স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।
এ সময়ে জরুরি সেবা ও শিল্প-কারাখানা ছাড়া সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সকল প্রকার গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে। এছাড়া অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরই সারাদেশে ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। লকডাউন চলাকালীন সময়ে ব্যাংক শাখার পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেয়া ব্যাংকের সব উপশাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে। তবে খোলা থাকবে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইনের সব সেবা।
এরফলে লকডাউনে বন্ধের আগের দিন টাকা উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংকের শাখাগুলোয় টাকা উত্তোলন হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে এমন অবস্থা দেখা গেছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা যায়, এদিন ব্যাংক খোলার পরই শাখাগুলোতে ভিড় জমে যায় গ্রাহকদের। বেশিরভাগ শাখায় গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা। অনেক শাখাতেই অতিরিক্ত ভিড়ে উপেক্ষিত হচ্ছে শারীরিক দূরত্ব। তবে ব্যাংকের শাখায় প্রবেশের সময় থার্মাল থার্মোমিটার দিয়ে গ্রাহকের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। এটিএম বুথগুলোতেও গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
গ্রাহকরা বলছেন, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার, কবে এই বিধিনিষেধ শেষ হবে কিছুই জানি না। নিজেদের স্বাস্থ্য ও নিত্যপণ ক্রয়ের কথা মাথায় রেখে নগদ টাকা হাতে প্রয়োজন।