ভারত সফরে গিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। লিগ্যাল এইড নিয়ে একটি সেমিনারে অংশ নিতে তিনি আজ ভারত যান। প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে তাঁর কার্যভার পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যোষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘ফার্স্ট রিজিওনাল কনফারেন্স অন অ্যাকসেস টু লিগ্যাল এইড: স্ট্রেনদেনিং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ইন দ্য গ্লোবাল সাউথ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে দুপুরে প্রধান বিচারপতি ভারতে যান।
আগামী ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে
ভারত সফরে গিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। লিগ্যাল এইড নিয়ে একটি সেমিনারে অংশ নিতে তিনি আজ ভারত যান। প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে তাঁর কার্যভার পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যোষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘ফার্স্ট রিজিওনাল কনফারেন্স অন অ্যাকসেস টু লিগ্যাল এইড: স্ট্রেনদেনিং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ইন দ্য গ্লোবাল সাউথ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে দুপুরে প্রধান বিচারপতি ভারতে যান।
আগামী ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে
সাভারে ডিবির অভিযানে ৮ জুয়াড়ীকে আটক করা হয়েছে। উপজেলার ভরারী এলাকা থেকে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এদের আটক করে। এ সময় জুয়ার আসর থেকে প্লেয়িং কার্ড (টাস) সহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোররাতে সাভারের ভরারী বটতলা এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার ধল্লা খানপাড়া এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে আব্বাস মিয়া (৫৫), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আঃ মজিদের ছেলে শুকুর আলী (৫২), ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার চরদত্তরকাঠি এলাকার আব্দুল হাকিম কাজীর ছেলে লুৎফর রহমান কাজী (৫২), গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুর থানার এনায়েতপুর এলাকার মধু মিয়ার ছেলে মোঃ সাইফুল মিয়া (৪৫), পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ডাকুয়া এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার মৃধার ছেলে মোঃ দুলাল (৪০) ও দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার মৃত গহির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৬), তারা সবাই সাভারের রাজফুলবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং বাকি দুইজন হলো সাভারের ভরারী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ বাবু (৩৮) ও সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া নগরচর এলাকার মোতালেবের ছেলে মালেক দেওয়ান (৪৮)।
ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৮ জুয়াড়ীকে আটক করা হয়৷ এ সময় জুয়ার আসর থেকে দুই বান্ডেল টাস সহ নগদ ৯ হাজার ৬শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বগুড়ার সোনাতলা পৌর মেয়র ও সাবেক শ্রমিকলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের উপর হামলা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়ার এসআই মো: জাকারিয়া সোনাতলা থানার আমলী আদালতে এই চার্জশীট দাখিল করেন।
অভিযুক্ত মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলার আগুনিয়াতাইড় এলাকার মৃত সাহাদৎজামানের ছেলে।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলো, রবিউল খাঁন (রবিউল), নবিন আনোয়ার কমরেড, নাহিদ হাসান (জিতু), মামুনুর রশিদ ওরফে মিজু মিয়া, জুজা খাঁন, উৎপল কর্মকার, চঞ্চল কর্মকার, নুর আলম ওরফে লিখন, রফিকুল ইসলাম(মতিন), মানিক মিয়া, অসীম কুমার জৈন ওরফে নতুন, মাহমুদুর রশিদ ওরফে সোহেল, এএফএম মমিনুর রফিক ওরফে ফিলিপস্ আকন্দ, সাবিরী আলম ওরফে ছোটন, মোনারুল ইসলাম ওরফে মোনাই, রেজাউল করিম ওরফে রেজা, এএমএম শাহিন রাব্বী, প্রিন্স কুমার গুপ্ত ওরফে অমিত কুমার, শ্রী সুজন, গোলাম রব্বানী, রেজাউল করিম খাঁন, আজাহার কাজী, মোমিনুল ইসলাম ওরফে মিঠু। মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়। অন্য আসামীরাও আ’লীগের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০২১ সালের ২ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের প্রার্থীর পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দলদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেয়র নান্নুর বাড়ির সামনের রাস্তার উপর তাকে বেদম মারপিট করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় তারা তার কাছে থাকা নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় সোনাতলা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর স্ত্রী সাবিনা ফেরদৌসী বাদী হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামি মিনহাদুজ্জামান লীটন তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে চার্জশীট দাখিল করেছেন বলে দাবী করেছেন।
জামিন পেয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলান। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের একক বেঞ্চ শুনানি শেষে এ রায় দেন।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। পাশাপাশি জামিন চেয়েছেন তারা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড হবে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
সেদিনের ঘটনায় সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৩ সালের ১০ জুন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর এবং সংগঠনটির পরিচালক নাসির এর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে সেটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৬১ জন নিহত হওয়ার কথা দাবি করেছিল অধিকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংখ্যাটি ১৩ বলে জানানো হয়।
মো. আজমাইন মাহতাব : রাজধানীর মিরপুরে শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী মুক্তা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মুক্তা মার্কেটে গিয়ে আগে থেকে কোনো মেয়েকে টার্গেট করেন। টার্গেট করা ওই মেয়ের সঙ্গে তিনি ঝগড়া বাধান। এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন। প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লার থেকে সেজে আসেন। তার সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় কেউ তাকে সন্দেহ করেন না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিয়মিত ছিনতাই করছেন মুক্তা।
