সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি নতুন পাড়া গ্রামের শিক্ষিত বেকার তরুণ আব্দুল আলিম গত বছর তার বাড়ির উঠানে প্রায় ১৫ শতাংশ জায়গায় ৭০ টি বলসুন্দরী জাতের বাই চারা লাগান। এ বছর তার প্রতিটি গাছে গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি করে বরই ধরেছে। তার গাছ থেকে বিক্রেতারা ৬০ টাকা কেজি ধরে বরই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক আব্দুল আলিম জানান, তার বাড়ির ঐ জায়গাটুকু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। একদিন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম তাকে সেই জায়গায় বরই চারা লাগানোর পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এই বাগান করেছেন। বরই বিক্রি করে তিনি এখন ভালো অবস্থায় আছেন। বরই চাষ শেষ হয়ে গেলে ডাল কেটে দিয়ে সেখানে শাকসবজির চাষ করবেন তিনি।
জমি পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এহসানুল হক বলেন, কৃষিতে সবচেয়ে লাভজনক চাষাবাদ হলো ফল বাগান করা। কিন্তু এই এলাকা তুলনামূলক নিচু হওয়ায় সেভাবে ফল বাগান করা যায় না। তবে এই তরুণ কৃষকের বাড়িটি তুলনামূলক বড় হওয়ায় তাকে এই ফল বাগান করার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তারা প্রতি ইঞ্চি জমিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের কে পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই পরামর্শ ও কাজের ফল হচ্ছে এই কুল বাগান।