|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জনগণ রাস্তায় নামলে আ.লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না: বুলু
জামিল আহমেদ : বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও কটুক্তির প্রতিবাদে প্রতিবাদ এক সভার আয়োজন করা হয়। সভাটি বুধবার সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের জনগণ রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের জনগণের কাছে এখন অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বড় বড় প্রকল্প অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলংকার দিকে তাকান, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দেশকে দেওলিয়া করেছে। এখন জনগণ রাস্তায় নামার কারণে তারা পালাবার পথ পাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, এদেশের জনগণ যখন রাস্তায় নামবে আপনারাও পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে সরকার যে অশ্লীন বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার শামিল। এই বক্তব্যের জন্য সরকারকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা এম এ হান্নান, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকলীগের আহ্বায়ক আরশাদুল আরিস ডল, কৃষক দলের কুটির ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন বেপারী, শরীয়তপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি বিএম হারুন-অর-রশিদ, জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নুরুল আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, ইউসুফ আলী মিঠু, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, শফিকুল ইসলাম সবুজ, মুসা ফরাজী, তোফায়েল হোসেন মৃধাসহ প্রমুখ।
|
জামিল আহমেদ : বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও কটুক্তির প্রতিবাদে প্রতিবাদ এক সভার আয়োজন করা হয়। সভাটি বুধবার সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের জনগণ রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের জনগণের কাছে এখন অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বড় বড় প্রকল্প অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলংকার দিকে তাকান, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দেশকে দেওলিয়া করেছে। এখন জনগণ রাস্তায় নামার কারণে তারা পালাবার পথ পাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, এদেশের জনগণ যখন রাস্তায় নামবে আপনারাও পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে সরকার যে অশ্লীন বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার শামিল। এই বক্তব্যের জন্য সরকারকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা এম এ হান্নান, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকলীগের আহ্বায়ক আরশাদুল আরিস ডল, কৃষক দলের কুটির ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন বেপারী, শরীয়তপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি বিএম হারুন-অর-রশিদ, জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নুরুল আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, ইউসুফ আলী মিঠু, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, শফিকুল ইসলাম সবুজ, মুসা ফরাজী, তোফায়েল হোসেন মৃধাসহ প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে, বললেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আশা করছি এই আলোচনার রেশ ধরে বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। সত্যিকার অর্থে অতি দ্রুত আন্দোলন নিয়ে জনগণের সামনে প্রস্তুত হতে পারব।
মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৫টার পর বৈঠক শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ আমি দুপুরের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেছি যে, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবার জন্য, দেশের মানুষের যে অধিকারগুলো হারিয়ে গেছে, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকবার অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার ও তাদের কল্যাণের অধিকার এই বিষয়গুলোকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি পার্লামেন্ট গঠন করার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছি একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজ দেশের মানুষ আশা করে আছে যে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একটা ঐক্যের মধ্যে দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একটা সফল কার্যকরী আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। সেই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এবং পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের সরকার এবং পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কথা বলেছি। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলব। অতি দ্রুত তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে আশা করছি একটা যৌথভাবে আন্দোলনের সূচনা করতে পারব। খুব শিগগিরই আমরা এই কাজটা করতে পারব।