দুদকের মামলায় রিজেন্ট সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শেষ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এরপর আদালত আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এসময়ে তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট দশজন সাক্ষী বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এরপর আদালত আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এসময়ে তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট দশজন সাক্ষী বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক আগামী তিন দিনের মধ্যে আবারও উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা তুলে ধরে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় দুর্বল হয়ে একই এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে এবং মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের ডিমলায় ৬৮ মিলিমিটার এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রংপুরের তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক, ঢাকা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে। দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ঔষধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয় যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এরপর অন্য আরেকটি ক্ষতিকর ঔষধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ঔষধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিড এর ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে যা শকুন রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে সব ঔষধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপনন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার আহবান জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদী বিজ্ঞানভিত্তিক যে কোন পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আসলে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে।
আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এছাড়া, ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন, সরকারিভাবে দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর (২০১৬-২০২৫) মেয়াদি “বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা” বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি এবং বাকী কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ৭ম ও ৮ম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। শকুনের ডানায় লাগানোর জন্য লাল-সবুজ পতাকার আদলে বিশেষ ট্যাগ তৈরী করা হয়েছে। এই উইং ট্যাগ এর পাশাপাশি এ বছর নতুন প্রযুক্তি- স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে শকুনের গায়ে ট্যাগ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের শকুনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে যা শকুন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সকলের স্বার্থে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবশিষ্ট শকুনগুলোকে রক্ষায় আমাদের সকলকেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণলয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন জীবন ফাউন্ডশেনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় ও বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এ বি এম সারোয়ার আলম।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শকুন সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজিত পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শকুন সমৃদ্ধ এলাকায় দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক রেমিট্যান্স আনতে নানা ছাড় ও সুবিধা দেওয়ার পর ইতিবাচক সাড়া মিলছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৩০ লাখ ( ৮১৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৯৬ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ৭ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২৪৩ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে ডলারের রেটের ব্যবধান বেশি থাকে। তখন বৈধ চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেশি আসে। এখন এক ডলার রেমিট্যান্সের বিপরীতে ব্যাংক ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা দিচ্ছে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। সব মিলিয়ে ১০০ টাকার মতো। কিন্তু খোলা বাজারে ডলার ১১৮ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর মানে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স এলে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে, যার কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। তাই ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে ব্যবধান না কমলে প্রবাসী আয় বাড়ানো কঠিন হবে।
সদ্য সমাপ্ত জুলাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন, স্থানীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। জুলাইয়ে তার আগের মাস জুনের চেয়ে প্রায় ২৬ কোটি ডলার বেশি এসেছে। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছরের জুলাইয়ে ২২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত বছর জুলাই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিরসনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধারাবাহিক কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এ দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী এটিই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
তবে বিভিন্ন ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ব্যাংকগুলো আমদানি বিলের জন্য নিচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত, নগদ ডলার বিক্রি করছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকা দরে। আর ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা দরে।
সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন হাজার ৯৫৯ কোটি (৩৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন) ডলার। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক চীনের বিভিন্ন নগরীতে তাপদাহের জন্য রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এ কারণে লাখো মানুষকে তাদের বাসাবাড়িতে অবস্থান করার ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে দেশটিতে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুত সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। খবর এএফপি’র। খবর এএফপি’র।
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা চরম মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এসব অঞ্চলে ভয়াবহ তাপদাহ বয়ে যেতে দেখা যায়। এ মাসে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এবং গত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের অনেক প্রদেশে তাপ প্রবাহ বয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়া বারবার দেখা দিচ্ছে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চীন কোন ব্যতিক্রম দেশ না। এই গ্রীস্মে দেশটিতে রেকর্ড গরম পড়ায় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝিজিয়াং ও ফুজিয়ান প্রদেশে সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ ডিগ্রির উপরে চলে যায়। এই দুই নগরীতে এর আগে কখনো এমন তাপমাত্রা দেখা যায়নি।
সপ্তাহান্তে জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে রেড এলার্টের আওতায় থাকা এলাকার লোকজনকে বাসাবাড়ির বাইরের সকল কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চীনের প্রচলিত পুঞ্জিকায় শনিবার ‘চরম তাপমাত্রা’ দিবস পালন করা হয়। এ বছরের সবচেয়ে গরম দিন হিসেবে দিনটি স্বীকৃতি পায়। তবে এই গ্রীষ্মে চীনে ব্যতিক্রমীভাবে অনেক বেশি গরম পড়তে দেখা যাচ্ছে।
এ মাসের গোড়ার দিকে সাংহাইয়ে সর্বোচ্চ ৪০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১৮৭৩ সালের পর সেখানে তাপমাত্রার এটি নতুন রেকর্ড।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের আরও দুই পোশাক কারখানা। কারখানা দুটি হচ্ছে, হ্যাবিটাস ফ্যাশন লিমিটেড এবং ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে এ দুটি কারখানা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবি) এ সনদ দেয়।
হ্যাবিটাস ফ্যাশন পেয়েছে লিডের প্লাটিনাম ক্যাটাগরি। আর ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজের ক্যাটাগরি গোল্ড। লিড সনদের জন্য ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে প্লাটিনাম, ৬০ থেকে ৭৯ হলে গোল্ড, ৫০ থেকে ৫৯ হলে সিলভার এবং ৪০ থেকে ৪৯ পয়েন্ট পেলে সার্টিফায়েড সনদ মেলে। হ্যাবিটাস ফ্যাশন ৯১ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। আর ৬৪ পেয়ে গোল্ড ক্যাটাগরির সনদ পেয়েছে ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজ।
এ নিয়ে দেশে এখন দেশে মোট সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫টিতে। এর মধ্যে প্লাটিনাম ৫০টি, গোল্ড ১০১টি, সিলভার ১০টি এবং চারটি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমএই জানিয়েছে, রপ্তানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবুজ কারখানার সংখ্যা। এই কারখানাগুলো আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে অবদান রাখবে।
সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘দেশে সবুজ কারখানার বিপ্লব ঘটিয়ে নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে। প্লাটিনাম কারখানার সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি করে ৫০ হয়েছে। সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গোল্ড কারখানার সংখ্যা ১০১টিতে পৌঁছেছে। ‘এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশেল পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে।’ নতুন সনদ পাওয়া কারখানা দুটির মধ্যে হ্যাবিটাস ফ্যাশন মির্জাপুর ভাওয়ালের গোজারিয়াপাড়ায় অবস্থিত। আর ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজ গাজীপুরের জয়দেবপুরে।
বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এ সনদ দিয়ে থাকে ইউএসজিবি। বিশেষত, শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত ছোট-বড় সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি কতটা মানা হলো, তার কঠিন তদারকি এবং চুলচেরা বিশ্নেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়।
সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের গায়ে একটি গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। এর অর্থ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। সাধারণ ভোক্তার কাছে এর আলাদা কদর আছে। বিদেশি বড় বড় ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার আস্থা বাড়ে এতে। ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। এমনকি দেশের এবং পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ে।
১২ বছর আগে দেশে পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে প্রথম পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশে। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে তিনি স্থাপন করেন ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও। তার দেখানো পথ ধরেই দেশে একটার পর একটা পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে উঠছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন দেশের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। ২০১৪ সালে সবুজ কারখানা স্থাপন করা হয় তিনটি। ২০১৫ সালে হয় ১১টি। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে স্থাপন করা হয় যথাক্রমে ১৬, ১৮ এবং ২৪টি।
