শিমুল ইসলাম, যশোর
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলামের কাছে চাঁদাদাবির মামলায় দুই আসামিকে আটক করেছে যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ। আটক মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও মোঃ মাহমুদুল হোসেনকে আদালত দু`দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ এপ্রিল রাতে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত তিন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন কাজী ফরিদুল ইসলাম। মামলায় আসামিদের মোবাইল নাম্বার ও মোটর সাইকেল নাম্বার উল্লে্খ করা হয়। এজহারে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নং ভবনের ২য় তলার তার চেম্বারে মাস্ক পরা তিন যুবক ঈদের খরচ বাবদ দুইলাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। যা পরের দিন ২৯ এপ্রিল দিতে হবে উল্লেখ করে চলে যায়।পরে মোবাইল ফোনে কবে টাকা দেবে জানতে চান। ফরিদুল তাদেরকে ৩০মে রাত আটটায় চেম্বারে আসতে বলেন।

এসময় ফরিদুল ইসলাম সমিতির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানায় তারা অনেকেই ফরিদের চেম্বারে হাজির হয়। এরমাঝে রাত সাড়ে ৮ টায় ওই যুবকেরা সমিতির ১নং ভবনের চেম্বারের সামনে আসেন তারা অবস্থা বেগতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আইনজীবী সমিতির সিসি ফুটেজে তাদের চেহারা ধরা পরে। এঘটনায় তিনি মামলা করেন। ওই সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটায় কুইন্স হাসপাতালের সামনে থেকে প্রথমে জাহিদুলকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে গভীর রাতে বাড়ি থেকে মাহমুদুলকে আটক করে। এসময় ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাদের নেপথ্যে কারা রয়েছেন সে বিষয়ে তারা মুখ খুলছেন না। ফলে রিমান্ডে নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে, কাজী ফরিদুল ইসলামের কাছে চাঁদাদাবির ঘটনায় আইনজীবী সমিতির সকলে এক হয়ে। সমিতির পক্ষথেকে রেজুলেশন করে আসামিদের পক্ষে যশোরের কোনো আইনজীবী না দাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যশোর জেলা আইনজীবি সহকারী সমিতির পক্ষথেকে এই এঘটনার তিব্রনিন্দা জানিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ ব্যাপারে তাদের সমিতি থেকে কোনো সদস্যকে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নেয়ার কথা জানান। বৃহস্পতিবার ২৬ মে এ্যাড. কাজী ফরিদুলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন অন্যয়কে কোন প্রশ্রয় দেয়া হবে না।