|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক
পটলে খুব কম পরিমানে ক্যালরি রয়েছে ফলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পটল তরকারি হিসাবে আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি। এটি ভাজি,ভর্ত্তা, ও রান্না করে খাওয়া যায়। বর্তমানে পটল আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি গ্যাসট্রিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যববহৃত হয়।
আমাদের খুব পরিচিত একটি সবজি পটল। পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। পটলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি 1, ভিটামিন বি 2 এবং ভিটামিন সি সহ আরোও অনেক দরকারি উপাদান রয়েছে। পটলে খুব কম পরিমানে ক্যালরি রয়েছে ফলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পটল তরকারি হিসাবে আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি। এটি ভাজি,ভর্ত্তা, ও রান্না করে খাওয়া যায়। বর্তমানে পটল আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি গ্যাসট্রিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যববহৃত হয়।এবং এটি একটি প্রাকৃতিক আফ্রোডিসিয়াক হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা যৌন জীবন উন্নত করতে পারে। পটলের উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।
পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা পটল শুধু সবজিই নয় এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুন ভূমিকা রাখে।কারন পটলে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্যতম। পটল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এটি কৃমি দূর করে কাশি ও জ্বরে ভালো কাজ করে। তাছাড়া পটলের পুষ্টিগুণ প্রচুর থাকায় এটি সকলের কাছে পছন্দের সবজি। আরো ও পটলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। কোলেস্টেরল কমায় পটলে ক্যালরির পরিমান কম থাকায় এটি আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই এই সবজি সকলে খেতে পারে। যাদের কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেশি তাড়া নিয়মিত পটল খেলে এর মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আমরা সকলে কম বেশি জানি যার হজমক্রিয়া ভালো তার স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। হজমশক্তির উপর দেহের ভারসাম্য নির্ভর করে। আমরা যে সকল খাদ্য দ্রব্য খেয়ে থাকি তা হজমক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত শরীরে পৌছায়। তাই যখন হজম ভালো হয় খাদ্যের সার অংশ দেহের সমস্ত স্থানে পৌছায়। এই প্রধান কারন পটলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। যে খাদ্যে ফাইবার এর পরিমান যত বেশি সেই খাদ্য হজমশক্তি তত বৃদ্ধি করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা যায়। এর কারন আমাদের খাদ্যভাসে ফাইবার জাতীয় খাদ্য কম রাখি। অনেক সময় ফাস্ট ফুড জাতীয় খাদ্য আমাদের বেশি খাওয়া হয়। আর এর জন্য হজমক্রিয়া সঠিক হয় না, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। নিয়মিত পটল ও পটলে বিচি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রক্ত পরিশোধক পটল আমাদের রক্ত, টিস্যু পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের যত্নও প্রদান করে। রক্ত পরিশোধন আমাদের প্রতিটি মানুষের জন্য সত্যই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে সমস্ত রোগ থেকে মুক্ত রাখবে। তাছাড়া আমাদের দেহের ভিতরে থাকা অমেধ্যগুলি রক্ত প্রবাহ থেকে দূরে চলে যাবে। রক্ত পরিস্কার হলে সকল ধরনের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। মাথা ব্যাথা দূর করে পটল খাদ্য তালিকায় যেমন প্রথম দিকে এর ঔষধিগুণ ও সবার উপরে। মাথা ব্যাথা হলে পটলের রস মাথায় নিলে ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া নতুন চুল গজাতে পটলের রস ব্যবহার করা হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে পটলে কম ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে না। বরং নিয়মিত পটল খেলে ওজন স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। পটলের সাথে সাথে এর বিচিও অনেক উপকারি এটিতে অধিক পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় কোলেস্টেরল ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।
পটলের পুষ্টিগুণ আমরা অনেকেই জানিনা পটলের পুষ্টিগুণ কত। এটি দেহের শক্তি যোগাতে দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। নিচে পটলের পুষ্টি উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো প্রতি ১০০ গ্রাম পটলে আছে পরিমান উপাদান খাদ্যশক্তি ৩১ কিলোক্যালরি ফাইবার ৩ গ্রাম আমিষ ২.৪ গ্রাম ভিটামিন এ ২৫৫ আইইউ লোহা ১.৭ মিলিগ্রাম শর্করা ৪.১ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ২৯ মিলিগ্রাম নিকোটিনিক এসিড ০.৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৪০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ৮৩ মিলিগ্রাম চর্বি ০.৬ গ্রাম
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক
পটলে খুব কম পরিমানে ক্যালরি রয়েছে ফলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পটল তরকারি হিসাবে আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি। এটি ভাজি,ভর্ত্তা, ও রান্না করে খাওয়া যায়। বর্তমানে পটল আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি গ্যাসট্রিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যববহৃত হয়।
আমাদের খুব পরিচিত একটি সবজি পটল। পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। পটলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি 1, ভিটামিন বি 2 এবং ভিটামিন সি সহ আরোও অনেক দরকারি উপাদান রয়েছে। পটলে খুব কম পরিমানে ক্যালরি রয়েছে ফলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পটল তরকারি হিসাবে আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি। এটি ভাজি,ভর্ত্তা, ও রান্না করে খাওয়া যায়। বর্তমানে পটল আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি গ্যাসট্রিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যববহৃত হয়।এবং এটি একটি প্রাকৃতিক আফ্রোডিসিয়াক হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা যৌন জীবন উন্নত করতে পারে। পটলের উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।
পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা পটল শুধু সবজিই নয় এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুন ভূমিকা রাখে।কারন পটলে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্যতম। পটল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এটি কৃমি দূর করে কাশি ও জ্বরে ভালো কাজ করে। তাছাড়া পটলের পুষ্টিগুণ প্রচুর থাকায় এটি সকলের কাছে পছন্দের সবজি। আরো ও পটলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। কোলেস্টেরল কমায় পটলে ক্যালরির পরিমান কম থাকায় এটি আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই এই সবজি সকলে খেতে পারে। যাদের কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেশি তাড়া নিয়মিত পটল খেলে এর মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আমরা সকলে কম বেশি জানি যার হজমক্রিয়া ভালো তার স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। হজমশক্তির উপর দেহের ভারসাম্য নির্ভর করে। আমরা যে সকল খাদ্য দ্রব্য খেয়ে থাকি তা হজমক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত শরীরে পৌছায়। তাই যখন হজম ভালো হয় খাদ্যের সার অংশ দেহের সমস্ত স্থানে পৌছায়। এই প্রধান কারন পটলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। যে খাদ্যে ফাইবার এর পরিমান যত বেশি সেই খাদ্য হজমশক্তি তত বৃদ্ধি করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা যায়। এর কারন আমাদের খাদ্যভাসে ফাইবার জাতীয় খাদ্য কম রাখি। অনেক সময় ফাস্ট ফুড জাতীয় খাদ্য আমাদের বেশি খাওয়া হয়। আর এর জন্য হজমক্রিয়া সঠিক হয় না, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। নিয়মিত পটল ও পটলে বিচি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রক্ত পরিশোধক পটল আমাদের রক্ত, টিস্যু পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের যত্নও প্রদান করে। রক্ত পরিশোধন আমাদের প্রতিটি মানুষের জন্য সত্যই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে সমস্ত রোগ থেকে মুক্ত রাখবে। তাছাড়া আমাদের দেহের ভিতরে থাকা অমেধ্যগুলি রক্ত প্রবাহ থেকে দূরে চলে যাবে। রক্ত পরিস্কার হলে সকল ধরনের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। মাথা ব্যাথা দূর করে পটল খাদ্য তালিকায় যেমন প্রথম দিকে এর ঔষধিগুণ ও সবার উপরে। মাথা ব্যাথা হলে পটলের রস মাথায় নিলে ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া নতুন চুল গজাতে পটলের রস ব্যবহার করা হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে পটলে কম ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে না। বরং নিয়মিত পটল খেলে ওজন স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। পটলের সাথে সাথে এর বিচিও অনেক উপকারি এটিতে অধিক পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় কোলেস্টেরল ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।
পটলের পুষ্টিগুণ আমরা অনেকেই জানিনা পটলের পুষ্টিগুণ কত। এটি দেহের শক্তি যোগাতে দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। নিচে পটলের পুষ্টি উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো প্রতি ১০০ গ্রাম পটলে আছে পরিমান উপাদান খাদ্যশক্তি ৩১ কিলোক্যালরি ফাইবার ৩ গ্রাম আমিষ ২.৪ গ্রাম ভিটামিন এ ২৫৫ আইইউ লোহা ১.৭ মিলিগ্রাম শর্করা ৪.১ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ২৯ মিলিগ্রাম নিকোটিনিক এসিড ০.৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৪০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ৮৩ মিলিগ্রাম চর্বি ০.৬ গ্রাম
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক রান্নার কাজে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো পেঁয়াজ। কাঁচা পেঁয়াজেরও আছে অনেক রকম ব্যবহার। খাবারে স্বাদ এবং রং যোগ করতে সাহায্য করে এটি। শুধু তাই নয়, পেঁয়াজে আছে অনেক অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। এগুলো আপনাকে রক্ষা করবে মৌসুমী বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে।
পেঁয়াজের গুণ
ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উদ্ভিজ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হলো পেঁয়াজ।
এটি আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজে ৪৪ ক্যালোরি থাকে এবং এটি ভিটামিন সি দিয়ে পূর্ণ। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় পেঁয়াজ যোগ করতে হবে। এতে সুস্থ থাকার পথ আরও সহজ হবে।
গরমে পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা
গরমের সময়ে পেঁয়াজ খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। আমাদের জানা আছে নিশ্চয়ই, সর্দি-কাশির নিরাময় হিসেবে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে পেঁয়াজ। তাই তো গরমের সময়ে খাবারের তালিকায় পেঁয়াজ যোগ করতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। এতে এসময় সর্দি-কাশির সমস্যা হলে সহজেই সুস্থ হওয়া সম্ভব।
শক্তিশালী রাসায়নিক
পেঁয়াজে আছে শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান। যে কারণে পেঁয়াজ খেলে কমে ক্যান্সারের ঝুঁকি সেইসঙ্গে এটি সুস্থ রাখে পাচনতন্ত্রকেও। পেঁয়াজ খেতে পারেন অনেক ধরনের খাবারের সঙ্গেই। এটি সালাদের সঙ্গে যোগ করেও খেতে পারেন। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
হিটস্ট্রোক এড়াতে
তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য সাহায্য করবে পেঁয়াজ। কারণ পেঁয়াজে থাকা অনেক উপকারী উপাদান প্রখর রোদে তাপ রক্ষা করে। পেঁয়াজ খেলে তা শরীরে শীতলতা এনে দিতে পারে। তাই গরমের সময়ে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে নিয়মিত পেঁয়াজ রাখুন পাতে।
ভিটামিন ও খনিজ
পেঁয়াজে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদ রাসায়নিক। এসব উপাদান বিভিন্ন উপায়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করে। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, মুখের আলসার ইত্যাদি সমস্যায়ও পেঁয়াজ উপকার করে। পেঁয়াজে আছে কোয়ারসেটিন নামক উপাদান যা আমাদের ঘামাচি থেকে রক্ষা করে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক
শরীর সুস্থ-সবল রাখতে যে খাবারগুলি অপরিহার্য, তার মধ্যে অন্যতম হল ফল। তাই খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন প্রকার মরসুমি ফল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ফলের বিকল্প নেই। কিন্তু সব রকম ফল কি ওজন কমাতে পারে? পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমিয়ে রোগা হতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কয়েকটি ফল।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন ফল খাওয়া বন্ধ করতে হবে -
অ্যাভোকাডো: ওজন কমাতে চাইলে যে কোনও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল কম খাওয়া উচিত। আর এই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফলগুলির মধ্যে একটি হল অ্যাভোকাডো। এই ফলটিতে হেলদি ফ্যাট থাকে, তাই বেশি পরিমাণ খাওয়া হলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। তবে একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দেবেন না, বরং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভাল।
নারকেল: নারকেল খুবই স্বাস্থ্যকর হলেও, প্রচুর পরিমাণে খেলে শরীরের ওজন বাড়তে পারে। এতে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট খুব বেশি থাকে।
ড্রাই ফ্রুটস: ড্রাই ফ্রুটস, যেমন - প্রুনস, কিশমিশ, এগুলিতে বেশি ক্যালোরি থাকে। বলা হয় যে, এক গ্রাম কিশমিশে আঙুরের তুলনায় বেশি ক্যালরি থাকতে পারে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ড্রাই ফ্রুটস সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভাল।
কলা: হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন! কলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর হলেও ওজন কমাতে সাহায্য করে না। কলায় প্রচুর ক্যালরি এবং প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। দিনে ২-৩টি কলা খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই সারা দিনে মাত্র একটি কলা খাওয়াই ভাল।
আম: আনারস এবং আমের মতো গ্রীষ্মকালীন ফলগুলিতে গুপ্ত ক্যালরি থাকতে পারে, যে কারণে আপনার ওজন কমানোয় বাধা পড়তে পারে। তাই, অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় এই ফলগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল।
পরামর্শ্ : এই আর্টিকেলে দেওয়া সমস্ত তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিজ্ঞানের নিত্য নতুন আবিস্কার অনেক ধারনাই অদল বদল করতে পারে।তাই আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক গোলাপ ফুলের ব্যবহার একদা আমাদের সমাজ পরিবারের সাথে প্রতিনিয়ত ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও কারের বিবর্তনে তা ভাটা পড়েছে। আগে মহিলারা গোসল করার পানিতে গোলাপ ফুলের পাপড়ী কিছু সময় ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে গোসল করতেন। কেউ পুকুরে গোসল করার পর বাসায় গোলাপ ফুলের পাপড়ী ভিজিয়ে রাখা পানি সারা শরীরে খুব যত্নেরসাথে ঢেলে নিতেন।
কিন্তু এখন এর ব্যবহার নেই বললে চলে। গোলাপ ফুলের বিভিন্ন উপকারী দিক নিয়ে দৈনিক স্বাধীন বাংলার আজকের প্রতিবেদন
১. ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে গোলাপের পাপড়ি তে বিদ্যমান যৌগ মেটাবলিজমকে উন্নত করে এবং দেহের বিষ দূর করে যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরি। এক মুঠ গোলাপ পাপড়ী সেবনে সেন্স কে উন্নত করবে এবং আপনাকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার গ্রহন থেকে দূরে রাখবে যা ন্যাচারাল ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
টিপস এক গ্লাস গরম পানিতে ১০-১৫টি গোলাপের পাপড়ি ছেড়ে দিন এবং অপেক্ষা করুন যতক্ষন পর্যন্ত পানি গোলাপি রং ধারন না করে। এর মধ্যে আপনি সামান্য পরিমাণ মধু এবং এক চিমটি দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে নিন। এই পানীয় পান করুন প্রতিদিন সকালে যা আপনার দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
২. মানসিক চাপ এবং হতাশা দূর করে হতাশা এবং মানসিক চাপ সাধারণত আসে অনিদ্রা এবং বিশ্রামহীনতার অভাবে যা অত্যন্ত বিরক্তবোধ এবং উদাসীনতা সৃষ্টি করে। গোলাপের পাপড়ি এবং এর নির্যাস এই ধরনের সমস্যা দূর করনে অধিক কার্যকরি। Department of Physiology and Pathology/LTF, University of Paraíba-Caixa এর একটি গবেষণা অনুসারে যখন গোলাপের নির্যাস যখন নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে নেওয়া হয় তখন তা চরম প্রশান্তি সৃষ্টি করে।
টিপস গরম পানিতে কিছু গোলাপ পাপড়ি ছিটিয়ে নিন এবং সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। গরম পানির তাপে গোলাপের সুগন্ধ পুরো ওয়াশরুমে ছড়িয়ে যাবে যা আপনার মনকে অনেক প্রশান্তি দিবে এবং দেহ কে করবে প্রফুল্ল।
৩. কামশক্তি বৃদ্ধিতে পৃথিবীতে গোলাপ শুধু মাত্র ভালোবাসারই চিহ্ন নয় পাশাপাশির এর রয়েছে কামশক্তি বৃদ্ধির অন্যতম ক্ষমতা। আয়ুর্ভেদা অনুসারে কামভাবনাকে আরো প্রশান্তিদায়ক করতে গোলাপের পাপড়ির অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। তাদের মতে গোলাপের পাপড়ির দুটি উপকারী ডোজ আপনার দেহ, মন, হৃদপিন্ড এবং নার্ভাস প্রক্রিয়াকে পরিচালিত করতে সহায়তা করে যা সঙ্গমে আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলবে।
টিপস কিছু গোলাপ পাপড়ি নিয়ে তা ভালো করে ধুয়ে নিন এবং প্রতিদিন খেতে পারেন এতে আপনি শুধু শক্তিশালী এবং সতেজই অনুভব করবেন না পাশাপাশি আপনাকে সেক্সুয়ালি সক্রিয় রাখবে।
৪. পাইলস সমস্যা দূরি করনে সাহায্য করে জি আপনি সঠিক শুনেছেন, গোলাপের পাপড়ী পাইলস দূরি করনে খুবই সহয়ায়তা করে। এর অন্যতম কারন হচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং পানি এছাড়াও রয়েছে হজম শক্তি বৃদ্ধিকারি যৌগ যা দেহে বিষ বের করে দিতে সাহায্য করে। ব্লিডিং পাইলস দূরি করনে এবং তৎক্ষণাৎ ব্যাথা দূর করনে খুবই কার্যকরি।
টিপস একমুঠ গোলাপ পাপড়ি নিন এবং ৫০ml পানি মিশিয়ে হামান দিস্তায় পিষিয়ে নিন। এইবার খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। এইভাবে ৩ দিন সেবন করুন তাতে আপনি ব্লিডিং পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. ত্বকের সুরক্ষায় ত্বকের সুরক্ষায় গোলাপ জল অনেক উপকারী বিশেষ করে সেনসিটিভ ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে, ত্বকের তৈলাক্ততা সমাধানে, ত্বককে সফট করতে খুবই কার্যকরি। ত্বকের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গোলাপ জলকে বেছে নেওয়াটা খুবই বুদ্ধিমানের কারন এটি ত্বকের গভীরে পরিষ্কার করে যা আপনার ত্বককে অনেক বেশি নবীন করে তুলে। গোলাপ পাপড়িতে বিদ্যমান এন্টিওক্সিডেন্ট এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল যৌগ যা ত্বকের ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে দেয় প্রশান্তি এবং ঘামাচি ও চুলকানি থেকে দূরে রাখে।