২০১৯ সালে আরও ২৮টি সবুজ পোশাক কারখানা স্থাপন করেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। ২০২০ ও ২০২১ সালে ২৪টি করে আরও ৪৮টি কারখানা গড়ে উঠেছে দেশে। আর এভাবেই সব মিলিয়ে দেশে মোট পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা এখন ১৬৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিবিসি। তারা ‘লিড’নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ভবন নির্মাণ শেষ হলে কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়।
১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউএসজিবিসি। সংস্থাটির অধীনে কলকারখানার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল, হাসপাতাল, বাড়ি, বিক্রয়কেন্দ্র, প্রার্থনাকেন্দ্র ইত্যাদি পরিবেশবান্ধব স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলা যায়। বর্তমানে ৫০০-এর বেশি প্রকল্প পরিবেশবান্ধব হতে ইউএসজিবিসির অধীনে কাজ চলছে। সাধারণত অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে পরিবেশবান্ধব স্থাপনায় ৫ থেকে ২০ শতাংশ খরচ বেশি হয়। তবে বাড়তি খরচ করলেও দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায়।
ইউএসজিবিসি লিড সনদ পেতে স্থাপনা নির্মাণে যে ৯টি শর্ত পরিপালন করতে হয় তার মধ্যে আছে এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হয়, যাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। এ জন্য পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে তৈরি ইট, সিমেন্ট ও ইস্পাত লাগে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সূর্যের আলো, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পানি সাশ্রয়ী কল ও ব্যবহৃত পানি প্রক্রিয়াজাত করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে হয়।
এ ছাড়া স্থাপনায় পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখার বাধ্যবাধকতা আছে। সব মিলিয়ে পরিবেশবান্ধব স্থাপনায় ২৪ থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ, ৩৩ থেকে ৩৯ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ এবং ৪০ শতাংশ পানি ব্যবহার কমানো সম্ভব। তার মানে দেশে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সংখ্যা যত বেশি হবে, ততই তা পরিবেশের ওপর চাপ কমাবে।
পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাক উৎপাদক দেশগুলোর মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই উদ্যোগ শিল্প ও দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা বাড়াতে সবুজ ভবনে বিনিয়োগ করছেন আমাদের উদ্যোক্তারা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। সবুজ শিল্পায়নে এই সাফল্যের জন্য ইউএসজিবিসি পৃথিবীর প্রথম ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে ২০২১ সালে বিজিএমইএকে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘পোশাক খাতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার পর আমরা শিল্পটিকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নিই। গত এক দশকে আমাদের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তা খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় এবং সরকার-ক্রেতা-উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি নিরাপদ শিল্প হিসেবে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে।
‘পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা শিল্পে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই উদ্যোগ ও অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এই যে এখন আমাদের রপ্তানিতে সুবাতাস বইছে, ৫২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাইলফলক অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ, তাতে সবুজ কারখানাগুলো বড় অবদান রাখছে।
‘এখন বিশ্বে আমাদের পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এটা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বলে আমি মনে করি।’ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে ৫২ দশমিক শূন্য আট বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, মোট রপ্তানির ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক রপ্তানি থেকে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক ১৮৭৫ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখছে জাপান। এ রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ দেখল দেশটি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে টোকিওতে কখনও একটানা ৫ দিন ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখা যায়নি।
এদিকে জাপানের আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার গুনমা প্রিফেকচারের কিরিউ শহরের তাপমাত্রা ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। একই সঙ্গে এবারই প্রথম জাপানের সর্বোচ্চ ছয়টি স্থানে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা উঠেছে।
এদিকে তাপমাত্রার এই অবস্থার মধ্যেই সরকারের তরফ থেকে বিদ্যুতের ঘাটতি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ অপচয় না করারও আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু তারপরও হিটস্ট্রোক এড়াতে মানুষকে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে এর তীব্রতাও বেড়েছে, হয়েছে দীর্ঘস্থায়ীও। শিল্প বিপ্লবের পর এরইমধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রায় ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। সব দেশের সরকারের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এটি বাড়তেই থাকবে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে জাপানিরা এ তাপমাত্র নিয়ে নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করছেন। জুন মাসটিকে জাপানে বর্ষাকাল বলে ধরা হয়। তবে জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) সোমবার টোকিও এবং এর আশেপাশের এলাকার জন্য মৌসুমের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে।