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আজ আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে একটা সরকার নিরপেক্ষ হবে। আলোচনা করেছি, নির্বাচন কমিশন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে একটি মতামতের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বলেছেন যে, একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। আরেকটি প্রধান বিষয় আছে, তাতে উনিও (মান্না )একমত হয়েছেন, তিনি বলেছেন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে, তার মুক্তি। শুধু আমরা নই, দেশের বেশিরভাগ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর যে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা এবং আটক করে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি ও মামলাগুলো প্রত্যাহার। এই যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে এগুলো বন্ধ করা।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে একটা আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা যা করা দরকার, তা নিয়ে বিস্তারিত না হলেও মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। একটি বিষয়ে আমরা একমত যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আমরা লড়াই করব। বৈঠকের শুরুতেই আমরা সেই বিষয়ে কথা বলেছি। এটাই ছিল আলোচনার ভিত্তি।
|
|
|
|
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফকে ফুলেল সংবর্ধনা জানালো ভাঙ্গা সদরপুর চরভদ্রাসন থানার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আলিপুরের হাসিবুল হাসান লাভলু সড়কের শেখ রাসেল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করে তারা ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ঝরনা হাসান, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদার, এডভোকেট কামাল উদ্দিন সাংগঠনিক সম্পাদক, উপ প্রচার-প্রচারণা প্রকাশনা সম্পাদক আনিসুর রহমান খান, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী, ভাংগা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাকলাইন কাজী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা থানার সাবেক সম্পাদক ফাইজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা, সদরপুর থানার পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেন সদরপুর থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফকির আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু আলম রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহেদীদ গামাল লিপু স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঠু।
এছাড়া চরভদ্রাসনের পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইসহাক মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন রুবেল।
অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এবং আগামী দিনে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
|
|
|
|
পিংকি আক্তার, রাঙ্গামাটি:
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গনে উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় সম্মেলনের।
জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে রাঙামাটি শহর। ছোট ছোট মিছিল করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট চত্বরে সমবেত হয়।
সমাবেশে ঢাকা থেকে ভিডিও বক্তব্যে রাখেন প্রধান অতিথি ও দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। বক্তব্যে পদ্মাসেতু, বিএনপিসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন।
জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে সারা দেশের মানুষ খুশি হলেও ফখরুল ও বিএনপি মুখে শ্রাবণের কালো মেঘ। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, যা কখনো সফল হবে না।
তিনি আরো বলেন, ভূমি সমস্যা ছাড়া পাহাড়ের সব সমস্যারই সমাধান হয়েছে। ভূমি সমস্যা সমাধান হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পাহাড়ে এখনো মাঝে মাঝে রক্তপাত দেখতে পাই, এসব বন্ধ করতে হবে। রক্তপাত ঘটিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না।
তিনি সমাবেশে উপস্থিত আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ স্বপনকে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক, পুরোনো ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীসহ সবাইকে সাথে নিয়ে নতুন একটি কমিটি উপহার দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
এর আগে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। বিকালের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
সমাবেশে কাউন্সিলররা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু একটাই কি হচ্ছে নতুন কমিটিতে ?
১০টি উপজেলা, দুইটি পৌরকমিটি এবং জেলা আওয়ামীলীগসহ ২৪৬ জন কাউন্সিরর এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার চাকমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী কামালউদ্দিন অংশ নিবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
|
|
|
|
আবু জাফর, পিরোজপুর : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের বাতিঘর। শেখ হাসিনা হচ্ছেন একজন মানুষ রূপে একজন মহামানবী। তিনি আছেন বিধায় আজকে বাংলাদেশে কোথাও নোঙ্গরখানা খুলতে হয় না, তিনি আছেন বিধায় একটা লোক না খেয়ে মারা যায় না। শেখ হাসিনার আমলে একজন মানুষও গৃহহীন মানুষ থাকবে না। তাদের জমিসহ পাকা দালান ঘর করে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালীতে এক উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাড়া অতীতে কেউ এরকম সহায়তা দেয় নি। তিনি সবাইকে স্বাবলম্বী করতে চান। তিনি চান একজন মানুষেরও যেন কষ্ট না থাকে, দারিদ্র্য না থাকে। তিনি পদ্মা সেতু, বেকুটিয়া সেতু মেট্রোরেল নির্মানসহ দেশের রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, আধুনিক মডেল মসজিদ নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করার পাশাপাশি দেশের মানুষের আর্থ সামজিক উন্নয়নে কাজ করে চলছেন। আজ দেশের রাস্তাঘাটে ভিক্ষুকের চাপ নেই। তিনি ভিক্ষুকদেরও পূর্নবাসনে প্রকল্প নিয়েছেন। প্রাস্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নিয়েছেন নানামূখী প্রকল্প।
