কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্বপাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে নির্মাণ করা বাঁধ অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ রবিবার ‘নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষিজমির মাটি ইটভাটায়’ শিরোনামে দৈনিক স্বাধীন বাংলা’য় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের। পরে রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন সুলতানা নিপা ওই বাঁধ অপসারণ করেন। তবে, ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি
জানা যায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্বপাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। পানি চলমান নদীতে বাঁধ নির্মানের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছিল কৃষি জমির সেচ কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নেয়ায় হুমকিতে পড়েছে ঐ ইউনিয়নসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল।
এ নিয়ে দৈনিক স্বাধীন বাংলাসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে রবিববার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে কুমিল্লা জেলা ও মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের। রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন সুলতানা নিপা ওই বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ প্রকাশের পর নদীর বাঁধ অপসারণ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে না পাওয়ার কাউকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।