মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে তা সহ্য করা দুষ্কর। সবাই যত দ্রুত সম্ভব স্বস্তিদায়ক পরিত্রাণ চান। ওষুধের ক্রিয়া শুরু হতেও কিছু সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে ব্যথা কিছুটা কমিয়ে আনতে বা সহনীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস জানা প্রয়োজন। এই টিপসগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. অন্ধকার এবং নিরিবিলি পরিবেশে বিশ্রাম নিতে হবে। মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলো এবং শব্দ থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা আলোর তীব্রতা এবং প্রচণ্ড শব্দ অবস্থার অবনতি ঘটায়। আমেরিকার বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের নিউরোলজির সহযোগী অধ্যাপক জেনিন গুড বলেন, অন্ধকার এবং নিরিবিলি একটি ঘরে গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। সব ধরনের মাথা ব্যথা ঘুমে ভালো হয় না। তবে ঘুম আপনার মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. কপাল বা ঘাড়ের পেছনে ঠাণ্ডা বা উষ্ণতা প্রয়োগ করতে হবে।
মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে কপাল বা ঘাড়ের পেছনে শীতলতা বা উষ্ণতা দিলে অন্য স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হবে। আমেরিকার মাইগ্রেন ফাউন্ডেশনের চেয়ার লরেন্স সি নিউম্যান বলেন, বরফ বা এমন ঠাণ্ডা কিছুর প্রয়োগে ব্যথার অনুভূতি অসাড় হবে। এতে মস্তিষ্ক মাইগ্রেন ব্যথার অনুভূতি থেকে সরে আসবে। এর জন্য ভালোমানের আইসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত হবে। এ ছাড়া হট ওয়াটার ব্যাগের প্রয়োগেও পেশি শিথিল হয় এবং আরাম বোধ হবে।
৩. পানি পান করুন। আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন জানায়, মাইগ্রেনের ব্যথায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানিতে এক টুকরো লেবু এবং অল্প পরিমণে ফলের রস মেশাতে পারেন। এতে পানির স্বাদ বেড়ে যাবে। তা ছাড়া বেশি বেশি পানি পান করলে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়।
৪. মাথা ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ হেলথ জানাচ্ছে, ম্যাসাজ পেশিগুলোকে শিথিল করতে পারে। নিউম্যান বলেন, ম্যাসাজ সবার জন্য কাজ না-ও করতে পারে। তবে বেশির ভাগই মাথা ম্যাসাজ করার ফলে ব্যথা উপশম হতে পারে।
৫. ধ্যানের চেষ্টা করুন। মাইগ্রেনে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে আটজনের মানসিক চাপ থাকে। ধ্যান আপনার এই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একজন ব্যক্তির মানসিক অস্থিরতা এবং মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ধ্যান করা খুবই প্রয়োজন। মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি বিষণ্ণতাও দূর করে।
৬. ব্যায়াম করে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ব্যথার সময় ব্যায়াম করে ব্যথা কমানো সম্ভব। হাঁটা দিয়ে শুরু করে একটি সহজ ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করে।