স্থানীয় পুখরিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পুখরিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনায়েত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক এডভোকেট চন্ডিচরণ পাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ, কলাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. দিদারুজ্জামান শিমুল, কলাখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল ইসলাম মিষ্টার, টোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
মন্ত্রী এর আগে কলাখালী ইউনিয়নের দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ রাজারকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানেশ্বরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন, কলাখালী ইউপি থেকে রানীপুর ঘাট ভায়া ঘোপেরহাট এবং টোনা হাইস্কুল রাস্তার খালের উপর আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং হুলারহাট-নগরবাড়ি-লেবুবাড়ি সড়কের উদ্বোধন করেন।
|
|
|
|
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সাংবিধানিক সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন এবং নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেই নির্বাচনে যদি মনে করেন আপনারা (বিএনপি) নাও আসতে পারেন; ভোট কিন্তু ঠেকে থাকবে না।
রোববার (২২ মে) আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা।
আব্দুর রহমান বলেন, আজকে কেউ জাতীয় সরকারের ধারণা দিচ্ছেন, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, আবার কেউ ঘরে থেকেই বলছেন এই সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না! চারদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ওরা জানে না, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস।
আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ আইয়ুব খানের চোখ রাঙানি দেখেছে, ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনের অত্যাচার দেখেছে, ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে, ৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে তার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন করেছে। সেই আওয়ামী লীগকে চোখ রাঙিয়ে কোনো লাভ নেই। আমরা আগুনের কাছে জ্বলতে শিখেছি, জ্বালানোর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকারের ধারণা দিয়েছেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী কে হবে সেটাও বলে দিয়েছেন। তিনি যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন। তাদের একজনও যদি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিততে পারবেন না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, আমরা কেউ চাই না হাওয়া ভবনের মতো একটি ভবন তৈরি হোক। আমরা চাই না সেদিন যেমন মায়ের কোল খালি হয়েছিল। আবার নতুন কোনো মায়ের কোল খালি হোক। সেদিন যেমন অর্থ সম্পদ লুট হয়েছিল আমরা সেটা চাই না।
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ঘরে ঘরে কান্নার রোল ছিল। মা সন্তান হারিয়েছিল, পুকুরের মাছ, বাগানের গাছ, গোয়ালের গরু, কৃষকের ধান লুট হয়েছিল। নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে চুরমার করা হয়েছিল। আমরা সেই দিনটায় ফিরে যেতে চাই না। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এর আগে সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান। প্রথম অধিবেশনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহ্বায়াক সাত্তার শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি , জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার,অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি , তানভীর শাকিল জয় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ সূর্য, পৌর মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিনা বেগম স্বপ্না প্রমূখ।
সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যডঃ আব্দুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সজল এর নাম ঘোঘনা করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
|
|
|
|