ফলে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার অন্তত ২২ দিন আগে বর্ষকাল শেষ হয়েছে জাপানে। ১৯৫১ সালের পর এবারই প্রথম এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিয়েছে বর্ষাকাল। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও হিটস্ট্রোকের ঘটনাও বেড়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক
‘আকাশে আষাঢ় এলো; বাংলাদেশ বর্ষায় বিহ্বল মেঘবর্ণ মেঘনার তীরে তীরে নারকেল সারি বৃষ্টিতে ধূমল...’
বুদ্ধদেব বসুর এই কবিতার লাবণ্যস্নিগ্ধ এক বর্ষাকালের দৃশ্যপটের ভেতর যেন জ্যৈষ্ঠের মধুময় দিনলিপির সমাপন হয়েছে। বাংলাদেশ পা রাখল বর্ষার বৃষ্টিধূমল চৌকাঠে। পঞ্জিকার অনুশাসনে আজ বুধবার আষাঢ়ের পয়লা দিন। প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের রুদ্র দহন ছিন্ন করতে এলো বর্ষার কাল। যদিও দেশে মৌসুমি হাওয়া আগাম প্রবেশ করায় বৃষ্টি হচ্ছে কিছুদিন ধরে। রয়েছে তাপপ্রবাহেরও পূর্বাভাস।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়, আষাঢ়ের প্রথম দিবসটি প্রাণ পেয়েছে এভাবে :‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে/ আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে/ এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি/ পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি/ নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে...।’ আষাঢ়ে ঘনকালো মেঘরাশি আকাশ ছেয়ে রাখে। কখনো-বা প্রকৃতিতে নামে তুমুল বারিধারা। তৃষ্ণাকাতর জগত্সংসার এ বর্ষায় ফিরে পায় প্রাণের স্পন্দন। পুরো প্রকৃতি তার রূপ ও বর্ণ বদলে ফেলে। বৃষ্টির শব্দে বাঙালির হৃদয় এক অজানা বিরহে ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’—এই বর্ষার অঙ্গশোভা। কেতকীর মনমাতানো সুবাস, জুঁই, কামিনী, বেলি, রজনিগন্ধা, দোলনচাঁপা আর কদমফুলের চোখ জুড়ানো শোভা অনুষঙ্গ হয়ে আছে আষাঢ়ের। টইটম্বুর খাল-বিল-পুকুরে ফুটবে বাহারি পদ্ম। দাবদাহে চৌচির মাঠঘাট, খাল-বিল জেগে ওঠে নবীন প্রাণের ছন্দে।
আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষা মানবমনে বিচিত্র অনুভূতির জন্ম দিলেও হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের জীবনে মহাদুর্যোগ ও দুর্বিপাক বয়ে আনে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন বর্ষা আর গ্রীষ্মকে আলাদা করে চিহ্নিত করাও দিনে দিনে দুরূহ হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মৌসুমি বায়ুর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই আষাঢ়ে ঝরোঝরো বৃষ্টির বদলে দেশের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এখন দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা চলবে। তবে সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহারের দক্ষিণাংশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক কীটপতঙ্গ ও ছোট মাছে বড় উপকার দেশের জীববৈচিত্র্য ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৌমাছি, কীটপতঙ্গ, ছোট মাছ আর পাখি। কীটপতঙ্গ কমায় পাখির সংখ্যা কমছে।
মাত্র আধা ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের পতঙ্গ। আকারে ছোট হলেও এগুলোর গুরুত্ব অনেক। মধু ও মোম উৎপাদনের প্রধান কারিগর হিসেবে এই পতঙ্গের পরিচিতি বেশি। কিন্তু জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০ শতাংশ উদ্ভিদের পরাগায়নে প্রধান ভূমিকা রাখে এটি। এই পতঙ্গের নাম মৌমাছি।
মৌমাছির পাশাপাশি ছোট ছোট আরও কীটপতঙ্গ ও প্রাণী মানুষের খাদ্য উৎপাদনে বিরাট ভূমিকা রাখে। কিন্তু দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বালাইনাশক দিয়ে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষাকারী অতি ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে মৌমাছি, পোকামাকড় মেরে ফেলা হচ্ছে। ছোট এসব প্রাণী কমে গেলে বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন ৩৫ শতাংশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এফএওর ২০২২ সালের বিশ্ব জীববৈচিত্র্য ও কৃষিবিষয়ক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ছোট ছোট প্রাণীর ভূমিকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে ছোট পাখি, ছোট মাছ আর অতি ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া দেশের খাদ্য উৎপাদন ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে টিকিয়ে রাখতে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমনে বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। এতে উপকারী পোকামাকড়ের ৯০ শতাংশ মারা যাচ্ছে। পাখির ৭০ শতাংশ খাবারের চাহিদা পোকামাকড়ে পূরণ হয়। ফলে পোকা কমে যাওয়ায় খাদ্যাভাবে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোটের (আইইউসিএন) এ দেশীয় পরিচালক রাকিবুল আমিন বলেন, দেশে জীববৈচিত্র্য রক্ষা বলতে সবাই শুধু বনভূমি রক্ষা বোঝে। অথচ আমাদের জলাভূমি, সাগর, জনবসতি এলাকা এমনকি শহরেও অনেক প্রাণী থাকে। সেগুলো রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ বছর জীববৈচিত্র্য দিবসের স্লোগান ‘সবার জন্য সুন্দর আগামীর নির্মাণ’। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করে থাকে। তবে দিবসটি উপলক্ষে সরকারিভাবে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।
