সাবিনাদের খেলায় ফেরাচ্ছে বাফুফে
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
হঠাৎ করেই সাজানো-গোছানো দেশের নারী ফুটবলে চরম অস্থিরতা। প্রধান কোচ ছোটনের পদত্যাগ ও দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্নার আকস্মিক অবসর নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর থেকে গত ৮ মাসে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি সাবিনা খাতুনরা। যে কারণে তারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অস্থিরতার মধ্যেই নারী ফ্রাঞ্চাইজি লিগের নতুন দিনক্ষণ জানিয়েছে বাফুফে।
সোমবার (২৯ মে) জরুরি সভার পর বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলে প্রথমবারের মতো এই লিগ শুরুর সম্ভাব্য দিনক্ষণ হিসেবে ১০ জুন বলে জানিয়েছেন।
নারী ফ্রাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে কয়েক বারই দিনক্ষণে বদল এনেছে বাফুফে ও টুর্নামেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী কে স্পোর্টস। মাত্র দুই সপ্তাহ কম সময়ের মধ্যে এই লিগ আয়োজন আদৌ সম্ভব কি না স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিল। এর উত্তরে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘তারা ( কে স্পোর্টস ) বলেছে প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে সব কিছু করতে পারবে’।
চার দল নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ হওয়ার কথা। দলের নাম, খেলোয়াড়দের ড্রাফট কিছুই এখনো হয়নি। এগুলো হওয়ার পর ফ্রাঞ্চাইজগুলো খেলোয়াড় বুঝে পেয়ে অনুশীলন এবং প্রস্তুতির সময়ও সেভাবে নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের ভিসা ও অন্যান্য বিষয়ও জড়িত। এত তড়িঘড়ির একটা কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘সামনে ফিফা উইন্ডো ( জুলাই ১০) ঐ সময় খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। তাই এর মধ্যেই করতে হবে’। ১৩ দিনের মধ্যে এই লিগ শেষ করার পরিকল্পনা।
ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ভাবনা স্পোর্টস ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি কে স্পোর্টসের। প্রথম আসরটি পরীক্ষামূলক হিসেবে দেখছেন বাফুফে সভাপতি, ‘এই লিগ সম্পর্কে আমার সেই রকম ধারণা নেই। বিশ্বেও খুব একটা নাই ভারত ছাড়া। প্রথম আসরটি দেখব। পরীক্ষামূলক লিগটি সফল হলে পরবর্তীতে এটি দীর্ঘমেয়াদে চুক্তি হবে’।
টুর্নামেন্টের বাফুফের লভ্যাংশ সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ২০ লাখ টাকা পাব। সেই টাকা জুনিয়র সাফ জয়ী মেয়েদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টের বাকি সব কিছু কে স্পোর্টসই করবে আমরা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখব যাতে বাফুফের সুনাম ক্ষুন্ন না হয়।’
নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের আগেই এমন একটি লিগের অনুষ্ঠান আয়োজন করে কে স্পোর্টস। এ নিয়ে নির্বাহী কমিটির সভায় প্রচুর সমালোচনা হয়। পাশাপাশি কে স্পোর্টস প্রিমিয়ার লিগের স্বত্তে¡র চুক্তি বাতিল করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর চুক্তি বাতিল করায় বাফুফে কে স্পোর্টসকে কোটি টাকা প্রদান না করলে নারী লিগ আয়োজন করতে দিবে না এমন হুমকিও দেয়। এখনো সেই লিগের অর্থ প্রদান করেনি কে স্পোর্টস।
এরপরও নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য কেন অনুমতি প্রদান এই প্রশ্নের উত্তর সালাউদ্দিন না দিয়ে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক দিয়েছেন, ‘এই বিষয়টি আজকের সভায় সেভাবে আলোচনা না হলেও আগের সভায় হয়েছিল। আমাদের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কাজ করছেন। একটি সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এটি ঠিক হবে’।
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
হঠাৎ করেই সাজানো-গোছানো দেশের নারী ফুটবলে চরম অস্থিরতা। প্রধান কোচ ছোটনের পদত্যাগ ও দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্নার আকস্মিক অবসর নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর থেকে গত ৮ মাসে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি সাবিনা খাতুনরা। যে কারণে তারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অস্থিরতার মধ্যেই নারী ফ্রাঞ্চাইজি লিগের নতুন দিনক্ষণ জানিয়েছে বাফুফে।
সোমবার (২৯ মে) জরুরি সভার পর বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলে প্রথমবারের মতো এই লিগ শুরুর সম্ভাব্য দিনক্ষণ হিসেবে ১০ জুন বলে জানিয়েছেন।
নারী ফ্রাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে কয়েক বারই দিনক্ষণে বদল এনেছে বাফুফে ও টুর্নামেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী কে স্পোর্টস। মাত্র দুই সপ্তাহ কম সময়ের মধ্যে এই লিগ আয়োজন আদৌ সম্ভব কি না স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিল। এর উত্তরে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘তারা ( কে স্পোর্টস ) বলেছে প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে সব কিছু করতে পারবে’।
চার দল নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ হওয়ার কথা। দলের নাম, খেলোয়াড়দের ড্রাফট কিছুই এখনো হয়নি। এগুলো হওয়ার পর ফ্রাঞ্চাইজগুলো খেলোয়াড় বুঝে পেয়ে অনুশীলন এবং প্রস্তুতির সময়ও সেভাবে নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের ভিসা ও অন্যান্য বিষয়ও জড়িত। এত তড়িঘড়ির একটা কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘সামনে ফিফা উইন্ডো ( জুলাই ১০) ঐ সময় খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। তাই এর মধ্যেই করতে হবে’। ১৩ দিনের মধ্যে এই লিগ শেষ করার পরিকল্পনা।
ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ভাবনা স্পোর্টস ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি কে স্পোর্টসের। প্রথম আসরটি পরীক্ষামূলক হিসেবে দেখছেন বাফুফে সভাপতি, ‘এই লিগ সম্পর্কে আমার সেই রকম ধারণা নেই। বিশ্বেও খুব একটা নাই ভারত ছাড়া। প্রথম আসরটি দেখব। পরীক্ষামূলক লিগটি সফল হলে পরবর্তীতে এটি দীর্ঘমেয়াদে চুক্তি হবে’।
টুর্নামেন্টের বাফুফের লভ্যাংশ সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ২০ লাখ টাকা পাব। সেই টাকা জুনিয়র সাফ জয়ী মেয়েদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টের বাকি সব কিছু কে স্পোর্টসই করবে আমরা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখব যাতে বাফুফের সুনাম ক্ষুন্ন না হয়।’
নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের আগেই এমন একটি লিগের অনুষ্ঠান আয়োজন করে কে স্পোর্টস। এ নিয়ে নির্বাহী কমিটির সভায় প্রচুর সমালোচনা হয়। পাশাপাশি কে স্পোর্টস প্রিমিয়ার লিগের স্বত্তে¡র চুক্তি বাতিল করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর চুক্তি বাতিল করায় বাফুফে কে স্পোর্টসকে কোটি টাকা প্রদান না করলে নারী লিগ আয়োজন করতে দিবে না এমন হুমকিও দেয়। এখনো সেই লিগের অর্থ প্রদান করেনি কে স্পোর্টস।
এরপরও নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য কেন অনুমতি প্রদান এই প্রশ্নের উত্তর সালাউদ্দিন না দিয়ে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক দিয়েছেন, ‘এই বিষয়টি আজকের সভায় সেভাবে আলোচনা না হলেও আগের সভায় হয়েছিল। আমাদের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কাজ করছেন। একটি সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এটি ঠিক হবে’।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
গত সেপ্টেম্বরে নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু এরপর একের পর এক দুঃসংবাদ এসেই চলেছে। গত কয়েক মাসে অবসর নিয়েছেন সাফজয়ী তিন ফুটবলার। যার হাত ধরে ইতিহাস গড়েছিল নারী ফুটবলার, সেই গোলাম রব্বানী ছোটনও এবার বাফুফের চাকরি ছাড়ছেন। গণমাধ্যমকে চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই কোচ।
ছোটন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নারী দলের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত আছি। গত সাত-আট বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে পারিনি। কেবল যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। একের পর এক টুর্নামেন্টে যে শারীরিক-মানসিক চাপ সেটা থেকে আমার বিশ্রাম দরকার। ’
২০০৯ সাল থেকে নারী দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ছোটন। ২০১৭ সাল থেকে বয়সভিত্তিক সাফের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে ফাইনালে নিয়ে গেছেন দলকে। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮, ২০২১ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সবগুলো আসরেই ডাগআউটে ছিলেন তিনি। বয়সভিত্তিকে এমন সাফল্যের পর নতুন করে স্বপ্ন বুনতে থাকে জাতীয় দলকে নিয়ে। সেই প্রত্যাশাও পূরণ করেন ছোটন। গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল। তাতে মেয়েদের ফুটবলের প্রতি সমর্থকদের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু ঠিক তখনই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন ছোটন।
ভবিষ্যৎ গন্তব্য এখনো ঠিক করেননি। তবে গত নভেম্বরে বসুন্ধরা কিংসের পক্ষ থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এমনটাই জানিয়েছেন ছোটন, `সাফ জয়ের পর বাফুফে ৫০০ ডলার বেতন বাড়িয়েছিল আমার। পারিশ্রমিক নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। গত নভেম্বরে বসুন্ধরা আমাকে ভালো অফার দিয়েছিল। কিন্তু বাফুফে আমাকে ছাড়েনি। ভবিষ্যতে কোথায় যাব এনিয়ে এখনো কোনো চিন্তা-ভাবনা করিনি। আগে এখান থেকে বের হই, তারপর বিশ্রাম নেব। বিশ্রামটা জরুরি আমার জন্য। `
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
চলতি বছরের অক্টোবরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপের সূচি অবশ্য এখনও সূচি প্রকাশ করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এমন বড় আসরকে ঘিরে দলগুলো পরিকল্পনা করে মূলত সূচি দেখেই। যে কারণে দ্রুত সূচি প্রকাশ করতে এবার আইসিসিকে চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে বিসিবি।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস দেশের একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন এমনটাই। বিসিবির এই কর্তা বলেন, `ধর্মশালায় যদি খেলা থাকে তাহলে মনে হয় একটু শীত থাকবে। আবার যদি চেন্নাইতে খেলা থাকে তাহলে ভিন্ন ব্যাপার। যোগাযোগ করা যেতে পারে (সূচির ব্যাপারে)। আমরা এটা জানতে চাইতেই পারি। এটা দোষের কিছু নেই। কেউ এর মধ্যে যোগাযোগ করেছে কিনা আমি জানি না। যদি না হয়ে হয়ে থাকে তাহলে আমরা যোগাযোগ করতে পারি। বলতে পারি, আমাদের ভেন্যু কোথায় হবে সেটা জানাও।`
এদিকে বাংলাদেশের মৌসুম হিসেব করলে এখন বর্ষার মৌসুম। যে কারণে বিশ্বকাপের আগে ক্যাম্প করতে হলে বেশ চিন্তা-ভাবনা করেই ভেন্যু ঠিক করতে হবে বিসিবিকে। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম, বগুড়া বা ঢাকায়ও ক্যাম্প করার কথা ভাবনায় রয়েছে বিসিবি কর্তাদের।
এ নিয়ে জালাল ইউনুস বলছিলেন, `আমার মনে হয় বিশ্বকাপের ক্যাম্প ভারতে করা বেশ কঠিন। সিলেটে যদি করি, সেটা বর্ষার মৌসুম। সিলেটে করা যদি কঠিন হয় তাহলে অন্য কোথাও দেখব। সেক্ষেত্রে আমাদের চট্টগ্রাম আছে, নাহলে বগুড়া আছে, ঢাকা আছে। সেটার সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।`
|
|
|
|
আনোয়ার হোসেন :
ফেসবুকে ভুয়া ফেক আইডি খুলে এক শ্রেনীর প্রতারক নবীন ফুটবলারদের টার্গেট করে পাইওনিয়র বা তৃত্বীয় বিভাগে খেলতে রাজধানীতে ফরম পুরন, আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া এবং মেডিক্যাল বাবদ বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিম হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া, বেশকিছু ফুটবল একাডেমিতে মাসিক বেতনে ভর্তি হয়ে বছরের পর বছর অনুশিলন করেও কোন ক্লাবে খেতে না পারা, অন্যদিকে বিভিন্ন ক্লাবে ট্রায়েলের নামে খেলোয়াড়দের হয়রানি, আবার অনেক বয়সভিক্তিক ক্লাব অযথা তরুন সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের রেজিস্ট্রেশন করে মাঠে না খেলানো, লিগ খেলায় ইঞ্জুরিতে পরা খেলোয়াড়দের নামকাওয়াস্তে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়াআর লিগ শেষে পারিশ্রমিকের টাকা পরিশোধ না করে গাড়ী ভাড়া দিয়ে বিদায়! দেখার কেউ নেই, অভিযোগের যায়গা নেই!-এমন ঘটনায় ক’জন অভিভাবকই তার প্রিয় সন্তানকে ফুটবল খেলতে উৎসাহিত করবে? বিষয়টি সবার বেলায় প্রযোজ্য না হলেও এমন ঘটনার শিকার অসংখ্য তরুণরা।
অতএব, “তরুণ সম্ভাবনাময় ফুটবলাররা ঢাকায় লিগ খেলতে আসে হাসঁতে হাসঁতে, অবশেষে বাড়ী ফেরে কাদঁতে কাদঁতে”। আবার এটাও ঠিক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় বিএফএফ এলিড একাডেমিতে সুযোগ পাওয়া তরুণ ফুটবলারদের চোখে মুখে এখন বড় হওয়ার স্বপ্ন। তবে সেটা হাতে গোনা। এদিকে, জাতীয় ফুটবলে ছেলে দলের ফলাফল যাইচ্ছে তাই হলেও মেয়েদের ফলাফলে খুশি প্রধানমন্ত্রীও। তবে ছেলেদেরফুটবল ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকিত নতুন প্রযন্ম। সম্প্রতি দেশের ফুটবল নিয়ে যে সমস্ত ঘটনার জন্ম হয়েছে এতে চরম হতাশায় ইতোমধ্যেই মুখ ফেরাতে শুরু করেছে তরুণ সম্ভাবনাময় ফুটবলাররা। তাহলে আগামী ভবিয্যত কী?
