আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)। সমগ্র মানবজাতির শিরোমণি মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ওফাত লাভ করেন। বিশ্বের মুসলমানরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি বা সিরাতুন্নবি (সা.) হিসাবে পালন করেন। বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় ছুটি।
পবিত্র এ দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষ্যে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ অঙ্কিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ ও লাইট পোস্টে টাঙানো হয়েছে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় আলোকসজ্জা করা হবে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। রোববার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ইফার অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, কিরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামি ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামি বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। দিনটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯টায় বাংলাদেশ আনজুমানে আশেকানে মোস্তফা (দ.) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে জশনে জুলুস বের করবে। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের জুলুস বের হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেছেন, মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসাবে পথ দেখাচ্ছে। আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে। আল্লাহ আমাদের মহানবি (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)। সমগ্র মানবজাতির শিরোমণি মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ওফাত লাভ করেন। বিশ্বের মুসলমানরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি বা সিরাতুন্নবি (সা.) হিসাবে পালন করেন। বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় ছুটি।
পবিত্র এ দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষ্যে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ অঙ্কিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ ও লাইট পোস্টে টাঙানো হয়েছে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় আলোকসজ্জা করা হবে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। রোববার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ইফার অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, কিরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামি ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামি বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। দিনটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯টায় বাংলাদেশ আনজুমানে আশেকানে মোস্তফা (দ.) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে জশনে জুলুস বের করবে। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের জুলুস বের হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেছেন, মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসাবে পথ দেখাচ্ছে। আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে। আল্লাহ আমাদের মহানবি (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
সর্বশ্রেষ্ট মাখলুকাত হিসেবে মানবকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তায়ালা। মানব এবং জীনকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর এবাদত বন্দেগী করার জন্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে আল্লাহ পাক তাঁর এবাদতের পন্থা জানিয়ে দিয়েছেন। মানুষের প্রতিটি মুহুর্তই যাতে এবাদের মাঝে অতিবাহিত হয় সেই রাস্তাও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়া বাতিয়ে দিয়েছেন। একইভাবে ঘুরে পরও যাতে মানুষের এবাদতের মাঝে কাটে সেই রাস্তাও তিনি বাতলে দিয়েছেন। সেজন্য কিছু আমল ঘুমের আগেই করতে হয়।
হাদিসে ঘুমানোর আগে সতর্কতাস্বরূপ প্রয়োজনীয় কয়েকটি কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের বাচ্চাদের ঘরে আটকে রেখো, কারণ এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে।
নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩১৬)
রাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হয়ে শোয়া সুন্নত। তাই ঘুমানোর আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবে, যাতে খাবারের কোনো কিছু লেগে না থাকে।
শয্যা গ্রহণের আগে বিছানা ঝেড়ে নেওয়া উচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার ওপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩২০) চোখে বেজোড় সংখ্যায় সুরমা লাগানো সুন্নত।
