বাড়তি দাম নিয়েও গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থ সরকার : বিটিএমএ`র অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাড়তি দাম নিয়েও সরকার চাহিদামতো গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
অভিযোগ করে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বিশ্ববাজারে তুলার অস্থিতিশীল বাজার, কলকারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ না থাকার পরও অতিরিক্ত বিল ও জামানতের কারণে গেলো ১৫ মাসে দেশের স্পিনিং মিলগুলো প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার লোকসান গুনছে। যা টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর পান্থপথে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান ব্যবসায়ীরা। এসময় অভিযোগ করা হয়, রাজস্ব বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বন্ডেড ওয়্যার হাউজের মাধ্যমে পাকিস্তান, ভারতের মতো দেশগুলো থেকে আমদানি করা সুতা ও কাপড় অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিপাকে আছেন টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা।
তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফের অনিয়মিত বরাদ্দ, ডলার সংকটে কাচাঁতুলা আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো এলসি না খোলাসহ নানা কারণে ক্ষতির মুখে দেশের বস্ত্র শিল্প। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সংকট উত্তরণে রপ্তানিমুখী স্পিনিং মিলে তৈরি সুতার নূন্যতম একটি অংশ ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে সংগ্রহের বিধান, বন্ডের মাধ্যমে আমদানি করা সুতা, কাপড়ের অবৈধ বিক্রয় বন্ধে মোকামগুলোতে ঘন ঘন তল্লাসি, অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ব্যাংক ঋণের কিস্তি ও সুদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ব্লক একাউন্টে রাখার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাড়তি দাম নিয়েও সরকার চাহিদামতো গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
অভিযোগ করে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বিশ্ববাজারে তুলার অস্থিতিশীল বাজার, কলকারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ না থাকার পরও অতিরিক্ত বিল ও জামানতের কারণে গেলো ১৫ মাসে দেশের স্পিনিং মিলগুলো প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার লোকসান গুনছে। যা টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর পান্থপথে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান ব্যবসায়ীরা। এসময় অভিযোগ করা হয়, রাজস্ব বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বন্ডেড ওয়্যার হাউজের মাধ্যমে পাকিস্তান, ভারতের মতো দেশগুলো থেকে আমদানি করা সুতা ও কাপড় অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিপাকে আছেন টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা।
তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফের অনিয়মিত বরাদ্দ, ডলার সংকটে কাচাঁতুলা আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো এলসি না খোলাসহ নানা কারণে ক্ষতির মুখে দেশের বস্ত্র শিল্প। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সংকট উত্তরণে রপ্তানিমুখী স্পিনিং মিলে তৈরি সুতার নূন্যতম একটি অংশ ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে সংগ্রহের বিধান, বন্ডের মাধ্যমে আমদানি করা সুতা, কাপড়ের অবৈধ বিক্রয় বন্ধে মোকামগুলোতে ঘন ঘন তল্লাসি, অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ব্যাংক ঋণের কিস্তি ও সুদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ব্লক একাউন্টে রাখার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী বাজেটে জ্বালানি আমদানি শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এনবিআরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (২৯ মে) গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে এসব জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। বর্তমানে এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়।
আগামী ১ জুন বাজেট দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেদিন এই ঘোষণা এলে নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হয়ে যাবে। বর্তমানে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ অগ্রিম আয়কর, আগাম ভ্যাট আছে। আগাম কর কমালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আমদানি খরচ কিছুটা কমবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুত এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
শনিবার (২৭ মে) এফবিআইয়ের বোর্ড রুমে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে এসেই নেতাদের নিয়ে আমরা সেখানে ভিজিট করতে গিয়েছিলাম। এমনভাবে আগুন লাগলো সেখানে কিছুই নেই। আমি যখন গেলাম, মনে হলো আমাদের সামান্য হলেও সহযোগিতা করা উচিত। সেজন্য আমরা এই এক কোটি টাকা সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব নেই, সজীব গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ৫২ জন মারা যান। ফ্যাক্টরিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মালিক ও মালিকের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছিল, প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের লাইসেন্স নিয়েছিল, তাহলে মালিক কেনো গ্রেপ্তার হলো যারা লাইসেন্স দেয়, তাদেরই দায়িত্ব নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা।
