নির্বাচন পর্যন্ত সকল মামলা স্থগিত রাখার দাবি বিএনপির
স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।
মঙ্গলবার (৩০ মে) নয়াপল্টনে তাৎক্ষণিক ডাকা সমাবেশে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে নিলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। সরকার ফরমায়েশি মামলার রায় দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতে চায় বলে এসময় মন্তব্য করেন নেতারা।
এদিন বিকালে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে শেষে এসব কথা বলেন সালাম।
আরও পড়ুন : আমানের ১৩ ও টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল
এদিন দুপুরে পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।
রায়ে আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।
|
স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।
মঙ্গলবার (৩০ মে) নয়াপল্টনে তাৎক্ষণিক ডাকা সমাবেশে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে নিলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। সরকার ফরমায়েশি মামলার রায় দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতে চায় বলে এসময় মন্তব্য করেন নেতারা।
এদিন বিকালে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে শেষে এসব কথা বলেন সালাম।
আরও পড়ুন : আমানের ১৩ ও টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল
এদিন দুপুরে পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।
রায়ে আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু গ্রন্থিত ‘স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
৩৯২ পৃষ্ঠার এ বইটির ২৩টি অধ্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন দিক বিধৃত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, তিনটি শিল্প বিপ্লব থেকে আমরা বহু বছর পিছিয়ে ছিলাম কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণা থেকে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, রবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এগুলোর সঙ্গে অত্যন্ত ঠিক সময়ে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। ঠিক এজন্যই আমরা ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়েছিলাম, মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম’।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুবিধার উদাহরণ তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর যখন সমগ্র পৃথিবীর জনজীবন থমকে গিয়েছিল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে গিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ থমকে যায়নি, সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ সবকিছু চালু ছিল।
তিনি বলেন, সেই কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ধ্বন্যাত্মক জিডিপি অর্জনকারী ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। সেই অর্থবছরেই আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি। নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপে করোনা মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশ্বে আমরা পঞ্চম, উপমহাদেশে প্রথম। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এবং প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের কাছেও ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছার ফলেই এগুলো সম্ভবপর হয়েছে।
গ্রন্থকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বতোভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যে নতুন ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই সেটি হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট ব্যবসা দরকার। সেই চারটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর গ্রন্থটির রচয়িতা অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।
একই সঙ্গে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় নিজেকে একজন নাগরিক হিসেবে তুলে ধরে বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ নিজের জন্য, খ্যাতির জন্য, বিত্তের জন্য ছুটছে, কোনো ফুরসত নাই। এতে করে মানুষের মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, মমত্ববোধ যেন হারিয়ে না যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের গুণ হারিয়ে যাচ্ছে। দেশ, সমাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধগুলো যেন টিকে থাকে এবং আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায় সে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