ডান কাতে শয়ন করা সুন্নত। শয়নকালে দোয়া পড়া সুন্নত। হাদিস শরিফে ঘুমানোর আগে কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সব দোয়া পড়তে না পারলে ছোট এই দোয়াটি পড়া যায় : ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় আমি পুনর্জাগ্রত হব।’
সুরা এখলাস, নাস ও ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া সুন্নত।
আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা এখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যতদূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বুলাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
আয়াতুল কুরসি পাঠ করা সুন্নত : রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানে অবস্থান করবেন বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে আগত লাখ লাখ মুসলমান। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে মিনায় অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে তাঁরা মক্কা থেকে মিনায় যান। মিনায় নিজ নিজ তাঁবুর মধ্যে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করেন। হাজীদের লাব্বাইক লাব্বাইক ধ্বনিতে এখন মুখরিত মিনা ময়দান।
লাখো কণ্ঠে আরাফাতের ময়দানে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক। ’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।
পবিত্র হজ মহান আল্লাহর একটি বিশেষ বিধান। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইচ্ছা করা’।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান সব মুসলমান পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ।
আরাফাতের ময়দান মক্কা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এটি দৈর্ঘ্যে দুই কিলোমিটার, প্রস্থেও দুই কিলোমিটার। এই ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত।
আরাফাতে রয়েছে জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়। এই ময়দানে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে খুতবা দেওয়া সুন্নত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এখানকার মসজিদে নামিরা থেকে বিখ্যাত বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরাফাতে অবস্থান হজের শ্রেষ্ঠ রুকন। কারণ আরাফাতের ময়দান যেন বিশ্ব সম্মিলন। লাখ লাখ হাজির এ ময়দানে মুসলিমদের একতার ইঙ্গিত বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই নামাজ আদায় করেছে আর এর আগে আরাফায় অবস্থান করেছে দিনে বা রাতে, তার হজ পূর্ণ হয়েছে এবং সে তার ইহরাম শেষ করেছে। ’ (সুনানে নাসায়ি)
আরাফাতের ময়দান থেকে মুসলিমদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও শান্তির বার্তা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ আরাফাতের দিন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম। ’(সুরা : মায়েদা, আয়াত: ৩)
আজ মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানারাতুল হারামাইন ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
এদিকে কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এ খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হচ্ছে। টানা পাঁচ বছরের মতো এবারও বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় আরাফাতের খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। এ বছর এর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করবেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান।
হজের অংশ হিসেবে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ এই পাঁচ দিনে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করে হজযাত্রীরা হজের কার্যক্রম পালন করবেন। এর মধ্যে আজ শনিবার (০৯ জিলহজ) আরাফাতের ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়বেন। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন। সূর্যাস্তের পর সবাই আরাফাত থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফা থেকে তিন জামারার জন্য তাঁরা পাথর সংগ্রহ করবেন।
পরদিন রোববার (১০ জিলহজ) মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর কোরবানি করে মাথা ন্যাড়া করবেন। তখন ইহরামের কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তাঁরা দুই দিন বা তিন দিন (১১ থেকে ১২ বা ১৩ জিলহজ) (বড়, মধ্যম, ছোট) জামারায় সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সৌদি আরবের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এবার হজে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রী দেশটিতে গেছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশসহ ৮৮টি দেশের এক হাজার ৩২২ জন হজ করছেন। তা ছাড়া এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বা আহত ফিলিস্তিনি পরিবারের আরও এক হাজার জন হজ করছেন। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৪ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি এবার হজ করছেন। এদিকে দীর্ঘ এক যুগ পর সিরিয়া থেকে সৌদি আরবের হজ ফ্লাইট চালু হয়। এবার দেশটি থেকে ১৭ হাজারের বেশি মুসল্লি হজে অংশ নিচ্ছেন।
