পদোন্নতি পেলেন বিএনপির ৩ নেতা
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হককে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।
দল আশা প্রকাশ করে, উল্লিখিত নেতারা দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হককে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।
দল আশা প্রকাশ করে, উল্লিখিত নেতারা দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শনিবার ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে সিট মহল বিনিময়ের ৬৮ বছরের যে সমস্যা তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততা করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন এটি সমীচীন নয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্তসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংসদে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ এনে বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোথাও ইলেকশন যেভাবেই হোক ফলাফল একটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল এবং শিট বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাপকভাবে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকলে জিএম কাদের হেসে বলেন, এটা নাও হতে পারে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে জিএম কাদের বিগত নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য শুরু করতেই অধিবেশন কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্যে এই হট্টগোল বাড়তে থাকে। সরকারি দলের সদস্যরা মাইক ছাড়াই নানা মন্তব্য করতে থাকেন। বিরোধী দল জাতীয় পাটির সদস্যরাও পাল্টা মন্তব্য করতে থাকেন। এই পরিস্থিতি সংসদ অধিবেশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের শান্ত হওয়ার জন্য একাধিকবার আহ্বান জানান। পরে জিএম কাদের বক্তব্য শেষ করেন।
এ সময় জিএম কাদের বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে তিন ধরনের ইলেকশন হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় সবগুলো সুষ্ঠু ইলেকশন হয়েছে। সেখানে কোনো ডিস্টার্বেন্স হয়নি। সাধারণত প্রতিযোগিতাহীন ইলেকশন হয়েছে। সেখানে কোনো শক্ত প্রার্থী ছিল না। সেখানে সরকারের সদিচ্ছা ছিল। শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে। তবে উপস্থিতি কম ছিল। আরেকটা হয়েছে ফ্রি স্টাইল। সেখানে মাসল পাওয়ার (পেশি শক্তি) এবং মানি অবাধে ব্যবহার করা হয়েছে। সেটার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় এখানে সরকারি দল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী বা আমাদের প্রার্থীদের বাধা দিয়েছে। আরেকটা ছিল ইলেকশন যেভাবেই হোক ফলাফল একটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল এবং শিট বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সব দল নির্বাচনে আসলে এবং বাধা ছাড়াই ভোট হলে ১৫ শতাংশ ভোট গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ সব বড় দল নির্বাচনে অংশ নিলে এই মুহূর্তে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো একটি দল না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কঠিন। এতে মানুষ ভোটি দিতে আসে না। তিনি আরো বলেন, যে প্রেক্ষাপটে ছিল তাতে ৪২ শতাংশ ভোট দিতে গেলে সব ভোটকেন্দ্রের সামনে ৮ ঘন্টা লাইন থাকার কথা। কিন্তু তা ছিল না। ..এসময় সংসদ সদস্যরা হইচই শুরু করেন। জিএম কাদের বলেন, অনেকে বলেছেন ঘণ্টায় তিন চারটার বেশি ভোট হয়নি। আমি আমার কথা বলছি না। ধারণার কথা বলছি।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈধ হিসাবে গণ্য করা যায়। আইন অনুযায়ী তা বৈধ হয়েছে। কেউ বেআইনি ঘোষণা করেনি। কিন্তু সিংহভাগ মানুষ মনে করে ভাল নির্বাচন হয়নি, সঠিকভাবে জনমতের প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করে না। আমি মনে করি আইন কানুন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। যারা দেখার কথা তারা এড়িয়ে গেছেন অনেক সময় লঙ্ঘনে সহায়তা করেছে।
|
|
|
|
প্রশান্ত কুমার দাস:
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদ ও আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন। সোমবার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক।
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, সরকারের পাতানো নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করছে সরকার। সরকারের দুর্নীতি ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকার মানুষের ভোটাধিকার ভোট প্রয়োগের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করেছে। সরকার ডামি নির্বাচনের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। বর্তমান সরকারকে তিনি ডামি সরকার বলে উল্লেখ করেন। সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেন তিনি। ৭ই জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে তা ছিল সরকারের একক নির্বাচন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেনি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৮৪ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে যাচ্ছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
সিঙ্গাপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসার শিডিউল থাকায় তাকে দেশটিতে যেতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর বাসা থেকে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর গত মাসে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। দীর্ঘসময় কারাগারে থাকায় তার শারীরিক জটিলতাগুলো বেড়েছে বলে পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তাকে এক হাতে লাঠির সহযোগিতা নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে।
দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ দেশের বাইরে যেতে পারেন। কেউ কেউ ঈদের পর বিদেশে যাবেন দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসার কাজে। ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
এর আগে বিএনপির আন্দোলন চলাকালে গত ২৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় তার সঙ্গে স্ত্রী ও কন্যা গিয়েছিলেন।
|
|
|
|
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না এসে যে ভুল করেছে, উপজেলা নির্বাচনে না আসলে জাতীয় নির্বাচনের মতো সেই ভুলের খেসারত দিতে হবে বিএনপিকে।
আজ সোমবার বিকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে কাঙ্গালী ভোজ শেষে গণমাধ্যম কর্মিদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচন আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। এবারের জাতীয় নির্বাচনেও নৌকা মার্কা ছিল, এর বাহিরে যারা স্বতন্ত্র করতে চেয়েছে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ২৮ তারিখে তারা যেভাবে পালিয়ে গেছে, আবারো ওই রকম কিছু করতে গেলে পালাতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মোরশে আলম, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটবে এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগেই জানতেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
তিনি বলেন, আমরা জানি, সেদিন ঘটনার কিছু পূর্বে বেগম জিয়ার বাসা থেকে একটি কালো রঙের গাড়ি কোনো প্রটোকল না নিয়ে বেরিয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয়ে তিনি জানতেন ঘটনা ঘটবে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পিলখানা হত্যার মাস্টারমাইন্ডরা একেবারেই বাইরে রয়ে গেছে। তাদের কি কখনো পাওয়া যাবে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, মাস্টারমাইন্ডদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি আমরা। ঘটনার পেছনে যারা কুশীলব, কিছুটা তো আমরা জানি কারা ছিল।
এ ঘটনার বিচার যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য কাজ চলছে। যারা এর পেছনে আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে, বলেন মন্ত্রী।
ফারুক খান বলেন, দুটি মামলা হয়েছে, একটি হত্যার ও একটি বিস্ফোরকের মামলা। বিচারের যে নিয়ম, সেই নিয়ম তো আমাদের পালন করতে হবে। সেটা না হলে আবার অন্য দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমি শুনেছি, বিচারের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।
তিনি বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পার্টি- আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আমরা দাবি করি, আমরা আশা করি যে, অতি দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার মীমাংসা হবে এবং যারা দোষী তাদের কঠোর শাস্তি হবে।
এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত সবার শাস্তি হবে এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনো বাংলাদেশে না ঘটতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতেও নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
|
|
|
|
বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি :
জনেত্রী শেখ হাসিনা একজন খাঁটি ঈমানদার, খাাঁটি মুসলমান ও খাঁটি দেশ প্রেমিক। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহজ্জুদের নামাজ পড়েন, ফজরের নামাজ পড়ে এরপর কুরআন তিলাওয়াত করে রাষ্ট্রীয় কাজ শুরু করেন। যে কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে ভরপর। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের উপর তার বিশ্বাস আছে আমরারও আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের উপর বিশ্বাস রয়েছে। আগে আল্লাহ বাদে শেখ হাসিনা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টায় ইউনিয়নের লালটেক আলহাজ্ব তাহির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিশ্বনাথ অলংকারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো মালিক নেই। আল্লাহর হুকুমে সব কিছু হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ থাকবে এবং ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। সেই জন্য আমরা মনে করি যে শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
নিজের এমপি ও মন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি চিরঋণী। তিনি মনোনয়ন দিয়েছিলেন সংসদ সদস্য হিসাবে। আপনারা নির্বাচিত করেছেন। এমপি হয়ে যখন সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করার পর নেত্রীকে কদমবুছি করে যখন দোয়া নিলাম তখনই বুঝতে পারলাম নেত্রী কতটুকু মায়া করেন, স্নেহ করেন। এরপর শুনতে পারলাম মন্ত্রী পরিষদে একজন মন্ত্রী হিসাবে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সারা সিলেটে আমরা কাংঙ্খীত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আমরা এখন সেই উন্নয়ন পাবো। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসাবে রুপান্তরিত করতে চান। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ। সবাই শেখ হাসিনার পক্ষে ও উন্নয়নের পক্ষে।
অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হীরা মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তফজ্জুল আলীর সঞ্চালনায় প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ করলে মানুষ ত্যাগ করা শিখে। আওয়ামীলীগই একমাত্র সংগঠন যে সংগঠন করলে দেশে উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ করলে একজন মানুষ মাতা উচ্চ করো দাঁড়ায়। ত্যাগের রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ, ভোগ বিলাসের রাজনীতি করে না আওয়ামী লীগ। বিএনপি, জামাত, জাতীয় পাটি ও অন্যান্য সংগঠনগুলো ভোগ বিলাসের রাজনীতি করে। তারা মানুষের সম্পদ লোট করে আঙ্গুল থেকে কলাগাছ আর কলাগাছ থেকে বটগাছ হয়। আজকে তারেক জিয়া বিদেশে বসে সড়যন্ত্র করছে। সেই সড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৭ তারিখের নির্বাচন ভন্ডুল করতে চেয়েছিল। ৭ তারিখের নির্বাচন যাতে না হয় এটা চেয়েছিল। অনেক সড়যন্ত্র করে ছিলো কিন্তু বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭ তারিখের নির্বাচনে তার দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের মানুষ আমাকে ভোট দেয় নাই, ভোট দিয়েছে উন্নয়নের পক্ষে। যে কারণে উন্নয়নের পক্ষে বাংলাদেশ। উন্নয়নে ভরপুর বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আজকে আমরা সেই উন্নয়নে মহাসড়কে চলতে চাই। যে কারণে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মায়ের সমতুল্য। তিনি আমাকে অনেক স্নেহ মমতা করেন বোনের মত, ভাইয়ের মত। আমি মনে করি আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবো না। তিনি জানেন বিগত দশ বৎসর আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলাম। সেই উন্নয়নের পক্ষে বিশ্বনাথ ওসমানীনগরের মানুষ ভোট দিয়েছে। আমরা সবাই মনে করেছিলাম যে, উন্নয়নের পক্ষে হয়ত রাজনৈতিক কারণে আমরা অলংকারি ইউনিয়নে ভোট কম পাবো। কিন্তু অলংকারি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা উন্নয়নের পক্ষে শেখ হাসিনার পক্ষে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
অবশেষে জামিন পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় তারা জামিন পেলেন।
বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এ আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুল ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় এই দুজনের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
এর আগে এ মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনার পর গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারের পর মির্জা ফখরুল বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা ছাড়া তারা সব মামলাই জামিন পেয়েছিলেন তারা। আজ মামলাটিতে জামিন পাওয়ায় তাদের মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে নাসিরনগর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময়সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি।
এ বিষয়ে সাংসদ সৈয়দ একে একরামুজ্জামান জানান, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি। আমি নাসিরনগরের সার্বিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে চাই।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সব জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। একরামুজ্জামান নিজেই নাসিরনগরের সব জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করেন। এতে উপজেলা পরিষদ, সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ (০৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফরম বিক্রি শুরু হয়।
আজ থেকে শুরু হওয়া এ মনোনয়ন বিক্রি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্দিষ্ট বুথ থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জমা নেওয়া হবে সব বিভাগের মনোনয়নপত্র।
|
|
|
|
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
বিএনপি-জামাত জোটের সকল চক্রান্ত থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে এই সুযোগ পাওয়ার পথ করে দিয়েছেন। এজন্য আমি আপনাদের এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন স্বচ্ছতার সাথে নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে পারি।
সবার সহযোগিতা পেলে বিজয়নগর উপজেলাকে একটি আলোকিত, উন্নত, মডেল উপজেলা হিসেবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে এটি মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি বিজয়নগর উপজেলায় একটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, একটি সরকারি কলেজ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নতুন একটি আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার প্রদান করেন।
তিনি বিজয়নগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৫০০ লোকের ধারণ ক্ষমতা সম্বলিত একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
দেশের গ্যাস শিল্পায়ন ও সার উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নেই। যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ তরলীকৃত গ্যাস আমদানি করে সেসব দেশেও বাসা বাড়িতে সিলিন্ডারের গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কৃষির উন্নয়নে সারের কোন বিকল্প নেই, এজন্য সার উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাসা বাড়িতে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ নিরুৎসাহিত করে শিল্পায়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সার উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহার করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে পুনরায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রয়োজনীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দেন এবং জেলার পত্তন, চম্পকনগর ও সিঙ্গারবিলে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি খুব শীঘ্রই বর্জ্যমুক্ত বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত দেন। এর আগে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিজয়নগর উপজেলার অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজকোর্টের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিরধা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লোক সমাগম ঘটে। সংবর্ধনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