গ্রন্থকার ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, ঢাবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। আমাদের দাবি তাদের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এই অবস্থান থেকে এক মুহূর্তের জন্য আমরা সরে দাঁড়াব না।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে এবং দোয়া করতে আসেন দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের পরাজিত করার জন্য সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের ভোট অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আজ সেই সময়ে আমরা এই মহান নেতার শাহাদাত বার্ষিকী পালন করছি। আমাদের সমগ্র জাতির কাছে তা প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যখন দেশ রাজনৈতিক ব্যর্থতায় চলছিল, তখন এই মহান মুক্তিযোদ্ধা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়ার তিনি পুরো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, তার সহধর্মিণী গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে এই সরকার। তার সন্তান তারেক রহমান আজ প্রবাসে নির্বাচিত জীবনযাপন করছেন। ৩৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে তাদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের এই নেতার শাহাদাত বার্ষিকী নতুন করে প্রেরণা যোগাবে। নতুন করে শপথ নিয়েছি, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।
সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই শপথ এখান থেকে নিয়েছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, মামলাগুলোর রায়ে বোঝা যায়, সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমাদেরকে দমন করতে চায়। তারা নানাভাবে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। এ আন্দোলনে এক দিনের নয়, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছি। ফরমায়েশি রায় দিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আদায় করবে।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, এই দেশে যে নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজমান তার আরেকটা প্রমাণ যে বিএনপি কোনোরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সভা সমাবেশ করে চলেছে। তাদের রাজনৈতিক অধিকার তারা চর্চা করছে।
আজ মঙ্গলবার বরিশালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, `আমাদের কিন্তু সমাবেশ করতে দেওয়া হত না। এমনকি আমাদের সমাবেশে পুলিশের লাঠি চার্জ করা ছিল নিত্ত-নৈমিত্তিক ব্যাপার। যারা ২১ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে বোমা মেরে ২৫ জন বিরোধী মতাদর্শের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে তারা আবার সমাবেশ করার অধিকারের কথা বলে কোন মুখে বুঝি না। কাজেই এই বরিশাল নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই নির্বাচন শুধু একটা গতি, একটা সময় নির্ধারণ করবে না, একটা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বরিশালের এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। `
তিনি আরো বলেন, `এই নির্বাচনটা এমন একটা সময় হচ্ছে, মাত্র ৬ মাস পর জাতীয় নির্বাচন। বরিশালের এই নির্বাচনে নৌকার জয় জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে। তাই আমরা বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখছি। নির্বাচনী প্রচারণা কমিটিতে যাদেরকে রাখা হয়নি তাদের উদ্দেশে বিনয়ের সাথে বলব, মান অভিমান ভুলে গিয়ে, আপনারা দয়া করে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন। আপনাদের কাছে আমার বিনীত এবং হাত জোর করে অনুরোধ করছি, আপনারা সবাই নিঃস্বার্থভাবে এবং নিঃশর্তভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করেন।`
`রাজনীতিতে আনুগত্য ও শৃঙ্খলা একটা বিরাট ব্যাপার` উল্লেখ করে শেখ পরশ বলেন, `আমাদের আনুগত্য নৌকার প্রতি। নৌকা কিসের প্রতীক? নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, নৌকা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। নৌকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। নৌকা আমাদের অনুভূতিরও প্রতীক। কারণ নৌকা আমাদের ভালোবাসার নাম। নৌকার সম্মান রাখার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই নির্বাচনে আমাদের নৌকার মান সমুন্নত রাখার শপথ নিতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থ বা আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থ ভুলে এখন আমাদের নৌকাকে তুলে ধরতে হবে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা এই নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।`
তিনি বলেন, `আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নৌকার সম্মান রাখতে পারে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি যে, অন্ততপক্ষে এই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবার পর থেকে সকল নির্বাচনই অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়ে চলেছে। আগামীর নির্বাচন আরো সুষ্ঠু এবং কঠিন নির্বাচন হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয়। বিশেষ করে সাম্প্রতিক নির্বাচনসমূহ তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। সুতরাং আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা না, যারা নির্বাচন প্রত্যাহার করে, নির্বাচনের দিন হরতাল-অবরোধ ডাকে, নির্বাচনের দিন জনগণকে ভয়-ভীতি দেখায়, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রের শত্রু, সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা।`