মৌমাছিতে আশার আলো শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন দুই যুগ ধরে মৌমাছি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে দুই–তিন বছর ধরে মৌমাছির সংখ্যা বাড়ছে। তাঁর মতে, দেশে শর্ষে, সূর্যমুখী ও লেবুজাতীয় ফলের চাষ বৃদ্ধির ফলে মৌমাছি বাড়ছে। মৌমাছি এসব উদ্ভিদের ফুল থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে, যা আবার মানুষ মধু হিসেবে সংগ্রহ করে।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের হিসাবমতে, দেশে প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন মধু উৎপাদিত হয়। ১৯৯০ সালে দেশে ইউরোপীয় মৌমাছি নামে একটি প্রজাতি আনা হয়। এটি মূলত ফল ও তেলজাতীয় উদ্ভিদনির্ভর। গত কয়েক বছরে এই প্রজাতির মৌমাছির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেনের পর্যবেক্ষণ বলছে, মৌমাছি বাড়লে অন্য উদ্ভিদ ও ফসলের পরাগায়ন বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে মৌমাছির কারণে ফল ও তেলজাতীয় উদ্ভিদে উৎপাদন ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্ভিদ যত বাড়বে, অন্যান৵ ফসলের প্রাকৃতিক পরাগায়ন তত বাড়বে। এটি সামগ্রিকভাবে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
কমছে পাখির সংখ্যা এফএওর প্রতিবেদন বলছে, ১৯৭১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে পাখির সংখ্যা ৫৫ শতাংশ কমেছে। দেশি পাখির সংখ্যা কমার পাশাপাশি পরিযায়ী পাখি আসার হারও দ্রুত কমছে।
পাখি পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের হিসাবমতে, গত ৫ বছরে দেশে পাখির সংখ্যা অন্তত ২০ শতাংশ কমেছে। সংস্থাটির চলতি বছরের পাখিশুমারিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে ২ লাখ ৭৬ হাজার পাখি দেখা গেছে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখের বেশি। পোকামাকড় কমে যাওয়ায় পাখি আগের চেয়ে কম খাবার পাচ্ছে। পাখির বিচরণ এলাকায় মানুষের বিচরণ বৃদ্ধি এবং খাবার কমে যাওয়ায় পাখির সংখ্যা দ্রুত কমছে বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশের উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত শিল্পায়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো পাখি আসছে না।
|
|
|
|
শান্ত খান সাভার প্রতিনিধি
ছোট ছোট সাদা রঙের ঢিবি। দেখতে সুন্দর হলেও মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া দিয়ে বানানো এসব ঢিবি মূলত বন উজাড়ের মাধ্যম। স্থানীয়রা এটিকে চুলা বা চুল্লি বলেই চেনে। নির্বিচারে কেটে আনা মণের মণ গাছ এসব চুল্লিতে পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে কয়লা। আর নির্গত ধুয়ার কুন্ডলী দূষণ ছড়াচ্ছে পরিবেশে। পাশাপাশি হুমকিতে পড়ছে জনজীবন ও জীববৈচিত্র। এসব চুল্লির পরিবেশ দূষণে মারা যাচ্ছে অনেক পশুপাখি। অবৈধ এসব চুল্লির মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ।
বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির এমন প্রক্রিয়া অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও এসব এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পুরোনো। বছরের পর বছর এসব চুল্লিতে টনকে টন গাছ কেটে পোড়ানো হলেও প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারও। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বনভূমি উজাড়কারীরা দিনের পর দিন হয়ে উঠছেন বেপরোয়া।
সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্যে অবাধে বনের কাঠ পোড়ানোর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। মোগড়াকান্দা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আবু সিদ্দিক, দেলোয়ার ও ঈমান আলী নামের এই তিন ব্যক্তি সেখানে গড়ে তুলেছেন এসব অবৈধ কয়লা তৈরির চুল্লি।
গাছ পুড়িয়ে উৎপাদিত হচ্ছে কয়লা, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও কয়লা উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দেখা যায় শত শত গাছের গুঁড়ি পাশে জ্বলছে বড় বড় চুল্লিতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- লোকালয়ে, বসত বাড়ির সন্নিকটে এই সব কয়লা কারখানার, বিভিন্ন গাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাছের গুঁড়ি সংগ্রহ করে প্রতি চুল্লিতে ২২০-২৩০ মণ গাছের গুঁড়ি ৯ থেকে ১০ দিন পুড়িয়ে অর্ধ শতাধিক চুল্লিতে উৎপাদিত হচ্ছে এসব কয়লা। এসব অবৈধ চুল্লিতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সময় নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিতের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন আশপাশের লোকালয়ের বাসিন্দারা।
এতে বৃক্ষনিধন হচ্ছে সাথে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন শ্বাস কষ্টসহ নানান স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। আইনের ব্যবহার না থাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এই সব অবৈধ কয়লা কারখানা, বৈধ কোনো কাগজ পত্র না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়। এছাড়া সেখানে এইসব অবৈধ চুল্লির পাশাপাশি কয়েক ব্যক্তি ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য ও মাছের আইশ শুকিয়ে তৈরি করছে মুরগি ও মাছের খাদ্য। এসব মুরগি ও মাছ খেয়ে নানা বয়সী মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
অবৈধ এসব কারখানার মালিকরা বলেন, নিউজ করলে আমাদের আরও সুনাম বাড়বে কারখানা বন্ধ হবে না। তবে এলাকাবাসী দ্রুত এসব অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্ববান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ে অবৈধ এসব কয়লা তৈরির চুল্লি ও মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরির কারখানা বন্ধ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
বরিশাল ব্যুরো : আবাসিক এলাকায় কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের পায়তারা করছে একটি অসাধু মহল। বাংলাদেশ সরকারসহ সারা বিশ্ব যখন পরিবেশ ও জলবায়ুর বিরুপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচার জন্য নানা রকম পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পনা গ্রহন করছে ঠিক সেই মুহুর্তে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য হুমকি স্বরুপ এবং একটি অশনি সংকেত।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৬নং বাসন্ডা ইউনিয়নের লেস প্রতাপ গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, বায়তুন নূর জামে মসজিদ, জয়সি আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চৌপালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অসংখ্য বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরত্ব মধ্যবর্তী স্থানে ফলজ, বনজ বাগান, আবাদী কৃষি জমি ও মৎস্য খামার ধ্বংস করে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু দিয়ে ভরাট করে “আরআরএস’’ নামে ইটভাটা নির্মাণের অপচেষ্টা চালা”েছ একটি মহল।