টিপস আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনের বাইরেও আপনি প্রতিদিন গোলাপ জলের ছিটা ত্বকের লাগাতে পারেন এতে আপনার ত্বক অনেক বেশি গ্লো হয়ে উঠবে।
৬. ব্রন সমস্যা দূরি করনে আপনি যদি ব্রন সমস্যায় ভুগে থাকেন আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তাহলে একমাত্র গোলাপ জল আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। গোলাপের পাপড়ির এন্টিব্যাক্টেরিয়াল যৌগ ব্রন সমস্যা দূর করনে অতীব কার্যকরি। এছাড়াও ফেনিল ইথানল, এন্টিসেপ্টিক যৌগ যা গোলাপ জলে বিদ্যমান তা ব্রনের সমস্যা দূর করবে নিমিষেই।
টিপস সারা রাত ধরে মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং গোলাপ জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ফেইসে লাগিয়ে নিন এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭. ঠোঁটের কালার উজ্জ্বল করুন গোলাপ ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এটি শুধু ঠোঁটের উজ্জ্বলতাই বৃদ্ধি করবে না পাশাপাশি ঠোঁটকে অনেক সফট এবং গোলাপি করে তুলবে। এছাড়াও গোলাপের পাপড়ি ঠোঁট ফাটা দূর করতে সাহায্য করবে।
টিপস দুধের সর এবং কয়েক ফোটা মধু গোলাপের পাপড়ির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এখন আপনি পেস্টটি ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যাবহার করুন।
ত্বকের জন্য গোলাপ ফুল ত্বক উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ করতে গোলাপফুল বেশ কার্যকর। গোলাপ জলের থেকে কাঁচা ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এই উপাদানটি ত্বকের রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর করে চেহারার জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।
১. নিয়মিত গোলাপফুলের রস মুখে লাগান। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে, যা চেহারার বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান করে।
২. গোলাপফুলের রস ত্বককে সতেজ রাখে। দুশ্চিন্তা দূর করতে কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি মুখে ঘষে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতাও দূর করবে। ৩. যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও স্পর্শকাতর, তাঁরা নিয়মিত ত্বকে গোলাপফুলের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। ৪. গোলাপফুলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। ত্বকের কালচে ভাব, ব্রণের দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত গোলাপফুলের পাঁপড়ির সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা গোলাপের পাঁপড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পাঁপড়ি শিলপাটায় বেটে এর সঙ্গে চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের কোমলতা বাড়াতে ১. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ কাপ পানিতে একটি তাজা গোলাপ ফুলের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। ঘুম থেকে উঠে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়বে। ২. ২ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ দুধের সাথে শুকনো গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে রাতে ঘুমানোর পূর্বে মুখে লাগান এবং শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ গোলাপের রস মিশিয়ে মুখে লাগান।এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করবে।
ব্রণ দূর করতে ১. ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে গোলাপের পাপড়ি। ব্রণের স্থানগুলোতে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগাতে পারেন। ২. গোলাপের পাপড়ির সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের স্থানটিতে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণের সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ৩. নিমপাতা ও আলুর সাথে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক কলকাতার টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর ঘটনায় তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাগ্নিককে আগেই আটক করা হয়েছিল।
সোমবার রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেও চলে জেরা। তার তারপর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
অভিনেত্রী পল্লবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় রোববার। তখন থেকেই আলোচনায় ছিল সাগ্নিকের নাম। সামনে আসছিল নানা ঘটনা।
পল্লবীর বাবা গতকাল অভিযোগ করেন, ঐন্দ্রিলা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাগ্নিকের। সেজন্যই পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক চক্রবর্তী। পল্লবীর টাকাও হাতিয়েছে। তার টাকাতেই কিনেছেন অডি গাড়ি, যাতে চড়ে বেড়াতেন সাগ্নিক।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে খুন ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। তার পর থেকেই শুরু হয় সাগ্নিককে জেরা।
এদিকে সাগ্নিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুকন্যা জানিয়েছেন, তার মাধ্যমেই সাগ্নিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পল্লবীর। পল্লবী ছিলেন তার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সাগ্নিক ছিলেন তার হবু স্বামী। কিন্তু তাতে কিছুই আটকে থাকেনি। একটা সময় তাকে সরিয়েই দু’ জনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সরে যান তিনি নিজেই।
সুকন্যা আরও বললেন, পল্লবী ভালো ছিল না। আর যাই হোক সাগ্নিক কাউকে খুন করতে পারে না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক আচার আমাদের কাছে কেবল একটি খাবারই নয়, এই শব্দের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা স্মৃতি। নানি-দাদি, মা-চাচিদের তৈরি কত মজার আচার, সেসব চুরি করে খেতে গিয়ে ধরা পড়ার ভয়! এমন অনেক স্মৃতিই আমাদের স্মতিকাতর করে দেয়। খাবারের সঙ্গে একটুখানি আচার হলে খাবারের স্বাদ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
