স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:

এবার ভারত উপকূলে বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভিযোগ, এই ড্রোন হামলা করেছে ইরান। গতকাল শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

ড্রোন হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ট্যাংকারে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।

হামলার শিকার জাহাজটি সৌদি আরব থেকে ভারতের মেঙ্গালুরু যাচ্ছিল। গন্তব্য ভারত হলেও জাহাজটি ইসরাইলের অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল। সমূদ্র বিষয়ক একটি সংস্থা জানিয়েছে জাহাজটির সঙ্গে ইসরাইলের যোগ রয়েছে। ‘ইউনাইটেড কিংডম মেরটাইম ট্রেড অপারেশনস’ ও সমূদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক অন্য একটি সংস্থা প্রথম এই হামলার খবর দেয়। গুরুগ্রামের ‘আইএফসি-আইওআর’ নামে একটি সংস্থা আজ উদ্ধার ও সমন্বয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী পি-৮১ মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ঘটনাস্থলে পাঠায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের মালিকানাধীন ‘চেম প্লুটো’ নামে মোটরচালিত জাহাজটিতে লাইবেরিয়ার পতাকা ছিল। নেদারল্যান্ডস পরিচালিত রাসায়নিক ট্যাংকারটিতে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ইরান থেকে ছোড়া ড্রোনটি আঘাত করে। ভারত উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে ড্রোনটি ওই ট্যাংকারে আঘাত করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর আঞ্চলিক যে উত্তেজনা চলছে, এ ঘটনায় তা আরও বাড়বে। জাহাজ চলাচলে নতুন ঝুঁকি তৈরি হবে।

গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছে ইরান সরকার ও তাদের সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী।

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২১ সালের পর থেকে এ নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে সপ্তমবারের মতো হামলা চালাল ইরান।

জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হামলায় জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, পানি উপরে উঠে এসেছে। পরে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর জাহাজ আইসিজিএস বিক্রম ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। ভারতীয় নৌবাহিনীও উদ্ধারকাজে একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে এমভি চেমপ্লুটোর কাছে।

উল্লেখ্য, এমভি চেমপ্লুটো জাহাজটির ২২ জন কর্মীর মধ্যে ২১ জনই ভারতীয়। এবং একজন ভিয়েতনামের বলে জানা গেছে। সকলেই অক্ষত রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে। ইসরাইলগামী বা ইসরাইল থেকে ফেরত জাহাজগুলো টার্গেট করছে হুতি বিদ্রোহীরা। গাজায় হামলার বদলা হিসেবেই সম্ভবত এসব পাল্টা হামলা করছে হুতি বিদ্রোহীরা। এজন্য অনেকগুলো জাহাজকে ইতোমধ্যে পথ বদল করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে, এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করছে।