সিলেটের গোয়াইনঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বীজঘরের প্রবেশপথ ও সামনা একটি প্রভাবশালী চক্রের দাপটে দখল-দূষণে কৃষি সেবা ব্যহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বীজঘরের প্রবেশপথ ও এর সামনে অবৈধ ভাবে মাছ-মাংসের দোকান বসানোর ফলে সেবা নিতে আসা কৃষকদের সেবা গ্রহণ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে সরকারি কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিচালনা ও জমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন গোয়াইনঘাটের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
গত ১লা মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়- উপজেলার সব্জি চাষের অন্যতম এলাকা পূর্ব জাফলং ইউপি। চৈলাখেল ২য় খন্ড মৌজার ৮৯১নং দাগে ৬ (ছয়) শতক এরিয়া নিয়ে কৃষি অধিদপ্তরের বীজঘর রয়েছে। যেখান থেকে কৃষি বিষয়ে কৃষকরা জরুরী সেবা ও পরামর্শ গ্রহণ করেন। কিন্তু বীজঘরের প্রবেশপথ সহ সামনা কিছু প্রভাবশালী মহল মাছ-মাংস ও মাদক সহ বিভিন্ন দোকান বসিয়ে সরকারি কার্যক্রম ব্যহত করে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। তাদের বাঁধা দিলেও কোন তোয়াক্কা করছে না। এছাড়া দোকানের মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্ট অংশসহ দোকানের ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধময় পরিবেশে সরকারি সেবা প্রদান বিঘ্নিত সহ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতও কষ্টদায়ক হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান আবেদনের প্রাপ্তি স্বীকার করে জানান, `এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।` উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, আমি আবেদন পেয়েছি, জেলাতে পাঠানো হবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব আলীরগাঁও বীজঘর উদ্ধারের জন্য মামলাও রয়েছে।
জানা যায়, কৃষি বিভাগের বীজঘরগুলো প্রভাবশালী চক্রের জবর দখলে থাকায় সরকারি কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা বাঁধা দিতে গিয়ে লাঞ্চিত হচ্ছেন। বীজঘরের সামনা দখল করে মাদক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সরকারি কার্যক্রম সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বীজঘরের জমি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির।
