হবে। জবাবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে ও কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করবো। অবশ্যই আমি মানুষের দেয়া ভোটের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবো ইনশাল্লাহ।
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে গত ২৫ মে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের মৃত্যুতে এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে দেশে ও বিদেশে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্যে ৩০ মে মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন, সাবেক পৌর প্রশাসক মোঃ মুকিত মিয়া, সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূইয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক, বর্তমান প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, উপজেলার কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মিয়া, পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আংগুর মিয়া, প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কামালী, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ূব খান, পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অভিনন্দন জ্ঞাপনকারীদের মধ্যে অনেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুরুল ইসলামের মতো একজন যোগ্য ও সজ্জন মানুষকে মনোনীত করেছিলেন বলেই নৌকার সহজ জয় হয়েছে। এবার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এর উন্নয়ন সারথী হয়ে নুরুল ইসলামকে জনপ্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে। তাঁকে নিজ কর্ম দক্ষতায় জগন্নাথপুর উপজেলার কাঙ্খিত উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের দেয়া ভোটের প্রতিদান দিতে হবে। জবাবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে ও কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করবো। অবশ্যই আমি মানুষের দেয়া ভোটের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবো ইনশাল্লাহ।
|
|
|
|
মুফিজুর রহমান নাহিদ, স্টাফ রির্পোটার :
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন টিম ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তর-এর আঞ্চলিক পর্যায় (সিলেট)-এর কর্মকর্তাদের নিয়ে উদ্ভাবন সংক্রান্ত ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ গত ২৬-২৭ মে নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিযোগিতায় যারা পিছিয়ে পড়বে তারা সব জায়গা থেকে বাদ পড়ে যাবে। এখন কোয়ালিটির যুগ, এজন্য কোয়ালিটি সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি তৈরি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগী দেশ, সংস্থা, শ্রমিক সংগঠনসহ অংশীজনদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উদ্ভাবন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন টিম ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তর-এর আঞ্চলিক পর্যায় (সিলেট)-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এবার বোরো ধানের হেট্রিক অর্জন হয়েছে। প্রথম ধাপে বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে গত প্রায় এক মাস আগে। এখন চলছে ডেমি ধান কাটার ধুম। এতে লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক গরীব পরিবারের মানুষজন। জমিতে রোপনকৃত মূল ধান কাটার পর কৃষকরা আর জমির খবর রাখেন না। তাদের কাটা ধানের ডগা থেকে দ্বিতীয় ধাপে ডেমি ধান হয়েছে। এসব ডেমি ধান দরিদ্র পরিবারের মানুষজন কেটে নিচ্ছেন।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় নলুয়ার হাওর সহ সকল হাওর ও বাওরে এবার ২০ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদিত হয়। গেল চৈত্র মাসের ১৫ তারিখ থেকে ধান কাটা শুরু হয়ে বৈশাখ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকৃতি অনুকুলে থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়। যা সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ধান পান কৃষকরা। সেই সাথে তারা ধানের ভালো দাম পেয়ে এবার অনেক খুশি হন।
