সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই সোনার বাংলায় দিনদিন কৃষিক্ষেত্র পরিণত হচ্ছে বিপ্লবের কেন্দ্র বিন্দুতে। পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও পরামর্শে বদলে যাচ্ছে চাষিদের জীবনমান, বাড়ছে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন আর কমছে বেকার সমস্যা।
এরই ধারাবাহিকতায় পেঁপে চাষ করে সাবলম্বী এবং আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন একজন শিক্ষিত বেকার, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক কাজী সরোয়ার। তিনি পেঁপে চাষের পাশাপাশি একই জায়গায় আম বাগান, মাছ চাষ ও বিভিন্ন প্রকারের শাক-শবজির চাষসহ তৈরি করেছেছেন সমন্বিত খামার। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন দশমিনা কৃষি কর্মকর্তা।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের কৃষক কাজী সরোয়ার সরকারিভাবে পেঁপে চারা, সার, কীটনাশক ও সঠিক পরামর্শে দুই একর জমিতে ৫৫০টি পেঁপে গাছ দিয়ে তৈরি করেছেন তার বাগান।
এ বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক কাজী সরোয়ার বলেন, যে দেশের মাটিতে মাটিফুড়ে গাছ হয় সেই দেশের মানুষ বেকার বা গরিব থাকতে পারে না। আমার বাড়িতে বা বাগান দেখতে যারাই আসে তাদেরকে আমার বাগান থেকে ফল খাওয়াই এবং আমার মতো এ ধরণের বাগান করতে পরামর্শ দেই। এবছর ফলন অনুযায়ী পেঁপে বিক্রি করতে পারতাম কমপক্ষে ৭০ টন। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, পেঁপের সাথে সাথে ফসল সহ ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ করলেও প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করা যাবে।
কৃষি উদ্যোক্তা কাজী সরোয়ারের সফলতা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছে তার বাড়িতে এবং উৎসাহিত হয়ে অনেকেই খামার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কাজী আনোয়ার, আরিফ হোসেন, মিরাজ হোসেন ও রফিক হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, সরোয়ার কাজীর কৃষি বাগান দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। এখানকার পেঁপে, আমগুলোও অনেক মিষ্টি। আমাদেরও ইচ্ছে আছে এধরণের বাগান করার।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বলেন, সরোয়ার কাজী একজন ভালো কৃষক। আমি তার বাগান ভিজিট করেছি, ক্ষেতের প্রদর্শনীটা সে ভালোভাবেই করেছে। আমাদের সাপোর্টের পাশাপাশি সে নিজেও কিছু বীজ কিনে বড় আকারের প্রদর্শনী করেছে। আশা করা যায় সে বেশ লাভবান হবে। তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায় এমন ফসল চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে তাদেরকে সহযোগীতা করছি।