আমাদের সমাজে ধূমপানের ভয়াবহতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। বিশেষ করে নারীরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ধূমপানের সংস্পর্শে আসছেন যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কৈশোর এবং বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের মাঝে ধূমপানের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এর কারণ তাদের পরিবারেই থাকতে পারে।
যেমন পিতা-মাতার ধূমপানের অভ্যাস, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, আত্মসম্মানের অভাব, বিষন্ণতা ইত্যাদি।
ধূমপান সামাজিক কারণেও বৃদ্ধি পায়। ধূমপায়ী বন্ধু থাকা বা সমবয়ীদের মধ্যে অ্যালকোহল সেবন সিগারেটের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আবার টেলিভিশন, সিনেমা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও কখনো কখনো দায়ী হতে পারে।
নারীদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা দেখা যায়। নারীদের ধূমপানের ফলে প্রজনন ক্রিয়া, গর্ভাবস্থা এবং অনাগত শিশুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ধূমপান কিভাবে প্রজনন উর্বরতাকে প্রভাবিত করে?
ভারতের হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হাসপাতালের আইভিএফ এবং ফার্টিলিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. শিল্পা আগারওয়াল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ধূমপানের ফলে নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ধোঁয়ায় ভারী ধাতু, হাইড্রোকার্বন এবং অ্যামাইনো থাকে যা গর্ভধারণের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস করে।
ধূমপান শরীরের হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন করে। এতে প্রজনন উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া তামাকের ধোঁয়া ডিম্বাশয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনুরম্নপভাবে পুরুষেরও প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায় অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে।
গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ধূমপানের প্রভাব
ডা. শিল্পা আগারওয়ালের মতে, ধূমপায়ী গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত, অকালে জন্ম, ভ্রƒণের বৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা, রক্তচাপ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।
ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস, কিডনি রোগ, রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে শিশুর স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ :
ধূমপায়ী নারীদের জন্য ডা. শিল্পা আগারওয়ালের পরামর্শ, যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান বন্ধ করুন। ধূমপান ত্যাগের ফলে প্রজনন ঝুঁকি এক বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে প্রশমিত হয়। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস