ঢাকার ধামরাইয়ে ১৪ বছরের কিশোর দানিশকে অপহরণের পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জিন্নাত আলীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। তিনি গত ১২ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার (২৬ মে) ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. ক. আব্দুর রহমান।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ২০০৯-১০ সাল থেকে গ্রেফতারকৃত জিন্নাতের গ্যাং নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ধামরাই এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। তার গ্যাংয়ের সদস্যরা ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের কাশিপুর গ্রামের ১৪ বছরের কিশোর দানিশকে অপহরণ করে। পরে তারা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। তার পরিবার আর্থিকভাবে বেশি স্বচ্ছল না হওয়ায় তারা দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করতে সমর্থ ছিল না। পরে পরিবার মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে জিন্নাতসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দানিশের লাশ উদ্ধার করে পরিবার। এ ঘটনায় জিন্নাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে ১৮ মাস কারাভোগের পর তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
র্যাব জানায়, গত বছর এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। এতে জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। তিনি গ্রেফতার এড়াতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করেন। সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে গার্মেন্টসে চাকরি ও রিকশাচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাকে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।