জসিম উদ্দিন বলেন, কলকারখানা অধিদপ্তর লাইসেন্স দেয়, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স দেয়, কিন্তু তারা তো কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে পারে না। এজন্য এফবিসিসিআইতে একটি সেইফটি কাউন্সিল করা হয়েছে। যার অধীনে ৪৪ হাজার ফ্যাক্টরিকে তদারকি করা হবে। এটি এফবিসিসিআই-এর কাজ না। তারপরও আইএলও`কে সঙ্গে নিয়ে আমরা এটা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হাবিব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের সভাপতি নাজমুল হুদা।
এর আগে ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ৪৩টি ইউনিট যাওয়ার খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৪৮টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টায় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপনের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে বঙ্গবাজার এলাকার মোট সাতটি মার্কেট পুড়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি পুরোপুরি ও তিনটি আংশিক। মার্কেটগুলো হলো- বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ হোমিও কমপ্লেক্স, বঙ্গবাজার মার্কেট, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বর্ণের অবৈধ প্রবেশ রোধ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যাগেজ রুলে বড় ধরনের সংশোধন আনতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুল সংশোধন করে স্বর্ণবার আনার ক্ষেত্রে ভরি প্রতি শুল্ক ২ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
অর্থাৎ বর্তমানে ভরিপ্রতি ২ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে ২৩৪ গ্রাম (২০ ভরি) ওজনের স্বর্ণের বার আনা যায়। এই শুল্ক বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে ২০ ভরি স্বর্ণের জন্য ৮০ হাজার টাকা শুল্ক গুণতে হবে, যেখানে বর্তমানে দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা।
একই সঙ্গে ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি ওজনের একটির বেশি স্বর্ণের বার আনলে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার বিধান আনা হচ্ছে।
অবশ্য স্বর্ণালংকার আনার সুযোগ অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে শুল্ক-কর ছাড়াই দেশে আসার সময় ১০০ গ্রাম (সাড়ে ৮ ভরি) ওজনের স্বর্ণালংকার আনতে পারবেন। তবে এক ধরনের অলংকার ১২টির বেশি আনা যায় না।
মূলত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ব্যাগেজ রুলে বড় ধরনের সংশোধন আনা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর ঊর্ধ্বতন সূত্রে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
|
|
|
|
অর্থনীতি ডেস্ক :
চলতি বছর বিশ্ববাজারে তাপীয় কয়লার দাম স্থিতিশীল হচ্ছে। প্রতি টনের দর স্থির হয়েছে ২০০ ডলারের কাছাকাছি। ২০২২ সালে রেকর্ড উচ্চতার পর যা অর্ধেকেরও কম। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষক ও শিল্প কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর বিশ্বব্যাপী কয়লার বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা আশা করছেন, এ বছর গড়ে বেঞ্চমার্ক নিউক্যাসল কয়লা সূচক দাঁড়াবে ১৭৫ থেকে ২১২ ডলারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর দ্রুতগতিতে জ্বালানি পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।
|
|
|
|
মো: আজমাইন মাহতাব
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ল্যাভেন্ডারকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৬ মে) প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। ‘লিরা ইমপোর্টস’র স্টিকার নকল করে ৩৩ ধরনের বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ২২ মে ভোক্তা অধিদপ্তর ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। তখন দেখা যায় লিরা ইমপোর্টস নামের স্টিকার নকল করে ৩৩ ধরনের নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। পরে অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির সব প্রকার বিক্রি কার্যক্রম জনস্বার্থে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে নিয়মিত শুনানি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ম্যানেজার স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দেন। ভবিষ্যতে এরকম অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা হতে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫০ ধারায় ল্যাভেন্ডারকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের সংখ্যা ৯০ ভাগ যাদের আমেরিকার ভিসা দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অর্থনীতি সমিতির অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৩-২৪: বৈষম্য নিরসনে জনগণতান্ত্রিক বাজেট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নর জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বারকাত বলেন, কার ভিসা প্রবলেম আমরা বুঝতে পারছি না। দেশে নিন্মবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ। এদের যুক্তরাষ্টের ভিসা দরকার নেই। ভিসা না দিলে ও না দিলেও এদের সমস্যা নেই। বরং এই শ্রেণির মানুষদের ভিসা পেলে সমস্যা, তাহলে যাওয়ার জন্য টাকা-পয়সা খুঁজবে। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলের লোকজন চিন্তা করবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৪ মে) এক টুইট বার্তায় প্রথমে এমন হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির বিকল্প বাজেটের মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১১২ কোটি টাকা। যা চলমান অর্থ বছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪.৪২ গুণ বেশি। অর্থ্যাৎ মোট বাজেটের ৯৩.২ শতাংশের যোগান দেয় রাজস্ব। বাকি ৭.৮ শতাংশ ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি হবে ঘাটতি বাজেট। বিকল্প বাজেটে কালো টাকা ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি বছরের আম রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এ বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিসচিব বলেন, সারা বিশ্বেই বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে। দেশে ২৪ লাখ টনের ওপরে আম উৎপাদন হয়। গত বছর মাত্র ১ হাজার ৭৫৭ টন রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২২-২০২৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫টি জেলার ৪৬টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রকল্প সহায়তায় উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন প্রদর্শনী ৩৫০টি, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন ৬০৪টি, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা ২৪০টি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী ২০০টি স্থাপন করা হয়েছে। মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রদর্শনীসমূহ ক্লাস্টার আকারে স্থাপিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯টি উপজেলায় ৩৭১ জন আম চাষিকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে। মানসম্মত আম উৎপাদন ও পোস্ট-হার্ভেন্ট ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে কৃষক গ্রুপে ম্যাংগো প্লাকার, হাইড্রোলিক ম্যাংগো হারভেস্টার, গার্ডেন টিলার, ফুট পাম্প, এলএলপি ও ফিতাপাইপ সেট সরবরাহ করা হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ২০ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেছে অর্থনীতি সমিতি, যা চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটের প্রায় ৩ গুণ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৩-২৪: বৈষম্য নিরসনে জনগণতান্ত্রিক বাজেট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামসহ অন্যান্য অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল বারকাত বলেন, আমাদের বাজেট সম্প্রসারণমূলক। সরকার আগামী অর্থ বছরে যে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, তার আকার ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে আমাদের বাজেট সরকারের চেয়ে ২ দশমিক ৭ গুণ বড়। উন্নয়ন এবং পরিচালন ব্যয় মিলে এই বাজেটের আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা বর্তমান বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড়।
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, লাগামহীন কর্মবাজার সংকোচন, মহামারি ও ইউরোপ যুদ্ধের অভিঘাতে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে আছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে পূর্ণ কর্ম নিয়োজন, শিশুর জন্য সুস্থ জীবন, সবার জন্য আবাসন, মূল্যস্ফীতি রোধ—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বেশি সংখ্যক মানুষ বহুমাত্রিক দরিদ্র। ধনী ও অতি ধনীর সংখ্যা ১ শতাংশ। বহুমাত্রিক দরিদ্রের সংখ্যা কোভিডকালের চেয়েও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি না বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সঞ্চয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৬৪টি জেলা, ১৩৫টি উপজেলা এবং ৪৫টি ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো ও কানাডা থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৩৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকা। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান।
তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১২০ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে ৫ম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার ২২৬ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর উন্নয়ন’ প্রকল্পের উন্নয়নে তিন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১১ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৮ টাকা। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর উন্নয়ন’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কোরিয়ার চিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, ইয়োশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্টস লিমিটেড বিডিকে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৫ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পে মিরসরাই-২এ অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় ১০ দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১৬ দশমিক ৫৫৭ কিলোমিটার ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক নির্মাণকাজ যৌথ উদ্যোগে চীনের সিসিইসিসি ও সিআরসিসির কাছ থেকে ২৩৭ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৮ টাকায় কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একই প্রকল্পে মিরসরাই-২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় ১২ দশমিক ১০ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১২ দশমিক ৮৬১ কিলোমিটার ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক নির্মাণকাজ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছ থেকে ২১৯ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৫ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এক কোটি ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এর মধ্যে দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৩ টাকা লিটার দরে ৭০ লাখ লিটার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪০ টাকা লিটার দরে এক কোটি ১০ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৭ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকর্পোরেশন (স্থানীয় এজেন্ট ওএমজি লিমিটেড) থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১২৯ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১১৭ টাকা ৮১ পয়সা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা। সিটি এডিবল অয়েল কোম্পানি থেকে ওই সয়াবিন তেল কেনা হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ১১৮টি প্রকল্প পাবে। এর মধ্যে একক সর্বাধিক সংখ্যক প্রকল্প থাকবে পরিবহন ও যোগাযোগ বিভাগের, এ খাতের প্রকল্প থাকবে ২১৩টি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এসব প্রকল্প হলো- সাধারণ সরকারি সেবা খাতের ২১টি, প্রতিরক্ষা বিভাগের ১১টি, জন শৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতের ২৮টি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতের ৫৫টি, কৃষি খাতের ১২৫টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৫৮টি, পরিবহন ও যোগাযোগ বিভাগের ২১৩টি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিভাগের ৮৫টি।
এছাড়া গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধা সম্পর্কিত ১৭৬টি, স্বাস্থ্য খাতের ৪১টি, ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতের জন্য ৪৫টি, শিক্ষা খাতের ৯৫টি, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৪৪টি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ৩১টি প্রকল্প গ্রহণ করা করা হবে।
২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের জন্য আরও ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার এডিপিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে আগামী অর্থ বছরে এডিপির পরিমাণ ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণলয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
সোমবার (২২ মে) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের পরিচালক মো. আলী আকবর ফরাজী এ নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধ এবং অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে উল্লিখিত আইন, বিধিমালা ও কোডের প্রযোজ্য নির্দেশনাসমূহ সমানভাবে পরিপালনের জন্য আপনাদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হলো। এতদুদেশে, বিশেষতঃ অগ্নি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি এবং মানুষ কর্তৃক ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি সমূহের কার্যকারিতা পরীক্ষাসহ ভবন দালালে কর্মরত সকলের জন্য প্রয়োজনানুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিয়মিত বিরতিতে অগ্নি নির্বাপণ সংক্রান্ত মহড়ার আয়োজন করতে হবে।
বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধ এবং অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের সরকার কর্তৃক অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩: অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ বধিমালা, ২০১৪ এবং Bangladesh National Building Code, 2020 প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়াও বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৭/২০১৫, বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নম্বর ০৬/২০২০, ০৩/২০২১ এবং প্রচলিত বিধি-বিধানের আলোকে ব্যাংকের ব্যবসা কেন্দ্রসমূহের নিরাপত্তা জোরদারকরণের লক্ষ্যে আপনাদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হলো।
ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ও নির্দেশনা জারি করা হলো।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যানবাহনের বিমা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশে ব্যবসা করা সব সাধারণ বিমা কোম্পানিকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মোটরের নতুন নতুন বিমা পরিকল্প (পলিসি) তৈরি নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সেইসঙ্গে মোটরের নতুন বিমা পরিকল্প তৈরি করে আইডিআরএ’র কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি মোটর বিমা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আইডিআরএ থেকে সব সাধারণ বিমা কোম্পানিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসে, সড়কে মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে সাধারণত তিন ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রয়েছে- যানবাহনের দ্বারা নিরীহ পথচারীর বা তৃতীয়পক্ষের জান ও মালের ক্ষতি (অ্যাক্ট লায়াবিলিটি), যানবাহনের নিজস্ব ড্রাইভার/যাত্রীর জান ও মালের ক্ষতি এবং যানবাহনের ক্ষতি।