বাংলাদেশের ফুটবল হারাচ্ছেও না, পথও ছাড়ছে না সংশ্লিষ্টরা!ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দিনদিন পিছিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৮০ দশকে বাংলাদেশ ক্রোয়েশিয়ার কাছাকাছি ছিল। সেই ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ খেললেওআমরা ২০০শ এর কাছে। পদে পদে ভুলে ভরা বাংলাদেশের ফুটবল। কোন দোষে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল এর কারন খুঁজে বের করতে গেলে আগামী ২০ বছরে বিশ্বকাপ তো দূরের কথা, ফুটবল নামও মুখে নেবে না হয়তো তরুণরা। আগামীর অবস্থা দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ। সামনে বাফুফের নির্বাচন। এই নির্বাচনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে নতুন কমিটি। তারা কীভাবে পরিচালনা করবে বাংলাদেশের ফটবল সেটাই দেখার বিষয়। তারা কি পারবেন চরম হতাশায় নিমজ্জিত আগামী প্রজন্মকে কিছুটা স্বস্তির খবর শুনাতে? হঠাৎ একদিনেই ভালো করা সম্ভব না। ভালো ফলাফল করতে চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বহুবছর সময় নিয়ে আগাতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলপ্রেমী। যে দেশে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় প্রত্যেকে বাড়ির ছাদে ফুটবল খেলা দেশের পতাকা দেখা যায়, প্রত্যকে দেয়ালে দেয়ালে রাঙিয়ে ওঠে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার দারুন রং, প্রত্যেকের গায়ে শোভা পায় তাদের জার্সি! সেই ধরনের ফুটবলপ্রেমী একটা দেশের ফুটবলের অবস্থা এমন! আসলেই সেটা মানা যায় না।
ফুটবলে উন্নতি করতে হলে একদম শুন্য থেকে শুরু করতে হবে আমাদের। একদম শিশুদের থেকে শুরু করতে হহে পরিচর্যা। প্রথমেই গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী বয়সভিত্তিক দল। বয়সভিত্তিক দলগুলো শক্তিশালী হয়ে গেলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। আগাতে হবে স্কুল, কলেজ ভিত্তিক দল নিয়ে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যারা খেলাধুলায় ভালো করতে তাদের সেই দিকে আগানোর জন্য সাহায্য করতে হবে। সবাইকে পড়ুয়া ছাত্র বানানোর পরিকল্পনা করলে হবে না।
জেলাভিত্তিক দলগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রত্যেকে জেলায় পর্যাপ্ত বাজেট দিতে হবে। টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে। মাঠগুলোকে সংস্কার করতে হবে। আমাদের দেশের অনেক স্টেডিয়ামে এখন সবজি চাষ হয়। সঠিক পরিচর্যার অভাবে খেলাধুলার সুযোগ নেই বহু জায়গায়। স্টেডিয়ামে মেলা সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়। স্টেডিয়াম পরিচর্যা নিয়ে কারো কোনো দায়িত্ব থাকে না।
জাতীয়ভাবে লীগগুলোকে আরো গুছিয়ে আয়োজন করতে হবে। লীগের পিছনে বাজেট করতে হবে৷ আমরা তো অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কোনো দেশ না যে আমরা মোটেও খরচ করতে পারব না। ভালো ভালো প্লেয়ার আনতে হবে লীগে। আমাদের খেলোয়াড়দেরশিশু বয়সেই ফুটবল উন্নত দেশের বিভিন্ন ক্লাবে প্রশিক্ষনের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রয়োজনে দেশেই গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করতে হবে ক্লাবের শাখা।কষ্টের বিষয় হলো- ফুটবলারদের চেয়ে ক্লাব কর্মকর্তা এবং বাফুফের কর্তাদের উপার্জন থাকে বেশি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির আমরা প্রতিনিয়ত খবরের কাগজে দেখতে পাচ্ছি। এটা কঠোর আইন করে বন্ধ করতে হবে।ফুটবলকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেষ্ঠা আর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা জরুরী। ২০১৯ সালেফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফাস্তিনো বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফরে এসে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ফুটবল আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে। আর এক সময় লাল-সুবজের দলটি আরও এগিয়ে যাবে। তাকে হয়তো ফুটবল কর্তারা বুঝিয়ে ছিলেন ফুটবল উন্নয়নে বাফুফে সবধরনের সুযোগ রেখেছেন তরুণদেও জন্য। আর ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফাস্তিনো সেটা শুনে এই মন্তব্য করেছেন। তিনি তো আর বাংলাদেশের তরুণদের তলানীর খবর নেন নি।
ইনফানস্তিনো সে সময় বলেছিলেন, আমার মনে হয় না বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলাক্রিকেট। এখনো এখানে ফুটবলই বেশি জনপ্রিয়। তিনি মিথ্যা বলেন নি। তিনি এটাও বলেছিলেন, ফুটবল হৃদয় দিয়ে খেলা যায়। আমি জানি ক্রিকেটে বাংলাদেশ বেশ সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু বিশ্বে কয়টা দেশ ক্রিকেট খেলে? ১০ বা ১১টা? কিন্তু ফুটবল খেলে ২১১টি দেশ। যখন প্রতিদ্বন্ধী কম হবে তখন সাফল্যের হার বেশি হবে। কিন্তু প্রতিদ্বন্ধিতা বেশি হলে সেটা সম্ভব নয়। যেমনটা ফুটবলে হয়। আর এখানেই ফুটবলের মূল চ্যালেঞ্জ। তার কথা সুর মিলিয়ে যদি আমরা ফুটবলের প্রতি আন্তকি হই তা হলে ফিফাও আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তবে ফুটবলকে এগিয়ে নিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে নারী ফুটবলে বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে। এদিকে বাংলাদেশের বংশভুত বিদেশের নাগরিকদের দেশে এনে ফুটবল উন্নয়নে করা জরুরী। যেমনডেনমার্ক থেকে এসে জাতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জামাল ভূঁইয়া। ফিনল্যান্ডপ্রবাসী তারিক রায়হান কাজীকে ছাড়াও এখন জাতীয় দল ভাবা যায় না। নতুন দায়িত্ব নিলেও জামাল ও তারিকের ব্যাপারে ভালোই জানা আছে জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। নতুন এই স্প্যানিশ কোচের মুখে অধিনায়ক জামালের প্রশংসার কোনো কমতি নেই। তবে কাবরেরা মনে করেন, ডিফেন্ডার তারিক হবেন বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ নেতা।
আর সে সাথে প্রতারক স্বার্থ্যবাদিদের কঠোর নজরদারিতে রেখে ফুটবল খেলতে আগ্রহী তরুণ কিশোরদের আগ্রহী করার সব ধরনের সুযোগ সুবিধা তৈরী করার দায়িত্ব বাফুফের সহ সকলের।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
পুরুষ হকি জুনিয়র এশিয়া কাপের উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে মঙ্গলবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সালালাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। ওমানের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে দারুণ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশের কোচ মামুন উর রশিদ এবং অধিনায়ক প্রিন্স লাল সামন্ত। সোমবার অনুশীলন শেষে এমন কথাই জানান তারা।
