হঠাৎ মাথা ঘুরে উঠা কি বড় কোনো রোগের লক্ষণ?
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আচমকাই মনে হল কেমন যেন মাথা ঘুরছে। এই রকম সমস্যা অনেকেরই হয়। মাথা ঘোরা, হালকা লাগা বা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা কি কোনও রোগের উপসর্গ?
চিকিৎসকরা বলছেন, বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভার্টিগো। ভার্টিগো থাকলে হঠাৎই মনে হতে পারে মাথাটা ঘুরে উঠল। এটা ছাড়াও আরও যেসব কারণে আচমকাই মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে নিন সেগুলো-
১. মাথা ঘোরা কমাতে বার বার পানি খেতে পারেন। এতে বেশ তাড়াতাড়ি কমতে পারে সমস্যা। শরীরে পানির ঘাটতি হলে এই সমস্যা দেখা যায়।
২. এ ছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কখনও কখনও ঘুম থেকে ওঠার পরও মাথা ঘুরতে পারে।
৩. শরীরে ভারসাম্যের অভাব ঘটলেও মাথা ঘোরে।
৪. কানের ভেতরে কোন সমস্যা হলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
৫. গরমে ঘেমে হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা হালকা হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে।
৬. হৃদ্যন্ত্রের পেশি সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হওয়ার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হলে এই ধরনের সমস্যা দিতে পারে।
৭. সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হলেও মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আচমকাই মনে হল কেমন যেন মাথা ঘুরছে। এই রকম সমস্যা অনেকেরই হয়। মাথা ঘোরা, হালকা লাগা বা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা কি কোনও রোগের উপসর্গ?
চিকিৎসকরা বলছেন, বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভার্টিগো। ভার্টিগো থাকলে হঠাৎই মনে হতে পারে মাথাটা ঘুরে উঠল। এটা ছাড়াও আরও যেসব কারণে আচমকাই মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে নিন সেগুলো-
১. মাথা ঘোরা কমাতে বার বার পানি খেতে পারেন। এতে বেশ তাড়াতাড়ি কমতে পারে সমস্যা। শরীরে পানির ঘাটতি হলে এই সমস্যা দেখা যায়।
২. এ ছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কখনও কখনও ঘুম থেকে ওঠার পরও মাথা ঘুরতে পারে।
৩. শরীরে ভারসাম্যের অভাব ঘটলেও মাথা ঘোরে।
৪. কানের ভেতরে কোন সমস্যা হলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
৫. গরমে ঘেমে হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা হালকা হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে।
৬. হৃদ্যন্ত্রের পেশি সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হওয়ার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হলে এই ধরনের সমস্যা দিতে পারে।
৭. সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হলেও মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
চা আর সিগারেটের এই যুগলবন্দি আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে অনেকেই ধূমপান করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, চা আর সিগারেট একসাথে পান করলে আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। গবেষণা বলছে, চা এবং সিগারেট একসঙ্গে খেলে বাড়তে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি। ‘অ্যানাল্স অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ নামে চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকায় এমন কথা বলা হয়েছে।
