স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:  

‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৩। আগামীকাল (বুধবার) বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের এ মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন। এ সময় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ দেবেন শেখ হাসিনা।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

এবার বইমেলা প্রাঙ্গণের আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির-গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহির-পথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্ত্বর ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশে আরো ৩টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘গতবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশন অংশে ১৮২টি স্টল এবং ১১টি প্যাভিলিয়ন ছিল। খাবারের স্টলগুলোকে এবার এমনভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে যেন এলোমেলোভাবে খাবারের স্টল বইমেলায় আগত পাঠকের মনোযোগ বিঘ্নিত না করে। এবছরই প্রথম ডিজিটাল ডিসপ্লেতে নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ, তথ্য ও বইমেলার মানচিত্র পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হবে। মেলায় ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে। গতবার শিশু চত্বরটির পরিধি কম হওয়ায় এবার এ চত্বরটি মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।’

তিনি জানান, এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট; মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
প্রাথমিকভাবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা চলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলা সকাল ৮টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।