নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকাতে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ নিশ্চিতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ কোথায় যাচ্ছে এবং কেন যাচ্ছে তা চিহ্নিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সেমিনারে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো এবং ধনী দেশগুলোর পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে ইইউ আরও জোরালোভাবে কাজ করতে পারে বলে অভিমত তার।

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ৮০ ভাগেরও বেশি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করছে বাংলাদেশ। কিন্তু এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার পর ২০২৯ সাল থেকে আর থাকছে না এই সুবিধা। জিএসপি প্লাস পেতেও পূরণ করতে হবে বহু শর্ত। এরপরও পোশাক খাতের জিএসপি প্লাস নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা।

এসময়, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। হিসাব বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় বাংলাদেশের রপ্তানি হয়েছে ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।