এশিয়া কাপ হকি সামনে রেখে প্রায় ৩ মাসের দীর্ঘ অনুশীলন ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতেই প্রায় ২০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্পের পাশাপাশি হরিয়ানাতে ১০টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছেন মামুন উর রশিদের শিষ্যরা। হকির ইতিহাসে দেশের বাইরে এত বড় ক্যাম্প-অনুশীলন ম্যাচের সুবিধা এর আগে পাইনি বাংলাদেশ। বলতে গেলে পুরো প্রস্তুত হয়েই ওমানে পা রেখেছেন প্রিন্স, রকি, আমিরুল, জাহিদ, আবেদরা।
ওমান ম্যাচ সামনে রেখে কোচ মামুন উর রশিদ বলেন, ‘১৯ তারিখ (মে) আমরা সালালাহ শহরে এসেছি। ওইদিন থেকে আজ নিয়ে তিনদিন টানা অনুশীলন করলাম। মাঠটা স্লো। অনেক পুরাতন মাঠ। এখানে আগে খেলা হয়নি। কারণ এখনকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল না। এশিয়া কাপ সামনে রেখে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাসগুলো অনেক বড়। বল টানলে স্লো আসে। পুল করলে অনেক বেশি স্টেন্থ দিতে হয়। এটা একটা সমস্যা। ওমানের বিপক্ষে আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামব। জয় দিয়েই আমরা টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই।’
হকিতে বাংলাদেশ-ওমান দ্বৈরথ বেশ পুরনো। দু’দলের লড়াইটাও হয় জমজমাট, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। হোক সেটা সিনিয়র দল কিংবা জুনিয়র। আগামীকাল যে দলটা ওমানের মোকাবিলা করবে এই দলটাই চার মাস আগে হিসাব কষে বললে ১৩১ দিন আগে ওমানের মাটিতেই মেনস জুনিয়র এএইচ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। পেনাল্টি শুট আউটে ৭-৬ (১-১) গোলের ব্যবধানে ওমানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই সুখস্মৃতি এখনো উজ্জ্বল মামুন উর রশিদের স্মৃতিতে। তারপরও সাবধানী কোচ মামুন উর রশিদ জানান, ‘ওমানের বিপক্ষে সবশেষ ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে আমরা অনেক অ্যানালাইসিস করেছি। ওমানের শক্তিশালী এবং দুর্বল দিক খোঁজার পাশাপাশি নিজেদের শক্তি এবং দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। আমরা আমাদের নরমাল খেলাটাই খেলব। মাঠের সমস্যা না হলে আমরা ইনশাল্লাহ জয়ী হবো।’
মাঠ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বললেও নিজেদের ফেবারিটই মানছেন মামুন উর রশিদ। কোচের সুরে সুর মিলিয়েছেন অধিনায়ক মিডফিল্ডার প্রিন্স লাল সামন্তও। ওমান ম্যাচ সামনে রেখে প্রিন্স বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। সবাই মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত আছে। ওমানে আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়েছে। নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে অবশ্যই আমরা জিতব। ওমানের বিপক্ষে আমাদের জয়ের রেকর্ডটা খারাপ না।’ একই সঙ্গে প্রিন্স এটাও জানান যে স্কিল, টেকনিকসহ সব দিক থেকে তারা ওমানের চেয়ে অনেক ভালো দল।
১০ জাতির জুনিয়র এশিয়া কাপ হকিতে এবার ‘বি’-গ্রুপ থেকে লড়বে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান, উজবেকিস্তান, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। আর গ্রুপ ‘এ’-তে পড়েছে ভারত, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড এবং চাইনিজ তাইপে। এই টুর্নামেন্টের সেরা ৪ দল যুব বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে। সেই বিশ্বকাপকেই এবার পাখির চোখ করছে বাংলাদেশ।
জুনিয়র এশিয়া কাপ হকির এটি ১০ম আসর। সেই ১৯৮৮ সালে করাচি (পাকিস্তান) থেকে শুরু হয় এই টুর্নামেন্ট। মাঝে কেবল করোনার কারণে একটি আসর হয়নি। যেটি ২০২১ সালে (নবম আসর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই হিসাবে ৮ বছর পর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে মেনস হকি জুনিয়র এশিয়া কাপ। ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ানতানে সবশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল আসরটি।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম সব সময়ই সরব থাকে। আজ দুপুরে সেই সরবের মাত্রা আরো বাড়ল। বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ নারী টুর্নামেন্টে অ-১৭ পর্যায়ে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের এটি প্রথম শিরোপা।
গ্রুপ পর্বে এই ভারতের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ ফাইনালে অবশ্য অন্য বাংলাদেশের দেখা মিলল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটির প্রথমার্ধে ২০-২০ গোলে সমতা ছিল। পরের অর্ধে বাংলাদেশ ২৬ গোলের বিপরীতে ভারত করে ২৩ টি। ফলে ৪৬-৪৩ গোল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ অ-১৭ দল যখন শিরোপা উদযাপন করছে। এর মধ্যেই অ-১৯ দল ফাইনালে ভারতকে মোকাবেলার জন্য নামছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মঙ্গলবার মালদ্বীপের মেয়েরা (ইয়ুথ-জুনিয়র) দুই বিভাগেই তৃতীয় স্থান লাভ করেছে বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টে। বুধবার বেলা ১ টায় বাংলাদেশ ও ভারতের (অনুর্ধ্ব-১৭) এবং বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েদের মধ্যে (অনুর্ধ্ব-২০) ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার পল্টনস্থ শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের মেয়েদের মুখোমুখি হয় মালদ্বীপ। ৪ জাতির আন্তর্জাতিক এই হ্যান্ডবল আসরে চতুর্থ হয়ে এবারের মতো টুর্নামেন্ট শেষ করল নেপাল। দিনের প্রথম খেলায় নেপাল অনূর্ধ্ব-১৭ ইয়ুথ দলকে ৪১-১০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-১৭ ইয়ুথ দল। খেলার প্রথমার্ধে ১৯-০৩ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মালদ্বীপ। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকেন মালদ্বীপের মেয়েরা। নেপালের মেয়েদের জালে একের পর এক গোল পুরতে থাকে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
এদিকে দিনের অপর ম্যাচেও আধিপত্য ধরে রাখে মালদ্বীপ। নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ জুনিয়র ওমেন্স দলকে ২২-০৫ গোলের ব্যবধানে হারায় মালদ্বীপের অনূর্ধ্ব-১৯ জুনিয়র দল। খেলার প্রথমার্ধে পরিস্কার গোল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মালদ্বীপ। দুদলের গোল ব্যবধান ছিল ১১-০১।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
সোমবার ঢাকা ইয়াংস্টার ক্লাবকে পরাজিত করতে পারলেই দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগে চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত হতো রক্তিম সংঘের। এমন সমীকরণের ম্যাচে উল্টো ফলাফলে কপাল পুড়লো রক্তিমের। মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইয়াংস্টারের কাছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে রক্তিম। দারুণ এই জয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পথে এগিয়ে গেল ইয়াংস্টার। আজ হেরে যাওয়াতে চ্যাম্পিয়নশিপের ভাগ্য জুতোয় ঝুলে রইল রক্তিমের।
সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে এবার ৭ দল নিয়ে আয়োজিত দ্বিতীয় বিভাগ হকিতে রক্তিম এবং ইয়াংস্টার দুদলেরই সমান ১৫ করে পয়েন্ট। পার্থক্য এতটুকু রক্তিমের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে ইয়াংস্টার। আজ লিগের শেষ ম্যাচ খেলা রক্তিমের ৬ খেলায় ৫ জয় ও ১ হারে সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে ইয়াংস্টারের ৫ খেলায় ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট। লিগে এখনো এক ম্যাচ বাকি ইয়াংস্টারের। আগামী ১৭ মে দলটির শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ বর্ণক সমাজ। ওই ম্যাচে অন্তত ১ পয়েন্ট অর্থাৎ ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ইয়াংস্টার।
চ্যাম্পিয়নশিপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও মাঠে ঠিকই চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের আনন্দে মেতেছেন ইয়াংস্টার ক্লাবের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তারা। ইয়াংস্টারের ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক হোসেন মনা বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হবে এতটুকু বিশ্বাস টিমের ওপর আছে। কারণ আমাদের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ বর্ণক। আমরা দলই গড়েছি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। ৩৫ বছর পর প্রথম বিভাগে পা রাখতে যাচ্ছে ইয়াংস্টার। ১৭ তারিখে আমরা সকলে মিলে জয়ের আনন্দে মাতব।
ইয়াংস্টারের কোচ বাপ্পি কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমার দলটা ভালো। ভালোমানের খেলোয়াড়দের নিয়ে দলটি গড়া হয়েছে। অফিসিয়ালরা আগেই আমাকে বলেছেন তোমার হাতে চ্যাম্পিয়ন দল তুলে দিয়েছে। মাঠে কিভাবে তুমি খেলা বের করে আনবা সেই দায়িত্ব তোমার। আমার টিম ৫ খেলার ৫টিতে জিতেছে। সোমবারের ম্যাচটি ছিল সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাতেও ছেলেরা উতরে গেছে। শিরোপা থেকে আর মাত্র ১ পয়েন্ট দূরে দাঁড়িয়ে আমরা।
পুরনো ঢাকার ছেলে সাবিতের দারুণ পারফরম্যান্সে রক্তিমকে রুখে দিয়েছে ইয়াংস্টার। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন সাবিত। ওস্তাদ ফজলুর হাত ধরে হকিতে এসেছেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। ইয়াংস্টারকে জিতিয়ে সাবিত বলেন, ‘আমি অনেক খুশি। আমার জোড়া গোলে আজ দল জিতিছে। ফিরেছে চ্যাম্পিয়নশিপের রেসে। ওস্তাদ ফজলু, আমার বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য, কোচ, খেলোয়াড়, অফিসিয়ালদের অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই আমাকে সার্পোট দিয়েছেন বলে আমি ভালো খেলতে পারছি।
|
|
|
|
আনোয়ার হোসেন :
যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ভারত, ইরান, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের সেরা পেশাদার বক্সারদের লড়াই শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে যমুনা ফিউচার পার্ক ইস্টকোর্টে। বাংলাদেশে এটাই পেশাদার বক্সিংয়ের সেরা ফাইট।
শুক্রবার (১২ মে) বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে (বিওএ) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেন বাংলাদেশ পেশাদার বক্সিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। এ সময় ভাইয়া গ্রুপের প্রধান মার্কেটিং অফিসার চৌধুরী মাহমুদ আলী ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাকিব উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার বেলা তিনটায় ছয় দেশের সেরা পেশাদার বক্সিংয়ের আসর ভাইয়া হাউজিং লিমেটেড ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং নকআউট চ্যালেঞ্জ। ইউবিও আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ ও ইউবিসি ওয়ার্ল্ড টাইটেল ভ্যাকেন্ট-এই দুটি আন্তর্জাতিক টাইটেলে খেলবেন বক্সাররা। আট বাউটের প্রতিযোগিতা হবে ১০ রাউন্ডের। যেখানে দুটি মেয়েদের ও ছয়টি বাউটে পুরুষদের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের সাদিয়া ইসলাম লড়বেন স্বদেশি শামীমা জান্নাত, স্বাগতিক আমিনুল ইসলাম খেলবেন ভারতের বান্টি সিংয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের মোহন আলী নেপালের পুরান রায়, বাংলাদেশের আবদুল মোতালেব নেপালের অজিত মাগার, বাংলাদেশের জয়নুল ইসলাম ভারতের ধর্মেন্দ্রর, বাংলাদেশের নুর নাসিব ভারতের পঙ্কজ বিসাতের, বাংলাদেশের হাসান শিকদার ফিলিপাইনের জন রে’র এবং ইরানের পুনেহ আক্তার বার লড়বেন ভারতের সুশীলা বিরাতের সঙ্গে। তবে বাউটের সংখ্যা বাড়তেও পারে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো একজন বক্সার আসার কথা রয়েছে। তিনি এলে আরেকটি বাউট বাড়তে পারে।
এবারের বক্সাররা সবাই আফতাবনগরে আসাদুজ্জামান ফাউন্ডেশন জিম ও প্রোমোশনে অনুশীলন করছেন। বিদেশিদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রগতি ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হলেও দেশি পাঁচজন জাজ ও তিনজন রেফারি বাউটগুলো পরিচালনা করবেন। লাসভেগাসে এই টুর্নামেন্ট হলে তিন মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি ৩০ কোটি টাকা) পুরস্কার দেওয়া হতো জয়ীদের। আমাদেরও হবে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে শুরু করেছি। এ নিয়ে ২৯টি টুর্নামেন্ট হয়েছে।
আশাকরি একসময় আমাদের এই পেশাদার বক্সিং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতাবেদক :
বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি উইমেন্স (ইয়ুথ ও জুনিয়র) টুর্নামেন্টে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) টুর্নামেন্ট সামনে রেখে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা। আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৩ মে শুরু হচ্ছে ৪ জাতির বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি। টুর্নামেন্ট চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও আসরে ভারত, নেপাল এবং মালদ্বীপ খেলবে।
তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই আসর। আগের দুই আসর হয়েছিল ২০১০ ও ২০১৬ সালে। এবারের আসর আগের দুই আসরের ব্যপ্তি এবং সফলতাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস আয়োজকদের। সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিশ্বের ৪৭টি দেশে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে টুর্নামেন্টটি দেখতে পাবেন দর্শকরা। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ফেইসবুক পেইজেও লাইভ দেখতে পাবেন। টুর্নামেন্টের ভেন্যু ঢাকার পল্টস্থ শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম। প্রথম দিনে ১২টায় ভারত ও নেপালের ম্যাচ দিয়ে আসরের পর্দা উঠবে।