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, `আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত একজন সজ্জন মানুষ। এদেশের ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ, বৃদ্ধ-বনিতা সকলের কাছে জনপ্রিয় একজন মানুষ। তার জনপ্রিয়তার ধারে কাছে এই বরিশাল নগরীতে কেউ নেই।`
তিনি আরো বলেন, `আমরা ঘরে বাহিরে এক ও অভিন্ন। আমাদের সকল নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন। আমরা গাজীপুরের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আমরা জনগণের ভোটে হারি নাই। আমরা ষড়যন্ত্রের কাছে হেরেছি। গাজীপুর সিটি নির্বাচন থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নতুন করে কৌশল করে সামনের নির্বাচনগুলোতে কাজ করব। গাজীপুরের নির্বাচনে আমাদের কোনো ক্ষতি হয় নাই। আমাদের ক্ষতি হয়েছে আমরা একজন মেয়রকে হারিয়েছি। কাজেই আমরা গাজীপুর থেকে শিক্ষা নিয়েছি। গাজীপুরের পুনরাবৃত্তি আর অন্যান্য সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে হবে না বলে বিশ্বাস করি।`
`আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন নিয়ে বরিশালে কাজ করছি` উল্লেখ করে তিনি বলেন, `আমাদের উদ্দেশ্য হলো বরিশালের মানুষের কল্যাণ করা, বরিশাল সিটির উন্নয়ন করা, জাতির পিতার বাংলাদেশে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোন দুর্বৃত্তদের জায়গা নাই। আমরা শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। এটাই হোক আমাদের শপথ।`
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, `পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ সুসংগঠিত হবে এবং শক্তিশালী হবে। যে কর্মযজ্ঞ দেশরত্ম শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শুরু করেছেন সেই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ থেকে বরিশাল বঞ্চিত। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আধুনিক, উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বরিশাল সিটি গঠনের লক্ষ্যে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে পাঠিয়েছেন। যুবলীগ এমন একটি সংগঠন যেটা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে পারবে। আমাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা।`
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. এ কে এম জাহাঙ্গীর, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনূস। সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাকরির বয়সের সীমা ৩৫ বছর করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, পৃথিবীর ১৬২টি দেশে চাকরির আবেদনের সময়সীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। বয়সই বড় কথা নয় যোগ্যতাই বড় কথা। এই সময়সীমা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লেখাপড়া শেষ করতেই ২৮ বছর অতিবাহিত হয়ে যায়, কত কষ্টে লেখাপড়া করে চাকরি না পেয়ে ৩০ বছর চলে যাওয়ার পর মনের দুঃখে হতাশ হয়ে সার্টিফিকেট জালিয়ে ফেলে দেয় যা অত্যন্ত দুঃখের এবং আমাদের অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করে।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার হার বেড়েছে। ছেলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে কিন্তু বেকারত্ব আরও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এই বেকারত্ব দূর করতে হলে শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক ধারায় শিক্ষিত করলে চলবে না। কারিগরি শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা কোর্স দিয়ে শিক্ষিত করলে হবে না। কারিগরি শিক্ষার জন্য উচ্চতর শিক্ষারদ্বার উন্মোচন করতে হবে। প্রতিটি সরকারি বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অবিলম্বে কারিগরি শিক্ষার বিষয়গুলো চালু করা হোক।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বিবেচনা করা যায় না। কারণ একটি বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার ছেলে-মেয়েদের চাকরি হয়। দেশে বেকার যুবকদের সংখ্যা আছে ২৬ লক্ষের ওপরে। তাদের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান।
মঙ্গলবার (৩০ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐ সব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। এ কারণেই, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই মনে করেন নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছেন। এতে অন্যকোন দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই। সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের রাজনীতিতে বিদেশিদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায়, আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। সেই সুযোগটা আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মিমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।
