রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩ বাংলার জন্য ক্লিক করুন
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
প্রয়োজন হলে আরো ডিম আমদানি করা হবে : তপন কান্তি ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিমের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে চারটি প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেছেন, বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে আনতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরো আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তপন কান্তি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেব কি না, তা বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি। দরকার হলে আরো আমদানির অনুমতি দেব, দরকার না হলে না-ও দিতে পারি। দেশের উৎপাদিত ডিমকেই প্রাধান্য দিতে চান বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা করে। দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সিদ্ধান্তে কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।

কোথা থেকে আমদানি করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বলেছে যে ভারত থেকে তারা ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যে কোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে, যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।

আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।

যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এই সিনিয়র সচিব।

তিনি বলেন, আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেই ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বাজারকে আমরা স্থিতিশীল করতে চাচ্ছি। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এটা মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা আমাদের খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছি না।

প্রয়োজন হলে আরো ডিম আমদানি করা হবে : তপন কান্তি ঘোষ
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিমের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে চারটি প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেছেন, বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে আনতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরো আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তপন কান্তি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেব কি না, তা বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি। দরকার হলে আরো আমদানির অনুমতি দেব, দরকার না হলে না-ও দিতে পারি। দেশের উৎপাদিত ডিমকেই প্রাধান্য দিতে চান বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা করে। দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সিদ্ধান্তে কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।

কোথা থেকে আমদানি করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বলেছে যে ভারত থেকে তারা ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যে কোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে, যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।

আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।

যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এই সিনিয়র সচিব।

তিনি বলেন, আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেই ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বাজারকে আমরা স্থিতিশীল করতে চাচ্ছি। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এটা মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা আমাদের খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছি না।

চার প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিমের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে চারটি প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।’

বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনেকদিন ধরেই নাগালের বাইরে চলে যায় ডিমের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নিত্যপণ্যটির দাম। লাগাম টানতে অভিযান পরিচালনাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কমানো যায়নি আমিষের চাহিদা পূরণে স্বল্প আয়ের মানুষের পছন্দের পণ্যটির দাম।

মূল্য কমাতে গত বৃহস্পতিবার ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এরপর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।

আলুর দাম অযৌক্তিক, এক সপ্তাহের মধ্যে কমবে : ভোক্তা ডিজি
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করেছেন। যা অন্যান্য খরচসহ ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। এরপর সেটি রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজার হয়ে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

মঙ্গলবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সব পক্ষের কাছে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরা কাজ করছি, আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাড়তি দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।

সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়ায় আলু ভোগের পরিমাণ বেড়েছে। যার প্রভাবে আলুর সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরাও স্বাভাবিকের তুলনায় আলুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সরবরাহ সংকটের অজুহাতকে দায়ী করেন। আবার কেউ কেউ হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমার কথাও বলেন।

অন্যদিকে হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরক্ষণ করা হয় তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী ও কৃষক। ৪ শতাংশ আলু শিল্পে ব্যবহারের জন্য। মাত্র এক শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। বাকি ৪০ শতাংশ বীজ আলু বলে দাবি করে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারে শুধু ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করেন। দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোনো হিমাগারে অস্বাভাবিক পরিমাণের আলু মজুত থাকলে সে তথ্য আমাদের দিন। এটা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরাও বিষয়টি দেখবো।

তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি মাঠ পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ও তথ্য দিয়েছে অন্যরাও যে তথ্যগুলো দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবার মাঠ পর্যায়ে ১০-১২ টাকা উৎপাদন খরচের আলু ব্যবসায়ীরা ১৮-২০ টাকা খরচের মধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলুতে খরচ ৫ টাকা এছাড়া পরিবহন ও অন্যান্য খরচ দিয়ে সর্বোচ্চ আলুর দাম ২৭ থেকে ২৮ টাকা হলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফা থাকে। সেই আলু রাজধানীর পাইকারি বাজারে এসে অন্যান্য খরচ দিয়ে ৩১ থেকে ৩২ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফা ধরে ভোক্তা পর্যায়ে এসে সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা হতে পারে। তবে এখন দাম যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি আলুর দামে একটি ১০-১২ টাকার গ্যাপ রয়ে গেছে। এটা কমানোর জন্য আমরা আগামীকাল থেকে বাজার মনিটরিং কঠোরভাবে শুরু করবো। তবে আমরা আলুর দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছি না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুধু আমদানি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় আইনে। আলুর মতো কৃষি পণ্যের নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সভায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হিমাগার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