পরিবেশবিদরা বলছেন, “ইটভাটার জন্য অবাধে দখল হচ্ছে- ফসলি জমি। বাসন্ডা ইউনিয়নের লেস প্রতাপ গ্রামে ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরির পাঁয়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। তাই বিস্তীর্ণ এই ফসলের ক্ষেতে হয়তো আর কখনই ফসল ফলবে না। এভাবে একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট হতে থাকলে হুমকিতে পড়তে পারে খাদ্য নিরাপত্তা। অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা তৈরি হলে ভাটার ধোঁয়ায় বিবর্ণ হবে গোটা এলাকা। এতে জনসাধারণের জীবন পড়ে যাবে হুমকির মুখে।”
তাঁরা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের ইটভাটা সংক্রান্ত গেজেটে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, কৃষি জমি ভরাট করে ইটভাটা করা যাবে না, এক কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট বাজার থাকলে ইটভাটা গড়ে তোলা যাবে না। এই আইনকে পাশ কাটিয়ে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে ইটভাটা নির্মাণ অনুমোদনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে একটি অপশক্তি। অবৈধ এই ভাটা তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের পক্ষ হতে শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি লিখিত আবেদন পত্র জমা দেন। উক্ত আবেদন ও সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এরকম অপরিকল্পিত ও নিয়মনীতি বহির্ভূত একটি ভাটা নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও ইটভাটা নির্মাণকারী পক্ষের সাথে যেকোন সময় সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও গ্রামের কৃষককুল, মৎস্য চাষীরা ও স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে এই ভয়াল কালো ধোঁয়া ও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা এবং একটি সু সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে পারে তার সুব্যবস্থা বজায় রাখার কথাও আবেদনে উল্লেখ করেন এলাকাবাসী।
আবেদনকারীদের একজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আউয়াল মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, “এ ধরনের ইটভাটা এই এলাকায় নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসী নানা রকম হুমকির মুখে পড়বে। ফসলী জমি ও পরিবেশ নষ্ট হবে, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিঘিœত হবে। আবেদনে সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবী জানানো হয়, যাতে ইটভাটা আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠতে না পারে। ৬ নং বাসন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিকের নিকট এলাকাবাসী “আরআরএস” ইট ভাটার ট্রেড লাইসেন্স ও এন.ও.সি. সরকারী গেজেট অমান্য করে যাতে দেয়া না হয় সেই মর্মে লিখিত ও মৌখিক আবেদন করা হলেও রহস্যজনক কারনে তিনি ট্রেড লাইসেন্স ও এন.ও.সি. প্রদান করেছেন বলে একটি সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে ৬ নং বাসন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তিকে লেস-প্রতাব গ্রামে ইটভাটার ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার পরে আমার কাছে এলাকাবাসী লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। একই অভিযোগ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছেও দিয়েছেন। তারা বিষয়টি দেখবেন।
এবিষয়ে কথা হয় আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি জানান, “ইটভাটা তৈরির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে “আর,আর,এস” নামক একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি। এলাকার বেকার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির কথা চিন্তা করে আমি, রিয়াজ খান ও শহিদুল গাজী তিন জন শেয়ারে ইটভাটা নির্মাণ করতে চাচ্ছি। এবিষয়ে আমরা স্থানীয় লোকজনের সাথে বৈঠক করলে তারাও আমাদের সম্মতি দিয়েছেন। আশেপাশে ৯০০ মিটারেরটর মধ্যে লেস- প্রতাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এছাড়া বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো ১,১০০ মিটার দূরত্বে।”
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানান, ইটভাটা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া এ বিষয়ে আমাদের কাজ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি। সরকারি নিয়ম নীতির বাইরে কোন ইটভাটা তৈরি হতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো.জোহর আলী মুঠোফোনে জানান, ‘আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুন কোন ইটভাটা তৈরির অনুমতি দেয়া হয়নি। সরকারি আইন বহির্ভূত নতুন করে কোনো ইটভাটা তৈরি হতে দেয়া হবে না।’
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া জানান, এবিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে দেখা যায় ওখানে ইটভাটা তৈরি করতে দেয়া যাবে।
|
|
|
|
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আহত অবস্থায় বিপন্ন প্রজাতির একটি ময়ূর উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের শিকারপুর এলাকা থেকে ময়ূরটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিকেলে শিকারপুর এলাকায় ময়ূরটি দেখে স্থানীয় যুবকরা তাকে আঘাত করে। এতে পাখিটি গাছ থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ময়ূরটিকে উদ্ধার করে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ে একের পর এক বিলুপ্ত সব প্রাণী উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। হিমালয়ের খুব কাছে হওয়ায় এবং ভারত সীমান্তবর্তী হলেও চীন, ভুটান নেপাল সীমান্ত অনেক কাছে। তাই ওই সব দেশের অনেক প্রাণী খুব সহজেই পঞ্চগড়ে আসছে। তাই পঞ্চগড়ে প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষ রোপন করে পাখিদের অভয়াশ্রাম গড়ে তুলতে হবে। না হলে এসব অতিথি পাখি বা প্রাণী সংরক্ষণ করা না গেলে ভবিষ্যতে এর পরিণাম ভয়াবহ হবে।
