নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিসহ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সবাই নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেছেন, আদালত পাড়া থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিসহ তাদের সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেকোনও সময় গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া জঙ্গিদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, তারা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যে পুলিশ প্রধান সারা দেশে রেড এলার্ট জারি করেছেন। ১২ জনের মধ্যে দুজন পালিয়েছে। পালাতে ব্যর্থ দুজনসহ মোট ১০ জনকে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চেকপোস্ট কড়াকড়ি করা হয়েছে। আমরা সবাই এলার্ট রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গি আসামিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। তবে কাল যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্খিত। কর্তব্য কাজে অবহেলার কারণে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, টহল জোরদার ও কঠোরভাবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও মনিটরিং করা হচ্ছে। জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রটেকশন বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মেজর (বরখাস্ত) জিয়া।
এক প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি কমিশনার নির্দেশনা দিয়েছেন, কোর্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় মোট ১২ জঙ্গিকে আদালতে নেওয়া হয়। দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের মুখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন, মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।