তিনি বলেন, জবাবদিহিতা মূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃংখল ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরি হয় তখন কোন গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশিরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করতো না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারতো না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : বাংলাদেশ সরকারের রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক।
মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো অগ্রগতি ও সফলতায় বিএনপির গাত্রদাহের বহিঃপ্রকাশ মির্জা ফখরুলদের নেতিবাচক বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বারবার উন্মোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল যারা বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, যারা সরকারের বিরোধিতা করতে যেয়ে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চায়। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবরে বিএনপি নেতারা খুশি নয়।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বের কল্যাণে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল।
আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এমনকী কানাডার উচ্চ আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অতীত অপকর্ম নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অনুরূপভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এটাই শেখ হাসিনার সরকারের সংকল্প।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন বানচাল এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে ব্যাহত করতেই দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে অগ্রসরমান উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
আটকের দুই ঘণ্টা পর জামায়াতের আইনজীবীদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার।
এর আগে আগামী ৫ জুন ঢাকায় বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী; তার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে গিয়ে পুলিশ কার্যালয়ে দুই ঘণ্টা আটক ছিলেন দলটির চারজন আইনজীবী।
তাদের আটকে রাখা হয়েছিল বলে শুরুতে জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের ভাষ্য, আবেদন গ্রহণের আগে তাদের পরিচয় যাচাই করা হয়েছিল।
জামায়াতের চিঠি নিয়ে সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুর রহমান, গোলাম রহমান ভুইয়া, আব্দুল বাতেন ও জালাল উদ্দীন ভুইয়া।
বিকাল ৪টার দিকে তারা ডিএমপি কমিশনারের দপ্তরে গেলে তাদের আটক করে রমনা থানায় সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন।
জামায়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ডিএমপি কার্যালয়ে স্ব-শরীরে আবেদন জমা দিতে গেলে জামায়াতের প্রতিনিধি দলকে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে এডিসি হারুন অর রশিদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের নেতৃত্বে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের নেতা আশরাফুল আলম ইমন বিকাল ৫টার দিকে বলেন, ‘বিকাল থেকে তাদের আটকে রাখা হয়েছে সেখানে।’
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার সালমান ফারসি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় ‘যাচাই-বাছাই’ করা হচ্ছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করার পর আবেদন রেখে ওই চারজনকে ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জামায়াতের বিভিন্ন নেতার নামে নানা মামলা রয়েছে। যারা এসেছিলেন, তারা কোনো মামলার আসামি কি না, তাদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। পরে তাদের আবেদন রেখে দেওয়া হয়। এরপর তারা চলে যান।
আগামী ৫ জুন বিকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় জামায়াত। সেই কর্মসূচি পালনে সহায়তা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলেও আবেদন পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মেরিকার থেকে রেমিট্যান্সের নামে পাচার হওয়া অর্থ দেশে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেছেন, ইদানীং আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্সের নামে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আসছে। বিভিন্ন পত্রিকা লিখছে এটা। পাচার পাওয়া অর্থ তারা দেশে ফিরিয়ে আনছেন। কারণ, এই সরকারি কর্মকর্তারা যদি তাদের বউ-বাচ্চা নিয়ে আমেরিকায় না যেতে পারেন তাহলে এই টাকা সেখানে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। এ কারণে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আসা বেড়ে গেছে।
সোমবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানবন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তেল- গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
এর আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল - ঢাকা মহানগর উত্তর।