সাগর-রুনি হত্যার বিচার নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশকে ৫০ বছর সময় দিতে হবে।’
সচিবালয়ে করা সেই প্রশ্নের সূত্র ধরে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে পাল্টা প্রশ্নের মুখোমুখি হন আইনমন্ত্রী। এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘ভালো কথা বললেও আপনারা এরকম ক্ষেপে যান কেন?’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে (সাগর-রুনি হত্যার) সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত অপরাধীকে ধরা উচিত। আমাদের আইনি কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধী নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন ক্ষেপে।’
এই মামলার তদন্ত ধীর গতি হচ্ছে কিনা এবং এরকম বিলম্বে তদন্তের আর নজির আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যে কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। বিশ্বে এমন অনেক মামলা আছে। ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামিদেরকে ধরতে পেরেছে। আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্র) কিছুদিন আগে, ২৪ বছর আগের একটি খুনের মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। আমার কথা হচ্ছে, পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামিকে এখন পর্যন্ত তদন্তে ধরা যাচ্ছে না, এ জন্য তদন্তে সময় লাগছে।’
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদেরকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক। আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীকে না ধরা হবে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা (সাগর-রুনি হত্যার বিচার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব) বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয়। আপনাদের (সাংবাদিক) জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্যভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য সবরকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে ও আপেক্ষিকভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে।’
ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন সহ অনেকে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কী বলবে ও করবে এটা নিয়ে বিচলিত নয়, বরং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সরকার চিন্তিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, বিএনপির বন্ধু তো দেশে আছে, বিদেশেও আছে। এখন নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদের তো বিদেশি বন্ধুদের কাছে মুখ রক্ষার বিষয় আছে।
দ্রব্যমূূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। চালের গুদামে গুদামে গিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য যাতে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সামান্যতমও অস্বস্তিতে নেই। কাদের বলেন, বরং স্বস্তিতে আছে আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা সত্ত্বেও ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসেছে। আমি জানি আমাদের নির্বাচন কেমন হয়েছে।
দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা এখনো রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশের মানুষ অগণতান্ত্রিক কোনো সরকারকে ভবিষ্যতে মেনে নেবে না।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটের একদিন পরেই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।
এর পর গতকাল বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
ম্যাথিউ মিলার জানান, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং নির্বাচনের দিনে অনিয়মের খবরে তারা উদ্বিগ্ন। অন্য পর্যবক্ষেকদের সঙ্গেও তারা তাদের মতামত শেয়ার করেছে যে, এই নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হয়নি।
|
|
|
|
মীর মঈন হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর।
একই ধারায় প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন হচ্ছেন টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসন এলাকার আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এই আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দুইজন প্রার্থী। একজন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ও অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। এ আসনে নির্বাচনে জয়লাভ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অনেক নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে সমর্থন জানান। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভকারী নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ এর লোকজন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছেন।
বুধবার (১৭ই জানুয়ারি) দুপুররে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নজরুল ইসলাম (৪১) নামে এক ব্যাবসায়ীর উপর হামলা করেছেন এমপির কর্মী সমর্থকরা। এসময় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। হামলাকারীরা লাঠি-সোঠা হাতে নিয়ে নিয়ে তার উপর হামলে পড়ে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নজরুল ইসলাম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘামলার ঘটনায় উপজেলার নেতৃবৃন্দদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বলেন, এমন জঘন্যতম কাজ করা মোটেও ঠিক হয়নি। নির্বাচন যে কেউ যে কারোটা করতে পারে এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, এর আগেও আমার ৬-৭ জন কর্মীকে মারধর করেছে। আমার বাড়িতেও ওরা হামলা করেছে। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|
|
|
|
|
|
|