দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর দয়ের পাড় এলাকায় বসবাসরত হেরে না যাওয়া একজন সফল কৃষকের গল্প। সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দয়ের পাড় গ্রামের বসবাসরত মন্টু মিঞার ছেলে কৃষক মো. ইব্রাহিম মজনু (৪৪) বহুদিন যাবৎ বেকার জীবন যাপন করে হতাশায় ভুগছিলেন।
এরপর সবজি চাষের মাধ্যমেই শুরু হয় ইব্রাহিম মজনুর সফলতার গল্প। বর্তমানে তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করছেন। সবজি চাষ করেই সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। এলাকায় সৃষ্টি করেছেন সফলতার উদাহরণ।
ইব্রাহিম বলেন, আমি বহুদিন যাবৎ পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশায় ভুগছিলাম। তখন বিভিন্ন এনজিও হতে লোন নিয়ে এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ শুরু করি। এখন আমার প্রতি মাসে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাভ থাকে। আমি বর্তমানে পাঁচ থেকে ছয় বিঘা জমিতে সবজি চাষ করছি। আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন আমি ভাল আছি। বর্তমানে আমার জমিতে কাজ করে অনেকের সংসার চলে। ইব্রাহিম বলেন কোন প্রশিক্ষণ ছাড়া নিজের চেষ্টায় আমি এখানে এসেছি।
তিনি আরোও বলেন, আমি শীত মৌসুম উপেক্ষা করে চার বিঘাতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শিম, টমেটো, লাউ চাষ করেছি আমার বিশ্বাস শীত এই মৌসুমে আমি ৩/৪ লাখ টাকা উপার্জন করবো।
সফল চাষি ইব্রাহিম বলেন, সবজি চাষের লাভ থেকে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান। বর্তমানে পাঁচ জনের সংসারের ভরণপোষণ এবং ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ আসে সবজি চাষের লাভের টাকা থেকেই।সবজি চাষ করেই তিনি পরিবার নিয়ে ভালোই আছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে চাষ হওয়ায় বাজারে তার সবজির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বিক্রিতেও ভালো দাম পাওয়া যায়। কৃষক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে লাভবান হতে পারেন।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চাষি ইব্রাহিমকে ধন্যবাদ তিনি সফলতার সঙ্গে সবজি চাষ করে যাচ্ছেন, তিনি আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে সব সময় পাশে পাবেন।