হজের স্থানগুলোর আশপাশে ৩২টি হাসপাতালসহ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক আছে। এসব স্থানে পাঁচ হাজারের বেশি চিকিৎসকসহ ৩২ হাজারের বেশি চিকিৎসাকর্মী রয়েছেন। তা ছাড়া সৌদি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাকর্মীসহ দুই হাজার ৫৪০ জনের বেশি জরুরি সেবা দিচ্ছেন। আল্লাহর মেহমানদের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। হজের সময় তীব্র তাপমাত্রা নিয়ে সতর্ক করে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এবারে, তীব্র গরম উপেক্ষা করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ করতে পবিত্র মক্কা নগরীতে সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে এবার পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮৫ হাজার ১২৯ জন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন মানব জাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাঁর এবাদত করার জন্য। আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসুলগণের নির্দেশিত পথে পরিচালিত হবার জন্য। কেবল নবী-রাসুলগণের বাতলে দেওয়া রাস্তাই হলো সঠিক রাস্তা। কিন্তু মানুষ পৃথিবীতে এসে নানা ধরণের পাপাচারে লিপ্ত হয়ে যায়। পথভ্রষ্ঠ হয়ে পড়ে। পৃথিবীতে আসার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে গোমরাহীতে চলে যায়।
অনেক সময় মানুষ তার ভুল পথ কর্ম থেকে নিজেকে ফিরিয়ে আল্লাহর রাস্তায় চলতে আগ্রহী হয়। দ্বীনের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পূর্বেকার ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
মানুষের পাহাড়সম গোনাহ মাফির জন্য আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন কিছু দোয়া বাতলে দিয়েছেন যাতে মানুষ এসব দোয়ার মাধ্যমে নিজের অপরাধের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ পায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের শেষে ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার এবং ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৩ বার পড়বে। আর এভাবে নিরানব্বই বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে-
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই। তিনি একক ও তার কোনো অংশীদার নেই। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’
তা হলে তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম)
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
টঙ্গীর তুরাগতীরে চলছে বিশ^ ইজতেমার প্রথম ধাপ। শুক্রবার সকালে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া বিশ^ ইজতেমার প্রথম ধাপের দ্বিতীয় দিন চলছে। শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে ইজতেমা ময়দানে সাতজন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জের সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লি হলেন- নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০)।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
ঢাকার তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে আফগানিস্তানের একটি তাবলিগ জামাত। গতকাল রোববার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা কাকরাইল মসজিদে যায়। বাংলাদেশের তাবলীগের মুরব্বিরা তাদের স্বাগত জানান।
বিশ^ ইজতেমার আয়োজকরা জানান, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিশ^ ইজতেমার ২ পর্বের প্রথম পর্ব শুরু হবে। প্রথম পর্বে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি অতিথি যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, আফগানিস্তান থেকে আগত ৪২ জনের এ জামাতে বর্তমান আফগান সরকারে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা রয়েছেন। বিদেশি এ জামাতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের তাবলিগের আমির কারি মুহাম্মদ আগাহ খান। ধারণা করা হচ্ছে ইজতেমার আগে আরো বেশ কিছু আফগান জামাত বাংলাদেশে আসবে।
গত তিন বছর থেকে আফগানিস্তানের নানান প্রাদেশিক ইজতেমায় বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের মুরুব্বি আলেমরা নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ১২ রবিউল আউয়াল। এদিন শেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন।
সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) একটি বিশেষ মর্যাদার দিন। বাংলাদেশেও অত্যন্ত মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপিত হয়।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মহানবীর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন।
সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহান আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে রাসুল (সা.)-কে সম্মান জানিয়ে রাহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবেও সম্বোধন করেছেন মহান আল্লাহ। বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদ্গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত।
ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সব নবী ও রাসুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.)–এর ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত প্রকাশিত হয়। এরপর ২৩ বছর তিনি তৌহিদের বাণী প্রচার করেছেন। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনটিতে নফল রোজা রাখেন। বেশি বেশি দরুদ পাঠ, কোরআন শরিফ তিলাওয়াত, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন। এর আগে বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন করবেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে— গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাআত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
অন্যদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট :
বিদেশগামী বাংলাদেশিরা ট্রানজিট ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ট্রানজিটে গিয়েও বাংলাদেশিরা সৌদি আরবে হজ করতে পারবেন। শুধু সৌদি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ হবে চারদিন।
এছাড়া ওমরা ভিসার মেয়াদ এক মাস থেকে বাড়িয়ে তিন মাস করা হয়েছে। এ ভিসায় গিয়েও দেশটিতে ঘুরতে পারবেন বাংলাদেশি যাত্রীরা।
তিনি বলেন, যারা হজ করতে যাবেন অথবা ওমরা করতে যাবেন কিংবা বেড়াতে যাবেন- তারা যদি আরও লোক সঙ্গেও নিয়ে যান, যারা অন্য জায়গায় বেড়াতে যাবেন কিন্তু সৌদি আরবে ট্রানজিট হয়েছে, ওই ট্রানজিটে ওখানে থাকার ব্যবস্থা করতে ওনারা রাজি হয়েছেন। ওখানে ওমরা করে অন্য দেশে চলে যেতে পারবেন।
ট্রানজিটে গিয়ে ওমরা করার বিষয়ে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে বলেও জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজে যাওয়া-আসা, হজের খরচ কমানোর বিষয়গুলো উভয়পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান হবে। হজের কোটা বাড়ানোর ব্যাপারেও তারা বলেছেন। হজের খরচ কমানোর বিষয়টিও তারা দেখবেন।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের ওমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। ওমরা ভিসায় গিয়ে অন্য শহরেও তারা ঘুরতে পারবেন।
এ সময় ধর্ম সচিব মু, আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, সৌদি এয়ারপোর্টে বিনামূল্যে চারদিনের অন অ্যারাইভাল ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হবে। এজন্য সৌদিয়া এয়ারলাইনন্সে সৌদি আরব যেতে হবে।
|
|
|
|
ইসলাম ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাসের রোজা শেষ হওয়ার পর অন্যান্য নফল রোজার মধ্যে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ রোজা হচ্ছে আশুরার রোজা। বিশ্বনবী (সা.) আশুরার রোজাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন সবসময়।
আশুরার রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে—আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, রমজানের পর মহান আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে রমজান ও আশুরায় যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে রোজা পালন করতে দেখেছি, তা অন্যসময় দেখিনি। (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
হযরত আলী (রা.)-কে একবার এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে কি, যাতে আমাকে রোজা রাখার জন্য আদেশ করেন আপনি? তিনি বলেন, এই প্রশ্ন বিশ্বনবী (সা.)-এর কাছে জনৈক সাহাবি করেছিলেন, সেই সময় তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম আমি। জবাবে আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, ‘রমজানের পর তুমি যদি রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহররম মাসে রাখ। কেননা, এটি মহান আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যে দিনে একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন আল্লাহ তাআলা। আর ভবিষ্যতেও অন্যসব জাতির তওবা কবুল করবেন মহান আল্লাহ।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)
আশুরার রোজা রাখার নিয়ম : মহররমের ১০ তারিখ রোজা রাখতে হয় আশুরার। এর সঙ্গে আরও একটি রোজা মিলিয়ে রাখার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে হাদিসে। মহররমের ৯ ও ১০ বা ১০ ও ১১ তারিখ, এই দুইদিন রোজা রাখা উত্তম।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, আশুরার দিন তোমরা রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ তোমরা। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ২০৯৫)
|
|
|
|
ইসলাম ডেস্ক :