কাঁচা আমের সময়টা আচারপ্রেমীদের কাছে বেশি প্রিয়। কারণ এসময় নানা স্বাদের আচার তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। সেই আচার খাওয়া যায় দীর্ঘদিন ধরে। তেল আর বিভিন্ন রকম মসলা যোগ হয়ে তা আচারকে আরও বেশি সু্স্বাদু করে তোলে। এই যে আচার আমরা খাই, এটি কি উপকারী? নাকি কেবল স্বাদের কারণেই খেয়ে থাকি? শুধু স্বাদ নয়, আচার কিন্তু শরীরের জন্য অনেক উপকারও করে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আচারের উপকারিতা
আচার তৈরি করার সময় তাতে তেল বা ভিনেগার মেশানো হয়। ফল বা সবজির আচার তৈরির ক্ষেত্রে তেল বা ভিনেগারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ল্যাকটিক, সাইট্রিক ও অ্যাসেটিক তৈরি করে। এই তিন অ্যাসিডই শরীরের পক্ষে ভালো। এই উপাদানগুলো শরীরের মধ্যে উপকারী মাইক্রোবসদের আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের অন্ত্রে কাজ করে এই মাইক্রোবস। যে কারণে আচার খেলে বাড়ে হজমশক্তি, মেটাবলিজম ভালো হয়। সেইসঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আচারে তেল বা ভিনেগার ছাড়াও দেওয়া হয় নানা রকমের মসলা। লবণ, মরিচ, হলুদ ও অন্যান্য মসলা ব্যবহার করার কারণে আচারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যোগ হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যদি নিয়মিত আচার খাই তাহলে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটাই।
আচার খাওয়ার অপকারী দিক
এদিকে কিছু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে বলা হয়, প্রতিদিন যদি আচার খান তবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল বা সবজি দিয়ে তৈরি আচারে ক্যালোরি থাকে অনেক কম। তাই আচার খেলে তখন অন্য খাবারও বেশি বেশি খেতে ইচ্ছা করে। আচার খুব দ্রুত খাবার হজম হতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়, তাই নিয়মিত আচার খেলে অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। সেসব খাবার খেতে সুস্বাদু হলেও তাতে কোনো পুষ্টি থাকে না। সেসব খাবার শরীরে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
বাজার থেকে কেনা আচার নয়
আচার খেতে চাইলে বাড়িতে তৈরি করা আচার খাওয়াই ভালো। কারণ বাজার থেকে কিনে আনা আচারে থাকে অতিরিক্ত লবণ, তেল ও রাসায়নিক। যা শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। কাঁচা আমের এই সময়ে তাই বাড়িতে তৈরি করে নিন পছন্দের স্বাদের আচার। পরিমিত পরিমাণে খান, এতে মিলবে উপকারিতা।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক দিনের যে কোনো সময়ের নাস্তায় বাসাতেই তৈরি করতে পারেন চিংড়ি পাকোড়া। এটি রাখতে পারেন ঘরোয়া আড্ডায় কিংবা অতিথি আপ্যায়নে। ঝাল ঝাল এই পাকোড়া কিন্তু শিশুরাও খেতে পছন্দ করে। এটি তৈরির জন্য বাড়তি কিছুর প্রয়োজন পড়বে না, বাড়িতে থাকা নানা উপকরণে সহজেই তৈরি করতে পারবেন চিংড়ি পাকোড়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
চিংড়ি কুচি- ১ কাপ
চিকেন কুচি- ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
ডিম- ১টি
ময়দা- ১ কাপ
আদা বাটা- আধা চা চামচ
মরিচের গুঁড়া- আধা চা চামচ
জিরা বাটা- আধা চা চামচ
রসুন বাটা- আধা চা চামচ
লবণ- পরিমাণমতো
টেস্টিং সল্ট- স্বাদমতো
গোলমরিচের গুঁড়া- আধা চা চামচ
তেল- পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন একটি পাত্রে চিংড়ি কুচি, চিকেন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, জিরা বাটা, লবণ, টেস্টিং সল্ট, গোলমরিচের গুঁড়া, ডিম ও ময়দা মাখিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টার মতো। এরপর চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে গরম করে নিন। তেল গরম হলে তাতে মিশ্রণ থেকে পাকোড়া আকৃতিতে ছাড়ুন। সোনালি করে ভেজে তুলুন। পছন্দের সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক নেটমাধ্যমে হালফ্যাশনের পশ্চিমী পোশাকেই সাধারণত ভক্তদের মাতিয়ে রাখেন শাহরুখ ও গৌরী খানের কন্যা সুহানা খান। নিজের ব্যক্তিগত মুহূর্ত, ফিটনেস-রুটিন, সাজপোশাক নেটমাধ্যমে শেয়ার করে তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিমধ্যেই সুহানা বেশ পরিচিত মুখ, বলা যেতে পারে ‘স্টাইল আইকন’।
তাঁর নজরকাড়া ফিটনেস দেখে অনেক ভক্তদের মনেই প্রশ্ন জাগে কী করে এত ফিট থাকেন শাহরুখ-কন্যা?
যোগাসন: সুস্বাস্থ্য পেতে সুহানা ভরসা রাখেন যোগেই। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যোগাভ্যাস করেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য যোগেই মনযোগ দেন সুহানা।
সাঁতার: নিয়মিত সাঁতার কাটতে ভালবাসেন সুহানা। সাঁতারে শরীরের একাধিক পেশি একসঙ্গে কাজ করে। স্রোতের সঙ্গেই হোক বা বিপরীতে, অনেক ক্যালোরি খরচ হয় এই ব্যায়ামে। বিভিন্ন ধরনের ব্যথা, যন্ত্রণায় আরাম দিতে পারে সাঁতার। পেশির জোর বাড়াতেও এই ব্যয়ামের জুড়ি নেই। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হারও বেড়ে যায় সাঁতার কাটার ফলে। সুহানা খান।
প্রাতরাশ: ডায়েট নিয়ে সুহানা বেশ সচেতন থাকেন। প্রাতরাশ না করে কখনই বাড়ি থেকে বেরোন না সুহানা। বেশির ভাগ দিনে ডিম আর দুধ দিয়েই সকালের খাবার সারেন সুহানা।
দুপুরের খাবার: খুব বেশি ভারী খাবার দুপুরে খেতে পছন্দ করেন না সুহানা। ফল, ফলের রস এবং স্যান্ডউইচের মতো হালকা খাবারই দুপুরের খাবার পাতে রাখেন সুহানা। বেদানা তাঁর পছন্দের ফল।
রাতের খাবার: রাতে ৮টার আগেই খাবার খেয়ে নেন সুহানা। রাতে গ্রিলড চিকেন, ফিশ আর সেদ্ধ করা শাকসব্জিই থাকে তাঁর খাদ্যতালিকায়।
বেলি ডান্সিং: এই বিশেষ প্রকার নাচে পারদর্শী সুহানা। নিয়মিত বেলি ডান্সিং-এর চর্চা করেন সুহানা। শরীর সুস্থ রাখতে এবং নমনীয়তা বাড়তে নাচের কোনও জুড়ি নেই।
জোয়া আখতারের আর্চি কমিকসের দেশীয় সংস্করণে পর্দায় অভিষেক হবে শাহরুখ-তনয়ার। ছবিতে কেমন অভিনয় করবেন সুহানা সেই দিকেই তাকিয়ে তাঁর ভক্তমহল।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক অনেকেই মনে করেন, তেল যত বেশি দেওয়া হয়, রান্না তত মজার হয়। এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। উল্টো শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তেল। এ কারণেই ওজন কমাতে কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তেলবিহীন খাবারের বিকল্প নেই। এখন তেলের বাজারে আগুন। তাই অনেকটা মিতব্যায়ী হয়েই তেল খরচ করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে মুরগির মাংস কমবেশি সবাই খান। তবে কখনো কি তেল ছাড়া মুরগির মাংস রান্না করে খেয়েছেন? না খেয়ে থাকলে এখনই সেরা সময় রেসিপি অনুসরণ করে স্বাস্থ্যকর উপায়ে তেল ছাড়া মুরগির মাংস রান্না করার। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রেসিপি-
