বরিশাল প্রতিনিধি : ৮০তম জন্মদিনে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবীন রাজনীতিবিদ, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মূখপাত্র, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। দলের কর্মী-সমর্থক ও শোভাকাঙ্খীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকজুড়ে শুভেচ্ছার ঝড় তুলেছেন। পাশাপাশি পুরো দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে সোমবার সকালে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বর্ষীয়ান এ নেতার জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
বৃহত্তর বরিশালের কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হক মনির ফেসবুকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করেন, শুভ জন্মদিন প্রিয়নেতা, প্রিয় অভিভাবক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি’র জন্মদিনে তার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
এভাবেই প্রিয় নেতার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুন কর্মকার, কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক জুয়েল, ইউপি চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ জমাদ্দার, শিশির দাস, আমিরুল ইসলাম ফোরকান সিকদার, মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার, মিঠু সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদ আহম্মেদ জিসান, সাধারন সম্পাদক মাসুদ খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আমির হোসেন আমু ১৯৪১ সালের ১৫ নভেম্বর ঝালকাঠির এক স¤্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তিনি কারাবরণ করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন। ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বি.এ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত প্রথমে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম কমিটির আহবায়ক হন। আমির হোসেন আমু ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের অন্যতম রূপকার হিসেবে প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন। আমির হোসেন আমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাঠ শেষ করে আইন পেশার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, যশোর ও ফরিদপুরসহ পাঁচ জেলায় মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঝালকাঠি ও রাজাপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমির হোসেন আমু খাদ্যমন্ত্রী এবং সদ্য সাবেক শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।