প্রথমে মুক্তা তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। মায়ের সঙ্গে টুকটাক চুরি করতেন। কিন্তু মা অসুস্থ হওয়ায় নিজেই দল গড়েন। পরে তিনি একজনকে সঙ্গে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরেই ছিনতাই শুরু করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া দরগা মহল্লার নুরু মিয়ার ছেলে সুমন নূরকে (ডিস সুমন) জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুয়া সিআইডি নাইম ও তার বন্ধু সুমন নূর নাঈমকে সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দিত মানুষের কাছে। অবশেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
তবে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, তারা সিআইডির কোন অফিসার নয় বলে জানাতেন। অনেক আগে তিনি ঢাকার সিআইডির কোন এক অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন জানালেও এর পক্ষে কোন প্রমাণ দিতে তিনি ব্যর্থ হন।
নাইম জানিয়েছেন, জনৈক ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নেওয়ার জন্য সুমন নূর তাকে পরামর্শ দিয়েছিল। এসময় ভুয়া সিআইডি নাঈম ও সুমন নুরের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুমন নুরের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা রয়েছে। এরমধ্যে নরসিংদী সদর থানার চাঁদাবাজি, অপহরণ, ব্ল্যাকমেইলের মামলা রয়েছে। চট্টগ্রামেও মামলা রয়েছে।
সুমন নুরের সহযোগী ভুয়া সিআইডি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পুরোয়ানা জারি করেন আদালত। এদিকে ভুয়া সিআইডি নাইমের খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়। তিনি কখনো সিআইডি কখনো সাংবাদিক আবার কখনো বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলা রয়েছে। তিনি নরসিংদী জেলা সদরের বাগদী মার্কাজ মসজিদ এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে। তবে তার মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দীর্ঘদিন যাবৎ নার্সের চাকরি করার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাইম অতীতে বসবাস করেছেন। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার বন্ধু-বান্ধব রয়েছে। আর এদের সহযোগীতায় নাইম এই প্রতারণা করে চলেছেন দিনের পর দিন।
অনুসন্ধানে নাইমের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের জগৎসার (ভাদুঘর) গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে সুমিকে (কমলা) সিআইডি পরিচয়ে বিয়ে করেন নাইম। তখন পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। এছাড়াও ৪ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও নাইম যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী সুমিকে মারধর করতেন। সবশেষ গত ১৪ জানুয়ারী নাইম তার শ^শুর বাড়িতে এসে তার স্ত্রী সুমিকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করেন। এরই প্রেক্ষিতে স্বামী নাইমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেন সুমি।
এর আগে ২০২১ সালের ১৫ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিআইডির এসআই পরিচয় দিয়ে জনৈক এক ব্যক্তির (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মোবাইল থেকে তার ব্যক্তিগত ভিডিও জোর করে নিয়ে তা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ে করলে। গত ২৪.৯.২০২৩ ইং আদালতে আত্মসমর্থন করলে সুমন নূরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন, অপরদিকে ভুয়া সিআইডি নাঈম পালাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সুদের টাকা দিতে না পারায় এক কৃষককে শিকলবন্দী করে আটকে রাখে এক সুদখোর। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। এ ঘটনায় সুদখোর আব্দুল আজিজকে(৩৫) আজ ভোর ৪টার দিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী কৃষকের নাম আসাদ আলী। ভুক্তভোগীর স্ত্রী শাহানা খাতুন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার সুদের টাকা আদায়ের জন্য ভুক্তভোগী ওই কৃষককের বাড়ি থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে এনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিকলবন্দী করে রাখে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ। ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে রাতেই অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযানে নামে পুলিশ। অবশেষে আজ ভোর ৪টার দিকে আব্দুল আজিজকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান নাটোরের পুলিশ সুপার।
জানা যায়, কৃষক আসাদ আলী ২০২০ সালে জমি লিজের শর্তে সুদের কারবারি আজিজের থেকে ৮০ হাজার টাকা নেন। বিগত ২ বছর যাবত সুদের টাকা ঠিক মতো পরিশোধ করলেও চলতি বছরের টাকা দিতে পারেনি কৃষক আসাদ।
আদালত প্রতিবেদক : সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি।ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে সোমবার বাবুকে ৬ মাসের জামিন দেন। যা মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জানা যায়। বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে সাংবাদিক হত্যার প্রধান আসামির জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ২৭ আগস্ট জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ১৪ জুন রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে গুরুতর আহত করে। পরদিন ১৫ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় গত ১৭ জুন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নামে এবং আরও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. আশ্রাফ এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, গত বছর ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ।
আদালত প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেননি চেম্বার আদালত। তার জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
