পশুর নদীতে কার্গোডুবি: চালকের গাফিলতি ও অদক্ষতাই দায়ী
30, October, 2015, 6:30:18:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: পশুর নদীতে কয়লাবোঝাই কার্গোডুবির ঘটনায় চালকের অদক্ষতা, গাফিলতি ও কার্গোটি পুরাতন হওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। দুর্ঘটনাটির তদন্তে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাঈদুল ইসলামের কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার আগের দিন ২৭ অক্টোবর দুপুরে এমভি জি আর রাজ কার্গোটি মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করা মাদার ভ্যাসেল থেকে কয়লা লোড করার শেষপর্যায়ে অপর একটি কার্গো ধাক্কা দেয়। এতে এমভি জি আর রাজের তলায় ফাটল দেখা দেয়। পরে হারবাড়িয়ার তিন নং বয়া এলাকায় সিমেন্ট দিয়ে ফাটল মেরামতের চেষ্টা করেন কার্গোর চালক ও মাস্টাররা। এতে ফাটল দিয়ে পানি ওঠা বন্ধ হলে চালক জোয়ারের সময় ওই অবস্থায় খুলনার দিকে রওনা হন। পরদিন পথে জয়মনির ঘোল সাইলো সংলগ্ন বিউটি মার্কেট এলাকায় পশুর নদীতে ডুবে যায় কার্গোটি। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার পর কার্গোটি উদ্ধারের ব্যাপারে মালিকপক্ষের গাফিলতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই কার্গোডুবির ফলে সুন্দরবনের জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এদিকে, ডুবে যাওয়া কার্গোটি উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তবে ভাই ভাই স্যালভেজ নামে একটি বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে গেছেন। জাহাজটি পানির নিচে পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে একটি ভাসমান ড্রাম দিয়ে দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে মাত্র। ঘটনাস্থল দেখভাল ও নজরদারি করছেন বন বিভাগের কর্মীরা। সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেলায়েত হোসেন নামে একজন সহকারী বন রক্ষক জানান, দুর্ঘটনা স্থলে বনরক্ষীদের দুটি টিম অবস্থান ও সার্বিক বিষয়াদি তদারকি করছে, যাতে ডুবন্ত লাইটার জাহাজ হতে ব্যবহৃত জ্বালানি তেল কয়লার তেজস্ক্রিয়া ছড়ানো মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়।