ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: প্রতারণার মাধ্যমে জমি লিখে নেওয়ার প্রতিবাদে ছেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন ফরিদা রহমান নামে এক অসহায় বৃদ্ধা মা। ফরিদা রহমান ফরিদপুর শহরের ওয়ারলেস পাড়া এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফরিদা রহমান জানান, আমার ছেলে ফারুকুর রহমান বাদল আমাকে সারাজীবন খাওয়া দাওয়া ও ঔষুধপত্রসহ যাবতীয় বিষয় দেখভাল করার আশ্বাস দিয়ে আমার নিকট থেকে আমার স্বামীর দেওয়া ৬ বিঘা জমি লিখে নিয়ে এখন আমাকে বাড়ী থেকে বেড় করে দিয়েছে। এখন আমি এই বয়সে কি ভিক্ষা করতে পারি।
এসময় ছোট বোন মনিয়া নাসরিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারীতে আমার বাবার মৃত্যু হয়। বাবার মৃত্যুর পর বড় ভাই ফারুকুর রহমান বাদল (এনজিও মালিক) আমাদের ৭৫ একর জমি রিতপদ নামে তার এক কর্মচারীকে ভুয়া বাবা সাজিয়ে নিজের নামে নামজারী করে নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানির পর ৭৫ একরের মধ্যে আমার ভাগের সাড়ে ৮ শতাংশ জমি ফারুকুর রহমান বাদল মাত্র ১ লক্ষ টাকা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোর পূর্বক লিখে নেয় এবং আমার নামের ২৮ শতাংশ জমি বর্তমান বাদল খোরশেদ নামে এক লোকের কাছে বাৎসরিক লীজ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমার নামে থাকা ওয়ারলেসপাড়া এলাকায় পৌনে ৩ শতাংশ ও ঢাকায় আমার মেয়ের নামে এককাঠা জমি আমার দুই ভাই ফারুকুর রহমান বাদল ও রুবেল জবর দখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে ফরিদপুরের বহুল আলোচিত মানবিক পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান এর কাছে এর প্রতিকার চান।