নারীরা দেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী
28, November, 2022, 11:28:11:AM
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে আমরা গর্বিত।
সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ‘আন্তর্জাতিক ওমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি সেমিনার ২০২২’ এ তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ পরিচালিত বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান এবং পুলিশ বাহিনীর নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। তাদের বিশেষ ভূমিকা বাংলাদেশের ভার্বমূতি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থার উন্নতি হতো না। আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ও তাদের ক্ষমতায়নের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
নারীদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের রাষ্ট্র গঠনের শুরুতেই লিঙ্গ সমতার সারমর্মটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমরা জাতীয় উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত স্তরে যেতে পারব না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেছে। সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: রাষ্ট্র শুধুমাত্র ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। একই অনুচ্ছেদের (২) ধারায় বলা হয়েছে: রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার থাকবে।