মহররম হিজরি বর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে এ মাসকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলা হয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটি সম্মানিত চার মাসের (‘আরবাআতুন হুরুম’) অন্যতম। এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা ও তওবা ইস্তিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
রমজানের পর মহররম মাসের রোজা সবচেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’-এর রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে- রাত্রিকালীন নামাজ।-(সহিহ মুসলিম, ১১৬৩)
‘আল্লাহর মাস’ বলে মহররম মাসকে আল্লাহর সাথে সম্বন্ধিত এর মর্যাদা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এই হাদিসের মাধ্যমে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহররম মাসে অধিক রোজা রাখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহররম মাসকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস বলছেন। জানা কথা, সকল মাসই আল্লাহর মাস। এরপরও এক মাসকে আল্লাহর মাস বলার রহস্য হলো, এই মাসের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তাই একে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে। যেমন দুনিয়ার সব ঘরই আল্লাহর ঘর। কিন্তু সব ঘরকে বাইতুল্লাহ বলা হয় না।
‘আল্লাহর মাস’ বলে মহররম মাসকে আল্লাহর সাথে সম্বন্ধিত এর মর্যাদা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এই হাদিসের মাধ্যমে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহররম মাসে অধিক রোজা রাখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
মহররম মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলত হলো, এই মাসের সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস সম্পৃক্ত।
মহররমের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত আরও বেশি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
মহররম মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলত হলো, এই মাসের সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস সম্পৃক্ত। একটি হাদীসে আছে-
আলী (রা.)-কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মুহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)
|
|
|
|
ইসলাম ডেস্ক :
বাবা-মার জন্য সন্তান মহান আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। নিঃসন্তান দম্পতিই সন্তান না থাকার সঠিক উপলব্ধি করতে পারেন। আল্লাহ বড়ই মেহেরবান। তিনি যাকে ইচ্ছে সন্তান দান করতে পারেন। এজন্য সুস্থ ও উত্তম সন্তান পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে রহমত কামনা করা। তার রহমতেই মানুষ সন্তান পেয়ে থাকেন। এজন্য কিছু আমল করা যেতে পারে। কোরআন-সুন্নাহতে যে আমলগুলো করার দিকনির্দেশনা ও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। তাহলো-
দোয়া করা : আল্লাহর কাছে সন্তান চেয়ে বেশি বেশি দোয়া করা। এ দোয়ার বরকতে নবি-রাসুলগণ বৃদ্ধ বয়সেও সন্তান পেয়েছিলেন। সে দোয়াগুলো আল্লাহ তাআলা হুবহু কোরআনুল কারিমে এভাবে তুলে ধরেছেন- رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا উচ্চারণ: ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুনাও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাক্বিনা ইমামা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন; যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদের মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন’।’ (সুরা ফুরকান: আয়াত ৭৪) আবার যাদের সন্তান হয় না, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি দোয়া। বার্ধক্যে হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের সে আবেদনও মানুষের জন্য আল্লাহ তাআলা এভাবে তুলে ধরেছেন- رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ উচ্চারণ: ‘রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খায়রুল ওয়ারিছিনা।’ অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী (অতএব আমাকে উত্তম ওয়ারিশ/সন্তান দান করুন)।’ (সুরা আম্বিয়া: আয়াত ৮৯) হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম সন্তানের জন্য আরো একটি দোয়া করেন। সেই দোয়ায় আছে আল্লাহর প্রতি বিনয় ও নেক সন্তান পাওয়ার আশা। তাহলো- رَبِّ هَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ উচ্চারণ: ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুংকা জুররিয়াতান ত্বাইয়েবাতান; ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো, নিশ্চয়ই তুমি দোয়া শ্রবণকারী।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৩৮) নেক সন্তান পাওয়ার সুন্নত আমল নেক সন্তান পাওয়ার জন্য শয়তানের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। তাই সহবাসের আগে সব সময় আল্লাহর কাছে এভাবে আবেদন করা- بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আমাদের যা রিজিক (সন্তান) দেবেন তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দাম্পত্য মিলনের আগে যদি কেউ এ কথা বলে তবে তাদের মিলনে সন্তান জন্ম নিলে তাকে শয়তান ক্ষতি করবে না। (বুখারি)
গুনাহ থেকে বিরত থাকা : নেক সন্তান বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় অনুগ্রহ। তাই নেক সন্তান পেতে স্বামী-স্ত্রীকেও নেককার হতে হবে। তাদের উভয়কে নেক আমল করতে হবে। গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ তাদের দান করবেন নেক সন্তান।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে নেক সন্তান দান করুন। নিঃসন্তান দম্পতিকেও দান করুন নেক সন্তান। নেক সন্তান পেতে কোরআন-সুন্নাহর আমলগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
|
|
|
|
ধর্ম ডেস্ক :
মৌসুম ছাড়া ফল দিতে পারেন যিনি, বৃদ্ধ বয়সে হজরত জাকারিয়া ও হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে সন্তান দিয়েছেন যিনি, তিনিই মহান আল্লাহ। তিনি চাইলে যে কোনো নিঃসন্তান দম্পতিকে দান করতে পারেন সন্তান। তার কাছে যেমন কোনো কিছুর অভাব নেই তেমনি তার কাছে কোনো কিছু অসাধ্য নয়। যেসব দম্পতি নিঃসন্তান। যারা সন্তান চান। তারা আল্লাহর কাছে চান। আল্লাহ যাকে সন্তান দান করেন, কোনো রোগ, কোনো দুর্বলতা বা কোনো সমস্যাই তার সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে সন্তান দান করেন না, অতি তুচ্ছ কারণেই সে সন্তান লাভ করতে ব্যর্থ হয়। মহান আল্লাহ কোরআনে পাকে ঘোষণা করেন- يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثٗا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ أَوۡ يُزَوِّجُهُمۡ ذُكۡرَانٗا وَإِنَٰثٗاۖ وَيَجۡعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًاۚ ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছে কন্যাসন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছে ছেলে সন্তান দান করেন অথবা ছেলে-মেয়ে উভয়ই দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন।’ (সুরা আশ-শুরা: আয়াত ৫০) সুতরাং আল্লাহর কাছে চাওয়া ছাড়া সন্তান পাওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। নিঃসন্তান দম্পতির উচিত, হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম ও হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের মতো আল্লাহর কাছে সন্তান চাওয়া। একনিষ্ঠ মনে নিজে মতো করে নিজের ভাষায় তাঁরই কাছে নেক সুস্থ ও সুন্দর সন্তান কামনা করে দোয়া করতে থাকা। তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দিলে অবশ্যই বান্দা সন্তান লাভ করবেন। হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের আহ্বান হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম বুড়ো বয়সেও নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন, আল্লাহ তাআলা মৌসুম ছাড়াই হজরত মারইয়াম আলাইহিস সালামকে ফল দান করে রিজিকের ব্যবস্থা করেন। তখন তাঁর মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাক্সক্ষা জেগে উঠলো। তিনি ভাবলেন, যে আল্লাহ বিনা-মৌসুমে ফল দিতে পারেন, সে আল্লাহ বৃদ্ধদম্পতিকেও সন্তান দান করতে পারেন। যে ভাবনা সেই কাজ। তাই তিনি আল্লাহ তাআলার দরবারে এভাবে দোয়া করলেন- رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء উচ্চারণ: ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুংকা জুররিয়্যাতান ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনার কাছ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৩৮) হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দোয়া বৃদ্ধ বয়সে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম সৎ ছেলে সন্তানের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেছিলেন। তাঁকে নেক ছেলে সন্তান দান করেছিলেন। দোয়াটি এই- رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ উচ্চারণ: ‘রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন।’ অর্থ: ‘হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎ ছেলে দান করুন।’ (সুরা সাফফাত: আয়াত ১০০) কোরআনে উল্লিখিত উভয় পয়গাম্বরের দোয়ায় নিঃসন্তান দম্পতির জন্য রয়েছে সুমহান শিক্ষা। যারা নেক সন্তান কামনা করেন, তাদের করণীয় হলো- কোরআনে ঘোষিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সন্তান কামনা করা। তবেই আল্লাহ তাআলা তাদের দিতে পারেন নেক সন্তান। আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমিন।
|
|
|
|
ধর্ম ডেস্ক :
আরাফাত ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় সমবেত হয়েছেন সারা বিশ্বের ২৫ লাখের বেশি মুসলিম।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ।
খুতবায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনাসহ ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসলামের রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে ভাই ভাই হয়ে তাওহিদের পথে অটল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ হজের খুতবায় বলেন, শয়তানের পথ পরিহার করতে হবে। কেননা শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
