সিলেটে বন্যা পরিস্থিতিতে কালবৈশাখী: বেড়েছে দুর্ভোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
19, May, 2022, 7:03:48:PM
মুফিজুর রহমান নাহিদ: বন্যা পরিস্থিতির মাঝে পুরো সিলেট বিভাগে বয়ে গেছে কালবৈশাখী। বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে সিলেট বিভাগে। এতে কোথাও কোথাও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সিলেট জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। পানির নিচে তলিয়ে আছে বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট। এসব এলাকার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে আছেন বাসিন্দারা। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে অনেকে তাদের বাসাবাড়ি ছেড়ে অন্যস্থানে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে খবর নিয়ে জানা যায়, সিলেট সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। প্লাবিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বাঁধ ও পাকা রাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন লোকজন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ঔষধ, জ্বালানি তেলের দোকান পানির নিচে থাকায় এসব উপজেলায় মানবিক বিপর্যয়ের শংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিদ্যুৎব্যবস্থা। জেলার লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সিলেট নগরীতে অর্ধ লক্ষাধিক গ্রাহক এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গেল দুইদিন ধরে। সিলেটে বরইকান্দি সাবস্টেশন ও শাহজালাল উপশহরে একটি ফিডার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব স্টেশন পুরো চালু করা সম্ভব নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।