বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না: কাদের
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার সকালে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা(বিএনপি) গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
কাদের বলেন, বিএনপি জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরেবাংলাকে গ্রামবাংলার কৃষকরা কোনো দিনও ভুলতে পারবেন না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাস্বত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদখোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার সকালে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা(বিএনপি) গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
কাদের বলেন, বিএনপি জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরেবাংলাকে গ্রামবাংলার কৃষকরা কোনো দিনও ভুলতে পারবেন না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাস্বত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদখোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
আ.লীগ সরকারের অধীনে ধারাবাহিকভাবে সকল নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির পক্ষ থেকে এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে, দলটির নীতিগত এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ তৃণমূলের অনকে নেতা। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির ৪৯ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচন বর্জনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৮ জন। এর মধ্যে বিএনপির পদধারী নেতা ১৮ জন। বাকিরা বিএনপি নেতাদের আত্মীয়স্বজন ৯ জন ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা। বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। সেজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজেই দলের দায়িত্বশীল যারাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি মো. কামাল। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহ মোহাম্মদ শামীম হোসেন চৌধুরী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। সোমবার দুপুরে সরাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন (ডালিম), ভোলাহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ বাবর আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা দলের নেত্রী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহুয়া পারভীন লিপি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। তিনি নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। অপরদিকে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সরদার আফজাল হোসেন।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হাসনাত তারেক শেষদিনেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। এ ব্যাপারে আব্দুল হামিদ বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনের পূর্বেই আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার ও দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া। দুজনের মধ্যে কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার ও দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া জানান, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে তাদের সঙ্গে থাকবে বলে তারা আশাবাদী।
ময়মনসিংহের উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলকারী বিএনপি নেতা এমরান হাসান পল্লব প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। পল্লব ফুলপুর পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন।
এদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় টানা চতুর্থবারের মতো উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাছনা। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনি একক প্রার্থী ছিলেন। রাহেনা বেগম উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার জেলা মহিলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহা. কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেত্রী মোসা. রেশমাতুল আরস।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
জাতীয় নির্বাচনের পর এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। দলটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করবে তারা। সোমবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সোমবার রাত ১০টায় শুরু করে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষ হয় গভীর রাতে। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া, ইন্টারনেটের গতি স্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়।
বলা হয়, এরা একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতীজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আটক নেতাকর্মীদের তালিকা না দিতে পারলে বিএনপি মহাসচিবকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির ৬০ হাজার নেতাকর্মী জেলে দলটির নেতাদের এমন দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছিল (কারাবন্দি) ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কি করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা বৈশাখের চেতনাবিরোধী, তা আজ দেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য। তারা বাঙালির সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না। তাদের চেতনা ও হৃদয়ে পাকিস্তান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন জনগণের কল্যাণেই তিনি রাজনীতি