তামাক এবং অ্যালকোহল দুটিই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। ক্যানসারের মতো রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি। আর এই অভ্যাসগুলির সঙ্গে যদি পান করেন গরম চা, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গরমের প্রকোপ বাড়ছে প্রতিদিনই। ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয় ঘাম। ঘামের সঙ্গে শরীরে জীবাণু তৈরি হলে দুর্গন্ধ হয় ঘামে। এই বিব্রত গন্ধ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। ১ মুঠো নিম পাতা ১ কাপ পানিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে নিন। বাহুমূলের নিচে, ঘাড়ের কাছে ও শরীরের নানা ভাঁজে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে গোসল করে নিন।
লেবু অর্ধেক করে কেটে আন্ডারআর্মে ঘষে নিন। লেবুর উপর লবণ ছিটিয়ে ঘষলেও উপকার পাবেন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গোসল শেষে সামান্য নারিকেল তেল তুলায় করে বাহুসন্ধিতে লাগিয়ে নিন।
১ কাপ পানিতে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। এই মিশ্রণ আন্ডারআর্মে স্প্রে করে নিন। চায়ে থাকা ট্যানিন ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। পানিতে একটু বেশি করে চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফোটান। ছেঁকে ঠান্ডা করুন। যেসব স্থানে ঘাম জমে সেসব জায়গায় মিশ্রণটি লাগান। দূর হবে ঘামের দুর্গন্ধ।
গোসলের সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করবেন। বডি ওয়াশের উপাদানের মধ্যে শসা, অ্যালোভেরা, মেন্থল, নিম বা টি ট্রি অয়েল যেন থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। এসব উপাদান ব্যাকটেরিয়া দূর করবে শরীর থেকে।
সমপরিমাণ বেকিং সোডা ও কর্ন স্ট্রাচ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগিয়ে রাখুন বাহুমূলে। ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করবেন ও অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
অনেকেই কানে সারাক্ষণ হেডফোন গুঁজে রাখেন। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের পর থেকে অনেক কাজ একেবারে অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে। এতে করে হেডফোন ব্যবহার বেড়ে গেছে বহুগুণে। তবে অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার ডেনে আনতে পারে ভয়াবহ শারীরিক ক্ষতি। যেসব ক্ষতি হতে পারে-
শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে :
হেডফোন ব্যবহার করার সময় শব্দ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ কানে গেলে বিনষ্ট হতে পারে শ্রবণশক্তি। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, ১০০ ডেসিবেলের উপর হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয় একেবারেই।
কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে :
আজকাল বাজারে এমন কিছু হেডফোন পাওয়া যায় যেগুলোর শব্দের গুণগতমান ভাল হলেও এতে একটি ঝুঁকিও থেকে যায়। কারণ সেসব হেডফোন কানের বহু গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে কানের ভিতরে বায়ু প্রবেশের বাধার সৃষ্টি করে। এতে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।
অন্যান্য শারীরিক উপসর্গ :
দিনের বেশিরভাগ সময়ে কানে হেডফোন গোঁজা থাকলে- মাথা ধরা বা কানের ভিতর ঝিম ঝিম করা ইত্যাদি নানা শারীরিক উপসর্গ দেখা যায়।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব :
হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার কানকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করে। শুধু তাই নয় ব্লুটুথের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কের উপর পড়ে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এমন সমস্যা হলে মাথায় যন্ত্রণার পাশাপাশি নানাবিধ শারীরিক সমস্যা হয়। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। তাই এই ব্যথা কমাতেই এসব অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