পোশাক রফতানির আড়ালে ৩শ’ কোটি টাকা পাচার
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : তৈরি পোশাক রফতানির আড়ালে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, পানামাসহ বিভিন্ন দেশে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে। পাচারের সাথে জড়িত ১০টি প্রতিষ্ঠানকেও শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। বিভিন্ন সময়ে এক হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন জালিয়াতি করেছে বলে তদন্তে উঠে আসে।

সোমবার দুপুরে এই তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন। তিনি জানান, ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকার সাতটি, গাজীপুরের দুটি ও সাভারের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রফতানিকারকদের ঘোষণা অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গাজীপুরের পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, ঢাকার ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স এবং সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড।

টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রফতানি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থপাচার করেছে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মূলত বিল অব এক্সপোর্টে ন্যাচার অব ট্রানজেকশনের কোড ২০ ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছে।

শাসমুল আরেফিন আরও বলেন, এর আগেও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একই পন্থায় ৩৭৯ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা উৎঘাটন করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধানসহ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬৭৯ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা উদঘাটন করলো শুল্ক গোয়েন্দা।

তদন্তকালে ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।

প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। ১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।

অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে: অর্থমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
 
দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে কী বলবেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা দায়িত্ব নিই, তখন কত ছিল মূল্যস্ফীতি? ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। এই দুরবস্থার মাঝেও মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।  

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। দাম তো বাড়ছে। কারণ যুদ্ধ যে শুরু হয়েছে সেটা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিন আপনি অর্থনীতি হিসাবমতো, সময়মতো চালাবেন। তারপরও অনেক ভালো চলছে। সবাই বলে বাংলাদেশ সবার চেয়ে ভালো চলছে। আর আপনারা খারাপটা কামনা করছেন কেন? ভালো কামনা করুন।

৫৪৭ কোটি টাকায় সার-রক ফসফেট-অ্যাসিড কিনবে সরকার
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো)  থেকে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার এবং ৩৫ হাজার টন রক ফসফেট ও  ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার।

এতে মোট ব্যয় হবে ৫৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
এরমধ্যে ৩৯০ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৫০ টাকার সার ও ১৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রক ফসফেট এবং ফসফরিক অ্যাসিড কেনা হবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১৩০ কোটি ৫২ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৭ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।  এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ২য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৩১ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৯ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার।

তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাফকোর কাছ থেকে ৩য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১২৯ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।

অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট (৭২ শতাংশ বিপিএল মিনিমাম) প্রতিষ্ঠান মেসার্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী: মেসার্স উইলসন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং, মালয়েশিয়া) থেকে ৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন রক ফসফেটের দাম পড়বে ৩৫৯ মার্কিন ডলার।

এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী: চীনের গুয়াংজি পেঙ্গুয়ে ইকো-টেকনোলজি কোং লিমিটেড) থেকে ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম পড়বে ৫৪০ মার্কিন ডলার।

টিসিবির জন্য ৪০ লাখ লিটার তেল, ৬ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল ও ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১২১ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য নয়টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।  
ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া টিসিবি কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ছয় হাজার টন মসুর ডাল নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৭ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নতুন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিসের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সাথে গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নতুন কিছু কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধার কথা বলেছেন। আমরা তাদের বলেছি যদি তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে তাহলে তাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে বৈশ্বিক যে সংকট দেখা দিয়েছে তা সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে চ্যালেঞ্জগুলো দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি উভয়কে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন অংশীদারিত্ব বিশেষ করে মার্কিন বেসরকারি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশের ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য পাশে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করায় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আগামীর সিংহভাগ বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
 
টিপু মুনশি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে যার ফলে কিছু উন্নত অর্থনীতির দেশে আমাদের শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার ব্যাহত হবে। কিন্তু জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এই যাত্রায় মার্কিন সরকার ও মার্কিন বেসরকারি সংস্থাগুলোও আমাদের পাশে থাকবে।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিচক্ষণ সরকারি নীতি এবং উন্মুক্ত বাজারের নেতৃত্বে বেসরকারি, রপ্তানিমুখী উৎপাদন, উচ্চ উৎপাদনশীল কৃষি এবং একটি ক্রমবর্ধমান পরিষেবা খাত আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে এবং স্বীকৃতি পেয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে প্রায় ৭‌ শতাংশ‌ গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং পায়রা বন্দর, কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর এবং পাওয়ার স্টেশন, কর্ণফুলী টানেলসহ অন্যান্য মেগা-প্রকল্প এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র যেগুলো সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক উদ্যোগের অংশ তা রপ্তানি ও আমদানির দৃশ্যপটকে আমূল পরিবর্তন করছে যার ফলে আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যখনই জিনিস-পত্রের দাম বাড়ে তখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় হবে। ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে এটাই আমরা চাই। এ লক্ষ্যে আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিয়ে বাজার মনিটরিং করে থাকি। অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অনেককে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির লোকবল কম থাকার কারণে পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।

সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিয়ে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যদি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেন তাহলে সহজেই বোঝা যায় সারা বিশ্ব একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের দোকানেও যখন তিনটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না বলে রিস্টিক করে দেয়। জার্মানির দোকানগুলোতে তেলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। তখন আমাদের মতো দেশে এ সংকটের বাহিরে থাকতে পারে না। মুহূর্তের মধ্যে হয়তো সমাধান হবে না তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যাতে করে গ্লোবাল এই দুরবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ ভালো থাকে।

সভায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমদ এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি অতুল কেসাব, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী। পণ্যের সরবরাহ কমে গেলে কোনো কোনো ব্যবসায়ী দাম বাড়ায় বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীতে হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গতকালের সংবাদ সম্মেলনে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী সাথে থাকলেও সিন্ডিকেটের বিষয়ে তাঁর সাথে কোনো কথা হয়নি।

জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন এই মুহূর্তে এর সমাধান সম্ভব নয়। ভারতের বাজারে সাথে বাংলাদেশের বাজারের তুলনা করাও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন টিপু মুন্সী। এর আগে, ইউ এস চেম্বার অফ কমার্স ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সাউথ এশিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ভারতকে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভার পূর্বে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাইডলাইনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেশটির প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের একটি প্রক্রিয়া প্রণয়নের অগ্রগতির জন্য টিপু মুনশি ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তার ক্রমাগত সমর্থন কামনা করেন।  

এ সময় টিপু মুনশি সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর ৪০% রপ্তানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দামে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  

এর জবাবে পীযূষ গোয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে ব্যাঘাত, সরবরাহের ঘাটতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভারতও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ঘাটতিতে ভুগছে। এ কারণে ভারত সরকারকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন খুব শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে ওঠতে সক্ষম হবো।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের ওপর থেকে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ করলে পীযূষ গোয়েল এ বিষয়ে সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া, অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে  উপস্থাপন এবং এগুলি নিষ্পত্তি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করে বলেন ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে থাকে।

বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ এর প্রেসিডেন্সি হওয়ায় ভারতকে অভিনন্দন জানান এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরে, টিপু মুনশি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী এমই মাজিদ আল কাসাবির সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন। এসময় দিল্লিতে অনুষ্ঠাতব্য জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আসন্ন বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে উভয় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

এরআগে ২৪-২৫ আগস্ট জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভায় যোগদান দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশসহ গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যাকে থাকা দেশগুলোকে ২০২৬ সালের পর এলডিসি দেশসমূহের জন্য প্রযোজ্য শুল্কমুক্ত কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন প্রদানের জন্য জি-২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী ১৩তম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে (এমসি১৩) এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রাপ্ত দেশগুলোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জি-২০ দেশের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন।

অক্টোবর থেকে চিনি রপ্তানি বন্ধ করছে ভারত
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতার জন্য বিদেশে চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ভারত। আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন মৌসুম থেকে চিনি মিলগুলোকে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
 
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ভারত সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে ভারতে নতুন মৌসুম শুরু হতে চলেছে এবং সেই সময় থেকেই মিলগুলোর ওপর চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে দেশটির তিনটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে।

বিশ্ববাজারে ভারতের চিনির অনুপস্থিতি এই পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের মনোযোগের বিষয় হচ্ছে- স্থানীয় চিনির চাহিদা পূরণ করা এবং উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল তৈরি করা। আসন্ন মৌসুমে রফতানি কোটার জন্য জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চিনি থাকবে না। ’

গত মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ১১ লাখ টন চিনি রপ্তানি করেছিল ভারত। সেখানে চলতি মৌসুমের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিলগুলোকে মাত্র ৬১ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।  

এর আগে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ছুঁয়েছে শতক। বাজার ব্যবধানে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এবার দেখার পালা চিনির বাজারে কী দাঁড়ায়!