মানববন্ধনে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ কিছুতেই স্বীকার করবে না যে তারা খারাপ আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা স্বীকার করেছে। তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন আমেরিকা চাইলে বাংলাদেশের ক্ষমতাকে ওলটপালট করতে পারে। অর্থাৎ ৩ তারিখে ভিসানীতি সরকারের নলেজে আনার পরে সরকারের হুঁশ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সম্পর্কে দুদু বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটা ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন। এই ভিসানীতি সরকারকে পাঠিয়েছিল অনেক আগেই, ৩ মে। কিন্তু সরকার প্রকাশ করেছে দুই-তিনদিন আগে। আমি বলব, এটা সরকার প্রকাশ করেনি। আমেরিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করার পর আমরা জানতে পেরেছি। আমেরিকান সরকার একমাত্র বাংলাদেশের জন্যই এই নতুন ভিসানীতি তৈরি করেছে।
প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে সরকার এমন মন্তব্য করে দুদু বলেন, ভোটের ব্যাপারে যদি একটু এদিক সেদিক হয় তাহলে তাদের (প্রশাসনের) সন্তানরা যারা নিজের যোগ্যতায় ভিসা পেয়ে সেখানে পড়াশোনা করছেন সে সন্তানদের দেশে ফেরত আসতে হবে। কারণ তাদের বাবা- মায়েরা সরকারের পক্ষ নিয়ে ভোটের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন সে জন্য।
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট আওয়ামী লীগ সরকারকে মহাবিপদে ফেলে দিতে পারে বলে এমন মন্তব্য করেন ছাত্রদলের এ সাবেক সভাপতি।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আপনাকে (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিপদে ফেলতে চাই না। আপনারা সসম্মানে যেন প্রস্থান করতে পারেন এবং মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করতে পারেন সে সুযোগ আমরা দিতে চাই। আমাদের দাবি ১০ দফা। আর মানুষকে মানুষের মতন বাঁচার সুযোগ দেবার জন্য আপনি পদত্যাগ করেন। তা না হলে যে আন্দোলনের মুখোমুখি আপনি হবেন গত ৫২ বছরে এমন আন্দোলন কেউ কখনো দেখেনি।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গত ৫২ বছরের মধ্যে বর্তমান সরকার দেশকে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে নিয়ে গেছে। সরকার ভয়ংকরভাবে স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে। মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছে। দেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে নিয়ে গেছে। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। এই পার্লামেন্ট তথাকথিত নিশি রাতের পার্লামেন্ট। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এই কাজগুলো ছাড়া দেশে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা কাটবে না। এই রাজনৈতিক সংকট ভয়ংকর সংকট। রাজনৈতিক সংকট ঘূর্ণিঝড় বা কালবৈশাখি থেকে তীব্র হতে পারে।
গত ৫২ বছরের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে দুদু বলেন, আজ আদার দাম ৫০০ টাকা কেজি। বিএনপির সময় যা ২০-৩০ টাকার বেশি ছিল না। বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি মোটা চাল যা বেগম জিয়ার সময় এটা ছিল ১৬ টাকা। শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন ক্ষমতায় আসলে তিনি ১০ টাকা কেজি মোটা চাল খাওয়াবেন। ১০ টাকার সে চাল এখন পাওয়া যায় না। বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকার কমে কোনো মোটা চাল নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম ৩০০ থেকে ৫০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দ্রব্যমূল্যের দাম ততদিন বাড়তে থাকবে।
মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. মেজবাহ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি সালাউদ্দিন খান পিপিএম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির জন্য একটি চাপ সৃষ্টি করেছে, তারা চাপের মুখে পড়েছে। তারা এখন আর নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমেরিকার স্টেট অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। মার্কিন ভিসা নীতির কারণে বিএনপি নির্বাচন প্রতিহতের নামে আর সহিংসতা করতে পারবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ভিসা নীতি শুধু বাংলাদেশের জন্য দেওয়া হয়নি, অনেক দেশের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে সবারটা প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশেরটা প্রকাশ করা হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করার সময় যে প্রেস ব্রিফিং করা হয় সেখানে তারা বলেছেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সেটির জন্য সহায়ক হিসেবে তারা এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। ’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতিতে যেটা বলেছে, এটি সরকারি দল, বিরোধী দল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। নির্বাচন বর্জন করার অর্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। আর নির্বাচন প্রতিহত করার অর্থ সংঘাত তৈরি করা। এগুলো তো আর বিএনপি করতে পারবে না। সব মিলিয়ে এটি