বগুড়ার সোনাতলা পৌর মেয়র ও সাবেক শ্রমিকলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের উপর হামলা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়ার এসআই মো: জাকারিয়া সোনাতলা থানার আমলী আদালতে এই চার্জশীট দাখিল করেন।
অভিযুক্ত মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলার আগুনিয়াতাইড় এলাকার মৃত সাহাদৎজামানের ছেলে।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলো, রবিউল খাঁন (রবিউল), নবিন আনোয়ার কমরেড, নাহিদ হাসান (জিতু), মামুনুর রশিদ ওরফে মিজু মিয়া, জুজা খাঁন, উৎপল কর্মকার, চঞ্চল কর্মকার, নুর আলম ওরফে লিখন, রফিকুল ইসলাম(মতিন), মানিক মিয়া, অসীম কুমার জৈন ওরফে নতুন, মাহমুদুর রশিদ ওরফে সোহেল, এএফএম মমিনুর রফিক ওরফে ফিলিপস্ আকন্দ, সাবিরী আলম ওরফে ছোটন, মোনারুল ইসলাম ওরফে মোনাই, রেজাউল করিম ওরফে রেজা, এএমএম শাহিন রাব্বী, প্রিন্স কুমার গুপ্ত ওরফে অমিত কুমার, শ্রী সুজন, গোলাম রব্বানী, রেজাউল করিম খাঁন, আজাহার কাজী, মোমিনুল ইসলাম ওরফে মিঠু। মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়। অন্য আসামীরাও আ’লীগের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০২১ সালের ২ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের প্রার্থীর পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দলদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেয়র নান্নুর বাড়ির সামনের রাস্তার উপর তাকে বেদম মারপিট করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় তারা তার কাছে থাকা নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় সোনাতলা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর স্ত্রী সাবিনা ফেরদৌসী বাদী হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামি মিনহাদুজ্জামান লীটন তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে চার্জশীট দাখিল করেছেন বলে দাবী করেছেন।