দুলাল কৃষ্ণ নন্দী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৮ বছর পর পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুৃষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় জেলার সকল পর্যায়ের যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।
দীর্ঘদিন নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করলেও আজকের বর্ধিত সভায় জেলা যুবলীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। বর্ধিত সভাকে ঘিরে জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব কামনা করছেন অধিকাংশ নেতাকর্মী।
জেলা যুবলীগের আহবায়ক আরিফুজ্জামান রনির সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি বলেন, জেলা কমিটি ঢেলে সাজানো হবে। যারা আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ অংশে ছিলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন তাদেরকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। কারও পকেটের লোক কমিটিতে স্থান পাবেনা। কোন ভাইয়ের লোকও স্থান পাবেন না। তিনি বলেন, পিছনের কথা ভুলে যান। সভাপতি সেক্রেটারী হয়ে নিজের ও পরিবারের এমনকি চাকরবাকরদের কমিটির সদস্য বানাবেন সেই সুযোগ এবার নাই। কেন্দ্রীয় সভাপতি সেক্রেটারীর নির্দেশে কমিটি করা হবে। যারা আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন তাদেরকে নিয়েই কমিটি করা হবে।
বর্ধিত সভায় কেন্দ্রিয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপ-বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাসেদুল হাসান সুপ্ত, সহ সম্পাদক মামুন আজাদ, আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ জহিরুল ইসলাম সরদার, এম নয়া মিয়া নয়ন, মাকসুদুর রহমান, সাইদুর রহমান আবীর, এডঃ এম ফেরদৌস আল বশির আসিফ, মোঃ সাবের আহম্মেদ ও জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহীদ। বক্তারা বিশ্বমানবতার নেত্রী উন্নয়নের ভ্যানগার্ড প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দক্ষিনাঞ্চলের যুবলীগের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এডভোকেট আরিফুজ্জামান রনিকে আহবায়ক ও এডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম শহীদকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২৯ সদস্য বিশিস্ট জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটি। পরবর্তি ৯০ দিনের মধ্যে সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সমূহের সম্মেলন পূর্বক জেলা সম্মেলন করার নির্দেশনা থাকলেও আজও অবদি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দিতে পারেনি বর্তমান আহবায়ক কমিটি।