ঘুমে অনিয়ম :
প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমালে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বেই। রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখা কিংবা মোবাইল দেখার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনুন। সমাধান মিলবে।
চিনি:
এমন খাবার এড়িয়ে চলুন যেগুলোতে অতিরিক্ত চিনি আছে। রক্তে সুগার বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। তাই পরিমিত বোধ রেখে মিষ্টি খান। খালি পেট রাখা
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাসট্রিকের প্রকোপ বাড়বে। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে গ্যাসট্রিকের জুড়ি মেলা ভার। তাই কখনও খালি পেটে থাকবেন না এবং প্রচণ্ড ব্যস্ততায় তো নয়ই।
কফি খাওয়ার অভ্যাস :
যাদের ক্যাফেইন আসক্তি রয়েছে তাদের এই অভ্যাস কমাতে হবে। মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কফি একটি কারণ। কফির অভ্যাস সহসাই ছাড়ানো কঠিন। এক্ষেত্রে একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলাপ করে নিন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আজকালকা খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম যেনো প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে যোগ হচ্ছে রাত জেগে থাকা ও কম ঘুম। ফলে এ থেকেই দেখা দিচ্ছে অ্যাসিডিটির সমস্যা। অনেক ওষুধ খেয়েও সমস্যা মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। এজন্য ঘরোয়া উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
প্রতিদিন সকালে খালিপেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। রোজকার ডায়েটে রাখুন কলা, তরমুজ, শসা। তরমুজের রস অ্যাসিডিটিতে যাদুর মতো কাজ করে। ডাবের পানিও অ্যাসিডিটি কমাতে দারুণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খান। খাবারের মাঝে লম্বা বিরতি দেবেন না। একটু পরপর খাবার খান তবে অল্প করে। আচার, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। বদহজম, পেট ফাঁপায় কাজ করে জোয়ান। একটি প্যানে এক চা চামচ জোয়ান ভেজে ঠা-া করে গুঁড়ো করে নিন। তাতে এক চিমটি নুন মিশিয়ে নিন। এটি পেটের ব্যথা এবং গ্যাস-এর জন্য খুবই কার্যকর।
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আদা বেঁটে, তাতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। আদা মধুর সংমিশ্রণ অ্যাসিড রিফ্লাক্সের জন্য সেরা পানীয়। বুক-জ¦ালাপোড়া করলে লবঙ্গও পারেন।
কফি খাবেন না, বরং হার্বাল চা খান। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ মধু মেশান। প্রতিবার খাবারের পর এই পানীয়টি পান করুন। অথবা, পানিতে কয়েকটা পুদিনা পাতা ফুটিয়ে নিন, তার পর ছেঁকে নিয়ে এই পানিটি পান করুন। ফল মিলবে হাতেনাতে।
ধনিয়া বীজে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পেটের সমস্যা বা বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। ধনিয়া লিভারকে ডিটক্সিফাই করে, খিদে বাড়ায় এবং হজম প্রক্রিয়া ভাল রাখে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
দাঁতের ব্যথার পাশাপাশি অনেকের মাড়ির ব্যথা হয়। এই যন্ত্রণা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। বিশেষত রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে কারোই ভালো লাগার কথা নয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভাল। কিন্তু কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে ঠিকই সমাধান করে নিতে পারেন। এই যেমন- লবঙ্গ ও হলুদ : লবঙ্গ ও হলুদ যে-কোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই দুটি আয়ুর্বেদিক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে ও দাঁত কিংবা মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গরম পানিতে কুলি :
লবণ মেশানো গরম পানিতে কুলি করতে পারলে দাঁত, মাড়ি ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এইভাবে মুখে কোনো সংক্রমণ থাকলে তা দ্রুত সেরে ফেলা যায়।
ঠাণ্ডা গরম সেঁক :
যেকোনো ব্যথা কমাতে সেঁক কার্যকরী। মাড়ির যে জায়গায় ব্যথা হচ্ছে সেখানে ঠাণ্ডা-গরম সেঁক দিয়ে দেখুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আমাদের মানুষের মধ্যে শনাক্ত হওয়া সাধারণ ক্যান্সারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল খাদ্যনালীর ক্যান্সার বা ইসোফেগাল ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় শতকরা ১৪ ভাগ রোগীই খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভোগেন।
খাদ্যনালী হল মানুষের মুখ থেকে পাকস্থলীর সঙ্গে সংযোগকৃত ফাঁকা নল। এর মূল কাজ মুখ গহ্বরে থাকা খাবার পাকস্থলী পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলো সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় বুঝতে পারেন না। যার ফলে চিকিৎসায় অনেকটা দেরি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজিস্ট ডাক্তার উম্মে নুসরাত আরা কিছু শারীরিক লক্ষণের দিকে সতর্ক হতে বলেছেন:
প্রাথমিক অবস্থায় শক্ত খাবার গিলতে অসুবিধা হবে। পরবর্তীতে তরল খাবার খেতে এমনকি ঢোক গিলতেও কষ্ট হতে পারে।
হজমে সমস্যা যেমন :
বুক জ্বালাপোড়া, বার বার ঢেকুর তোলা, মুখে টক পানি আসা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি বার বার দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যার স্বাভাবিক চিকিৎসা নেওয়ার দুই সপ্তাহ পরেও রোগ ভালো না হলে।
ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে অনেকখানি ওজন কমে গেলে, খাবারে অরুচি। দীর্ঘদিন ধরে কাশি। রাতের বেলা শ্বাসকষ্ট। গলা ও বুকের মাঝখানে ব্যথা, বিশেষ করে গিলতে গেলে।
বমি বমি ভাব, ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা। খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসা। একটানা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
সারা দেশে তীব্র গরম পড়েছে। প্রতি বছরই এ সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যায়। ফুড পয়জনিং মূলত খাবার থেকেই হয়। ফলে বমি বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ :
* খাবার খেয়ে বারবার বমি করা * পাতলা পায়খানা হওয়া * জ্বর * পেট ব্যথা * ক্লান্তি * ক্ষুধামান্দ্য
গরমে বাড়ে প্রকোপ :
গরমের সময় ফুড পয়জনিং বেশি হয়। এ সময় খাবার দ্রুত পচে যায় বলে এতে জীবাণু সহজে সংক্রমিত হয়। এজন্য বাসি বা পচা খাবার, গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। পথেঘাটে তৈরি খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেলে ফুড পয়জনিংয়ের আশঙ্কা কমে। কারো ফুড পয়জনিং হলে সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হলে তীব্র পানিশূন্যতা, এমনকি রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। পানিশূন্যতা রোধে ডাব, তরমুজ জাতীয় রসাল ফলমূল খাওয়া উচিত। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয়।
যা রাখতে হবে খাদ্যতালিকায় :
ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্তকে দিতে হবে সহজপাঁচ্য আমিষ। হজমের সুবিধার জন্য মাছ-মাংসের কিমা, সিদ্ধ ডিম দেওয়া যেতে পারে। ডিমের সাদা অংশ, ঘোল ও পাকা কলা, কাঁচকলা ডায়রিয়ায় বেশ কার্যকর। তবে খাবারে ডাল না রাখাই ভালো। এ ছাড়া শিং, মাগুর ও কচি মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। এতে আলু-পেঁপে-কাঁচকলা-লাউ অথবা আঁশ ছাড়া অন্য কোনো সবজি দিতে পারলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। স্যালাইন, লেবুর শরবত, ফলের রস খেলেও পানিশূন্যতা রোধ করা যাবে।
