মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বিএনপিসহ সিংহভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করায় প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অপরদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছে। বেশিরভাগ দল ভোট বর্জন করায় এবারের নির্বাচনে সেরকম আমেজ নেই বললেই চলে।
বড় দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ভোটারদের নিরাপত্তায় এসব উপজেলায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্ট গার্ডের প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার সদস্য মাঠে রয়েছেন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন মোতায়েন থাকবেন। আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা ঠেকাতে বেশির ভাগ উপজেলায় আজ সকালে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। ভোটগ্রহণ ঘিরে নির্বাচন কমিশন এমন কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তবুও ভোটারদের মধ্যে উৎসবের পাশাপাশি সহিংসতার আশঙ্কাও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৭০টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
নির্বাচনি এলাকায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স টহল দিচ্ছে। এ নির্বাচনে ৫৭০ জন চেয়ারম্যান, ৬২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪৪০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৩৫ জন।