বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির এমপি মোশারফ হোসেনের উপর হামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নন্দীগ্রাম বাস¯ট্যান্ড এলাকায় এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে নাস্তা করছিলাম। এমন সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। সাংসদ আরো বলেন, এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জড়িত। নন্দঢগ্রামের ওসি এমপিকে হামলা হবে উল্লেখ করে শহীদ মিনারে যেতে নিষেধ করেছিলেন। সংসদ সদস্য পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাননি। ফলে বিজয় দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানার নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এর আগে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে যান। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পনের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের দেশে ফিরে আনার দাবিতে’ শ্লোগান দিলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষ করে বাস¯ট্যান্ডে ফিরে আসেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি হোটেলে বসে নাস্তা করছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাস¯ট্যান্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসেন এবং দলীয় শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় হোটেলে থাকা বিএনপির নেতা কর্মীরাও দলীয় শ্লোগান দিতে শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় কমপক্ষে ১০টির বেশি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জানতে চাইলে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমি এমপি হিসেবে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি। এ কারণে নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জন করেছি। এঘটানর সাথে থানার ওসি জড়িত বলে তিনি জানান। তিনি, এই হামলার ঘটনার দায় ওসি কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না।