করেছেন, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছেন। এখন যে তিনি অসুস্থ অবস্থায়, বন্দি অবস্থায় বলা যেতে পারে-সেটাও রাজনৈতিক কারণে আছেন। উনি এই কথাগুলোই বলেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ফিরোজার মূল ফটকের সামনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঈদের দিন তিনি (খালেদা জিয়া) আমাদের ডাকেন, আমরা কথা বলি। পুরোপুরি সৌজন্যমূলক কথাবার্তা। কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। তিনি তো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, দলের চেয়ারপারসন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা সব সময় বলে আসছি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত। মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। এ কথাটা এখনো জোর দিয়ে আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই।
খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির ৯ সিনিয়র নেতা। রাত আটটায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির আটজন সদস্য।
বিএনপি মহাসচিব ছাড়া অন্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ এবং তার স্ত্রীও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৯ বয়সি খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতাকর্মীসহ অন্যরা তার সাক্ষাৎ পান না।
|
|
|
|
সাজ্জাদ হোসেন, মুরাদনগর:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র প্রথম বৈঠক বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কুমিল্লার মুরাদনগরের এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার তাঁর বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানান। পরে তিনি সদ্য একনেক বৈঠকে পাশ হওয়া ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-বাঞ্ছারামপুর সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার তাগিদ দেন। একই সাথে তিনি মুরাদনগর উপজেলার জনস্বার্থে বাস্তবায়ন জরুরী অসমাপ্ত কাজগুলো সমাধান করার বিষয়টিও বৈঠকে তুলে ধরেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য ওবায়দুল কাদের, মো. মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, মো. আবু জাহির, সেখ সালাহউদ্দিন, আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও মোছা. নাছিমা জামান ববি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে পরিচিতি পর্ব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং অধিনস্থ বিভাগ ও দপ্তরগুলোর কার্যক্রম বিষয়ক সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। বৈঠকে আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে সড়ক পথে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়া ও ফেরত আসা নির্বিঘ্ন করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সচিব একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির চর্চা থাকবে কি থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র বুয়েট শিক্ষার্থীরাই নেবে বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন ছাত্ররাজনীতির আতুড়ঘর এবং গণতন্ত্র চর্চার তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাত ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগ গত পনের বছর ধরে এককভাবে মধুর ক্যান্টিন দখলে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্র চর্চার কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেয়।
তিনি বলেন, মধুর ক্যান্টিনে নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বুয়েটে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়া একটি প্রহসন। এর পেছনে রাজনীতি চর্চার কোনো উদ্দেশ্য নেই বরং বুয়েটের ক্যান্টিন, মেস, দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে টেন্ডারবাজি করতে না পারার হতাশা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছাত্রলীগ সমর্থক নগণ্য সংখ্যক বিপথগামী বুয়েটের শিক্ষার্থীর সহায়তায় ক্যাম্পাসে পুনরায় লুটপাট এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করার ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালু করার পদক্ষেপ বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এখন শঙ্কিত এই কারণে যে, ছাত্রলীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হলে তাদের পড়াশোনা এবং ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিং, গেস্টরুমে হাজিরা দিতে হবে। তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে। ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বিরাগভাজন হলে হল থেকে বিতাড়িত করা হতে পারে। বুয়েটের প্রতিটি শিক্ষার্থী আতঙ্কিত কারণ যেকোনো মুহূর্তে তাদের যে কারো জীবনে ছাত্রলীগের নির্যাতনে আবরারের মতো মর্মান্তিক পরিণতি নেমে আসতে পারে। ছাত্রলীগের উপস্থিতিতে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা এবং একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষতির আশঙ্কাকে আমরা অত্যন্ত যৌক্তিক মনে করছি। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক অধিকারের কথা বলে ছাত্রলীগ বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার যে কথা বলেছে তা একটি নিষ্ঠুর প্রতারণা। ছাত্র রাজনীতির নামে তারা ক্যাম্পাসে একক দখলদারিত্ব এবং ছাত্র নির্যাতনের টর্চার সেল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে ‘টোটালিটারিয়ান ভায়োলেন্ট অ্যাক্টিভিজম’ করছে। ক্যাম্পাসে ভায়োলেন্স এবং টর্চারকে ছাত্ররাজনীতি বলা যায় না। ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হলে সকল ক্যাম্পাসে এবং হলে সকল রাজনৈতিক রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা আবশ্যক।