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী এফবিসিসিআই
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আরও জোরদার করতে চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচলিত পণ্যের সঙ্গে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে দেশটির সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে শীর্ষ এ বাণিজ্য সংগঠন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে, এবং ক্রমেই তা আরও জোরদার হচ্ছে। দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। করোনা মহামারির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান করে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। বিগত বছরগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। এখন সময় এসেছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও জোরদার করার।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক, সুতা, বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি এবং হিমায়িত খাদ্য রপ্তানীর বেশিরভাগ যায় মার্কিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, তাই মূল্য সংযোজন ও সরবরাহ ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে যাতে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে সেজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)-এর উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন যেখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, গ্যাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে তাদের কারখানা ও শিল্পাঞ্চল স্থাপন করতে পারে। গার্মেন্টস পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইটি, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য, মৎস্যসহ অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানীতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা চায় এফবিসিসিআই। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিল্পব মোকাবিলায় উদ্ভাবন, গবেষণা, ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।

কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহত্তর বিনিয়োগকারী দেশ। আমেরিকাভিত্তিক অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে সফলভাবে ব্যবসা করছে। ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস একযোগে কাজ করেছে বলে জানান তিনি। এ সময় বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন জন ফে।

সভায় এফবিসিসিআই ইনোভেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞান, দক্ষতা ও কারিগরি সহযোগিতা আহ্বান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি খাইরুল হুদা (চপল), ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মুনির হোসেন, পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. আলমগীর।

এদিকে একইদিন সকালে চীনের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে হাইটেক পার্ক ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে চীনের ছেংদু চেম্বার অব কমার্স ফর কমার্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সহযোগিতা, বিনিয়োগ, জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেয় উভয় পক্ষ।

এ সময় এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি খাইরুল হুদা চপল, যশোদা জীবন দেবনাথ, মো. মুনির হোসেন, ছেংদু চেম্বার অব কমার্স ফর কমার্সিয়াল সার্ভিসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দোং হেজুন, বব পেং, পরিচালক ঝ্যাং কে, এফবিসিসিআই এর মহাসচিব মো. আলমগীর ও ইন্টারন্যাশনাল উইংসের কনসালট্যান্ট রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান।

ইরাকে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছে বিজিএমইএ
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধিদল ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারীর সঙ্গে বাগদাদে দূতাবাসে সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ এর সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম; বাংলা পোশাক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল; বাংলা পোশাক লিমিটেড এর পরিচালক মো. শওকত হোসেন এবং বনিকা ফ্যাশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিশের খান।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এর সম্ভাবনা, রূপকল্প এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিল্পের মূল কৌশলগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিজিএমইএর প্রধান কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের সাথে নতুন বাজার অনুসন্ধান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাতের প্রচার এবং এর শিল্পের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে পোশাক কূটনীতির অংশ হিসেবে বিজিএমইএ এর প্রতিনিধিদল প্রতিশ্রুতিশীল বাজারগুলো পরিদর্শন করছেন। এরই অংশ হিসেবে ইরাকে এই সফর করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

বিজিএমইএ সভাপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইরাক সরকারের মন্ত্রী এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজনে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী এবং তার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

ফারুক হাসান আশা প্রকাশ করেন যে দূতাবাস ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং ইরাকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিজিএমইএকে সহায়তা করার জন্য দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।

তিনি ইরাক সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সামনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক ও উৎসাহব্যাঞ্জক আখ্যানগুলো ও শিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং দেশটির পোশাক শিল্পকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলকে ইরাকের বাজারে বাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগাতে দূতাবাসের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

২০৫০ সাল নাগাদ ৭ কোটি কর্মসংস্থান হবে: এডিবি
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক করিডোর কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ নতুন করে ৭ কোটি ১৮ লাখ কর্মসংস্থান হবে। বাণিজ্য সুবিধা বেড়ে ২৮৬ কোটি টাকা হবে, যা বাংলাদেশের চিত্র বদলে দেবে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উস্থাপন করেন সুন চ্যাং হোং।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছি। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ করছি। ঢাকার চারপাশের উন্নয়ন করছি। ঢাকাকে বাইপাস করে সড়কের কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু সেতু ও পদ্মা সেতু বড় করিডোর। এটা আমরা করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা থেকে এখন ঢাকায় আসতে নৌকায় উঠতে হয় না। সরকার ব্যবসাবান্ধব। সরকার ব্যবসা আরও সহজ করছে। সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা ফ্লাইওভার চার হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করছি। এর মাধ্যমে দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়বে।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নানা কাজে পাশের বাড়ি (ভারত) যেতেই হবে। এটা করলে লাভ হবে। ভুটান-ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি (সংযোগ) করছি। এটা আমাদের প্রয়োজনে করছি, আামাদের বন্ধু দরকার। আমাদের প্রয়োজন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা।

দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বর্তমান সরকারের পাশে থাকতে হবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। তাহলে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ ভালো থাকবে। শেখ হাসিনা কাজ করছেন, তাকে আরও সুযোগ দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে যত বেশি সুযোগ দেবে, দেশ তত বেশি এগিয়ে যাবে।

এডিবির প্রতিবেদনের বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক করিডরের সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৮ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ২৭ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে ২৮৬ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অংকে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। যদি করিডোর সুবিধা ব্যবহার করা না যায়, তাহলে ২০৫০ সালে কর্মসংস্থান হবে ৩ কোটি ১১ লাখ।

২০৩০ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে ১ কোটি ৭০ লাখ, আর ব্যবহার করা গেলে হবে ২ কোটি ৩৪ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ২০৩৫ সালে সুবিধা কাজে না লাগানো গেলে ২ কোটি ১০ লাখ, সুবিধা কাজে লাগালে হবে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কর্মসংস্থান। এছাড়া ২০৪০ সালে কর্মস্থান হবে ২ কোটি ৪৮ লাখ। তবে করিডোর সুবিধা কাজে লাগানো গেলে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান।

পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, যোগাযোগের উন্নয়ন করলে উন্নয়ন হয়, এটা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। উত্তরাঞ্চল তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। দুই যুগের বেশি সময় আগে উত্তরাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলেও এখনো দেশের দেশের সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল উত্তরবঙ্গ।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী বলেন, যে সম্ভাবনার কথা বলছি, তা কার্যত আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। উৎপাদন বিপণন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে করিডোর সমস্যা। এর উন্নয়ন যে গতিতে কাজ হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা ভালো ফল বয়ে আনছে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজার রহমান ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী।

তৈরি পোশাক খাতে চীন বিনিয়োগ করতে আগ্রহী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও তৈরি পোশাক খাতে চীন বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা যে ভূমিকা রাখছে, যেভাবে সহযোগিতা করছে, তা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। মোংলাবন্দরের আধুনিকায়নে তারা একটি প্রকল্প দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পের ক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগ করতে চায়, কৃষি শিল্প, তৈরি পোশাক খাতে তারা ভূমিকা রাখতে চায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিপিং লাইনে তাদের কাছ থেকে জাহাজ নিয়েছি। আরও চারটি চুক্তির পর্যায়ে আছি। এগুলো দ্রুত করার বিষয়ে কথা হয়েছে। যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মসৃণ হয়। বাংলাদেশের নৌখাতে আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছি চীন।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বটা তারা আরও বেশি এগিয়ে নিতে চায়, আমরাও চাই। আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা খুবই পরিষ্কার। আমরা চাই, বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে যে দেশ কারা পরিচালনা কে করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই চান।

তিস্তা সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট রংপুরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের সামনে তিনি বলেছেন যে নির্বাচিত হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। এরপরে তো আর কথা থাকে না। মংলা বন্দরে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আছে।  

চীনের বিনিয়োগ কমে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের বিনিয়োগ কমে গেছে, না বেড়ে গেছে, তা বড় কথা না। কথা হচ্ছে, আমাদের প্রকল্পগুলো ঠিকমতো চলছে কিনা। আমরা দেখছি, চীনের যেখানে বিনিয়োগ আছে, সেখানে প্রকল্পগুলো ঠিকমতো চলছে। পৃথিবীর সংকটে মধ্যেও আমরা উন্নয়ন সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার।

পেঁয়াজের কেজি ১০০ ছুঁইছুঁই
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কালশী ও মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।  

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতে শুল্ক বাড়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বিভিন্ন অজুহাতে।

পল্লবী এলাকার মুদি দোকানি নাদিম বলেন, আমি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি না। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকা। তিন দিন আগে কেজি ছিল ৫৫ টাকা। দাম কেন বেড়েছে বলতে পারি না, বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।  

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা বাদল বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি বেড়েছে। আমি কম দামেই বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি। অন্য সব দোকানিরা ১০০ টাকা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। পাঁচদিন আগে কেজি ছিল ৮০ টাকা। একসপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ টাকা।  