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী কাটাখালী পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত নান্নু নব্য আওয়ামী সাজার চেষ্টা মরিয়া হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রত্যাশি তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের রাজশাহী কাটাখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সাদাত নান্নু এখন কাটাখালী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখন নব্য আওয়ামী সাজার চেষ্টায় মরিয়া। পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। একটি সুত্র নিশ্চিত করেন, সম্প্রতি পৌর আওয়ামী লীগের একটি পদ বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ইতিমধ্যে আবেদন করেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের মধ্যে চলে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীরা বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, ২০১০ সালে কাটাখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সাদাত নান্নু। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উক্ত কমিটি সভাপতি ও সাধারনণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঐ পদেই অধিষ্ঠিত আছেন। সেই সাথে সক্রিয় কাটাখালী পৌর বিএনপির সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন বলেন, বিএনপি থেকে এখন নান্নু কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রত্যাশি। যা নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। বর্তমান আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় সে বনে যাচ্ছে নব্য আওয়ামী লীগ। এরা আওয়ামী লীগের জন্য কতটা শুভকর হবেন তা নিয়েই প্রশ্ন। এ বিষয়ে কথা বললে কাটাখালী পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত নান্নু বলেন, আমি কোনদিন বিএনপি করিনি। আমি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখনো ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএনপির কমিটির যে কাগজ দেওয়া হয়েছে তা বানানো।
এ বিষয়ে কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম রিপন বলেন, আমার জানা মতে তিনি আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে নাই। তিনি কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পানি ঘোলা করে নির্বাচনে যাবে। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে বিএনপি। রবিবার (২২ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, চিৎকার করে লাভ নেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের বিকল্প নেই। বিএনপিকে বাঁকা পথ পরিহার করে সোজা পথে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কথায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে না। বিএনপি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল। তারা পদত্যাগ করবে। শেখ হাসিনা সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন হবে। এটা মেনেই নির্বাচনে আসতে হবে বিএনপিকে। যিনি বাংলাদেশের এত উন্নয়ন করেছেন তিনি কি পদত্যাগ করবেন? বিএনপি প্রতি প্রশ্ন কাদেরের। তিনি বলেন, আগুন-সন্ত্রাসের হোতা বিএনপি। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তারা। ঢাকায় বসে বসে নেতাগিরি করলে চলবে না।
মৎস্যজীবী লীগের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অকেজো মৎস্যজীবী লীগের স্বীকৃতি দেবে না আওয়ামী লীগ। সব কাজের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ থাকলে কখনো পথ হারাবে না। শেখ হাসিনা বিশ্বের সৎ প্রধানমন্ত্রী। সাহসী নেতা। শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। এ সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আবারও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানাম করছে বলে জানা যায়। শরীরের অন্যান্য প্যারামিটারও অবনতির দিকে। এসব পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে আবারও হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শরীরে তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কয়েক দিন পরপর জ্বর আসে একাধিক কারণে। লিভার ও কিডনির সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার জটিলতায় ভুগছেন। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি আর্থ্রাইটিসের জটিলতা থাকায় অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে হুইলচেয়ারে চলাচল করতে হয়।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান, গাজীপুর:
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গাজীপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। বিকালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং ১০ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ।
এর আগে সকাল ১১টায় ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও গাজীপুর ৩ আসনের ইকবাল হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ সাইদ খোকন, মো. ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, শামসুন নাহার ভূঁইয়া এমপি প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিনা ভোটের সরকার, রাতের ভোটচুরির সরকার কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না, যে–ই কথা বলে তাকেই আদালতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সবার আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। রিদওয়ান আহমেদ আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে এবং পরবর্তীতে থানায় আশ্রয় নিতে গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। এটা তো কোনো বিচার হতে পারে না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই। দখলবাজ, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়, সরকারকে পতনের মাধ্যমে এ দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণকে মুক্ত করতে হবে। আজ কারাগারভর্তি মানুষ। যারা কথা বলে তাদের কারাগারে ভরে দিচ্ছে এ সরকার। আমাদের অতিবিলম্বে সব জনগণকে নিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে এ দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’
