বাংলাদেশ বেতারের সিলেট আঞ্চলিক পরিচালকের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আত্মসাত, ক্ষমতার অপব্যাবহারসহ নানা অভিযোগ ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি সরাসরি মুখ খোলার সাহস পায় না বলেও অভিযোগ ওঠে।
সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক তার কর্মচারিদের বিশেষ করে গাড়ি চালকদের নির্ধারিত ডিউটি থেকেও বেশি ডিউটি করান যা ওভারটাইম হিসেবে গণ্য হয়। তবে কর্মচারিদের ওভারটাইমের ডিউটির প্রাপ্য ভাতা পাশ করালেও কর্মচারিরা সে ভাতা পাচ্ছেন না। আর নামমাত্র পেলেও তা শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গাড়ি চালক জানান, তারা কেউ সাড়ে তিন লাখ, কেউ আবার ২ লাখের বেশি টাকা পাওনা থাকলেও তাদের মাত্র ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো নিয়ে টাকা বুঝে পেয়েছে শর্তে স্বাক্ষর করতে জোর করা হয়। এর বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাদের দেখে নেয়ার হুমকী দেয়া হয়। এমনকি কয়েকজন কর্মচারিকে নামমাত্র টাকা বুঝে নিয়ে সাইন করতে বাধ্য করেন। শুধু তাই নয়, তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির নোটিশ জারি করেও ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেন পরিচালক।
এদিকে পরিচালক মোহাম্মদ তারিকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গাড়ি ও চালক অফিসের জ্বালানি ও ভাতায় ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান না করেও অনুষ্ঠান ও শিল্পীদের নামে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তা আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠে।
এছাড়াও পরিচালক মোহাম্মদ তারিকের বিরুদ্ধে পদোন্নতি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। যাদের সাথে মোহাম্মদ আলীর গোপনে আঁতাত হয়েছে তাদেরকে পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেন বলেন জানা যায়।
এ বিষয়ে পরিচালক মোহাম্মদ তারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওভারটাইমের ব্যাপারে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। একজন ড্রাইভার তার মূল ডিউটিই যথাযত পালন করে না, এজন্য অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সবার টাকা যথাযতভাবে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। একই সাথে শিল্পীদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।