এদিকে-মূল ধান কাটা শেষ হওয়ার পর কাটা ধানের ডগা থেকে আবার ডেমি ধানের থোড় বের হয়। মাত্র ১৫/২০ দিনের মাথায় এসব ডেমি ধান পাকতে শুরু করে। যদিও ধান কাটার পর হাওরে অবাদে গবাদিপশু ছেড়ে দেন রাখালরা। এর মধ্যে হাওরের দুর এলাকায় যেখানে গবাদিপশু যেতে পারেনি সেখানেই ডেমি ধান পাওয়া যাচ্ছে। এবার এখনো হাওর ও খাল-বিলে পানি না থাকায় ডেমি ধান হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টিপাতে হাওরে প্রায় হাঁটু থেকে উরু পানি জমে গেছে। এসব পানিতে নৌকা দিয়ে স্থানীয় হাওর পারের বিভিন্ন গ্রামের হতদরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ জনতা রীতিমতো প্রতিযোগিতামূলক ডেমি ধান কাটছেন। কোন প্রকার খরচ ছাড়াই অন্যের জমিতে উৎপাদিত ডেমি ধান যে যেভাবে পারছেন, কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বৈশাখে যাদের জমি ছিল না, তারাও এখন অনেক ধান গোলায় তুলছেন। প্রাকৃতিক আশির্বাদে এবার ডেমি ধান পেয়ে গরীব পরিবারের মানুষজনের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। ২৯ মে ও ১৫ জ্যৈষ্ঠ সোমবার নলুয়ার হাওর সহ বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা যায়, যে যেভাবে পারছেন নৌকা দিয়ে ডেমি ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় আলা উদ্দিন, আবদুল খালিক, ছলিম উল্লাহ, রবি দাস সহ হাওর পারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাওরে ডেমি ধান কাটতে আসা মানুষজন বলেন, ডেমি ধান পাওয়া এতো সোজা কথা নয়। ধান কাটার পর মানুষ হাওরে অবাদে গরু-বাছুর ছেড়ে দেয়। যেসব জমিতে গরু-বাছুর নামে সেখানে ডেমি ধান খেয়ে ফেলে। তাই ডেমি ধান পেতে হলে গভীর হাওরে যেতে হয়। যেখানে গরু-বাছুর যেতে পারে না। তার উপর হাওরে মেঘের পানি জমে আছে। নৌকা দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। এছাড়া মূল ধানের মতো ডেমি ধান হয় না। তাই কুড়িয়ে কুড়িয়ে ডেমি ধান কাটতে হয়। যদিও ডেমি ধানের ছড়া ছোট হলেও ধান ভালো হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ডেমি কাটতে গেলে জমির মালিককে বলার প্রয়োজন হয় না। কারণ মূল ধান কাটার পর কেউ জমির খবর রাখেন না। তারা আরো জানান, সারাদিনে অনুমান জনপ্রতি এক থেকে দুই মণ কাটতে পারি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জনপ্রতি প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ ধান তাদের গোলায় উঠেছে বলে অনেকে জানান। এঁদের মধ্যে অনেকে বৈশাখ মাসে ধান পাননি। তাদের জমি আবাদের ক্ষমতা নেই। বৈশাখ মাসে ধানের বিনিময়ে তারা ধানকাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে ধান তুলতেন। তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় দেনি কাটা ও ভাগে কাটা কামলা বলা হয়। এবার হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে বেশির ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যে কারণে এসব দেনি ও ভাগে কাটা শ্রমিকদের মধ্যে অনেকে কাজ পাননি অথবা টাকার বিনিময়ে ধান কেটেছিলেন। ফলে তাদের ঘরে ধান উঠেনি। তবে প্রকৃতির আশির্বাদে ডেমি ধান পেয়ে এখন তাঁদের গোলাও ধান উঠছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, সুবর্ণ সম্ভাবনা হচ্ছে ডেমি ধান। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র মানুষের ঘরেও এবার ধান উঠেছে। এটি অত্যান্ত ভালো দিক। এবার এখনো বন্যার পানি না আসায় হাওরে ডেমি ধান পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মূল ধান কাটার ২০/২৫ দিনের মধ্যে ডেমি ধান কাটার উপযোগী হয়ে যায়। তবে ধান কাটার পর জমিতে এক সিট ইউরিয়া সার দিলে প্রতি কেয়ারে ৮ থেকে ১০ মণ ডেমি ধান পাওয়া যেতো। এ অঞ্চলের কৃষকরা ডেমি ধানের আশা করেন না বা প্রকৃতি বিরূপ হলে ডেমি ধান হয় না। তাই জমিতে সার না দেয়ায় তুলনামূলক ফলন কম হয়েছে। এতে অনুমান কেদার প্রতি ৪ থেকে ৫ মণ ধান হতে পারে।
|
|
|
|
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাটে সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বিছনাকান্দি গ্রামের গুচরের পাশে সরকারি কাঁচা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন- দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রতিনিধি মো.আজিজুর রহমান ও দৈনিক জৈন্তাবার্তা পত্রিকার গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি সৈয়দ হেলাল আহমেদ বাদশা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. আজিজুর রহমান বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের বিছনাকান্দি গ্রামের মৃত নাজির উদ্দিনের ছেলে শাহাব উদ্দিন (শাবই মেম্বার), ইসলাম উদ্দিন, নুর উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সুহেব উদ্দিন, নুর উদ্দিনের ছেলে নাজমুল ইসলাম ও কামরুল ইসসামসহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের কুলুমছড়ার পার (বাদেপাশা) গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সংবাদ সংগ্রহ শেষে সাংবাদিক আজিজুর রহমান ও স্থানীয় দৈনিক