মহামারী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে ইতোমধ্যে ১৫-২০ শতাংশ রোগী আক্রান্ত। রাজধানী ঢাকা ও পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর; মাঝারি মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সীমান্তবর্তী ছয় জেলা। এমন পরিস্থিতিতে এর বিস্তার ঠেকাতে সরকার আবারো কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। বিধিনিষেধের আজ প্রথম দিন।
১১ নির্দেশনা দিয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ১১ বিধিনিষেধের মধ্যে উন্মুক্ত স্হানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল, মাস্কবিহীন চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান এবং বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা বলেন, এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের ওপরই নির্ভর করবে দেশের সংক্রমণ পরিস্হিতি। বিধিনিষেধ মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তবে না মানলে পরিস্হিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়বে। রোগীরা ভোগান্তিতে পড়বে। চিকিত্সাসেবা পাওয়া তখন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্হ্যবিধি মানার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। দেশে যেহেতু ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে, তাই স্বাস্হ্যবিধি না মানলে সামনে দ্বিগুণ হারে সংক্রমণ বাড়বে। সরকার আগে নো মাস্ক, নো সার্ভিস চালু করেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়নে প্রশাসন সফল হয়নি। এখন যদি মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ৯০ ভাগ নিরাপদে থাকা যাবে। মিল, কল-কারখানাসহ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি কমবে।