বুধবার আমানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করে বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আজ আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন বিএনপি নেতা আমান। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর দুদকের ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় আমানকে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আমান। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে একই মামলায় আত্মসমর্পণের পর কারাগারে গিয়ে জামিন পেয়েছেন আমানউল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ৩০ মে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে আমানউল্লাহ আমান ও সাবেরা আমানকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। একই বছরের ২১ জুন সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের (পৃথক ধারায় ১০ ও ৩ বছর) ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালে ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট আপিল পুনঃশুনানি করতে নির্দেশ দেন। পুনঃশুনানি শেষে আমান দম্পতির আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বহাল রেখে গত ৩০ মে ওই রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালত প্রতিবেদক : সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৪ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে বলেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয় আদেশের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আনিসুল করিম আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার পরদিন ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় এবং আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
স্টাফ রিপাের্টার : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পাদ অর্জনের মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিএনপি নেতা আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৭ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৮১ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায় প্রকাশ করেন। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তারও আগে গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। ওইদিন দুদকের অন্য একটি মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরে গত ৩০ মে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে মামলার পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পুনঃশুনানি শেষে গত ৩০ মে টুকুর সাজা বহাল রাখেন আদালত। পরে আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে টুকু আবেদন করলে সর্বোচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়।
আদালত প্রতিবেদক : দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এর চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেছেন সাবেরা আমানের আইনজীবী ব্যারিটস্টার এএম মাহবুবর উদ্দিন খোকন। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানি হয়। সাবেরা আমানের (ক্যানসারের রোগে আক্রান্ত) অসুস্থতা বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে পুনঃ শুনানির নির্দেশ দেন।
আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে এ আপিলের পুনঃ শুনানি শুরু হয়। গত ৩০ মে পুনঃ শুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের পর রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেমের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে জামিন আবেদন করেন।
সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও মিছিল না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের আগের দেওয়া রায় অনুসরণ করার কথা বলার পর প্রাঙ্গণের আইনজীবীরা বাইরে গিয়ে কালো পতাকা মিছিল সমাবেশ করেছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে বুধবার (৩০ আগস্ট) তারা সুপ্রিম কোর্ট মাজার গেইট থেকে বেরিয়ে কদম ফোয়ারা হয়ে সুপ্রিম কোর্টের মৎস্যভবন গেইটে পৌঁছে সমাবেশে মিলিত হন।
‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
এর আগে সকালে বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে বুধবার আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্বপ্রণোদিত রায় অনুসরণ করতে নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা আমরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’- আপিল বিভাগের এক বিচারপতির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আপিল বিভাগে এমন আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।
আবেদনে বাদী হয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
বিবাদী করা হয়েছে আইনজীবী কায়সার কামালসহ সাতজনকে।
পরে এক ব্রিফিংয়ে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, আমরা তো কোর্ট অফিসার। কোর্টের ভাবমূর্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে কতিপয় আইনজীবীরা বিচারপতিদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের শব্দ বলছেন। যা আদালত অবমাননার শামিল।
গত ১৭ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এক শোক সভায় প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের কয়েকজন বিচারপতির বক্তব্য বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং ১৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ আমাদের সংবাদ সম্মেলন।
তিনি বলেন,আলোচনা সভায় বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবীদ হিসেবে বিচারপতিদের চিহ্নিত করেছেন। তিনি স্পষ্টতই দেশের চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে শাসক দলের নেতাদের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ইদানিং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়।
বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের যে মৌলিক অধিকার জনগণের রয়েছে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছেন সারা পৃথিবীতে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন!
কায়সার কামাল বলেন, বিচারকদের এহেন বক্তব্য কতটুকু বিচারক সুলভ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচায়ক তা সহজেই অনুমেয়। তারা বিচারপতির মহত্ত্ব ধারণ করতে পারেন কি না তা জনমনে অনেক সংশয় ও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মিছিল-সভা-স্লোগান দিয়ে আসছেন। এমন প্রেক্ষাপট তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর কয়েক দফা শুনানী শষে গত সোমবার আদেশের এই দিন নির্ধারণ করে উচ্চ আদালত।
২০০৮ সালের ৫ মে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দূর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মিছিল-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ফলে এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক সভা সমাবেশের অনুমতি পাবে না দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আপিল বিভাগের ১নং কোর্টে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ইস্যু এবং মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আপিল বিভাগে শুনানি শেষে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে এবং আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩১ আগস্ট, ২০২৩ দিন ধার্য করেন।