স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: ২০০৫ সালে অভিভাবকের সঙ্গে রাগ করে বাড়ি ছাড়ে ১৪ বছর বয়সী চীনা কিশোরী জিয়াও ইয়ুন। এরপর ১০ বছর ধরে কেটে যাওয়ায় তার অভিভাবকরা ধরেই নিয়েছিলেন, জিয়াও ইয়ুন হয়তো আর বেঁচে নেই।
কিন্তু ১০ বছর পর সম্প্রতি এই কিশোরীর খোঁজ মিলল সাইবার ক্যাফে অর্থাৎ ইন্টারনেট ক্যাফেতে অনলাইনে ভিডিও গেমস নিয়ে মত্ত থাকা অবস্থায়। তবে সময়ের ব্যবধানে সে এখন ২৪ বছর বয়সী তরুণী। আর চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, এই ১০ বছর সে কাটিয়েছে বিভিন্ন ইন্টারনেট ক্যাফেতে অনলাইনে ভিডিও গেমস খেলে!
হাফিংটোন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, চীনের হংজৌ শহরের একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে রুটিন আনুযায়ী চেকআপের সময়ে ফেক আইডি ব্যবহার করে অনলাইনে ভিডিও গেম দায়ে গ্রেফতার করা হয় ২৪ বছরের তরুণী জিয়াও ইয়ুনকে। এরপর থানায় নেওয়ার পর যে তরুণীটির তথ্য জেনে বিস্মিত হয় পুলিশ।
থানায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ডাটাবেজে দেখা যায়, ১০০ মাইল দূরত্বে পাশ্ববর্তী ডংইয়াং শহরে ১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া কিশোরীটিই এই তরুণী। জিয়াও ইয়ুন তার মায়ের ফোন নম্বর ঠিকঠাকভাবে বলতে পারায় দ্রুত ডাটাবেজ ঘেটে তথ্য বের করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
জানা গেছে, এই ১০ বছরে প্রতিদিন খন্ডকালীন চাকরির সময়টা বাদে দিনের বাকিটা সময় বিভিন্ন শহরের অনলাইন ক্যাফেতে ভিডিও গেম খেলে পার করেছে জিয়াও ইয়ুন। এমনকি রাতেও সময়টাও বাদ পড়েনি তার গেমিং আসক্তি থেকে। বেশিরভাগ রাতই পার করেছে ইন্টারনেট ক্যাফেতে গেম খেলে, মাঝে মধ্যে অবশ্য পাবলিক বাথহাউজেও থাকতে হয়েছে।
পুলিশের কাছে জিয়াও ইয়ুন স্বীকার করেছে যে, সে একটু রাগী টাইপের। তার পিতা তাকে হাত খরচের টাকা দিতে অস্বীকার করায় সে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিভাবকদের কাছে আবার ফেরার ব্যাপারেও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আপত্তি জানায় ইয়ুন। অনেক বোঝানোর পর অবশ্য সে রাজি হয় পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
জিয়াও ইয়ুনের মা জানান, গত ১০ বছরে তিনি তার ফোন নম্বরটি পরিবর্তন করেননি। কেননা তার আশা ছিল, ইয়ুন যদি বেঁচে থাকে আর কখনো যদি তাদের কথা মনে করে তাহলে নিশ্চয়ই সে যোগাযোগ করবে। এই আশাতেই গত ১০ বছরে ফোন নম্বর পরিবর্তন করেননি তিনি।
ফেক আইডি ব্যবহার করে গেম খেলার অপরাধে জিয়াও ইয়ুনকে ১০০০ চাইনিজ ইয়াং জরিমানা করেছে পুলিশ।