ডিজিটাল বাংলাদেশ, বর্তমানে সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার হারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আজকাল পত্রিকার পাতায়ও বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, যেমন ড্রাইভার নিয়োগ, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদিতে আয়া, বয়, নাইট গার্ড নিয়োগ, ইত্যাদির ব্যাপারে শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমন, এসএসসি, অষ্টম শ্রেণী কিংবা পঞ্চম শ্রেণী পাশ প্রার্থীগণ আবেদন করতে পারবেন। আমিও মনে করি দেশ কিংবা সমাজের উন্নয়নে অবশ্যই সর্ব ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রয়োজন। তাছাড়া প্রতি বছর সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রচুর বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। মেয়েদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ, বৃত্তি উপবৃত্তিরও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কেন শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে।
দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কি কোন প্রয়োজন নেই?
আমাদের দেশের কিছু জনপ্রতিনিধিদের আচার আচরণ, কাজকর্ম দেখে মাঝে মাঝে অবাক হতে হয়, আর ভাবতে থাকি হয়তো তাদের মাঝে শিক্ষার অভাব, তাইতো সমাজের উন্নয়ন না করে নিজ সংসারের উন্নয়নে ব্যস্ত থাকেন তারা। তাই আমি মনে করি জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে যোগ্যতা ও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকা জরুরি, যা দেশের স্বার্থে।
একজন জনপ্রতিনিধি উচ্চ শিক্ষিত না হলেও মোটামুটি শিক্ষিত হওয়া দরকার। তবে মেয়র পদে কমপক্ষে স্নাতক বা এইচএসসি, কাউন্সিলর পদে এইচএসসি বা এসএসসি এই রকম নিয়ম করলে যোগ্য ব্যক্তিরা রাষ্ট্রের কাজে নিয়োজিত হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
স্বশিক্ষিত বলতে বুঝা যায়, নিজে নিজে যতটুকু সম্ভব ততটাই পড়েছেন বা হতে পারে পঞ্চম, অষ্টম বা শুধুমাত্র নাম দস্তখত অথবা টিপসই জানা লোক। মনে প্রশ্ন জাগে এতো কম শিক্ষিতজনেরা কিভাবে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করবেন, কিভাবে নগর উন্নয়ন করবেন যেহেতু এসব কাজে অবশ্যই জ্ঞানের দরকার, আর জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার দরকার। সমাজের উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা কিভাবে এদের মূল্যায়ন করবেন?
একজন গ্রাজুয়েট, মাস্টার্স কিংবা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষা অফিসার সহ সমাজের অন্যান্য উচ্চপদস্থ লোকেরা তাদের মহামূল্যবান ভোট স্বশিক্ষিত, পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা প্রার্থীকে দিয়ে জয়যুক্ত করবেন এটি অত্যন্ত বেমানান।
এসব ব্যাপারে ভাবা দরকার কেননা দেশে শিক্ষিত লোকের অভাব নেই। জনপ্রতিনিধি করতে হলে তার নৈতিক চরিত্র, অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে যাচাই বাছাই করা অবশ্যই দরকার। এসবের পরিবর্তন হওয়া জরুরি, একজন জনপ্রতিনিধি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।