তিনি বলেন, সংগঠনকে অবাধে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দিতে হবে। সকল শিক্ষার্থীকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু এসবের কোনো কিছু না করে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কেন্দ্ৰীয় নেতাদের সঙ্গে রাতের আঁধারে মিটিং করে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছে। ভবিষ্যতে বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হলে তার দায়দায়িত্ব ছাত্রলীগকে এবং বুয়েটের প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বুয়েটসহ দেশের সকল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং সহাবস্থান দাবী করছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন হিসেবে সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি চর্চায় বিশ্বাসী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের খেলা; একাত্তরেও এই খেলা চলেছিল। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুঃসময়ে, একাত্তরে পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা হলো ভারতের অপরাধ। সে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলে। রাজনীতির এই নোংরা খেলা পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে অশুভ খেলা—- ভারত বিরোধিতা, ঠিক একই অশুভ খেলা আবার শুরু হয়েছে। সব কিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন।
তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য যারা বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘরে, তাদের ড্রেসিং রুমে, তাদের শোবার ঘরে ভারত। এটা হলো বাস্তবতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ফ্রি স্টাইল নয়। কারো দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের দায় দল নেবে না। এক্ষেত্রে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যেসব দেয়াল আছে সেসব ভেঙে দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়ে দল দেখতে চায় কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কোনো মন্ত্রী এমপির অন্যায্য প্রভাব বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় দল। কোন বাধা মেনে নেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেছে। বিএনপি কী বলল না বলল এটা বিচার করে দেশের রাজনীতি চলবে না। তারা নির্বাচনে না গেলেও ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশিরাও এ বাস্তবতা বুঝতে পেরে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
আওয়ামী লীগ ও সরকার সঠিক পথে আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। দেশবাসীর বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপি পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও পাকিস্তানি কায়দায় ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে। জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। তারপরও বলে ভারত নির্বাচিত করেছে আমাদের। ভারত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতে সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে, সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।
বিএনপি অবাক করা দল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক নেতা বলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আপনারা সহযোগিতা করেছেন। আরেকজন বলে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন। এখন এই দলের নেতায় নেতায় মতের কোনো মিল নেই। মঈন খান বলে এক কথা, রিজভী বলে আরেক কথা। আবার সিঙ্গাপুর থেকে ফখরুল সাহেব বলেন আরেক কথা।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করবে দলটি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুদু, বিলকিস জাহান শিরিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবসের তিন দিনের কর্মসূচির প্রথম দিন ২৫ মার্চে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করা হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় সমাবেশ শেষ হবে। স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৭টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা করবেন নেতাকর্মীরা। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
পরের দিন ২৭ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করবে বিএনপি।
|
|
|
|
নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য একেএম শামীম ওসমান বুকে ব্যথার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সেখানে ভর্তির পর তার এনজিওগ্রাম করা হলে সবকিছু স্বাভাবিক পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়েছেন তার ছেলে অয়ন ওসমান। এদিকে শামীম ওসমানের সুস্থতা কামনায় সবার কাছে তার পরিবারের সদস্যরা দোয়া চেয়েছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ছবি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে নানান ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাফিজ বলেন, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা এ সংবাদে লক্ষ্য করেছি। ৭৯ বছর বয়স... আমার জীবন খোলা বই... গত ৩২ বছর ধররে বিএনপিতে। ৪ মাস পর এমন সংবাদ অবমাননাকর, মানহানিকর। জাতীয়তাবাদের পরিক্ষীত সৈনিক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সার্ভিস দিতে চাই। নিজে খেলোয়াড় ছিলাম বলে ক্রীড়াবিদদের প্রতি দুর্বলতা আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা, দেশে গণতন্ত্র নেই। নির্বাচনের সময় নানান কলাকৌশল গ্রহণ করে। যারা ক্ষমতায় থাকে বিরোধীদের ভাগিয়ে এনে প্রতিপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। এবারও নির্বাচনের আগে ‘কিংস পার্টি’ গজিয়ে ওঠে। সামরিকবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ৩-৪ জন কর্মকর্তা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরামর্শ দেয়। আমি বলেছি, সাধারণ মানুষ ছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যারা যোগাযোগ করেছে, তারা ধরে নিয়েছিল আমি বিএনপি ত্যাগ করতে উদগ্রীব।