বোদা থানার ওসি আবু মাঈদ চৌধুরী জানান, এ ধরনের ময়ূর প্রায় বিপন্ন। স্থানীয়দের আঘাতে আহত হলে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। পরে বন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়। বন বিভাগের সদস্যরা ময়ূরটিকে থানায় প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়। পাখিটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে পাখিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
পঞ্চগড় বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মধুসূদন বর্মণ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের একটি দ্বীপের কাছে মঙ্গলবার আরো ৮৬টি ডলফিন মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কী কারণে এসব ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে। সূত্র : এএফপি
খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে একই স্থান থেকে রোববার অনেক ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মোট ১১১টি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী উদ্ধার করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইনহামবেন প্রদেশের বজারুতো দ্বীপ জাতীয় পার্কের একটি দল বজারুতো দ্বীপের পশ্চিম উপকূল থেকে ৮৬টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করে।’
দ্বীপটি মোজাম্বিক উপকূল ও মাদাগাস্কারের মাঝামাঝি দিয়ে যাওয়া মোজাম্বিক চ্যানেলে অবস্থিত।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব ডলফিনের মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
স্বাধীন বাংলা/ন উ আহমাদ
|
|
|
|
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ধানক্ষেতের মোটরহাউসে আটকাপড়া এশিয়ার দুটি সর্বাধিক বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রামের ভেনমরিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা সাপ দুটি উদ্ধার করে। বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপার চতুড়া গ্রামের ধান ক্ষেতের মোটরহাউসে সাপ দুটিকে দেখতে পেয়ে শৈলকুপার নেচার অ্যান্ডওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার আবীর হাসান চট্টগ্রামের ভেনমরিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তাদের জানান। পরে তারা সাপ দুটি মোটরহাউস থেকে উদ্ধার করেন।
আবীর হাসান জানান, এ অঞ্চলে বিষধর কমন ক্রেইট প্রজাতির সাপ দেখতে পাওয়া যায়, এ সাপ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্বাধিক বিষধর সাপ বলে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে এই সাপকে কালাচ বলা হয়। তবে ঝিনাইদহসহ এ অঞ্চলে এ সাপকে কানন বোড়া বলা হয়ে থাকে। ইংরেজিতে এ সাপের নাম কমন ক্রেইট।
চট্টগ্রামের ভেনমরিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস জানান, বেশিরভাগ সময় আত্মরক্ষার্থে গোখরা কামড় দেয় তবে বিষ ঢালে না। কিন্তু এই কালাস বা কমন ক্রেইট সাপের শতভাগ কামড়েই বিষ ঢালে। আর তাদের কামড় সাধারণত ভুক্তভোগীরা টের পায় না। কারণ, এই সাপগুলোর কামড়ের দাগ বা রক্তপাতের জ্বালাপোড়া করে না। ফলে নীরব ঘাতকের মতো এই সাপের কামড়ে মানুষ দ্রুত মারা যায়।
এই জাতীয় সাপের ফনা থাকে না, দেখতে কালোর উপরে সাদা চক্র থাকে। চক্রগুলো গলার নিচ থেকে লেজ পর্যন্ত হয়। এরা ইঁদুর বা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে মানুষের ঘরে চলে আসে আর ঘুমন্ত মানুষ বেশি কামড়ের শিকার হয়। প্রায়ই শৈলকুপাসহ নানা এলাকায় এ সাপের কামড়ে মৃত্যু ঘটছে বলেও জানান তিনি। উদ্ধার করা সাপ থেকে ভেনম নিয়ে বাংলাদেশে এন্টি ভেনম বানানো হচ্ছে, যেটা সরকারিভাবে ফ্রি দেওয়া হবে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃক্ষের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বলেছেন, - ‘আমরা যেমন স্নান করি এবং শুভ্র বস্ত্র পরিধান করি, তেমনি বাড়ির চারপাশে যত্ন পূর্বক একটি বাগান করে রাখা ভদ্র প্রথার একটি অবশ্য কর্তব্য অঙ্গ হওয়া উচিত।’ পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টি এম দাস ১৯৭৯ সালে পূর্ণবয়স্ক একটি বৃক্ষের অবদানকে আর্থিক মূল্যে বিবেচনা করে দেখান, ৫০ বছর বয়সী একটি বৃক্ষের অর্থনৈতিক মূল্য প্রায় এক লাখ ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার (সূত্র: ইন্ডিয়ান বায়োলজিস্ট, ভলিউম-১১, সংখ্যা ১-২)
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবনাদর্শনের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছেন সজীব বৃক্ষকে। কারণ মানবজীবনের আদর্শ হিসেবে বৃক্ষের মত জীবন্ত উপমা আর নেই। এটির কাজ শুধু মাটির রস টেনে নিয়ে নিজেকে মোটাসোটা করে তোলা নয়, এটিকে ফুল ফোটাতে হয়, ফুল ধরাতে হয়। তিনি আরও বলেছেন- বৃক্ষের ন্যায় মানুষকেও জগতের কল্যাণে নীরব ধূপের মত নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার সাধনা করতে হবে।
আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য গাছগাছালির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এটি সমগ্র প্রাণীকুলের খাদ্যের যোগান দেয় এবং সুবিশাল শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে উত্তপ্ত ধরণীকে শীতল রাখে। গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে আমাদের উপকার করে তা নয়। বড় বৃক্ষ বজ্রপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যেখানে বড় গাছপালা থাকে, সেখানে নদী ভাঙ্গনের হারও কমে যায়। এছাড়াও বৃক্ষরাজি বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি প্রতিরোধ করে, জীববৈচিত্র টিকিয়ে রাখে। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। এটি মানুষের খাদ্য, ঔষধ, গৃহ নির্মাণ, মাটির ক্ষয় প্রতিরোধ, জ্বালানি, আবহাওয়া ও জলবায়ু সঠিক রাখা, কৃষি জমির উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেখার কাগজ, কর্ক, রবারসহ রাশি রাশি জিনিসপত্র আমরা বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি।