বিএনপির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে। ’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনকালে বা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই তো বিএনপি নানা ধরণের কর্মসূচি দেয় এবং তাদের উদ্দেশ্যেও সেটি করা। আমি মনে করি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এটার প্রেক্ষিতে তাদের সেগুলো করার সুযোগটা অনেক কমে গেছে। তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে। ’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মার্কিন এই ভিসা নীতি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, অনেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারা বলেছে যে, এটি প্রায় সবদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনোটা ঘোষণা করা হয়েছে, কোনোটা ঘোষণা করা হয়নি। ’
সোমবার থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিএনপির নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এই কর্মসূচি গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর আবার কিছুক্ষণ ভাংচুর করে, কিছুক্ষণ গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। এখন হয়তো তারা বসার কর্মসূচি না দিয়ে হাঁটা কিম্বা দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে। ’
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া মিডিয়া সামিটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও’র কর্ণধাররা সময়োপযোগী এ সম্মেলন যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আমার উপস্থাপিত বিষয়গুলোই সম্মেলনের মূল ঘোষণাপত্রে এসেছে। ’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার উপস্থাপনায় মূলত আমি বলেছি যে, গত ১০-১৫ বছরে পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্ফোরণের কারণে আমাদের জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে, যোগাযোগের অবারিত সুযোগের পাশাপাশি অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে ফেইক নিউজ তৈরি ও পরিবেশন করা হয়, সে কারণে রাষ্ট্রে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। এবং সাধারণ মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদ আর মূলধারার মিডিয়ার সংবাদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। সে কারণে নানা সংকট, গুজব তৈরি হয়, সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা হয়। এ বিষয়গুলোর দিকে তীক্ষ্ণ নজর দেওয়া এবং বৈশ্বিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করার বিষয়টি ‘বালি ঘোষণা’য় এসেছে। ’
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী ৫ জুনের কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রতিনিধি দলকে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
সোমাবার (২৯ মে) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, জামায়াতের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট জালাল উদ্দীন ভুইয়া প্রমুখ।
এডিসি হারুণের নেতৃত্বে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
স্বাধীণ বাংলা রিপোর্ট :
পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই ১৪ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের উন্নয়ন করেছেন। এই সময়ে প্রচুর উন্নয়নমূলক হয়েছে। বারবারই প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২৭ মে) শরীয়তপুরের সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়ায় প্রায় পাঁচশ বায়ান্ন(৫৫২) কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর ঘেঁষে সুরেশ্বর চরমোহন থেকে উত্তর তারাবুনিয়ার শেষ সীমান্ত পর্যন্ত বহুল প্রত্যাশিত সোনার বাংলা এভিনিউয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। আর সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। গত ৪ বছর আগে শরীয়তপুরের নড়িয়া ছিলো ভাঙন কবলিত জনপদ। পদ্মার সেই ভাঙন কবলিত এলাকা এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জয় বাংলা এভিনিউ হয়েছে। তেমনি এই এলাকায় সোনার বাংলা এভিনিউ যথা সময়ে পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিবে।
উপ-মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে শরীয়তপুরকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ জেলায় রূপান্তরিত করতে কাজ করে চলছি। শরীয়তপুরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ অবকাঠামোগত সকল উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর। শরীয়তপুরে ফোর লেনের কাজও এগিয়ে চলছে। শরীয়তপুরে রেল লাইন হচ্ছে। শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন হয়েছে। মেঘনা সেতুও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নড়িয়ায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে। তাই বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা ও নৌকার প্রশ্নে কোনো আপোস করা যাবে না।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিমাঞ্চল) মো. রমজান আলী প্রামাণিক, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চল) আব্দুল হেকিম। বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার প্রমূখ।
