আনোয়ার হোসেন : চার জাতির সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠছে আগামীকাল। শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল।
ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী চার দলের কোচ ও অধিনায়করা তাদের নিজ নিজ দলের পরফরমেন্স নিয়ে কথা বলেন।
সাফ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শামসুন্নাহাররা। নেপালে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা, অধিনায়ক শামসুন্নাহার, সাথী বিশ্বাস, ইতি রানী, স্বপ্না রানী ও সোহাগী কিসকু। হিমালয়ের দেশে দক্ষিণ এশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরা এই মেয়েদের সামনে এবার ঘরের মাঠের চ্যালেঞ্জ।
৩-৯ ফেব্রুয়ারি এ চ্যাম্পিয়নশিপের আসরের জন্য ২৩ সদস্যের যে দল ঘোষণা করেছেন প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, সেই দলে আছেন সাফজয়ী এই ৬ ফুটবলারও। অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলোয়াড়রাই একদিন জাতীয় দলের হয়ে লড়বেন। তাই আগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখতে বাংলাদেশ দলটা কেমন তৈরি হচ্ছে তার একটা ঈঙ্গিত দেবে এই টুর্নামেন্টে। চার দেশীয় এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ফেবারিট হিসেবেই নামবে।
বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আশা প্রকাশ করে বলেন, তার দল টুর্নামেন্টে ভালো খেলবে এবং শিরোপা জয়ের চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মেয়েরা টুর্নামেন্ট খেলবে রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে ফাইনাল হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক মার্টিনা বলেন, এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি দলই শক্তিশালী। তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ফেবারেট দল। কারন তারা নিজের মাঠে খেলবে।
নেপালের অধিনায়ক বলেন, টুর্নামেন্টে সব দলই ফেবারেট তার তাই ভালো চ্যালেঞ্জিং প্রতিযোগিতা হবে। তবে বাংলাদেশ ভালো দল। আশাকরি আমরাও ভালো খেলবো।
ভুটানের অধিনায়ক বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিটা খেলোয়াড়ই নতুন। আমরা ২০ দিনের অনুশিলন করে এসেছি। আমাদের প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোই হয়েছে। আশা করি ভালো করবো।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর আমাদের মেয়েদের ঘরোয়া লীগ শেস হয়েছে। এরপর থেকেই তারা অনুশিলনের মধ্যেই আছে। দলের খেলোয়াড়রা ৯০ মিনিট ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই খেলতে পারে। এটাাই আমার দলের মূল শক্তি।
বাংলাদেশ ক্যাপটেন শামসুন্নাহার জুনিয়ার আরো বলেন, আমাদের টার্গেট তো ফাইনালে খেলা। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে প্রথমে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই। তারপর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবার। আমাদের দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই গত অনুর্ধ্ব-১৫ ও অনুর্ধ্ব-১৮ খেলে আসছে। তাই আমাদের একে অপরের যোগাযোগ ভালো।