যা এড়িয়ে চলতে হবে :
খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ডুবোতেলে ভাজা খাবার, মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার, মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, ভুসিযুক্ত রুটি, শসা, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
চিকিৎসা :
ডায়রিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগী মুখে না খেতে পারলে এবং জটিল পরিস্থিতি মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা ভালো কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। যে কোনো ত্বকেই ব্রণ হতে পারে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। গরমে ব্রণের সমস্যা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।
গরমে তীব্র তাপের কারণে ত্বক সব সময়ই ঘামে। ফলে ত্বকের কোষগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি আঁঠালো হয়ে যায়। মৃত চামড়া বাইরের পৃষ্ঠে ধ্বংসাবশেষ হিসেবে জমা হয়।
যা ত্বকের নিচে অক্সিজেনে নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিকভাবে সংখ্যা বাড়ায়। এটি ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে, ফলে ব্রণ হয়।
ঘরোয়া কিছু ফেসপ্যাক ব্যবহারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।জেনে নিন কী কী ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন-
বেসন-দই : এক চামচ বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ টক দই। এই মিশ্রণ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্তভাব দূর করে বেসন। পাশাপাশি ব্রণ সমস্যাও দূর করে। এই প্যাক ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল।
চারকোল-অ্যালোভেরা : এক চামচ চারকোল আর এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ময়লা ও তৈলাক্তভাব দূর হবে সহজেই।
মধু ও দারুচিনির প্যাক : এক চামচ মধুর সঙ্গে আধ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মেশান। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা মুখের জ্বালা ভাব কমায়, সঙ্গে ব্রণর সমস্যা তাড়ায়।
হলুদ-দই : এক চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে দুই চামচ দই মেশাতে হবে। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, একই সঙ্গে ব্রণর সমস্যা দূর করে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শে ইনহেলার ব্যবহার করেন। মূলত শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে ইনহেলার ব্যবহার করা হয়।
শ্বাসকষ্টের রোগীকে বিশেষ পদ্ধতিতে মুখের ভেতরভাগে স্প্রে করতে হয়। এতে শ্বাসরুদ্ধ জায়গাটি প্রশস্ত হয়ে যায়। ফলে শ্বাস চলাচলের কষ্ট দূর হয়। যদিও স্প্রে করার সময় ওষুধটি গ্যাসের মতো দেখায়, কিন্তু বাস্তবে এটি দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। তাই মুখের ভেতরে স্প্রে করার কারণে রোজা ভেঙে যাবে। সেহরির শেষ সময় এবং ইফতারের প্রথম সময় ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না হয় তবে রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কিন্তু অসুস্থতা বেশি হওয়ার কারণে যদি দিনেও ব্যবহার করা জরুরি হয় তা হলে তখন ব্যবহার করতে পারবে।