|
|
|
|
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ আজকে কোন রাজনৈতিক দল নেই,এরা বিক্রি হয়ে গেছে অফিসারদের কাছে,পুলিশের কাছে,দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর কাছে। এদের কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত নেই। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদেরকে বলীয়ান করেছে,শক্তিশালী করেছে,ইমানদার করেছে। এই জন্যই আমাদের আগামী নির্বাচনে জয় হবে। তাদের পরাজয় হতে বাধ্য। অপশক্তি,দুর্নীতিবাজ কর্তৃত্ব পরায়ন কোন দিন জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারেনা।
শনিবার (২৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানী,আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে নোয়াখালী প্রেসক্লাব সড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতিমালা এসেছে। তারা বারবার বলার পরও সরকার তাদের কথা শুনছেনা। সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মিকে গ্রেফতার করছে,নিপীড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে। গুম, খুন,মিথ্যা মামলা বন্ধ হচ্ছেনা। সুতারাং সাত মাস আগে সেকশন দিয়েছে সুবোধ বালকের মত ব্যবহার করার জন্য। ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য সাত মাস আগে সেকশন দিয়েছে আমেরিকা। যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ নির্দিদায় নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তারা যাতে নির্বিঘ্নে সভা সমাবেশ করতে পারে। সরকার যেন বাক স্বাধীনতা বন্ধ করতে না পারে। গণমাধ্যমের বাক স্বাধীনতা,সুশীল সমাজের বাক স্বাধীনতা,বিরোধী দলের বাক স্বাধীনতা বন্ধ করতে না পারে। যাতে করে প্রত্যেকটি ভোটার মুক্ত পরিবেশে রাস্তায় থেকে তার নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
আমির খসরু আরও বলেন, আমেরিকার সেকশন প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী আবোল তাবোল বকাবকি করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনাদের এলাকার কিছু মন্ত্রীও আছে। এ সমস্ত নাম আমি মুখে আনিনা। আপনারাও আনবেননা। আমাদের সময়ের দাম আছে, সময় নষ্ট করবেননা। আমাদের হাতেহ অনেক কাজ আছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার পতনের পরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে,শুধু বিএনপি নয়, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ওই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।অংশ গ্রহণ করে অনির্বাচিত শেখ হাসিনা সরকারের পতন করে ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। এ অনির্বাচিত সরকারকে সাগরের ঢেউয়ের মত ভাসিয়ে নিয়ে যাবে জনগণ।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন,ওরা জানে এ জন্য তলে তলে কাজ করছে যেন তাদের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে।এ খেলা চলবেনা। সরকারের কিছু দালাল গণমাধ্যমে আছে,রাজনীতির মাঠে কিছু দালাল আছে, পেশাজীবীদের মধ্যে কিছু দালাল আছে,তথা কথিত বুদ্ধিজীবী আছে।এরা শুধু কোন মতে বিএনপিকে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তালবাহানা করছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই,শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা। বিএনপি না গেলে তারা নির্বাচন করুক।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সাথে আছে আওয়ামী পুলিশ,আওয়ামী সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী,আওয়ামী দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবীদ। যে দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সিন্ধান্ত নিয়ে পেলে সে দেশের মানুষের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারেনা। বাংলাদেশের মানুষ সিন্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য। আমরা কেন জিতব জানেন। বিএনপির নেতাকর্মিরা জ্বলে পুড়ে খাটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা লুটপাট করে পেট বড় হয়ে গেছে। পেটের ওজনে তারা হাটতে পারছেনা। আর আমরা সবাই পিট। পিট পর ফাইট।
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে এ নেতা বলেন, তাদের শান্তি সমাবেশে আছে কেউ। শান্তি সমাবেশে যতজন আওয়ামী লীগের লোক তার থেকে পুলিশ বেশি। কি একটা অবস্থা,কি দূর অবস্থা, কি অসহায় অবস্থা।আগামী দিনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করতে হবে। গণতান্তিক অর্ডার,নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তারপর থেকে শুরু হবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। আমি আগেও বলেছি বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে আমরাইতো অবশ্যই আমরা জয়ী হব। যারা জিতবেনা তারা নির্বাচনে ভোট চুরির প্রকল্প করেছে। এসব প্রকল্প ভেঙ্গে দিতে হবে,স্বমূলে ধ্বংস করে দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। লেভল প্লেয়িং করার জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। যত কারাবান্দি আছে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।