আলোচনায় আরও উঠে আসে, মোটর বিমা ক্যাটাগরিতে দুই ধরনের বিমা প্রচলিত ছিল। প্রথমটি অ্যাক্ট লায়াবিলিটি বিমা পরিকল্প (থার্ড পার্টি বিমা), যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বাধ্যতামূলক ছিল। অন্যটি কম্প্রিহেনসিভ বিমা পরিকল্প, যা বরাবরই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ঐচ্ছিক ছিল। কম্প্রিহেনসিভ বিমায় গাড়ির নিজস্ব ক্ষতিসহ তৃতীয়পক্ষের জানমালের ক্ষতির কাভারেজ করা থাকে।
আইডিআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মোটরচালিত প্রায় ৬০ লাখ নিবন্ধিত যানবাহন প্রাইভেট ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ঝুঁকি এড্রেস করে নতুন নতুন বিমা পরিকল্প প্রণয়ন করে বাজারজাত করা হলে জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) বিমার পেনিট্রেশন বাড়বে। তাই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মোটরের নতুন নতুন বিমা পরিকল্প তৈরি করে পাঠানোর জন্য সব সাধারণ বিমা কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জনা গেছে, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধানও ছিল। তবে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে যানবাহনের বিমা মালিকের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একজন ইচ্ছা করলে তার যানবাহনের বিমা করতে পারেন, আবার না করলেও কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। তার পর থেকেই মূলত মালিকরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই। বিশেষ করে বিমা ছাড়াই চলাচল করছে মোটরসাইকেল।
তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেওয়ার পর যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান বিমা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তবে, কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সে বাধ্যতামূলক করার সুযোগ না থাকায় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকেন বিমা সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিমা মালিকদের অংশগ্রহণে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে হয়েছে। সেখানে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমার আদলে নতুন একটি বিমা প্রোডাক্ট চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা গেছে, মোটরযান বিমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে যে সুপারিশ এসেছে, সেখানে এর পক্ষে কিছু যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মোটরযানের বিমা আবার ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এ মোটরযানের ক্ষেত্রে কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সে অথবা অ্যাক্ট লাইবেলিটি ইন্স্যুরেন্স (থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স) বিমার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আইনে বর্ণিত বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ করা হবে। এ লক্ষ্যে মোটরযানের বিমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যথাযথ যৌক্তিকতাসহ সুস্পষ্ট প্রস্তাব প্রয়োজন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধনের উদ্যোগ নিতে ফেব্রুয়ারি মাসে আইডিআরএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, বিমা না করলে গাড়ির মালিকদের ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত জারিমানা দিতে হবে।
এরপর ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেখবো, যথাযথ বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন যেন না চলে। এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসার পর এখন দেশে ব্যবসা করা সব সাধারণ বিমা কোম্পানিকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মোটরের নতুন নতুন বিমা পরিকল্প তৈরি নির্দেশ দিলো আইডিআরএ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিত্যপণের বাজারে অস্থিরতা এখন নিত্যদিনের। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। কাঁচাবাজার থেকে মুদিপণ্য কোথাও স্বস্তি নেই।
আবারও বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, আদা, জিরার দাম। পণ্যভেদে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের ভরা মৌসুম হলেও মাত্র দু-সপ্তাহের ব্যবধানে দিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে।
কয়েক দিন আগের ২৫ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। আদা ও জিরার বাজারও অস্থির। দু`মাস আগের ৪৫০ টাকা কেজি জিরার দাম এখন ৮০০ টাকা, আর কেজিতে ১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকার বেশি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে ডজনে ১০ টাকা।
আর মাছের দামও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে। বাজারে এসে দিশেহারা বেশিরভাগ ক্রেতা। তবে, ব্রয়লারসহ সবধরনের মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
|
|
|
|
|
|
|