উপকরণ ১। মুরগির মাংসের টুকরো ২। পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ ৩। আদা বাটা সামান্য ৪। রসুন বাটা ১ চা চামচ ৫। জিরা বাটা ১ চা চামচ ৬। দারুচিনি আস্ত ১টি ৭। এলাচ ২-৩টি ৮। লবণ পরিমাণ মতো ৯। হলুদের গুঁড়া সামান্য ও ১০। মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ।
রান্নার পদ্ধতি একটি ননস্টিকি ফ্রাইপ্যানে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা ও জিরা বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। মসলার পানি শুকিয়ে আসলে তাতে সামান্য পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চুলার আঁচ হালকা রাখুন। কিছুক্ষণ পর পরিমাণ মতো দারুচিনি, এলাচ, লবণ, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। মসলা শুকিয়ে গেলে আবারও পানি দিয়ে নাড়ুন। মসলা কষানো হলে মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর পাত্রের মুখ ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হলে একটু ঝোল ঝোল রেখে বা ঘন করে নামিয়ে ফেলুন। ব্যাস সহজেই তৈরি হয়ে গেল তেল ছাড়া মুরগির মাংস রান্না। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক আমের মৌসুমে হরেক পদের রান্নায় আম ব্যবহার করা হয়। গরমে কাঁচা আমের টক স্বাদ গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমিষ ঘরানার খাবার রাঁধতে চাইলে কাঁচা আম এ শোলের ঝোল হতে পারে দারুণ একটি পদ।
কাঁচা আম এ শোলের ঝোল তৈরিতে যা লাগবে
১. ৪-৬ টুকরা শোল মাছ।
২. একটি কাঁচা আম।
৩. তিন টেবিল চামচ সরিষা বাটা।
৪. পরিমাণমত হলুদ গুঁড়া।
৫. স্বাদমত লবণ।
৬. এক চা চামচ পাঁচফোড়ন।
৭. ৩-৫টি কাঁচামরিচ।
৮. ৩-৪ টেবিল চামচ সরিষা তেল।
৯. দুইটি শুকনা মরিচ।
কাঁচা আম এ শোলের ঝোল যেভাবে তৈরি করতে হবে
মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে এতে অল্প লবণ, হলুদ গুঁড়া ও সরিষা তেল মাখিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। অন্যদিকে সরিষা বাটা আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে গুলিয়ে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে অল্প আঁচে মাছগুলোর উভয় পাশ ভেজে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ভাজা যাবে না। অল্প ভাজা হতেই তুলে নিতে হবে।
মাছ তুলে নেওয়ার পর একই তেলে পাঁচফোড়ন ও শুকনা মরিচ দিয়ে ভাজতে হবে। পাঁচফোড়নের গন্ধ ছাড়লে আমের টুকরা দিয়ে দিতে হবে। অল্প আঁচে রেখে এতে হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নাড়তে হবে। আম সিদ্ধ হয়ে আসলে পানি মিশ্রিত সরিষা বাটা দিয়ে নেড়ে মাছের টুকরা ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিতে হবে।
হালকা নেড়ে পাত্রের মুখ ঢেকে মাঝারি আঁচে রাঁধতে হবে। ঝোল টেনে আসলে লবণ চেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন মন মতো।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক করলা বাজারে সারাবছরই পাওয়া যায়। ভাজি, ভর্তা ও ঝোলে করলার কোন জুড়ি নেই। তিতা হলেও স্বাদ আছে তাই অনেকে খেতে ভালবাসে। তবে স্বাদের চেয়ে ওষুধের গুণই করলাকে সবার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
এছাড়াও করলার ভিতর রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এছাড়াও, করলায় যথেষ্ট পরিমানে বিটা ক্যারোটিন আছে, যা ব্রকলি থেকেও দ্বিগুণ।
আসুন জেনে নিই করলার গুনাগুন :
সুগার নিয়ন্ত্রণ : করলার রস খেলে পলিপেপটাইড-পি নামে একটি উপাদানের মাত্রা বেড়ে যা, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। ২০১১ সালে প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে, ডায়াবেটিস আক্রান্তরা নিয়মিত এই ঘরোয়া ওষুধটি গ্রহন করেন, তাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ : করলায় প্রচুর মাত্রায় আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি শরীরে লবণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে কন্ট্রোলে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যাওয়ার সাথে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণের সম্পর্ক থাকাতে, করল্লার রস পানে হার্টের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়।
তারুণ্য ধরে রাখতে করল্লার রস : করলা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে শরীরে রক্তের উপাদান বাড়ায়। করলার ভিটামিন সি ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এটি শরীর হতে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। করলার সবচেয়ে বড় গুণ এটি বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই করলা খেয়ে ধরে রাখুন তারুণ্য।
ক্যানসার প্রতিরোধ : করলায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ লৌহ, ভিটামিন এ, সি এবং আঁশ। এন্টি অক্সিডেন্ট-ভিটামিন এ এবং সি বার্ধক্য বিলম্বিত করে। এছাড়াও করলায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টিকারী লুটিন এবং ক্যানসার প্রতিরোধকারী লাইকোপিন।
কোষ্ঠকাঠিণ্য দূরীকরণ : করলায় লম্বা ফাইবার থাকায় নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
শ্বাস কষ্ট দূর করে : করলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের দূষণ দূর করে হজমের গতি বাড়ায়। পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও গলার প্রদাহ নিরাময় হয়।
খাবারে রুচি বাড়ায় : করলায় তিতা খাবারে রুচি বাড়ায়। এক চা চামচ করে করলার রস সকাল ও বিকালে খেলে খাবারে রুচি বাড়বে।
বাতের ব্যাথা নিরাময় : বাতব্যাথা তাড়াতে চার চা-চামচ করলা বা উচ্ছে পাতার রস একটু গরম করে দেড় চা চামচ বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে হবে। এছাড়া্ও পানি পিপাসা বেড়ে যাওয়া, বমিভাব হওয়া থেকে মুক্তি পেতে উচ্ছে বা করলার পাতার রস উপকারী। এক চা চামচ করলা পাতর রস একটু গরম করে অথবা গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। অতিরিক্ত এলকোহল খাওয়ার অভ্যাস থেকে লিভার ড্যামেজড হলে, সে সমস্যায় করলায় পাতার রস দারুন কাজে দেয়। শরীর থেকে অতিরিক্ত এ্যালকোহলিক টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা : করলা বাজার থেকে কেনার ৩-৪ দিনের মধ্যেই খেয়ে ফেলা ভাল। রুম টেম্পারেচারে অন্যান্য সবজির সঙ্গে করলা রাখলে পেকে গিয়ে হলুদ হয়ে যেতে পারে। তাই, করলা আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। বাজার থেকে আনার পর পরিষ্কার পানিতে করলা ভাল করে ধুয়ে রান্না করুন।