হাফিজ বলেন, অবসরপ্রাপ্ত দুজন সামরিক কর্মকর্তা বিএনএম গঠন করে, সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে আসে। নির্বাচনের ৪-৫ মাস আগে আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সাকিব চলে যায়।
তিনি বলেন, বিএনএম-এ যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি যোগ দিইনি। এটা গোপন করার বিষয় না। সাকিব আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে, সহজে নির্বাচিত হতে নিজের পছন্দ বেছে নিয়েছে। বিএনএম-এর জন্য নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাইনি।
হাফিজ আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম লুকিয়ে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে নিতে বিএনএম-এর সঙ্গে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিজেদের উচ্চাশা চরিতার্থ না হওয়ায় হতাশায় ভুগে বিষেদগার করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে, খেজুরের বদলে বরই খাবার পরামর্শ দেয়নি।
এসময় নিজের সাম্প্রতিক কারাবাস প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, ১২ বছর আগের মামলায় ২১ মাস কারাদণ্ড! এটা কখনো কল্পনাও করিনি। মিথ্যা মামলায় কারাগারে যাওয়া ব্যথিত করেছে। আদালত থেকে ডিভিশন দেওয়া হলেও জেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন দেয়নি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হককে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।
দল আশা প্রকাশ করে, উল্লিখিত নেতারা দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শনিবার ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে সিট মহল বিনিময়ের ৬৮ বছরের যে সমস্যা তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততা করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন এটি সমীচীন নয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্তসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংসদে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ এনে বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোথাও ইলেকশন যেভাবেই হোক ফলাফল একটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল এবং শিট বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাপকভাবে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকলে জিএম কাদের হেসে বলেন, এটা নাও হতে পারে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে জিএম কাদের বিগত নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য শুরু করতেই অধিবেশন কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্যে এই হট্টগোল বাড়তে থাকে। সরকারি দলের সদস্যরা মাইক ছাড়াই নানা মন্তব্য করতে থাকেন। বিরোধী দল জাতীয় পাটির সদস্যরাও পাল্টা মন্তব্য করতে থাকেন। এই পরিস্থিতি সংসদ অধিবেশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের শান্ত হওয়ার জন্য একাধিকবার আহ্বান জানান। পরে জিএম কাদের বক্তব্য শেষ করেন।
এ সময় জিএম কাদের বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে তিন ধরনের ইলেকশন হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় সবগুলো সুষ্ঠু ইলেকশন হয়েছে। সেখানে কোনো ডিস্টার্বেন্স হয়নি। সাধারণত প্রতিযোগিতাহীন ইলেকশন হয়েছে। সেখানে কোনো শক্ত প্রার্থী ছিল না। সেখানে সরকারের সদিচ্ছা ছিল। শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে। তবে উপস্থিতি কম ছিল। আরেকটা হয়েছে ফ্রি স্টাইল। সেখানে মাসল পাওয়ার (পেশি শক্তি) এবং মানি অবাধে ব্যবহার করা হয়েছে। সেটার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় এখানে সরকারি দল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী বা আমাদের প্রার্থীদের বাধা দিয়েছে। আরেকটা ছিল ইলেকশন যেভাবেই হোক ফলাফল একটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল এবং শিট বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সব দল নির্বাচনে আসলে এবং বাধা ছাড়াই ভোট হলে ১৫ শতাংশ ভোট গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ সব বড় দল নির্বাচনে অংশ নিলে এই মুহূর্তে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো একটি দল না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কঠিন। এতে মানুষ ভোটি দিতে আসে না। তিনি আরো বলেন, যে প্রেক্ষাপটে ছিল তাতে ৪২ শতাংশ ভোট দিতে গেলে সব ভোটকেন্দ্রের সামনে ৮ ঘন্টা লাইন থাকার কথা। কিন্তু তা ছিল না। ..এসময় সংসদ সদস্যরা হইচই শুরু করেন। জিএম কাদের বলেন, অনেকে বলেছেন ঘণ্টায় তিন চারটার বেশি ভোট হয়নি। আমি আমার কথা বলছি না। ধারণার কথা বলছি।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈধ হিসাবে গণ্য করা যায়। আইন অনুযায়ী তা বৈধ হয়েছে। কেউ বেআইনি ঘোষণা করেনি। কিন্তু সিংহভাগ মানুষ মনে করে ভাল নির্বাচন হয়নি, সঠিকভাবে জনমতের প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করে না। আমি মনে করি আইন কানুন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। যারা দেখার কথা তারা এড়িয়ে গেছেন অনেক সময় লঙ্ঘনে সহায়তা করেছে।
|
|
|
|
|
|
|