জৈন্তাবার্তা স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা ফেরার পথে মটরসাইকেল যুগে উক্ত স্থানে আসা মাত্রই পথরোধ করে এলোপাথারীভাবে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে ও মটরসাইকেল ভাংচুর করে ৬৫০০০ (পয়ষষ্ট্রি) হাজার টাকার ক্ষতি করে। সৈয়দ হেলাল আহমেদ বাদশার কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আজিজুর রহমান বলেন, আমি ও আমার সহকর্মী সৈয়দ হেলাল আহমদ সাবই মেম্বারের বাড়ির সামনে রাস্তায় মটরসাইকেল যুগে আসতে দেখে সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে আকস্মিক ভাবে। শাহাব উদ্দিন সাবই ও তার ভাই ভাতিজা আমাকে সরকারি কাঁচা রাস্তায় অতর্কিত ভাবে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বলে এই শালা তোরা কতবড় সাংবাদিক হয়েছিস মজা বুঝিয়ে দেবো।
আজিজ বলেন, আমার ডিসকভারী মটরসাইকেল ভাংচুর করে (৬৫০০০ পয়ষট্রি)হাজার টাকা ক্ষতি করে। আমার ডাক-চিৎকারে অনেকে এগিয়ে এসে আমি ও আমার সহকর্মীকে রক্ষা করে। আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর সাহাব উদ্দিন সাবই সহকর্মী হেলাল আহমদ বাদশার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে "তোরা কই, তোদের জানে মেরে ফেলবো" বলে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়।
অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক আজিজুর রহমান আহত হয়ে গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন বলে জানান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাবই মেম্বার চোরাচালান সহ নানা অসামাজিক কাজে জড়িত রয়েছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক আজিজুর রহমান একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এলাকাবাসীর ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামীণ ও নলুয়ার হাওরে চলাচলের মাটির কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় ৩ যুগ পর অবহেলিত জনপদে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয় জনমনে আনন্দের বন্যা বইছে। জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব ও পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের আলখানারপাড় নদীর দক্ষিণপার অংশে রাস্তা না থাকায় দীর্ঘ প্রায় ৩ যুগ ধরে মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। এছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে নলুয়ার হাওর থেকে ধান বাড়িতে আনা হয়। এই একটি মাত্র রাস্তার অভাবে ওই অঞ্চলের মানুষ হেমন্তে পায়ে ও বর্ষায় নৌকায় চলাচল করে থাকেন। অবশেষে স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যক্তি উদ্যোগে ২৬ মে শুক্রবার থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমান ১৬শ ফুট রাস্তায় মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়।
শনিবার (২৭ মে) এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে রাস্তায় মাটি ভরাট কাজ চলছে।
এ সময় হাজী আবদুল জাহির, সুফি মিয়া তালুকদার, আরশ আলী, তোতন মিয়া, আবদুল খালিক, সিদ্দেক মিয়া, আতাউর রহমান, মুকিত মিয়া, আজাদ মিয়া, কবির মিয়া, আবদুস শহিদ, কনা মিয়া, কবির হোসেন, রফিক মিয়া, লিটন মিয়া, আবদুর রহমান, ফারুক মিয়া, শুকুর মিয়া ভূইয়া, আনা মিয়া, সালাম মিয়া, আবদুল জলিল, পরিতোষ সরকার, রবি সরকার সহ স্থানীয়রা বলেন, কেউ আমাদের কথা শোনো না। আমাদের দুঃখ দেখে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রবাসী সহ সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা নিজ উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ করছি।
|
|
|
|
বাবুল মিয়া, সুনামগঞ্জ :
রফিনগর, ভাটিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের জনগুরুত্বপূর্ণ দিরাই সদরে যাতায়াতের কালিকুটা হাওরে অবস্থিত মেঘনা-রাজানগরের রাস্তার বেহালদশা। ভাটির জনপদ হওয়ায় বছরের ছ`মাস রাস্তাটি জলে নিমজ্জিত থাকে। হেমন্তকালে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত যানবাহন দিয়ে করতে হয় যাতায়াত।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায় প্রায় ১ কি.মি. রাস্তা ভাঙ্গার কারণে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। পাথর ও ইটের সুর্কি সরে যাওয়ায় অনেক স্থানে দেওয়া হয়েছে বালির বস্তা। ঘটছে প্রায়ই দূর্ঘটনা। রাজানগর গ্রামের নান্টু চৌধুরী জানান, অত্র অঞ্চলের দিরাই যাওয়ার একমাত্র ভরসা কালিকুটা হাওরের বুক চিঁড়ে মেঘনা গ্রাম থেকে রাজানগরের এই রাস্তা। হেমন্তকালে এই রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের ইট,রডসহ যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রী ট্রলি গাড়ি দিয়ে মালামাল পরিবহনের কারণে রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তৎসময়ে আমিসহ গ্রামের অনেকেই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থার জন্য দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলি। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্তও করেছিলেন, সরকারী কাজে যেহেতু রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উক্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ইউএনও মহোদয় বদলি হয়ে যাওয়ায় করা হয়নি সংস্কারকাজ। যার কারনে দিরাই উপজেলার রফিনগর,ভাটিপাড় ও রাজানগরের বাসিন্দারা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
মোরগা নদীর তীরবর্তী মেঘনা গ্রামের বাসিন্দা হরিলাল দাস বলেন, দিরাই সদরে যাতায়াতের কালিকুটা হাওর-রাজানগরের এই রাস্তা দিয়া রফিনগর, ভাটিপাড়াসহ রাজানগর গ্রামের শত শত মানুষের নিত্যদিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। দ্রুত সংস্কার করা না হলে আমাদের দিরাই সদরে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে গেলে রাস্তাতেই মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
|
|
|
|
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি :
পর্তুগালে আত্মহত্যা করে মারা যাওয়া প্রবাসী নুরুল ইসলাম সাজুর লাশ আগামী (২৮ মে) রবিবার বাংলাদেশে আসছে।
পর্তুগাল থেকে একটি ফ্লাইটে রবিবার সকালে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে সাজুর লাশ। বিমানবন্দরে প্রক্রিয়া শেষ করে সাজুর লাশ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হবে।
রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার খাগদিয়র গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মারা যাওয়া নুরুল ইসলাম সাজুর বড় বোন মিলি বেগম। এর আগে, উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খাগদিয়র গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র প্রবাসী সাজু গত ১৬ মে পর্তুগালের লিসবন শহরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
প্রসংগত: ৬ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট নুরুল ইসলাম সাজু। পরিবারের হাল ধরতে ২০১৯ সালে প্রথমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ উমান যান। দুই বছর পর পরিবারের সুখের চিন্তা করে পাড়ি জমান সপ্নের ইউরোপে। ২০২১ সালে গ্রিস হয়ে তিনি পর্তুগাল পৌছান। সেখানে থাকা অবস্থায় ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন একই উপজেলার দরাজপুর গ্রামের কুয়েত প্রাবাসী লুৎফুর রহমানের মেয়ে লুৎফা বেগমকে।
|
|
|
|
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় পাথর বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌচাক মোহনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মঞ্জিলা বেগম (৪৫), তানজিলা বেগম (৩৫) ও শাহিনুর বেগম (৪৫)। তারা সবাই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান সিলেটের হযরত শাহ জালাল (র.) এর মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে পিকআপ ভ্যানটি মহাসড়কের মৌচাক মোহনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপে থাকা ৩ নারী নিহত হন। আহত হন অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
বাহুবল মডেল থানা পুলিশের (ওসি) রাকিবুল ইসলাম খান জানান, নিহত নারীদের মরদেহ বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সকালে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পানিতে ডুবে মোস্তফা মিয়া নামে আড়াই বছর বয়সের এক অবুঝ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে বাড়ির সকলের অগোচরে নিজ বাড়ির পাশে থাকা ডোবার পানিতে পড়ে হতভাগ্য অবুঝ শিশু মোস্তফা মিয়ার মৃত্যু হয়।
যদিও তাকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শারমিন আরা আশা মৃত ঘোষণা করেন।
|
|
|
|
সিলেট ব্যুরো:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর ৩৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার প্রার্থী আবু বকর লিলুর মনোনয় পত্র ত্রুটিমুক্ত ও বৈধ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এ সংবাদ ৩৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছালে আনন্দে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী সহ তার কর্মীসমর্থকরা।