সমাবেশে এলডিপির বক্তারা বলেন, সরকার ভোট চুরি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে সবাইকে হামলা-মামলা দিয়ে কথা বললে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনী দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাই। এ জন্য সাবেক মন্ত্রী রেদোয়ান আহমদেকে আটকে রেখেছে। রেদোয়ান আহমেদকে মুক্ত করে ঘরে ফেরার ঘোষণা দেন বক্তারা। তার জন্য প্রয়োজন হলে সবাই কারাগারে যেতেও প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তাঁরা।
৯ মে চান্দিনা পৌর ভবনের সামনের সড়কে চান্দিনা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রেদোয়ান আহমেদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেন ও গাড়িতে তরমুজের খোসা ছোড়েন। এ সময় রেদোয়ান আহমেদ তাঁর লাইসেন্স করা শটগান থেকে গুলি করেন। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় রেদোয়ানসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনের নামে চান্দিনা থানায় মামলা হয়। মামলার চার আসামি বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সূচক পর্য়ালোচনায় বর্তমান অর্থনীতিতে ‘অশনিসংকেত’ দেখছে বিএনপি। বুধবার (১৮ মে) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান যে অর্থনৈতিক অবস্থা যেটাকে আমি মনে করি এটা হচ্ছে এলার্মিং, এটা অশনিসংকেত আমাদের জন্য। অদূর ভবিষ্যতে আমরা যে শ্রীলংকার মতো বিপদে পড়তে পারি তার আশঙ্কাও আমাদের মধ্যে (স্থায়ী কমিটি) করা হয়েছে এবং সেই আশঙ্কা এখন আছে এবং এটাকে বাস্তবভিত্তিকই বলা যেতে পারে।
গত ১৬ মে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্য়ালোচনা করে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে তা সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আয়ে ঘাটতির কারণে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে। ঢাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জিনিসপত্রের দাম। মনে হচ্ছে আগামী দিনে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠবে। রিজার্ভ নিয়ে আত্মতুষ্টির কিছু নেই। এটি দ্রুত কমে আসছে। গত আট মাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলয়ন ডলার থেকে ৪২ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। পরের দুই মাসে এটা আরো ৪ বিলিয়ন ডলার কমে যাবে। এভাবে যদি রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাড়তে থাকে এবং সেটা যদি রেমিট্যান্স দিয়ে পুরণ করা না যায় তাহলে অতি দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ শেষ হয়ে যাবে। রিজার্ভ শেষ হওয়ায় কি ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে শ্রীলংকার চলমান পরিস্থিতি তার নিকৃষ্টতম উদাহরণ।
বাংলাদেশে এই মুহুর্তে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে মাত্র পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমদানি ব্যয় আমাদের বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। আমদানি যে হারে বেড়েছে, রপ্তানি যে হারে বাড়েনি। আবার প্রবাসী আয়ও কমে গেছে। ফলে প্রতি মাসে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ‘এলার্মিং’ অবস্থায় উল্লেখ করে অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক মির্জা ফখরুল বলেন, আইএমএফের সুপারিশ মোতাবেক সঠিক নিয়মে রিজার্ভ হিসাব করলে বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার। বাস্তবিকভাবে আইএমএফ প্রনীয় নিয়মে রিজার্ভ হিসাব করা হলে বাংলাদেশের হাতে আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে মাত্র সাড়ে তিন মাসের। যা একেবারেই অশনিসংকতে।
বর্তমান এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে বর্তমান বিভীষিকাময় অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার জন্য জবাবদিহিহীন এই অবৈধ সরকারই দায়ী। দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষকে বাঁচানোর জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এই মুহুর্তে সার্বজনীন ঐক্যের মাধ্যমে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে অনতিবিলম্বে এই সরকারকে হটানোর বিকল্প নাই।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
‘মূল্যস্ফীতি অসঙ্গতিপূর্ণ’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ডলারের দাম ১‘শ ছাড়িয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার ১৯৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক বানিজ্য এবং মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে। সরকার ৬ দশমিক ২২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কথা বলছে। কিন্তু এটি বাস্তবতার সঙ্গে আদৌ সংগতিপূর্ণ নয়।শহরের চেয়ে গ্রামের মূল্যস্ফীতি গ্রামে বেশি। খাদ্য বর্হিভূত পণ্যের চেয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেশি। অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ১২ শতাংশ। রিজার্ভ বিপদজনক লেভেলে চলে আসার কারণে টাকার দামও কমছে। সব কিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। ক্রেতা সাধারণের ত্রাহি অবস্থা। তার উপরে সরকারের দলীয় সিন্ডিকেটের তান্ডবে ইতিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে পাম, সয়াবীন তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। শুধু তাই নয়, ভরা ম্সৌুমে চালের দাম যেখানে সবসময় স্বাভাবিক নিয়মে তমে যায় সেখানে গত তিন দিনে অনেক বেড়ে গেছে।