অবৈধ অস্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,অবৈধ অস্ত্র যাদের আছে তারা এমনিতেই পালিয়ে যাবে। যারা অস্ত্র বহন তারা সব চেয়ে বড় ভিতু। আমাদের অস্ত্র হচ্ছে মনোবল। আপনারা মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাবেন অস্ত্রবাজ পালিযে যাবে।যারা এই ন্যায় নীতির আন্দোলনকে বাধা গ্রস্থ করবে তারাও পালিয়ে যাবে।
দ্রব্যমূল্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজকে দুবেলা খেতে পারছেনা।৩০ শতাংশ লোক দুবেলা খেতে পারছেনা,৬০ শতাংশ লোক দারদেনা করে চেলছে। অনেকে দুবেলার মধ্যে এক বেলা মাছ খেতে পারে। অনেকে সপ্তাহে একবার মাছ খেতে পারে। এ পয়সা কোথায় যাচ্ছে। আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকটে, ব্যাংক,শেয়ার বাজার,লুটপাটের টাকা যাচ্ছে আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকেটে। এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে। আজকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমেছে। আমাদের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা হচ্ছে, আমাদের ১৭জন নেতাকর্মিকে মেরে ফেলা হয়েছে। এসব কর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের তালিকা করুন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জয়নাল আবেদিন ফারুক, বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ গোলাম মোমিত ফয়সাল প্রমূখ।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি এর সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মধ্যবাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তাই কে কোন বিচার দিলো, কে কোন নিষেধাজ্ঞা দিলো তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। নির্বাচনে কোনো বাধা দেয়া হলে প্রতিহত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো বাধা দেয়া হলে খবর আছে। আগামী নির্বাচনে নৌকা বনাম ধানের শীষে খেলা হবে। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দেবে তারা ধানের শীষ চায় না।
বিএনপি সরকারের উন্নয়নকে ভয় পাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নতুন ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগের লাভ হয়েছে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না তাদের বিরুদ্ধেই এই নিষেধাজ্ঞা। আর বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না, তারা সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কাজকে ভয় পায়।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হন রাজধানীর মধ্যবাড্ডায়। নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখোড় হয়ে ওঠে রাজপথ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
১০ দফাসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির জনসমাবেশ চলছে।
শনিবার (২৭ মে) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশে অংশ নিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দলের সিনিয়র নেতারাও এ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
এ ছাড়া দেশের ১৫ জেলা ও মহানগরেও আজ জনসমাবেশ করছে বিএনপি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ধৈয্য ধরে রাজপথে থাকবেন। আওয়ামী লীগ আঘাত করলে পাল্টা দৌঁড়ানি দিবেন। দেখবেন লেজ গুটিয়ে বর্ডার ক্রস করবে। প্রস্ততি নিন আওয়ামী লীগের প্রতিটি কথা ও কাজের জবাব দিতে হবে।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদরের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, সমগ্র বাংলাদেশটাই এখন জেল খানা। তাই আমাদের জেলে যাওয়ার ভয় দেখাবেন না। আমাদেরকে হত্যার ভয় দেখাবেন না, আমাদেরকে গুমের ভয় দেখাবেন না। সময় কিন্তু বেশি দিন নাই। অল্প কয়েকটা দিন সময়।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আপনারা ধৈর্য ধরে রাজপথে থাকবেন। আওয়ামী লীগ আঘাত করলে পাল্টা দৌড়ানি দিবেন। দেখবেন একটাও থাকবে না। লেজ গুটিয়ে বর্ডারক্রস করে চলে যাবে। এরা হলো শিয়ালের মতো, এখন তো ক্ষমতায় আছে। পুলিশ আছে, র্যাব আছে, বিজিবি আছে। কতো কিছু নিয়ে লাফায়। আর কয়দিন পর কিচ্ছু থাকবে না। তখন দেখা যাবে কার কোমরে কতো জোর আছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী সরকারের নেতৃত্বাধীন কিংবা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কোনো সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে, একটা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন হবে তার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এর বাইরে কোনো আপোষ নাই, আপোষ হবে না।
জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রীতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ কবির-এর সঞ্চালনায় জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটুসহ জেলা-উপজেলা ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
|
|
|
|
|
|
|