করলার এত উপকারী হলেও একদিনে অতিরিক্ত পরিমানে করলা খাবেন না। এতে তলপেটে সামান্য ব্যথা হতে পারে। ডায়বেটিস পেশেন্টরা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন সারাদিনে কতটা পরিমাণে তেতো খেতে পারবেন। সুগারের ওষুধের সঙ্গে তেতোর ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। প্রেগনেন্ট মহিলারাও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করলার রস খাবেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : শখ করে অনেক টাকা খরচ করে চুল রং করালেন, অথচ বেশি দিন টিকল না। সালোঁর উপর খেপে না গিয়ে নিজের অভ্যাসগুলি ঝালিয়ে নিন।
সালোঁয় গিয়ে পছন্দের রং বেছে চুল রং করালেন। হাইলাইট করালেন আলাদা করে। অপূর্ব নতুন মুখের ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে দিলেন। ওমা! এক মাস যেতে না যেতে চুলের রং ফিকে হয়ে গেল? এবার যিনি চুল রং করেছিলেন, সেই বিশেষজ্ঞের উপর বেজায় খেপে গেলেন তো? মনে করে দেখুন, রং করার পর যে নির্দেশগুলি তিনি দিয়েছিলেন, সব আদৌ মেনেছেন? মানলে এ রকম হত না।
চুলে রং করানোর পর যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখলে আপনার প্রিয় রং আরও বেশি দিন টিকবে—
১। রং করার দু’দিনের মাথায় চুলে শ্যাম্পু করে ফেলবেন না। রং বসতে একটু সময় লাগে। তার আগেই যদি শ্যাম্পু করে ফেলেন, তা হলে তাড়াতাড়ি রং ধুয়ে যাবে।
২। কী ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তা অত্যন্ত জরুরি। সালফেট যুক্ত শ্যাম্পু চুলের রং খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট করে দেয়। তা ছাড়াও এই ধরনের শ্যাম্পু দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা আপনার চুলের পক্ষেও ভাল নয়। তাই রং করানোর পর বিশেষ শ্যাম্পু আলাদা করে সালোঁ থেকেই কিনুন।
৩। চুলে রং করলে কিছু দিন চুল এমনিই উজ্জ্বল দেখায়। অনেকে তাতে ভুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা থামিয়ে দেন। কিন্তু সেটাই মস্ত ক্ষতি করে দিচ্ছে। ভাল সালফেট ছাড়া কন্ডিশনার এবং চুলের মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
৪। রং করানোর পর চুল একটু রুক্ষ হয়ে যায়। তাই অনেকে খুব তাড়াতাড়ি আরও নানা রকম রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তাতে চুলের রং ফিকে হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। তার চেয়ে বাড়িতেই চুলের যত্ন নিন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : গরম বেড়েই চলেছে। এদিকে গরমের তীব্রতায় অস্থির সবাই। ঘরে তবু যেমন-তেমন, বাইরে বের হলে যেন আর রক্ষা নেই! সূর্যমামা তার রাঙা চোখ নিয়ে আপনার দিকেই তাকিয়ে থাকবে! এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। কারও কারও ক্ষেত্রে হচ্ছে হিট স্ট্রোক। এই সময়ে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জেনে নিন সেগুলো কী-
পানি পান করুন গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি পান করবেন। তবে খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি পান করবেন না, এতে খাবার হজমে সমস্যা দেখা দেবে। পানি পান করতে হবে খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে কিংবা পরে। এতে হজম ঠিকভাবে হবে, শরীরেও আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
পানির বোতল সঙ্গে রাখুন বাইরে বের হলে পানি ছাড়া বের হবেন না। গরমে বাইরে বের হলে সব সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। বাড়ি থেকে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যান। বাইরে বের হওয়ার পর তৃষ্ণা পেলে পানি পান করুন। দীর্ঘ সময় পানি পান না করে থাকবেন না। বাইরের খোলা শরবত, জুস বা অস্বাস্থ্যকর কোনো পানীয় পান করবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন রোদে বের হলে অবশ্যই হালকা রংয়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। কারণ এতে গরমের অনুভূতি কম হবে, স্বস্তি পাওয়া যাবে। এসময় গাঢ় রঙের পোশাক পরলে গরম ও অস্বস্তি দুটিই বেড়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে টাইট ফিটিং পোশাক পরা থেকেও বিরত থাকুন। কারণ তাতে গরম বেশি লাগে।
ছাতা ও টুপি ব্যবহার করুন শুধু বৃষ্টির দিনেই নয়, ছাতার প্রয়োজন পড়ে রোদ থেকে বাঁচতেও। তীব্র রোদে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা রাখবেন। এতে রোদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। ছাতার বদলে সঙ্গে রাখতে পারেন টুপিও। তীব্র রোদে এটিও আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এছাড়া রোদে বের হলে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে পারেন।
হালকা খাবার খান গরমে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এসময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা মসলাদার খাবার শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই গরমের সময়ে হালকা খাবার খান। এতে শরীর ভালো থাকবে।
পানিযুক্ত ফল খান গরমের মৌসুমে নানা ধরনের ফল পাওয়া যায়। সুমিষ্ট ও রসালো সেসব ফল খেতে হবে নিয়মিত। যেসব ফলে পানির অংশ বেশি যেমন তরমুজ, ফুটি, নাশপাতি, কমলা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হবে না। তীব্র গরমেও আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন গরমের কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অবহেলা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে যেকোনো অসুখ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সহজ হবে। গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা থাকুক। কারণ সবার আগে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে নিজেকেই।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : এই ঋতুতে হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। প্রচন্ড গরমে অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। প্রতিকারের উপায় জানা থাকলে হিট স্ট্রোক থেকে বেচে থাকা যায়।
হিট স্ট্রোক কী, কেন হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. তানভীর আহমেদ।