তিনি আরও বলেন, অনেক পেঁয়াজ বিক্রেতা বেছে-বেছে ভালো মানের পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করছে ১২০ টাকা কেজি। কালশী বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মিতু বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি করেছি ১০০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৭০ টাকা করে। আমার দোকানের পেঁয়াজের মান ভাল তাই দাম একটু বেশি। একসপ্তাহ আগে দেশির পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০-৫৫ টাকা।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসলেও দাম কমেনি। ভারত সরকার পেঁয়াজের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে। এ কারণেই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছে উৎপাদন ও পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তি।

এরআগে, গত শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। আর এই ঘোষণার পরই দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।


   Page 1 of 45
     অর্থ-বাণিজ্য
প্রয়োজন হলে আরো ডিম আমদানি করা হবে : তপন কান্তি ঘোষ
.............................................................................................
চার প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি
.............................................................................................
আলুর দাম অযৌক্তিক, এক সপ্তাহের মধ্যে কমবে : ভোক্তা ডিজি
.............................................................................................
পোশাক রফতানির আড়ালে ৩শ’ কোটি টাকা পাচার
.............................................................................................
অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে: অর্থমন্ত্রী
.............................................................................................
৫৪৭ কোটি টাকায় সার-রক ফসফেট-অ্যাসিড কিনবে সরকার
.............................................................................................
টিসিবির জন্য ৪০ লাখ লিটার তেল, ৬ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়
.............................................................................................
বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
ভারতকে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
.............................................................................................
অক্টোবর থেকে চিনি রপ্তানি বন্ধ করছে ভারত
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী এফবিসিসিআই
.............................................................................................
ইরাকে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছে বিজিএমইএ
.............................................................................................
২০৫০ সাল নাগাদ ৭ কোটি কর্মসংস্থান হবে: এডিবি
.............................................................................................
তৈরি পোশাক খাতে চীন বিনিয়োগ করতে আগ্রহী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
.............................................................................................
পেঁয়াজের কেজি ১০০ ছুঁইছুঁই
.............................................................................................
পোল্ট্রি শিল্পে অস্থিরতা নিরসনে ফিডের দাম নির্ধারণের দাবি
.............................................................................................
যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
ডিমের ডজন ১৫০, বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম
.............................................................................................
কমলো সোনার দাম
.............................................................................................
মধ্যস্বত্বভোগীদের অতি মুনাফার কারণে ডিম-মুরুগির মূল্যবৃদ্ধি
.............................................................................................
টিসিবির জন্য ৮০ লাখ লিটার তেল কিনবে সরকার
.............................................................................................
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবভিত্তিক কিছু সেবা ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ
.............................................................................................
সাইবার হামলা রোধে ব্যাংকগুলোকে ১১ নির্দেশনা
.............................................................................................
ডিমের দামে রেকর্ড: ডজন ১৭০ টাকা
.............................................................................................
এক লাখ মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার
.............................................................................................
বাড়ল এলপিজির দাম
.............................................................................................
সিএমএসএফ’র আকার দাঁড়িয়েছে ১২৭০ কোটি টাকা
.............................................................................................
বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
.............................................................................................
টিসিবির জন্য ১৫৫ লাখ লিটার তেল ও ৮ হাজার টন ডাল কিনবে সরকার
.............................................................................................
পাঁচ দেশ থেকে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
.............................................................................................
‘ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে’
.............................................................................................
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মৎস্য সেক্টর গড়ে তুলতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
.............................................................................................
অস্ট্রেলিয়ান চেম্বারের সঙ্গে দেখা করেছে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল
.............................................................................................
‌জনগণের উপার্জনের সক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে
.............................................................................................
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সম্মানে ক্যানবেরায় বৈঠক
.............................................................................................
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্মেলন
.............................................................................................
পূর্বাভাসের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি: এডিবি
.............................................................................................
ঢাকায় আসছেন জাপানের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী
.............................................................................................
বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা ভারতের অর্থমন্ত্রীর
.............................................................................................
১৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি : গোয়েন্দার ২৭৮ অভিযান
.............................................................................................
কর সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
.............................................................................................
একনেকে ১৫ প্রকল্প অনুমোদন
.............................................................................................
বিজিএমইএ-গ্রিন পাওয়ারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
.............................................................................................
জি-২০ ইভেন্টে অংশ নিতে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অর্থমন্ত্রী
.............................................................................................
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব পাচ্ছে জাপান
.............................................................................................
দ্রুত বর্ধনশীল পণ্যের বাজার হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃত: এফবিসিসিআই সভাপতি
.............................................................................................
আড়াই হাজার কোটি টাকায় চীন থেকে কেনা হচ্ছে ৪টি জাহাজ
.............................................................................................
২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার
.............................................................................................
১৬ লাখ টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
    2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com

Developed By: Dynamic Solution IT