মেগা প্রকল্প বন্ধের দাবি করে দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান গণস্বার্থ বিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ব্যক্তিগত অর্থের ঝোলা ভর্তি করতে অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করছে। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা এসব প্রকল্পকে জনগনের ঋণের বোঝা ভারী করার শ্বেত হস্তী প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারমধ্যে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্প, ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে যশোর ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি হয়ে কক্সবাজার ও ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অন্যতম।রাশিয়ার কাছ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মাত্র ২ হাজার ৪‘শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য রুপপুর প্রকল্পটি কার স্বার্থে বাস্তবায়ন হচ্ছে জনমনে প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। আমরা জানতে চাই, ২০১৫ সাল থেকে বাতসরিক কিস্তি ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার দিতে বাংলাদেশকে সুদাসলে কত অর্থ পরিশোধ করতে হবে তা জনগনকে জানানো হোক।
ঢাকা-যশোর-পায়রা পর্যন্ত নির্মনাধীন রেলপথ এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারি-কক্সবাজার, ঘুমধুম রেলপথ প্রকল্প দুইটি অর্থনৈতিক ‘ফিজিবিলিটি’ ভবিষ্যতে খুব লাভজনক নয় বিধায় এই প্রকল্প দুইট অনতিবিলম্বে বন্ধের দাবিও করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির বৈঠক বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বুলেট ট্রেন, দ্বিতীয় পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্প, পূর্বাচলে ১১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু বহুতল ভবন কমপ্লেক্স, শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তরজাতিক বিমান বন্দর, পাটুয়ারি-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, নোয়াখালী বিমানবন্দর, দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উতক্ষেপন প্রকল্প এবং ঢাকার বাইরে রাজধানী স্থানান্তর এ্ই ৮টি সরকারের সম্ভাব্য প্রকল্পকে ‘গ্ল্যামারাস’ প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করে এসব প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই মুহুর্তের বাস্তবতায় এই প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য বিবেচিত হতে পারে না তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ হবার দরকার নাই। অনতিবিলম্বে এসব প্রকল্প মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা হোক। তা নাহ।েল শ্রীলংকার ভাগ্য বরণের কোনো বিকল্প থাকবে না। মেগা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাঁচার্ এবং দেশকে বিদেশী ঋণ নির্ভর করে ফেলা হয়েছে বলেও দলের স্থায়ী কমিটি মনে করেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘স্যালেলাইট-১ প্রকল্প তিনবছরে কোনো আয় নেই’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ স্যাটেলাইট-১ তৈরি ও উতক্ষেপনে বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিলো। গত ৪ বছরেও কোনো অর্থ আয় করতে পারেনি। স্থায়ী কমিটি মনে করে কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও গ্ল্যামারস উন্নয়নের ডামাডোল বাজাতেই এই ধরনের অপরিনামধর্শী প্রকল্প গ্রহন করে দেশকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা হয়েছে। এক সাম্প্রতিক প্রেস স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে গত তিন বছরে ৩শ কোটি টাকা আয় হয়েছে অভ্যন্তরীন উতস্য থেকে। সবচেয়ে হতাশার কথা হচ্ছে, তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য এখন তারা দেশের ভেতরে নতুন কাজের ক্ষেত্রে বের করার চেষ্টা করছে। এর অর্থ হচ্ছে স্যাটেলাইট -১ থেকে অর্থ উপার্জনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পুত্র তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার স্বপ্ন এখন দেশবাসীর জন্য এক আর্থিক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বর্তমান স্যাটেলাইটের যখন এই হতাশ চিত্র তখন আরেকট স্যাটেলাইট প্রকল্প গ্রহনের পায়তারা চলছে।
স্যাটেলাইট প্রকল্পে অভিজ্ঞদের নিয়োগ না করে দলবাজদের নিয়ে এর কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয়টি তদন্তের দাবিও জানান তিনি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক মৎস্যজীবী লীগের কাউন্সিলরদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাজরিন গার্মেন্টসের মালিক দেলোয়ার হোসেন। মামলা চলমান অবস্থায় এ ধরনের পদ পাওয়া নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় কমিটি বলছে, বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবে।
চলমান মামলা থাকার পরেও এমন একজন ব্যক্তিকে পদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর বলেন, ‘মামলা তো অনেক জনের বিরুদ্ধে রয়েছে। ওনার একটা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, দুর্ঘটনা ঘটেছে, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।’