আবু বকর লিলু তার নির্বাচনী এলাকা ৩৪নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন থেকে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে তিনি তাদের অধিকার আদায়ে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। ওয়ার্ডের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে তিনি বেশ তৎপর ছিলেন। আর এ কারণে সিলেট সিটি করপোরেন নির্বাচনে এলাকাবাসী তাকে ৩৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে পেতে চায়।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৩ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার দিন শেষ দিন ছিল। আগামী ২১ জুন সিলেট সিটির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮৯টি ভোটকেন্দ্রে একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম (নৌকা) প্রতীকে ২২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (কাপ পিরিছ) প্রতীকে ১১ হাজার ২০৩ ভোট পান।
প্রশাসনিক ও কেন্দ্র ওয়ারি ফলাফলে এসব তথ্য নিশ্চিত হয়। যদিও আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি। এদিকে-নৌকার সহজ বিজয় হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করছেন।
|
|
|
|
জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নে দি মেঘালয় চা-বাগান, খাদিজা বহুমূখি ফার্ম এর নামে লীজ বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে দি মেঘালয় চা-বাগান কর্তৃপক্ষ এলাকার বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে পুনরায় বাগানের কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে লীজ বাতিল করে স্থানীয় ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবি জানিয়ে চারিকাটা এলাকার ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
মানববন্ধনে চারিকাটা ইউনিয়নের অসহায় গরীব ভূমিহীন পরিবারের মাঝে সরকারী জায়গা বন্দোবস্ত প্রদান করতে প্রশাসনের নিকট দাবী জানানো হয়েছে। অবিলম্বে দি মেঘালয় চা-বাগানের লীজ বাতিল করার দাবীতে ভিত্রিখেল পাঁচ মৌজা অসহায় ভূমিরক্ষা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এলাকার প্রবীন মুরব্বি ওয়াজিদ আলীর (মড়া) সভাপতিত্বে গত সোমবার (২২ মে) সকাল ১১টায় চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা।
সভায় বক্তব্য রাখেন চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ায়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী আলতাফ হোসেন বিলাল, সেলিম আহমদ, ইউপি সদস্য মনির আহমদ, মাস্টার সাইফুল ইসলাম, মাওলানা নাজমুল ইসলাম, কামাল আহমদ ও আব্দুল হান্নান।
মানববন্ধন শেষ বিক্ষোভ মিছিল করে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান করিমের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এদিকে লীজ বাতিলের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। দি মেঘালয় চা-বাগানের লীজ বাতিলের দাবী জানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় ভূমিহীন পরিবার অনেক প্রতিবাদ ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
রাত পোহালেই ২৫ মে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ কাঙ্খিত সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩১ ও নারী ভোটার ৯৯ হাজার ৯১৭ জন। এদিকে-নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্নের লক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌছে গেছে। এবার শুধু অপেক্ষার পালা। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোটযুদ্ধ।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন, আ.লীগ মনোনীত নুরুল ইসলাম (নৌকা), বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত আবদুল কাইয়ূম কামালী সিতু (খেজুর গাছ), জাতীয় পার্টি মনোনীত আতাউর রহমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (কাপ পিরিছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন রাশীদ (আনারস)। এর মধ্যে ভোটযুদ্ধে কার গলায় পড়ছে জয়ের মালা। তা দেখার অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী সহ দেশ/বিদেশে থাকা স্বজনরা।
|
|
|
|
সিলেট ব্যুরো:
ক্রমশ বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কমছে না মাছ-মাংস, সবজিসহ মসলার দামও। একই অবস্থা মুদি দোকানেও। প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে বেশ বিপাকে রয়েছেন সাধারণত ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে সিলেট নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকান গুলোতে শাকসবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেশ বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, মরিচসহ অন্যান্য কাঁচা পণ্য। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিলো ৪০ টাকা। ৪৫ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা ও পেঁপে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলেটের বাজারে প্রতি কেজি আদা ৩০০-৩৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০, কাঁচামরিচ ২০০-২২০ এবং প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আদা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ডিম, আলু ও মাছ-মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম ৫০ টাকা হালি এতে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের শাকসবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা। আদা, আলু, কাঁচামরিচ ও ডিম রের্কড দামে বিক্রি হলে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। সাদা ককের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ফার্মের মুরগির ডিম হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও মাংসের বাজারও চড়া। এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৭০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। ছোট সাইজের চিংড়ি ৭০০-৭৫০ টাকা ও দেশি ট্যাংরা মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরের লাল বাজার গরুর মাংস কিনতে আসা ক্রেতার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, ‘বাসায় মেহমান আসবেন। তাই রোস্টের মোরগ ও গরুর মাংস কিনতে এসেছি। তবে মাংসের যে দাম তাতে বাজেটে টান পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘যে রোস্টের মোরগ (সোনালি) দুই সপ্তাহ আগেও ২২০ টাকা পিস কিনেছি তা আজ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৫০ টাকা। দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি।’
নগরের অন্যতম কাঁচাবাজার বন্দরবাজর এলাকায় বাজার করতে আসা নানু মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। এতে আমাদের মতো মানুষ বিপাকে আছে।’
চালিবন্দর সবজি বিক্রেতা আমির আলী বলেন, ‘এ সপ্তাহে সব ধরনের শাকসবজির দাম দাম একটু বেড়েছে। বেশি দামে পাইকারি বাজারে কিনলে খুচরা বাজারেও আমাদের দাম বাড়াতে হয়। দাম বাড়ানো-কমানো আমাদের হাতে নেই।’
ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম প্রায় প্রতিদিনই ৪-৫ টাকা করে বাড়ছে। চিনির বাজারও অস্থির।
|
|
|
|
মুফিজুর রহমান নাহিদ, স্টাফ রিপোর্টার :
বিশাল শো-ডাউন করে, নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগর মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এরআগে দুপুর ১২টার দিকে নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশনের সিটি করেপারেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনপ্রকার মিছিল বা শো-ডাউন করা যাবে না বা প্রার্থী ৫ জনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবেন না। তবে মঙ্গলবার মনোনয়ত্র জমাদানকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে শতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন।
সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, আনোয়ারুজ্জামান মনোনয়নপত্র জমাদানকালে অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সাংবাদিকরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে ভিড় লেগে যায়। তবে আমাদের কার্যালয়ের বাইরে কোন শো-ডাউন করা হয়েছে কি-না খেয়াল করিনি। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে আসতে পারবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলেন এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমাদানকালে তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। আজকেই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর ১ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
|
|
|
|
জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই কাঙ্খিত জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্নের লক্ষে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন, আ.লীগ মনোনীত নুরুল ইসলাম (নৌকা), বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত আবদুল কাইয়ূম কামালী সিতু (খেজুর গাছ), জাতীয় পার্টি মনোনীত আতাউর রহমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (কাপ পিরিছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন রাশীদ (আনারস)। যদিও প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর রীতিমতো আমেজহীন ছিল নির্বাচনী অঞ্চল। অন্য নির্বাচনের মতো জমে উঠেনি নির্বাচনী মাঠ। তবে শেষ সময়ে এসে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা। চারদিকে শুরু হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ। নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। ভোটাররাও কষতে শুরু করেছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ। কাকে ভোট দেয়া উচিত ও কে নির্বাচিত হলে কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে। এসব আলোচনা এখন ভোটারদের মুখে মুখে। মঙ্গলবার (২৩ মে) নির্বাচনী বিষয় নিয়ে প্রবীণ মুরব্বি আবদুল আলী, ছমির উদ্দিন, কনা মিয়া, রহমত আলী, রঘু নাথ, শৈলেন দাস, ফিরোজ মিয়া, আলী আকবর, মাহমদ আলী, নিপেশ গোপ সহ অসংখ্য ভোটারদের সাথে কথা হয়। তাদের মন্তব্য থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তারা জানান, এবারের নির্বাচনে চারমুখি লড়াই হতে পারে। এর মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম। কারণ হিসেবে ভোটাররা বলেন, নুরুল ইসলাম এমনিতেই ব্যক্তি ও রাজনৈতিক ইমেজে এগিয়ে আছেন।
তিনি একজন সজ্জন ও পরিছন্ন মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার উপর পেয়েছেন সরকার দলীয় প্রতীক নৌকা। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরাও নৌকার বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ফলে নৌকার সহজ বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাথে রয়েছেন জমিয়ত প্রার্থী আবদুল কাইয়ূম কামালী সিতু। তিনি ব্যক্তি হিসেবে নতুনমুখ হলেও তাঁর পক্ষে খেজুর গাছ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী সহ জমিয়তের আলেম-উলামাগণ মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বিগত নির্বাচনে জমিয়তের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমকে নিয়ে নৌকার বিজয়ী প্রার্থী প্রয়াত আকমল হোসেনের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন তাঁরা। যদিও এবার সৈয়দ তালহা আলম জমিয়ত ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তাঁর কাপ পিরিছ প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। তিনি নির্বাচনী কৌশলে এগিয়ে আছেন। এবার নির্বাচন হবে সৈয়দ তালহা আলমের জন্য অগ্নি পরীক্ষা। বিগত নির্বাচনে তিনি জমিয়তের ভোটে নাকি নিজ ইমেজে লড়াই করেছিলেন। তা প্রমাণ হয়ে যাবে এবারের নির্বাচনী ফলাফলে। সেই সাথে জমিয়তের শক্তিরও প্রমাণ হবে। এছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন রাশীদও মরণকামড় দিতে পারেন। তিনি এর আগেও উপজেলা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন ও চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই পরিচিত ও অবস্থান থেকে তিনি এগিয়ে আছেন। তাঁর আনারস প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতের জন্য নীরব ভাবে কাজ করছেন কর্মী-সমর্থকরা। সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে চারমুখি লড়াই হতে পারে। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচনে সাড়াই জাগাতে পারেননি। এভাবেই পৃথক পৃথক ভাবে আলাপকালে দলীয় নেতাকর্মী, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও ভোটাররা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। যদিও নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থী অংশ নেননি। তবে কোন দিকে যাচ্ছে তাদের সমর্থন।
এ নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। কারণ এর আগে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ আতাউর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাই বিএনপির শক্তিকেও খাঁটো করে দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচনী আলোচনায় ঘুরেফিরে চলে আসছে বিএনপির নাম। যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এদিকে-সাধারণ ভোটারদের একটাই প্রত্যাশা নির্বাচন যেন স্বচ্ছ হয়। জনতার ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়ে যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তিনি যেন গরীব মানুষের সাখে ভালো আচরণ করেন। কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ না হলেও যেন চেয়ারম্যানের ব্যবহারে মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাই জনরায়ে কে হচ্ছেন আগামী উপজেলা চেয়ারম্যান। কার গলায় পড়ছে বিজয়ের মালা। তা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী সহ দেশ/বিদেশে থাকা ভোটার ও স্বজনরা।
|
|
|
|
|
|
|