আমাদের দেশকে সুজলা-সুফলা, শস্য- শ্যামলা বলা হলেও বৃক্ষের প্রতি আমাদের রয়েছে চরম অনীহা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশের ভারসাম্য ও সুষম জলবায়ুর প্রয়োজনে একটি দেশের মোট আয়াতনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। ডব্লিউআরআই এবং জিএফওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১০ সালে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ হেক্টর, যা বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ অবস্থার আশু পরিবর্তণ আবশ্যক। বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়, পরিবেশের বিপর্যয়ের জন্য আজকাল বজ্রপাতে লোক মারা যাচ্ছে। মানুষের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গিয়ে ধ্বংশ হচ্ছে বনভুমি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক পরিবার বাড়িঘর হারিয়ে হচ্ছে সর্বহারা।
মানুষ না থাকলে গাছের কোন অসুবিধা হতো না, কিন্তু বৃক্ষরাজি না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত।বৃক্ষের প্রয়োজনে নয়, আমাদের প্রয়োজনেই গাছ লাগাতে হবে। বাড়ির পাশে, রাস্তাঘাট, পরিত্যক্ত জায়গা, নদীর পারে, রেললাইনের দুইপাশে, বাঁধের ধারে, উপকূলীয় অঞ্চলে আমরা বৃক্ষ রোপন করতে পারি। শহর অঞ্চলের বাসাবাড়ির ছাদগুলোকে যদি একটু সবুজ করা যায়,তাহলে শহরের তাপমাত্রা কমে যাবে। ছাদের বাগান বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে ঘরের তাপমাত্রা প্রায় ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে পারে এমনটাই বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
পরিবেশ বা বৃক্ষ রোপন নিয়ে আমাদের উদ্যোগ ক্লাসরুম, সেমিনার, সভা-সমিতির মধ্যে সীমিত থাকলে চলবে না, প্রয়োজন তার বাস্তব প্রতিফলন। পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। করোনার এ সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এটা তাদের জন্য আরো উপযুক্ত সময় বলে আমি মনে করি। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পৃথিবীর প্রায় দেশে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই বাড়ির কোণ বা ছাদে ফলমূল, শাক-সবজি গাছ লাগিয়ে; পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনীতিতেও আমরা অবদান রাখতে পারি।
- মোঃ মারুফ হোসেন শিক্ষার্থী, ধর্মতত্ত্ব অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া।
|
|
|
|
আদিত্ব্য কামাল ব্রাক্ষণবাড়ীয়া থেকেঃ ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার সরাইলে একে একে গড়ে উঠেছে ৩৭ টি ইটভাটা। উপজেলা প্রশাসনের কাছে ৩২টির তালিকা থাকলেও বাকি ৫টি অজানা। এর মধ্যে ২৯টিই অবৈধ। বেশ কয়েকটি ভাটা মাটি নিচ্ছে সওজ ও খাস জায়গা থেকে। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ গুলোকে দিতে হয়েছে মোটা অংকের মাসোয়ারা। আর এ জন্যই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই অবাধে ইট পুড়ছেন মালিকরা। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালিকচ্ছ, শাহবাজপুর, শাহজাদাপুর ও চুন্টা ইউনিয়নেই গড়ে উঠেছে ইটভাটা। তবে অধিকাংশ ভাটাই গড়ে উঠেছে ফসলি জমির মাঝখানে ও বাড়িঘরের পাশে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমির। কষ্টে সময় পার করছেন বসতবাড়ির লোকজন। অথচ তাদের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, উৎপাদন অনুমতি ও ট্রেড লাইসেন্স। শ্রম আইনও মানছেন না তারা। বেশীর ভাগ ভাটার চিমনিতে রয়েছে ক্রুটি। যে ৮টির কাগজপত্র রয়েছে সেগুলোর অনুমতিও প্রশ্নবিদ্ধ। বেশ কয়েকটি ভাটা সওজ ও খাস জায়গা থেকে অনেকটা দাপট দেখিয়ে মাটি কাটছেন দেদারছে। সেই মাটি নিচ্ছেন ইটভাটায়। কেউ কেউ অনুমতি ছাড়াই সরকারি জায়গা ও খাল দখল করে গড়ে তুলেছেন ভাটা। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পশ্চিম পাশে সরকারি জায়গা ও খাল দখল করে তৈরী করছেন আশা নামক ইটভাটা। পূর্ব পাশে পিবিসি নাম দিয়ে আরেকটি ভাটায় পুরোদমে চলছে উৎপাদন। তাদের নেই কোন কাগজপত্র বা অনুমতি। মালিক শফিকুর রহমান নিজেই বলেছেন, “ আমাদের সকল কাগজপত্র পক্রিয়াধীন, শুধু উৎপাদন রানিং।” তাদের পাশেই সওজে’র জায়গা থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছেন ভাটায়। সওজ দিয়েছে বাঁধা। তাদেরকে গত ২৫ নভেম্বর উৎপাদন কাজ বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি)। এ সড়কের পাশে কাগজপত্র বিহীন আরেকটি ইটভাটার নাম রিফান ব্রিকস। সেখানেও অবৈধভাবে চলছে উৎপাদন। সরকারি জায়গা দখল করে দিয়েছেন মাটির স্তুপ। শাহজাদাপুরে রয়েছে একাধিক অবৈধ ইটভাটা। এর মধ্যে তৃষা ব্রিকস শাপলা বিল সংলগ্ন খাস জায়গার মাটি কাটছেন দিনরাত। গোচারণ ভূমি কেটে তৈরী করছেন খাল। উপজেলা প্রশাসনের ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ নভেম্বরের তালিকা সূত্রে জানা যায়, শুধু শাহবাজপুরেই রয়েছে ১২ টি অবৈধ ইটভাটা। এগুলোর অধিকাংশই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে। বেশ কয়েকটি ভাটা ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানার শিকার হয়েছে। শাহজাদাপুরে ৫টি, চুন্টায় ৪টি, নোয়াগাঁও-এ ৩টি, পানিশ্বরে ১টি ও কালিকচ্ছে ৪টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মালিক জানান, জেলা থেকে উপজেলা পর্যন্ত ম্যানেজ করেই উৎপাদন শুরু করেছি। বৈধ কাগজ না থাকলে কি হবে আমাদের খরচের কোন শেষ নেই। সরাইল উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মইনুল আবেদীন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তালিকা করে পর্যায়ক্রমে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|
|
|
|
|
|
|