জীবনের সকল অঙ্গনে ইহসানের আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দেওয়ার উজ্জ্বল দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় খুতবায়। সবাই এক আল্লাহর বান্দা। আরব-অনারব ভেদাভেদ নেই, কালোর ওপর সাদার প্রাধান্য নেই, ধনী-গরীব পার্থক্য নেই। আল্লাহ তাআলার কাছে তাকওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
খুতবায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়েছে। মুসলিমদের জন্য করণীয় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয় হজের খুতবায়। এক আল্লাহর ইবাদত তথা নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত নিয়ে কোরআনের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। আহ্বান জানানো হয় পরস্পর সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষার। খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিভিন্ন টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে।
হজের খুতবায় শায়খ ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ আরও বলেন, আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (স.)-কে শেষ নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর কাছে নাজিলকৃত পবিত্র কোরআনে নামাজ, রোজ, জাকাত ও হজ ফরজ করেছেন। মুসলমানদের কাছে আল্লাহ ছাড়া অন্যকোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই।
খুতবায় বলা হয়, আল্লাহ তাআলা মানুষকে শুধুমাত্র ইবাদতের জন্য তৈরি করেছেন। আল্লাহ তাআলার এই নির্দেশ অনুসারে মানুষকে নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে বলেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বন করতে বলেছেন।
খুতবায় আরও বলা হয়, আল্লাহ তাআলা বাবা-মার সঙ্গে সদাচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসলাম ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বাবা-মা’র পর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিয়েছেন, যে বান্দা নিজের ওপর জুলুম করে তার জন্য তওবার দরজা খোলা রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ক্ষমা করতে পারে না।
খুতবায় মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে বলা হয়, হে মানব সম্প্রদায়, আল্লাহ তাআলা তোমাদের ন্যায় ও ইনসাফের নির্দেশ দিয়েছেন। মানবজাতির জন্য এমন বিধিবিধান তিনি পাঠিয়েছেন, যার মাধ্যমে মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ন্যায়বিচার করতে হবে। কেননা এটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসবকিছু ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য। আমাদের আচরনে তা ফুটিয়ে তুলতে হবে।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
এবার ২০ টি ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়েছে। ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, ফরাসি, ফার্সি, উর্দু, হাউসা, রাশিয়ান, তুর্কি, বাংলা, চীনা, মালয়, সোয়াহিলি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আমহারিক, জার্মান, সুইডিশ, ইতালীয়, মালয়ালম, বসনিয়ান ও ফিলিপিনো।
টানা চতুর্থবারের মতো বাংলা ভাষায় হজের খুতবা শোনা যাচ্ছে। এবার খুতবার বাংলা অনুবাদ করছেন আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান ও ড. খলীলুর রহমা। তাদের সাথে আরো রয়েছেন মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। মানারাতুল হারামাইন অ্যাপ, আল কোরআন চ্যানেল ও আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে খুতবাটি শোনা যাচ্ছে। এ বছর বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষের কাছে ইসলামের বাণী লাইভ সম্প্রচারিত খুতবার মাধ্যমে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবছর বিভিন্ন দেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লি পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে জড়ো হয়েছেন। এ বছর ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন মুসল্লি হজ পালন করতে গেছেন বাংলাদেশ থেকে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান। মঙ্গলবার পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে আরাফাতে উপস্থিত হয়েছেন লাখ লাখ হাজি।
সবার কণ্ঠে একই ধ্বনি- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ অর্থাৎ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লি পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে জড়ো হয়েছেন। এ বছর ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবার রেকর্ডসংখ্যক মানুষ হজ পালন করবেন বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন মুসল্লি হজ পালন করতে গেছেন।
পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিকভাবে সামর্থ্য ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর জন্য তা ফরজ। এবার যারা হজে এসেছেন তারা আজ সূর্যোদয়ের পর সমবেত হয়েছেন মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিদায় হজের স্মৃতিজড়িত আরাফাতের ময়দানে।
মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের পর হজযাত্রীদের আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও সোমবার রাতেই নিয়ে যান মুয়াল্লিমের দায়িত্বশীলরা। সেখানে আগে পৌঁছে গেলে ফজর এবং জোহর-আসর আদায় করবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানে উপস্থিত না হলে হজ পূর্ণ হয় না।
তাই হজে এসে যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ আনা হবে এখানে। ইসলামী রীতি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের নবম দিনটি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে ইবাদতে কাটানোই হলো হজ।
এখানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন খতিব। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ। একই সঙ্গে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি।
এ বছর হজের আরবি খুতবা বাংলাসহ মোট ২০টির বেশি শোনা যাবে। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
|
|
|
|
ধর্ম ডেস্ক :
কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহর দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।
১০ জিলহাজ পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায় (সূরা হজ : ৩৭)।
কোরবানি দেওয়ার পর গরুর মাংস বণ্টন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমবেশি সবারই জানা আছে, পশু কোরবানি করার পর মোট মাংসের তিনটি ভাগ করে এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়। তাই পশু কেনার সময় সুস্থ এবং বেশি মাংস সম্পন্ন হলে সব পক্ষই লাভবান হয়।
পশু কোরবানির ফলে অন্তর পরিশুদ্ধ হবে। আর এটাই হলো কোরবানির মূল প্রেরণা। আজকাল অনেকে গোশত জমা করে সেখান থেকে প্রতিবেশী ও ফকীর-মিসকীনদের কিছু কিছু দিয়ে বাকী গোশত পুনরায় নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। এর মাধ্যমে কৃপণতা প্রকাশ পায়। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
কোরবানির মাংস বানানোর পর সব মাংসকে সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে। পরিমাপের ক্ষেত্রে দাড়িপাল্লা ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংস সমান তিন ভাগ করার পর এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়।
কোরবানির গরুর আরেকটি অংশ হচ্ছে চামড়ার টাকা। যাতে গরীর মিসকিনদের হক রয়েছে। কোরবানির মাংস সব সময় নিকটতম আত্নীয় ও আশপাশের গরিব-দূঃখী প্রতিবেশিদের দেয়া উত্তম।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
হজ করতে সৌদি আরবে গিয়ে ৯ দিনে আটজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত ৩১ মে থেকে ৮ জুনের মধ্যে তাঁরা মারা যান। তাঁদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও দুইজন নারী।
প্রয়াত এই হজযাত্রীদের মধ্যে ছয়জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং একজন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আরেকজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
তাঁরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), রাজধানীর ডেমরার শাহানারা বেগম (৬৩), পাবনার চকছাতিয়ানী মাঠপাড়ার ডা. শফিকুল ইসলাম (৬৩), শেরপুরের ঝিনাইঘাতির আলী হোসাইন (৬৭), রাজধানীর খিলগাঁওয়ের আইয়ুব খান (৪৮), পঞ্চগড়ের ছোটদাপের শহীদুল আলম (৬৭), বগুড়ার আদমদিঘীর রোকেয়া বেগম (৬২) ও নওগাঁর আত্রাইয়ের আদম উদ্দিন মণ্ডল (৬২)।
প্রয়াত হজযাত্রীদের মধ্যে আব্দুল ওয়াহেদ, শাহানারা বেগম, ডা. শফিকুল ইসলাম, আলী হোসাইন, আইয়ুব খান ও আদম উদ্দিন মণ্ডল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন শহীদুল আলম। রোকেয়া বেগমের মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।
তাঁদের কেউ মক্কায় হজ এজেন্সির ভাড়া করা হোটেলে, কেউ ভাড়া করা হোটেল থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে আসার পথে, কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে, কেউ কিং আবেদন আজিজ হাসপাতাল, কেউ বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে এবং কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে কর্মরত চারজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রয়াত হজযাত্রীদের সৌদি আরবের মক্কায় শরাইয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মোয়াল্লিম মওলানা ও মুফতি হোছাইন আহমদ বলেছেন, হজযাত্রীরা মহান আল্লার মেহমান। এ জন্য সৌদি আরব সরকার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রয়াত হজযাত্রীদের কাফন ও শরাইয়া কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করে থাকে।
|
|
|
|
|
|
|