মৎস্যজীবী লীগ কি বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, এটা আমি বলিনি। এটা কোর্টের ব্যাপার। মামলা হয়েছে। এটা আমরাও শুনতেছি বিভিন্ন পর্যায় থেকে। বিভিন্ন পত্রিকায় আসতেছে। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করতেছি। কাউন্সিলররা চেয়েছে, চাওয়ার পরে এ ঘোষণার এসেছে। যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমরা যাচাই বাছাই করব।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দেশের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় অন্তত ১১১ জন।
দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের হতে না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তাজরীন গার্মেন্টেসের মালিক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার হন দেলোয়ার। কয়েক বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন তিনি। মামলা চলমান অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পদ পেয়েছেন তিনি। গত ১১ মে মৎস্যজীবী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পদে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
|
|
|
|
মোঃ আজমাইন মাহতাব :
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় ভাঙ্গিয়ে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা মনসুর আহমেদ এবং তার অন্যতম সহযোগীকে রাজধানীর পল্টন থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি ঐ সকল আগ্রহী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দেখাত।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মনসুর আহমেদ ও মো. মহসিন চৌধুরীকে (৫৫) গ্রেফতার করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র্যাব-৩।
এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দলিল ও ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার প্রতারণা সম্পর্কে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
বুধবার ১৮ মে বেলা ১১ টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রে ৫ থেকে ৭ জন সদস্য রয়েছে। চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার মুনসুর। চক্রটি বিগত প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করে আসছে। তারা প্রতারণার জন্য বিভিন্ন সময় নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করত।
র্যাব জানায়, প্রথমত তারা নতুন মোবাইল সীম কিনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে সেভ করত এবং নিজেরা ঐ ব্যক্তি সেজে নিজেদের প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যাটিং করত। চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন মোবাইল নম্বর চক্রের মূলহোতা ও সহযোগীর মোবাইলে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম ও ছবি দিয়ে সেভ করে।
খন্দকার মঈন বলেন, পরবর্তীতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার ব্যপারে চ্যাটিং করে। এই চ্যাটিং কন্টেন্ট তারা এমনভাবে তৈরি করে যাতে যেকোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনে করে তারা এর আগেও অনেক কাজ অর্থের বিনিময়ে পাইয়ে দিয়েছে এবং তাদের বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সাথে খুবই সু-সম্পর্ক রয়েছে।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, এই চক্রের একজন সদস্য তথাকথিত সাইফুল বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে। যে নিজেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারী পরিচয় দিত এবং সেখানে বসে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিত বলে গ্রেফতাররা জানায়। নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমান করার জন্য তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি ঐ সকল আগ্রহী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দেখাত।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, গ্রেফতাররা নিজেদের কোম্পানীকে প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য হিসেবে উপস্থাপন করার লক্ষে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাত। তারা কোন অফিসে মিটিং এর সময় বেশভূষা পরিবর্তন করে দামী গাড়ি ও বডিগার্ড নিয়ে নিজেদের উপস্থাপন করত। নিজেদেরকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করার জন্য তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য ভ্রমণ করেছেন বলেও বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করত।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব আরও জানায়, তারা সরকারি কোন চলমান প্রকল্প সমূহের কাজ পাওয়ার যোগ্য এমন সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করত এবং তাদেরকে ১০% কমিশনের বিনিময়ে ঐ কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখাত। তারা নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমানের জন্য তাদের আগে থেকে নির্ধারিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে তাদের ভাড়া করা অফিসে মিটিং করত। অথবা নিজেরা ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অফিসে যেত। সেখানে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের যোগাযোগ আছে বলে মিথ্যা রেফারেন্স ব্যবহার করত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত চক্রের আরেক সদস্য সাইফুল নিজেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারণা করত এবং নিজেকে ঐ রাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী অফিসে কর্মরত বলেও পরিচয় দিত। খন্দকার মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিশ্বাসযোগ্যতা অধিকতর প্রমাণের জন্য চলমান সরকারি প্রকল্প সমূহে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছে বলে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করত যারা ইতোমধ্যে চলমান কোন সরকারি প্রকল্পের কাজ পেয়েছে। এক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে করা ভুয়া চুক্তিপত্র, ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাত।
এভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রটি বর্তমানে তিতাস নদী ড্রেজিং, আড়িয়াল খাঁ নদী ড্রেজিং ও নদীর তীর রক্ষা বাধ প্রকল্প, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের সংস্কার কাজ, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি অফিস কনস্ট্রাকশনের কাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশনের কাজসহ প্রভৃতি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণার পরিকল্পনা করছিল।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক ডেস্ক দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এখনই জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্টজনদের নাম উল্লেখ করে জাতীয় সরকারের একটি ফর্মুলা উপস্থাপন করেছেন তিনি । সেখানে ‘পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী’ হিসেবে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের নাম উল্লেখ করা রয়েছে।
তবে তার এই জাতীয় সরকারের প্রস্তাব সম্পুর্ন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে দলের সিদ্ধান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে প্রস্তাব করেছেন, সেটা তার কল্পনাপ্রসূত। এর সঙ্গে তার কোনো রকম সম্পর্ক নেই।
এছাড়া নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে থাকা বা না থাকা বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার সাথে কোনো রকম যোগাযোগ করেনি বলে জানান শামা ওবায়েদ। গণমাধ্যম থেকে এই প্রস্তাবের কথা জেনেছেন জানিয়ে সোমবার রাতে শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার কনসেপ্টে বিশ্বাস করে না।
বিষয়টি আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরো স্পষ্ট করেছেন। তা হচ্ছে- প্রথমত, রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবি আদায় করা হবে।
এই ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি অবদান রাখবে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে বিএনপি তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে। তিনি আরো বলেন, দলের অবস্থানই হচ্ছে আমার অবস্থান। এর ব্যতিক্রম নয়।
|
|
|
|
মাসুম তালুকদার: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী লং মার্চ উপলক্ষে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ করে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস জাতীয় কমিটি। মানববন্ধন ও সমাবেশের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ত্যাগী নেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর লংমার্চ। স্বাধীন বাংলাদেশের এই স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী আজীবন জাতীয় স্বার্থে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিপীড়িত গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। সর্বদাই তার রাজনীতি ছিল দেশ ও জাতির কল্যাণে। ফারাক্কায় অবরুদ্ধ পদ্মা নদীকে প্রবাহমান রাখার মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই তিনি ১৯৭৬ সালে তার নেতৃত্বে সংগঠিত করেছিলেন “ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ’’। সে সময় তিনি গণমানুষের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের পালস বুঝতে পেরেছিলেন। যার করণে জনসাধারণকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন, ‘শিশুর যেমন মায়ের দুধে অধিকার আছে, তেমনি পানির উপর তোমাদেরও অধিকার আছে। তোমরা জাগ্রত হও, জেগে ওঠো, তোমাদের প্রকৃতি প্রদত্ত শ্বাশত অধিকার যারা হরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।’ আজ থেকে প্রায় অর্ধশত বছর আগেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাংলার মানুষ ধীরে ধীরে পানির অধিকার খেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই কারণেই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ফুঁসে উঠেছিলেন।
উক্ত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস জাতীয় কমিটির আহবায়ক ডক্টর শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ। প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএলডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক ধর্ম ও পানিসম্পদ মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, গণআজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মোফাস্সির অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দিদারুল ভূইয়া, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান মির্জা আজম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টির চেয়ারম্যান ইয়াসির আকতার, বাংলাদেশ বেকার সমাজ বাবেস এর চেয়ারম্যান মোঃ হাসান হোসেন, বিএনডিপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম তাহের, তৃণমূল বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুকসানা আমিন সুরমা। এছাড়াও মানববন্ধন ও সমাবেশে দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী, শিক্ষাবীদ, সমাজ কর্মী, পেশাজিবী সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|