আসরটি সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হওয়া সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, কো-চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর, টুর্নামেন্টের মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা, খেলোয়াড়সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টুর্নামেন্টের ইয়ুথ এবং জুনিয়র- দুই বিভাগেই সর্বোচ্চ ভালো করার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইয়ুথ টিমের কোচ আমজাদ হোসেন এবং জুনিয়র দলের কোচ ডালিয়া আক্তার। একই সঙ্গে দলও ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ জনের চূড়ান্ত দলে ২ করে খেলোয়াড় স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ জুনিয়র হ্যান্ডবল দলে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন মোসাম্মাৎ মারফি এবং বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ইয়ুথ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে শ্যামলী মিংকে। টুর্নামেন্টে অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৭ বছর পর এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ ও ২০১০ সালে আসরটি হয়েছিল। এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে বলে সবাই ভীষণ খুশি। দেশে দিনে দিনে হ্যান্ডবলের প্রচার-প্রসার বাড়ছে। দেশের ৩৪টি জেলায় এখন হ্যান্ডবল হচ্ছে।’ আমিনুল ইসলাম আরো যোগ করেন, ‘হ্যান্ডবলে আমাদের শিশু-তরুণদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করছে। বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ ট্রফি নারী টুর্নামেন্ট পূর্বের ন্যায় সফল এবং সার্থক হবে। টুর্নামেন্টের কো-চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, টুর্নামেন্ট সফল এবং সার্থক হবে। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশের হ্যান্ডবলে আরো গতি বাড়বে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ জুনিয়র দলের কোচ ডালিয়া আক্তার বলেন, টুর্নামেন্টে আমরা সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করব। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আমরা এক মাসের মতো প্রস্তুতি নিয়েছি। রমজানেও দু’বেলার অনুশীলন হয়েছে সমানতালে। শুধুমাত্র ঈদের দিন ট্রেনিং বন্ধ ছিল। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চ ট্রেনিং নিয়েছি। দলে সবাই তরুণ খেলোয়াড়। অধিকাংশের বয়স ১৩/১৪ বছর।
এদিক বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ইয়ুথ হ্যান্ডবল টিমের কোচ আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা ৪৮ জন খেলোয়াড় নিয়ে ট্রেনিং শুরু করি। পরে সেটা ৪০ জনে নেমে আসে। সেখান থেকে ১৪ জনের চূড়ান্ত দল নিয়ে টুর্নামেন্টে আমরা অংশ নিচ্ছি। জুনিয়র টিমের মতো ইয়ুথ টিমেরও প্রস্তুতি-অনুশীলন একই রকম হয়েছে। আমরাও টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করব।
|
|
|
|
ক্রীড়া ডেস্ক : ৯ বছর পর কোপা দেল রে’তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালে কোপা দেল রে’তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর কোপার শিরোপা জিততে পারেনি রিয়াল।
শনিবার ফাইনালে দুই ব্রাজিলিয়ানের গোলে ২-১ ব্যবধানে ওসাসুনাকে হারিয়ে কোপা দেলরের শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
২০তম কোপা দেলরে জয়ের পথে ওসাসুনা কিছু বুঝে ওঠার আগেই লিড নেয় আনচেলত্তির শিষ্যরা। দুই ব্রাজিলিয়ানের রসায়নে মাত্র ১০৭ সেকেন্ডে স্কোর শিটে নাম লেখান রদ্রিগো।
ফাইনালের মঞ্চে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া ওসাসুনা এরপর গোল শোধ করার লক্ষ্যে বুক চিতিয়ে খেলতে থাকে। ২৬ মিনিটে গোল লাইন থেকে ওসাসুনার এজালজৌলির শট ফেরান দানি কারবাহাল। তার এক মিনিট আগেই প্রতি আক্রমণ থেকে করিম বেনজেমার জোরাল শট ঠেকান ওসাসুনা গোলকিপার সার্জিও এরেরা। তবে ভাগ্য সহায় হলে রিয়াল বিরতির আগেই আরও একটি গোল পেয়ে যেত। ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডেভিড আলাবা একটুর জন্য গোল পাননি। বল পোস্ট লেগেছে।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে পাবলো তোরোর দুরপাল্লার শটে করা গোলে সমতায় ফেরে ওসাসুনা। কিন্তু দলটির বক্সে রিয়ালের খেলোয়াড়দের চাপসৃষ্টি দেখে বোঝা যাচ্ছিল ওসাসুনা বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারবে না। রদ্রিগোর গোলটি সেই চাপেরই ফসল।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে আবারও প্রথম গোলের মতোই আক্রমণ রিয়ালের। ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে ভিনিসিয়াসের বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকার পর তার ক্রস আরেক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পায়। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ওসাসুনা। টনি ক্রুসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান রদ্রিগো, বাকিটা অনায়াসে সারেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
কিছুটা চোট থাকায় এদিন লুকা মদ্রিচকে শুরু থেকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন আনচেলত্তি। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল থাকায় ক্রোয়াট তারকাকে নামালেও সেটি বিরতির পর বলে মনে হয়েছিল। ৮২ মিনিটে টনি ক্রুসের বদলি হয়ে যখন মদ্রিচ নামালেন রিয়াল তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে। বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি আলাবা ও বেনজেমা। যোগ করা সময়ে সুযোগ হারায় ওসাসুনাও। আর এরপরই শুরু রিয়ালের উৎসব।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা টিকে আছে ভালোভাবে। আগামী মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই বেনজেমা-ভিনিসিয়াসদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।
|
|
|
|
স্পোর্টস ডেস্ক :
বেশ কাকতালীয়ই বটে। ডিয়েগো ম্যারাডোনা পরলোক গমনের পর শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে তার দেশ আর্জেন্টিনা। দুই বছরের ব্যবধানে জিতেছে তিন আন্তর্জাতিক শিরোপা। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার পর ২০২২ সালে লিওনেল মেসিরা জিতেছে লা ফিনাসিলিমা এবং ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনা গত হওয়ার পর এবার যেন ভাগ্য খুললো তার প্রিয় ক্লাব নাপোলিরও।
খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যারাডোনা তার সেরা সময় কাটিয়েছেন ইতালিতে। তার হাত ধরেই একের পর এক ইতিহাস গড়ে গেছে নাপোলি। নেপলসবাসীরা ম্যারাডোনাকে তাই বসিয়েছে ইশ্বরের আসনে। তবে ম্যারাডোনা খেলা ছাড়ার পর বড় কোনো সফলতা আর পায়নি নাপোলি। সেই দুর্ভাগ্য গতকাল রাতে ঘোচালেন ভিক্টর ওসিমেন-খিচা কাভারাস্কেইয়ারেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উদিনেসের মাঠ ফ্রিউলি স্টেডিয়ামে দলটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে নাপোলি। তাতেই ৩৩ বছর পর লিগ শিরোপা স্কুদেত্তো নিশ্চিত হয়েছে নাপোলির। ৩৩ ম্যাচ শেষে দলটির পয়েন্ট ৮০। লিগের বাকি ম্যাচগুলোর সবগুলো হারলেও ওসিমেনদের পেছনে ফেলার সুযোগ নেই আর কোনো দলের।
১৯৯০ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে সবশেষ লিগ জেতার পর নাপোলি নিজেদের শেষ ম্যাচেই আবারও নিশ্চিত করতে পারতো স্কুদেত্তো। তবে সালেরনিতানা সেই উৎসবের মঞ্চে পানি ঢেলে দেয়। নাপোলিকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ড্র নিয়েই। নাপোলির উৎসব পণ্ড হতে পারতো কালও। তবে পিছিয়ে পড়ার পরও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে গোটা ইতালিকে যেন জাগিয়ে তুলে নেপলসের ক্লাবটি।
উদিনেসের মাঠে খেলা হলেও, কাল ভক্ত-সমর্থকদের ঢল নেমেছিল নেপলসের ডিয়েগো আরামান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামেও। নাপোলির এক পয়েন্টের অপেক্ষায় তারা যেন প্রাথর্নায় বসেছিলেন। এবার আর নিরাশও হতে হয়নি। ৩৩ বছর পর যে কথা রাখল ম্যারাডোনার স্মৃতিবিজরিত ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরু থেকে নাপোলি দাপট দেখালেও, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে গোল করে এগিয়ে যায় উদিনেস। ডি-বক্সের ভেতর বলে পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে উদিনেসকে এগিয়ে দেন সান্দি লভরিক। বিরতির পর সেই গোল শোধ দেয় অতিথিরা। ৫২ মিনিটে পুরো মৌসুমে দারুণ খেলা ওসিমেনের গোলই নাপোলিকে সমতায় নিয়ে আসে। আর এই গোলই নাপোলিকে তৈরি করে দেয় উৎসবের উপলক্ষ। এরপরও ব্যবধান বাড়ানোর অনেক সুযোগ পেয়েছিল নাপোলি। কিন্তু ম্যাচের বাকি সময়ে সে সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
যদিও তাতে শিরোপা উৎসবে কোনো সমস্যা হয়নি। ম্যাচ থেকে পাওয়া একমাত্র পয়েন্টটি নাপোলিকে মাতিয়ে তুলেছে উৎসবে। যে উৎসব চলবে আরও অনেক দিন।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো নেপাল।
আজ মঙ্গলবার ছেলেদের এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে দলটি। এ জয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন সন্দীপ লামিচানেরা।
এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনাল শুরু হয়েছিল গতকাল। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ হয় আজ, রিজার্ভ ডেতে। কীর্তিপুরে গতকাল টস জিতে ভেজা আবহাওয়ায় আরব আমিরাতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেপাল। গতকাল বৃষ্টি আসার আগে ২৭.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৬ রান তুলেছিল আরব আমিরাত। আজ তারা অলআউট হয়ে ৩৩.১ ওভারে ১১৭ রান তুলে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া স্পিন আক্রমণের মুখে পড়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় নেপাল। এখান থেকে দলকে জেতাতে ৩ চার ও ৬টি ছয়ে ৮৪ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেন গুলশান ঝা। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ভীম শার্কি ৭২ বলে করেন ৩৬ রান। চতুর্থ উইকেটে এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে ৩০.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় নেপাল।
এর আগে আরব আমিরাতকে ১১৭ রানে অলআউট করে দিতে ৭.১ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন নেপালের বাঁহাতি স্পিনার ললিত রাজবংশী। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কারান ও লামিচানে। ১০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন গুলশান। তিন ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫৫ রান ও ৪ ইনিংসে বোলিং করে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন লামিচানে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে মাঠে গোড়ানোর কথা এবারের এশিয়া কাপ। পাকিস্তানে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে নেপাল পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে, পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : সিলেটে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পে সন্তুষ্ট টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার দাবি, পিচ ও কন্ডিশন তারা যেমনটা চেয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই ছিল।
আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যেটি অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। তাই সেখানকার উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিলেটে ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল।
ক্যাম্পের শেষ দিনে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, আমরা কন্ডিশন নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। আমরা যেমন চাই, তেমন পিচ কন্ডিশন তৈরি করতে তারা (কিউরেটর ও মাঠকর্মীরা) কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আপনি দেখতে পারেন ছেলেদের এনার্জি। ইন্টেনসিটি খুব ভালো ছিল, আমি এটাতে খুশি।
দ্বিতীয় মেয়াদে কোচিং করাতে আসা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে ভালোভাবেই জানেন। ওপেনিংয়ে রীতিমতো ধুঁকতে দেখা যায় বাংলাদেশি ব্যাটারদের। ওপেনারদের ভালো করার টোটকা দিয়ে রাখলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ওপেনার হলে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের (৩০ গজের মধ্যে ফিল্ডার রাখার বাধ্যবাধকতা) সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে সেটাও ভাবতে হবে। মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনো চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর আসতে হবে (ব্যাটিংয়ে)।
সিলেটের অনুশীলন ক্যাম্পে প্রধান কোচের কাজ কী ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে জানান, তিনি আসলে বিশেষ কিছু করাননি। হাথুরু বলেন, আমি কারও সঙ্গেই বাড়তি কিছু করিনি। আমি শুধু মাঝে দাঁড়িয়ে এটি নিশ্চিত করছিলাম যে, সেশনটা যেন ভালোভাবে শেষ হয় এবং ইন্টেন্সিটি না কমে। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই আমি। পুরো দল নিয়েই ভাবছি। সে (তামিম) খুব ভালো ব্যাটিং করছে। এই ক্যাম্পে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমি খুব খুশি।