সে ক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে : ১. ওজরের কারণে দিনের বেলা ইনহেলার ব্যবহার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকা। ২. পরবর্তীতে রোগ ভালো হলে এর কাজা করে নেওয়া। ৩. আর ওজর যদি আজীবন থাকে তা হলে ফিদয়া আদায় করতে হবে। অনেককে বলতে শোনা যায়- ইনহেলার অতি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়, তাই এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তাদের এ উক্তিটি সঠিক নয়। কেননা কেউ যদি ক্ষুধার তাড়নায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে অতি প্রয়োজনে কিছু খেয়ে ফেলে, তা হলে অতি প্রয়োজনে খাওয়ার কারণে ভেঙে যাবে। সুতরাং ইনহেলার অতি প্রয়োজনে ব্যবহার করলেও রোজা ভেঙে যাবে এবং পরে রোজার কাজা দিতে হবে। (মাজমাউল আনহুর : ১/৩৬৬; রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৫; হেদায়া : ১/১২০)
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মানব দেহের একটি বিশেষ ইন্দ্রিয় হলো নাক। এই নাকেই হতে পারে নানা সমস্যা। এর মধ্যে একটি হলো নাক দিয়ে রক্ত পড়া। তবে নাক দিয়ে রক্ত পড়া কোনো রোগ নয়; বরং এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ মাত্র। নাক, কান, গলা ছাড়াও শরীরের অন্য অনেক রোগের কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। যে কোনো বয়সেই এটি হতে পারে।
এটি নাকের একপাশ দিয়ে অথবা উভয়পাশ দিয়ে হতে পারে। নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা এপিসট্যাক্সিস সমস্যাটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক সময় এটি জটিল রোগের উপসর্গ হিসাবে দেখা দেয়। তখন একে মেডিকেল ইমারজেন্সী হিসাবে দেখা হয়।
সাধারণত ৬০ শতাংশ মানুষ, জীবনের কোনো না কোনো সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হন।
কারণ :
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
নাকের সমস্যা :
১. আঘাতজনিত
২. অপারেশনজনিত
৩. নাকের সর্দি, সাইনোসাইটিস
৪. নাকের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন যেমন-এট্রফিক রাইনাইটিস, রাইনসপোরিডিওসিস।
৫. নাকের ভেতর টিউমার।
৬. নাকের মাঝখানের হাড় অতিরিক্ত বাঁকা।
৭. নাকের মাঝখানের পর্দায় ছিদ্র ইত্যাদি।
সাধারণ কারণ :
১. ওষুধ (এসপিরিস/ওয়ারফেরিন জাতীয়)।
২. উচ্চরক্তচাপ।
৩. রক্তনালির কিছু জন্মগত ত্রুটি।
৪. মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায়।
৫. জন্ডিস বা লিভারের প্রদাহ, লিভার সিরোসিস।
৬. রক্তের রোগ, যেমন- এপ্লাস্টিক অ্যানমিয়া, হিমোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, পারপুরা।
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা :
কী কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হয়। নাকের সামনের দিক থেকে রক্তপাত হলে খুব দ্রুত তা বন্ধ করা যায় কিন্তু পেছন বা ভেতরের দিক থেকে রক্তপাত হলে বহুক্ষেত্রে তা বন্ধ করতে অনেক সময় লাগে। কিছু ক্ষেত্রে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কপির দরকার পড়ে।
প্রতিরোধ :
নাক খুঁটবেন না। অনেকের খুব পছন্দের কাজ এটি। খুঁটে খুঁটে নাক থেকে ময়লা বের করেন। এতে হুট করে নাক থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়।
ঊর্ধ্ব-শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ অর্থাৎ সর্দি/কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। নাকের হাড় বাঁকা থাকলে তারও চিকিৎসা নিন। সময়মত এসবের চিকিৎসা না করালে হঠাৎ করে নাক থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়।
বাচ্চাদের খেয়াল রাখুন। ঘন ঘন এক নাকে দুর্গন্ধযুক্ত সর্দি হওয়া এবং এর সঙ্গে রক্ত গেলে সতর্ক হবেন। কোন ওষুধে ভালো না হওয়ার মানে হল বাচ্চা সবার অলক্ষ্যে নাকে কিছু ঢুকিয়েছে।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে- নিয়মিত রক্তচাপ মাপান, নিয়ন্ত্রণে রাখুন, নিয়মিত ওষুধ খান। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নাক দিয়ে রক্ত আসার অন্যতম কারণ। তাই যখনই এমন হবে, আগে ব্লাড প্রেশার চেক করে নিতে হবে।