হিট স্ট্রোক এক ধরনের হাইপারথার্মিয়া। হাইপার হচ্ছে অধিক মাত্রা, আর থার্মিয়া মানে তাপ। শরীরে অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকেই বলা হয় হিট স্ট্রোক।
আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু একটানা রোদে থাকলে গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়।
শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন ও পরিশ্রান্ত।
এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাচ্চা, বয়স্ক ও যারা ওবেসিটিতে ভুগছে তারা হিট স্ট্রোকে সহজেই আক্রান্ত হয়।
প্রতিকারে কী করবেন
যতটুকু সম্ভব এই গরমে রোদে কম বের হতে হবে। একান্তই বের হতে হলে সঙ্গে পানির বোতল রাখা দরকার ও মাঝে মাঝে পানি পান করা উচিত। তা না হলে শরীর অবসন্ন মনে হওয়া মাত্রই ছায়াযুক্ত বা শীতল কোনো স্থানে বিশ্রাম করতে হবে।
যদি অবস্থা খারাপ মনে হয় তাহলে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় শরীর মুছে দিতে হবে। খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে, যাতে শরীরের লবণ ও জলের শূন্যতা দূর করতে পারে। অজ্ঞান হয়ে গেলে বা মাথা ঘোরালে মাথায় পানি ঢালতে হবে। তাতেও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : রুই মাছের ডিম কীভাবে রান্না করলে বেশি সুস্বাদু লাগবে সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। এই ডিম দিয়ে কিন্তু অনেক পদের খাবার তৈরি করা যায়। ভুনা, চচ্চরি, ঝুরি ভাজা তৈরি করতে পারেন। তবে সবচেয়ে মজাদার খাবারটি তৈরি করতে চাইলে বেছে নিন রুই মাছের ডিমের কাবাব। চলুন জেনে নেওয়া যাক সহজ রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
রুই মাছের ডিম- ২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি- ৩ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি- আধা কাপ
মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
লবণ- পরিমাণমতো
টালা জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ
কাবাব মসলা- আধ চা চামচ
চালের গুঁড়া বা কর্ণফ্লাওয়ার- ১/৪ কাপ
লেবুর রস- সামান্য
তেল- ভাজার জন্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
তেল ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে মিশ্রণটিকে ছোট ছোট বল আকারে গড়ে ডুবো তেলে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। সাদা ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারবেন। আবার পছন্দের সস দিয়েও খাওয়া যাবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বকও ভালো রাখতে হবে। ত্বক খারাপ হয়ে গেলে তা যে শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট করে তা নয়, এটি কিন্তু নানা অসুখেরও কারণ হতে পারে। গরমের তীব্রতায় ত্বকে লালচেভাব, ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া ভাব, ট্যান ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। গরমের সময়ে তাই ত্বকের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
গরমের সময়ে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেড়ে যায়। যে কারণে ত্বকের তেল গ্রন্থিগুলো অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন করা শুরু করে। এতে ত্বক হয়ে যায় তৈলাক্ত। সেইসঙ্গে বাড়ে ব্রণের আধিক্য। ত্বকের সতেজতা নষ্ট হতে থাকে। এসময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসার কারণে ত্বকে ট্যান পড়ে। এসব থেকে বাঁচতে আপনাকে যত্নশীল হতে হবে নিজের প্রতি। জেনে নিন এই গরমে ত্বক ভালো রাখতে কী করবেন-
শরীর ঢাকা পোশাক পরুন
গরমের সময়ে প্রতিদিন বাইরে বের হলে যতটা সম্ভব ত্বক ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। গরমে স্বস্তি পেতে অনেকে স্লিভলেস কিংবা ছোট হাতার পোশাক পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু এ ধরনের পোশাক পরে রোদে বের হলে সূর্যের তাপে আপনার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য গরমের সময়ে হালকা রঙের শরীর ঢাকা পোশাক পরবেন। পোশাকের কাপড় যেন সুতি হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেইসঙ্গে বাইরে বের হওয়ার আগে সঙ্গে টুপি, সানগ্লাস, ছাতা ইত্যাদি সঙ্গে নেবেন। পাতলা সুতির স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে পারলে বেশি উপকার পাবেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন আমাদের ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সূর্যের ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি। এর ফলে ত্বকে রোদে পোড়া ভাবের সৃষ্টি হয়। সেইসঙ্গে ত্বকে বলিরেখা এবং অকালে বয়সের ছাপ পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আর এ কারণেই বাইরে বের হওয়ার আগে ভালোভাবে সানস্ক্রিন মেখে বের হবেন। শুধু বাইরে বের হলেই নয়, যারা ঘরে থাকেন তাদেরও এসপিএফ-৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
হাইড্রেটেড থাকুন
গরমের সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে ঘামের পরিমাণও বেড়ে যায়। যে কারণে শরীরে তৈরি হতে পারে পানির ঘাটতি। তাই এসময় বেশি করে পানি পান করা উচিত। দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করবেন। সেইসঙ্গে ডিটক্স ওয়াটারও পান করতে পারেন। এতে শরীর হাইড্রেটেড ও সতেজ থাকবে। এসময় খাবারে বেশি করে সবজি ও মৌসুমী ফলমূল রাখুন। যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি হবে না। ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড।
মুখ পরিষ্কার রাখুন
গরমের সময়ে মুখ পরিষ্কার রাখা জরুরি। দিনে এক অথবা দুইবার অয়েল-ফ্রি, নন-কোমিডোজেনিক, নন-ফোমিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বকে জমে থাকা ধুলো-বালি, তেল, ময়লা পরিষ্কার হবে। বজায় থাকবে ত্বকের সতেজ ভাব। মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য ত্বক নিয়মিত স্ক্রাব করবেন। এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে।
ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শুধু শীতের সময়েই নয়, গরমেও ত্বক ভালো রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এসময় অয়েল-বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের বদলে ওয়াটার-বেসড হাইপোঅ্যালার্জেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এ ধরনের ময়েশ্চারাইজার হালকা ধরনের হয়। এটি গরমে ত্বক আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|