আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

আগামী ২০ জুন মঙ্গলবার অনুষ্টিত হবে চট্টগ্রামের বার আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ্ মোহ্ছেন আউলিয়ার বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ। ওরশকে ঘিরে ইতোমধ্যেই মাজার এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে শুরু করেছে ভক্তদের আনাগোনা।

রবিবার দুপুরে মাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন দুরদুরান্ত থেকে দরবার শরীফে ভক্তবৃন্দ আসতে শুরু করেছে। মাজার ও এর আশপাশের এলাকায় লোকজনের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশী। ওরশকে ঘিরে যা যা প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন তার সবটুকুই সম্পন্ন করেছে মাজার পরিচালনা কমিটি।

ওরশে আগত ভক্ত অনুরাগীদের যাতায়ত ও ওরশ পালন নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে আনোয়ারা উপজেলা ও থানা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিক বৈঠকও করেন মাজার পরিচালনা কমিটি।

এ বিষয়ে মাজার পরিচালনা কমিটির মতোয়াল্লী এসএম ফজলুল করিম ও মাষ্টার এসএম জহিরুল ইসলাম জানান ওরশ উপলক্ষে অন্যান্য বারের ন্যায় যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে, পরিচালনা কমিটি নিয়মিত মিটিং করে যাচ্ছে, ওরশে আগত ভক্ত অনুরাগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সাথে বৈঠক হয়েছে।

প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে কমিটির পক্ষ থেকেও গঠন করা হয়েছে বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। ওরশের আগের দিন(সোমবার) থেকে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এই বাহিনীর সদস্যারও নিরলস দায়িত্ব পালন করবেন। করোনা মহামারি ও অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতি না থাকায় এ বারের ওরশে লোক সমাগম বেশী হবে বলেও আশা করেন তাঁরা।

এদিকে কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হলেও দৃশ্যমান হয়েছে নতুন নকশায় নির্মানাধীন মাজার শরীফের ভবনটি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ভেঙ্গে ফেলা হয় শত বছরের পুরনো মাজার শরীফের মূল ভবনটি।

নির্মাণকাজ চলমান থাকায় এতদি যাবত মূল রওজা শরীফের চতুর্পাশে টিনের বেস্টনি থাকায় আগত ভক্ত অনুরাগীরা মাজারের আঙ্গিনায় দাড়িয়ে ও বসে জেয়ারত সারতেন।

আজ রবিবার থেকে টিনের বেস্টনি তুলে নেয়া হয়েছে, তাতে করে পূর্বের ন্যায় ভক্তরা রওজার ভেতরে প্রবেশ ও জেয়ারতের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত- প্রতি বাংলা সনের ৬ আষাঢ় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলীস্থ এই মাজার শরীফে মহা ধুমধামের সহিত অনুষ্টিত হয় বার্ষিক ওরশ শরীফ। যাতে অংশ নেন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ। এ উপলক্ষে মাজার ও এর আশপাশের এলাকা সমূহ লোকে লোকারণ্য থাকে ২-৩ দিন পর্যন্ত। জবাই করা হয় শত শত গরু, মহিষ ও ছাগল।