যাঁরা (স্ট্রোক অথবা হৃদরোগে আক্রান্ত) রক্ত তরলীকরণের ওষুধ (যেমন- এসপিরিন/ইকোস্প্রিন/ক্লপিড) খেয়ে থাকেন, তাদের নাক দিয়ে রক্ত এলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং ইতিহাস জানাবেন। এসব ওষুধের কারণেও রক্তক্ষরণ হতে পারে।
যাঁদের নাকের ভেতরটা শুকিয়ে যায় বা ময়লা জমে, তারা খোঁচাখুঁচি না করে দিনে তিন-চার বার নরসল ড্রপ চার/পাঁচ ফোঁটা করে উভয় নাকের ছিদ্রে দিয়ে অথবা ভ্যাসেলিন ব্যবহার করে নাক আর্দ্র রাখতে পারেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আপনি কি এখনও সিঙ্গেল ? এ তকমা থেকে রক্ষা পেতে এই গুণগুলি রপ্ত করার চেষ্টা করুন। নারীরা সব ধরনের পুরুষকে পছন্দ করেন না। বরং কিছু বিশেষ গুণ সম্পন্ন পুরুষকেই তারা স্বামী হিসেবে পেতে চান। নারী মনের খবর রাখা বেশ কঠিন। এই কাজটি যেই পুরুষ করতে পারেন, তার জীবনই `সেট`! তবে বেশিরভাগ পুরুষের কাছে মহিলাদের পছন্দ-অপছন্দের খোঁজ নেই। তাই তাদের বিয়ের ফুল আর ফুটছে না।
১. যিনি দায়িত্ববান : নারীরা সবসময় দায়িত্ববান পুরুষকেই নিজের স্বামী হিসেবে পেতে চান। একজন নারীর কাছে তার বাবাই শ্রেষ্ঠ পুরুষ। তারা সারাজীবন সব দায়িত্ব কাঁধে বহন করে এসেছেন। তাই এখন থেকে আপনাকে দায়িত্ব নিতে জানতে হবে। আপনি এ কাজটি করতে পারলেই দেখবেন সামনে থাকা নারীর মন পেয়েছেন। তারপর আপনার বিয়ে আর ঠেকায় কে।
২. অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী :
পয়সা ছাড়া জীবন চলবে না। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলে সংসার চালানো দায়। আর মহিলারা এ বিষয়টা বিচক্ষণ বোঝেন। তাই তারা চেষ্টা করেন এমন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গুছিয়ে নেয়ার যার ইনকাম মন্দ নয়।
৩. মিশুক পুরুষ :
সকলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না। আর যার এই ক্ষমতা রয়েছে তার জীবনে মহিলা সঙ্গীর অভাব হয় না। আসলে মহিলারা এমন পুরুষকে পছন্দ করেন যিনি অপরিচিতদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। তাই এখন থেকে গুরু-গম্ভীর ভাব ছেড়ে অন্যের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে যাঁকে ভালোবাসেন, তাঁর কাছের মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান। একটু মিশুকে হোন আর কী! তবেই দেখবেন মহিলাদের মন পেয়েছেন। এমনকী তিনি বিয়ের জন্যও ভাবছেন।
৪. বিশ্বাসযোগ্যতা জরুরি : মহিলারা সব বিষয়ে ভীষণই খুঁতখুঁতে হয়ে থাকেন। তাই বিয়ে করার আগে আপনার সম্পর্কে খোঁজ তো নেবেনই। অতএব নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলুন। যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি, এমন পুরুষকে সকলেই ভালোবাসেন। তাই এখন থেকে এই গুণটি বাড়ানোর দিকেও নজর দিন।
৫. নেশাকে যিনি না বলেন :
অনেকে পুরুষ আছের যারা নেশা করাটা ফ্যাশন মনে করেন। তারা নেশায় মেতে থাকেন সারাদিন। একটা সিগারেট নিভতে না নিভতেই, আরেকটা সিগারেট ধরান। এমনকী রাতে মদ্যপান করাও অনেকের নিয়মিত অভ্যাস। মনে রাখবেন এসব পুরুষদেরকে নারীরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন সবসময়।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
পৃথিবীতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় বস্তুগুলোর একটি সুগন্ধি। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের দুনিয়া থেকে আমার কাছে তিনটি জিনিস অধিক প্রিয়। নারী, সুগন্ধি আর আমার চক্ষু শীতল হয় নামাজের মাধ্যমে’ (নাসায়ি, হাদিস : ৩৯৩৯)।
আতর সবসময় ব্যবহার করা যায়। সাধারণ সময়ের মতো রমজান মাসেও আতর, পারফিউম ব্যবহার করা যাবে, এতে কোনও বাধা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে আতর ও পারফিউমে ধোঁয়ার মত কিছু না থাকে অর্থাৎ পেটে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ থাকা যাবে না!
ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটির ফতওয়াসমগ্র)-তে এসেছে,
من تطيب بأي نوع من أنواع الطيب في نهار رمضان وهو صائم لم يفسد صومه ، لكنه لا يستنشق البخور والطيب المسحوق كمسحوق المسك
যে ব্যক্তি রমজানের দিনের বেলায় রোজা অবস্থায় কোনো প্রকারের সুগন্ধি ব্যবহার করেছে তার রোজা নষ্ট হয়নি। তবে উদ্ভিদজাতীয় বস্তু থেকে ঘ্রাণ শোঁকা ও গুঁড়ো সুগন্ধি যেমন গুঁড়ো মিশক থেকে ঘ্রাণ নিবে না। (কেননা এগুলো পেটে ঢুকে যাওয়ার আশংকা থাকে।) (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১০/২৭১)
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গুণে ভরপুর আর খেতেও সুস্বাদু এক ফল খেজুর। ধারণা করা হয় মিষ্টি এ ফলের আদিনিবাস পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোয়। চিনির বিকল্প হিসাবে খেজুর ব্যবহার করা হয় নানা উপায়ে।
শক্তির উৎস এ ফলটি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তাই অনায়াসে। খেজুর গাছ সবচেয়ে ভালো জন্মে মরু অঞ্চলে। কথায় আছে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়। তাই হয়তো এ ফল গাছ থেকে পেতেও অপেক্ষা করতে হয় ৪ থেকে কমপক্ষে ৮ বছর পর্যন্ত।
পূর্ণাঙ্গ খেজুর গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০-১২০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় প্রাচীনকাল থেকেই মেসোপটেমিয়া থেকে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের অধিবাসীরা খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ বছর থেকেই এ গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে অবগত ছিল।
এ গাছের ফল এবং পাতা দুই উপকারী মানবদেহের জন্য। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবারসহ নানা ভিটামিন, আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক এবং আয়রন। এছাড়া খেজুর সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদারও প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে থাকে। চিনির বিকল্পে যারা ডায়েটের খাবার তালিকা নিয়ে চিন্তিত তারা খেতে পারেন এ ফলটি নিশ্চিন্তে।
এ ছাড়া পেশি ও হাড় গঠনে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে খেজুর রয়েছে বেশ উপকারী গুণাবলি। মুখের অরুচি, ক্ষুধা-মন্দা কিংবা রক্তশূন্যতা দূর করতে খেতে পারেন খেজুর।
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র মাহে রমজানে ইফাতারে তাই অন্যতম এক বিশেষ খাবারের জায়গা দখল করেছে মিষ্টি এ ফলটি। খেজুর আকারভেদে গোলাকার কিংবা লম্বাটে ধরনের হয়ে থাকে। এর ভেতরে থাকা বিচি শক্ত এবং সাদা রঙের হয়ে থাকে। চারটি পর্যায়ে মূলত খেজুরকে পাকানো হয়, যা আরবি ভাষা কিমরি, খলাল, রুতাব, তমর নামে পরিচিত।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাদের বেলাতেও আছে কিছু বিধিনিষেধ। এর বাইরে ত্বকের যত্নেও নানা উপকরণে খেজুর ব্যবহার হয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকেই।
প্রাকৃতিক এ শক্তির উৎস তাই রোজাদারদের জন্য আদর্শ এক খাবার। এ ছাড়া যারা বাইরে থাকেন লম্বা সময় পর্যন্ত তারাও ব্যাগে রাখতে পারেন এ শুষ্ক ফলটি।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। যেহেতু এখন গরমের সময় এ কারণে সেহরি-ইফতারে খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তা না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে এ সময় খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, সেহরিতে এমন কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন তা দিনভর শরীরে শক্তি বজায় রাখবে। পাশপাশি ক্ষুধাও কম অনুভূত হবে। যেমন-
খেজুর: রোজায় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে খেজুর খেলে দিনভর কর্মক্ষম থাকার শক্তি পাওয়া যায়।
তরমুজ : তরমুজে র্পাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় সারাদিন শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আপেল : আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকায় এই ফলও শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
রুটি : রুটিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। সেহরিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা অনুভূত হবে।
কলা: সেহরিতে কলাও খেতে পারেন। এই ফলও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
আলু: আলু পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেটের বড় উৎস। সেহরিতে যেকোনভাবে আলু খেলে সারাদিনে শরীরে শক্তি বজায় থাকবে।
দই: দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া রোজায় সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
ছোলা: সেহরিতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়।
ভাত -ডাল: সেহরিতে চাইলে ভাত, ডাল, মুরগির মাংস ও সবজি রাখতে পারেন। পাশাপাশি প্রোটিন এবং সামান্য ফ্যাটও খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান: যেহেতু এখন গরমের সময় এ কারণে সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং তরল খাবার খান। এতে শরীরে পানিশূন্যতা রোধ হবে।
|
|
|
|
|
|
|