৯ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া আয়ারল্যান্ড সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। ঘরের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেমন আক্রমণাত্নক ছিল, ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ইতিবাচক ও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ দল।
হাথুরুসিংহে বললেন, সব সময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মানসিকতা থাকবে আমাদের। এর মানে এই না যে, বল মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠাতে হবে। আগ্রাসী ক্রিকেট মানে হলো, যাই করি না কেন, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে করতে হবে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রাসী থাকা, সেটা হোক দল বাছাই কিংবা ফিল্ড প্লেসিং কিংবা কী ধরনের বোলিং করা হবে। আমরা ছেলেদেরকে এই স্বাধীনতা দিতে যাই, যেন তারা মাঠে গিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে পারে।
এদিকে, বিশ্বকাপ বছরে খেলোয়াড় বাজিয়ে দেখার রীতি একদমই নতুন নয়। তবে পুরোনো ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়মিত সুযোগ দিয়ে তাদের বড় মঞ্চে পরীক্ষায় বসনোর আগে ঝালিয়ে নেওয়া হয়। এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যেন বৈশ্বিক আসরে তাদের থেকে সেরা পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আপাতত আস্থা রাখছেন তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের ওপর, যারা হতে পারে লম্বা রেসের ঘোড়া। তাইতো গত এক-দেড় বছরে নিয়মিত খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেনকে বাদ দিয়ে তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী রাব্বীদেরকে নিয়মিত সুযোগ দিচ্ছেন।
আয়ারল্যান্ড সিরিজের শুরুর দুই ওয়ানডেতে আফিফকে স্কোয়াডে রাখলেও পরবর্তীতে তাকে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। ফিরতি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও তাকে দলে নেওয়া হয়নি। মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রামের মোড়কে ‘বাদ’ দেওয়া হয়েছে তা একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। সেই বিশ্রাম এখনও চলছে। এই দুই ক্রিকেটারের অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একদমই ক্ষীণ।
তবে হাথুরুসিংহে কারও জন্যই দরজা বন্ধ করছেন না। দুজনকে নিয়ে আগের অবস্থানেই রয়েছেন তিনি বলেন, ‘(আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ) তাদের ব্যাপারে আমি আগে যা বলেছি সেটিই থাকবে। তারা সবাই এই সীমারেখায় আছে। বিশ্বকাপের আগে তারা সবাই-ই খেলার সুযোগ পাবে। আমরা ওই মানসিকতার কোনো পরিবর্তন করিনি।’
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করছেন। মাহমুদউল্লাহ ধারাবাহিক না হলেও আফিফ আবাহনীর জার্সিতে ধারাবাহিক। ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সও করছেন। কিন্তু তার এই পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলের দরজা খুলবে কিনা তা বলা মুশকিল। তবে মাহমুদউল্লাহর জন্য এই দলে ফেরা খুব কঠিন বলেই মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পরিকল্পনায় মাহমুদউল্লাহ থাকলে বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজগুলোতে তাকে খেলানো হতো।
শুধু মাহমুদউল্লাহ বা আফিফ নয়, সাকিবের সঙ্গী হিসেবে আরেকজন বাঁহাতি স্পিনার কে হবেন তা নিয়েও চলছে পরীক্ষা। এ পজিশনে নাসুম ও তাইজুলের মধ্যে হচ্ছে তীব্র লড়াই। কোনো সিরিজে তাইজুলকে বাজিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো সিরিজে নাসুমকে। সুযোগ পেলে দুজনই পারফরম্যান্সের ডালাপালা মেলে ধরছেন। তাদের এই লড়াই বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে তা হাথুরুসিংহেই ঘোষণা দিলেন, ‘আমি স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাইকে অনেক অভিজ্ঞতা দিতে চাই। বিশ্বকাপের আগে অবধি এমন চলতেই থাকবে।’
স্বাধীন বাংলা/এআর
|
|
|
|
স্পোর্টস ডেস্ক :
আর্থিক সংকটে ভুগছে মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনা। গত কয়েক মৌসুম বাজে পারফরম্যান্স করলেও সম্প্রতি তারা মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে আর্থিক দুরাবস্থা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যে কারণে ঐতিহ্যবাহি ক্লাবটির জনপ্রিয়তায়ও ভাটা পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ক্লাবটির নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল বার্সা টিভি।
১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বার্সা টিভি। সেই বার্সা টিভির ২৪ বছরের পথচলা থেমে যাচ্ছে এবার।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, আর্থিক সংকটে পড়া বার্সেলোনা ব্যয় কমানোর জন্যই এটা করছে। বার্সা টিভির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, এর ফলে প্রায় ১৩০ জন মানুষ চাকরি হারাবেন।
গত ২৭ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বার্সা জানিয়েছে, টেলিভিশন চ্যানেল বার্সা টিভির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বার্সা টিভির সম্প্রচার যে সংস্থার মাধ্যমে হতো, সেই টেলেফোনিকার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।
বার্সা টিভি বন্ধ হওয়ার পর ক্লাবটি তাদের প্রোডাকশন কোম্পানি বার্সা স্টুডিওসকে অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের জন্য কাজে লাগাবে। এর আগে বার্সেলোনা বার্সা স্টুডিওসের ২৪.৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিল। সেই বিক্রির মাধ্যমে ২০ কোটি ইউরো অর্থও পেয়েছে তারা। সেই অর্থ দিয়ে রবার্ট লেভানডফস্কিসহ আরও খেলোয়াড় কিনেছে বার্সেলোনা।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক :
এএফসি অ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে৷ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ৷
ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশ ২-০ গোলের লীড নেয়। তৃতীয় মিনিটে পূজা দাস ও পাঁচ মিনিটে্র সময় থুইনু মারমা গোল করেন। ৩৯ মিনিটে অধিনায়ক রুমা আক্তারের গোলে ৩-০ গোলের লীড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এই বাছাই পর্বের তৃতীয় দল সিঙ্গাপুর। ২৮ মার্চ তুর্কমেনিস্তান সিঙ্গাপুরের ও ৩০ মার্চ বাংলাদেশ স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে৷ এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল পরবর্তী বাছাইয়ে অংশ নেবে।
|
|
|
|
|
|
|