সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে সব অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সোনালী ধান বাম্পার ফলনের (বোরো ফসল) কৃষকের গোলায় উঠার অপেক্ষা। বর্তমান চৌহালী উপজেলার কৃষি মাঠজুরে শুধু ধান আর ধান বাতাস দোল খাচ্ছে। এখন ধান কাটা, মড়াই করা, মাঠে শুকানো ও গোলায় তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণী শ্রমিক জনতা। জানা গেছে, চৌহালীতে ৭টি ইউনিয়নে ২১০৮৬ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিকনিদর্শনা ও কৃষকদের উৎসাহিত করে কৃষি মাঠকে সাজিয়ে তুলেছেন। বিনামূল্যে সার বীজ সহ সরকারি কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয় কৃষিকে আরো বেগবান করতে। সব মিলিয়ে সবার প্রচেষ্টায় এবছর জমিতে বাম্পার বোরো ধান উৎপাদন ও বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় আছে কৃষক। গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়- কৃষি মাঠে ২৮ ধান কাটা, মাঠে ধান শুকানো ও মড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছে কৃষক-কৃষাণী ও শ্রমিকরা। পাশাপাশি ২৯ সহ অন্যান্ন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষক মাজম সিকদার সহ অনেকেই বলেন, উপজেলা জুড়ে বোরো আবাদে বাম্পার ফসল কৃষকের গোলায় উঠা শুরু করেছে। এতে কৃষক কৃষাণীর মুখে মুখে হাসি ফুটছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ রেজিন আহমেদ দৈনিক স্বাধীন বাংলা বলেন, উপজেলায় উপসি বোরো ২০১০০ হেক্টর, হাইব্রিড বোরোধান ৮৬ হেক্টর তথা ২১০৮৬ হে, জমিতে ধানের আবাদ করেছেন কৃষক। সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৯২৮৬ মেঃটন চাউল নির্ধারন করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ৮০ % ধান পাকা মাত্রই কর্তন করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময় মতো সার বীজ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আবাদের বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় আছে কৃষক।