সিলেটের জৈন্তাপুর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভিকটিমবাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের।
এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে যানাযায়, গত তিন বৎসর হতে ধর্ষক নিজপাট ইউনিয়নের কালিঞ্জ গ্রামের কুটুনা মিয়ার ছেলে সাইদুর রহমান কালা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষন করে আসছে। গত ১৫ জানোয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় আমার বসত বাড়ীর দক্ষিণ পাশে বিয়ের প্রলোভন দেখিাইয়া টিলার উপর নিয়ে ধর্ষন করে। এসময় স্বাক্ষীগন বিষয়টি দেখিতে পাইয়া বিবাদীগণ হাতে নাতে আটক করে। আমার পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় মুরব্বীদের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থী হন।
পরবর্তীতে নিজপাট ইউপি ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য হর্ণি নয়াগ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৫৫), কালিঞ্জিবাড়ী গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৬৫) ও ধর্ষকের পিতা কুটুনা (৪৫) ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে পড়িয়ে বিষয়টি সুষ্ট সমাধান করে দেওয়ার নামে এলাকাবাসীর নিকট হতে আটক ধর্ষক সাইদুর রহমান কালা ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পরবার্তীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্ষককে এলাকার বাহিরে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। ভিকটিমকে উল্টা গালি-গালাজ করেন তাড়িয়ে দেন এবং থানায় মামলা না করতে হুমকী প্রদান করেন। অবশেষে ভোক্তভোগীকে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে থানায় মামলা ধায়ের করে ভিকটিম।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, ২১ জানুয়ারী ভিকটিমের অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত পূর্বক ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা হিসাবে গন্য করা হয়েছে (যাহার নং-১৫, তারিখ ২১-০১-২০২৩) এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেটে ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।