গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ-ফি নির্ধারণ ৩০মে
জবি প্রতিনিধি গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২২ টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, পরীক্ষা ফি, পরীক্ষা কেন্দ্র বাছাই, ভর্তি কার্যক্রমসহ একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আসতে চলেছে। সেশনজট কমাতে এগিয়ে নিয়ে আসা হবে পরীক্ষার সময়, দ্রবমূল্য বৃদ্ধিতে সামান্য বাড়তে পারে পরীক্ষার ফি। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার এসব বিষয়ে আগামী ৩০ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপাচার্যদের একটি সভা শেষে এসব বিষয় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ আমাদের প্রস্তুতিমূলক মিটিং হয়েছে। এবার আমরা চেষ্টা করছি ভর্তির পর মাইগ্রেশন হলে আবার টাকা দেওয়ার প্রয়োজন যাতে না হয় শিক্ষার্থীদের। আমরা এবার চেষ্টা করবো একসাথে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে যাতে ক্লাস শুরু করতে বিলম্ব না হয়।
পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে নেওয়া ও ফি বাড়ানের বিষয়ে তিনি বলেন, `পরীক্ষার ফি বাড়তে পারে। কারণ সবকিছুর দাম বেড়েছে। তবে খুব বেশি বাড়ানো হবে না। আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষার সময় এগিয়ে নিতে। অন্তত দেড়মাস এগিয়ে নিতে পারলেও, সেশনজট অনেকটা কমাতে পারবো আমরা।`
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণের বিষয়ে এ জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জানান, `গতবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র বাছাই দিতে হয়েছিল অনেকগুলো। কিন্তু এবার কেন্দ্র হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে বলা হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র পছন্দ থাকবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়া যায়। একটি কেন্দ্রের অধীনে আশেপাশের স্কুল-কলেজে সিট পড়তে পারে। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে ভোগান্তি নিয়ে যেন পরীক্ষা দিতে না হয় সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।`
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি`র বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জানান, এর আগে একজন শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরবর্তী সময়ে তা বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে দুই জায়গায় ফি দেয়া লাগতো। এবার আমরা মাইগ্রেশনের বিষয়টি চালু করবো, সাথে ভর্তি ফি`র বিষয়টিও সংযুক্ত করবো। যেনো কেউ এক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ফি সমন্বয় করে দেয়া যায় সেই বিষয়টি পরবর্তী সভায় আমরা তুলবো। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, শ্রম, কষ্ট এমনকি আর্থিক বিষয়ে যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা যায় সে ব্যাপারে আমরা ভাবছি।
তিনি আরও বলেন, `পরীক্ষার তারিখ, ফিসহ সব বিষয়ে আগামী ৩০ মে পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভা শেষে ফি, পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।`
এর আগে গত ৮ এপ্রিল গুচ্ছের সমন্বয় কমিটির সভায় এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, ১০ সেপ্টেম্বর মানবিক আর সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিলেও এবার নতুন ২ টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২ টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
|
জবি প্রতিনিধি গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২২ টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, পরীক্ষা ফি, পরীক্ষা কেন্দ্র বাছাই, ভর্তি কার্যক্রমসহ একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আসতে চলেছে। সেশনজট কমাতে এগিয়ে নিয়ে আসা হবে পরীক্ষার সময়, দ্রবমূল্য বৃদ্ধিতে সামান্য বাড়তে পারে পরীক্ষার ফি। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার এসব বিষয়ে আগামী ৩০ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপাচার্যদের একটি সভা শেষে এসব বিষয় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ আমাদের প্রস্তুতিমূলক মিটিং হয়েছে। এবার আমরা চেষ্টা করছি ভর্তির পর মাইগ্রেশন হলে আবার টাকা দেওয়ার প্রয়োজন যাতে না হয় শিক্ষার্থীদের। আমরা এবার চেষ্টা করবো একসাথে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে যাতে ক্লাস শুরু করতে বিলম্ব না হয়।
পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে নেওয়া ও ফি বাড়ানের বিষয়ে তিনি বলেন, `পরীক্ষার ফি বাড়তে পারে। কারণ সবকিছুর দাম বেড়েছে। তবে খুব বেশি বাড়ানো হবে না। আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষার সময় এগিয়ে নিতে। অন্তত দেড়মাস এগিয়ে নিতে পারলেও, সেশনজট অনেকটা কমাতে পারবো আমরা।`
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণের বিষয়ে এ জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জানান, `গতবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র বাছাই দিতে হয়েছিল অনেকগুলো। কিন্তু এবার কেন্দ্র হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে বলা হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র পছন্দ থাকবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়া যায়। একটি কেন্দ্রের অধীনে আশেপাশের স্কুল-কলেজে সিট পড়তে পারে। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে ভোগান্তি নিয়ে যেন পরীক্ষা দিতে না হয় সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।`
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি`র বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জানান, এর আগে একজন শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরবর্তী সময়ে তা বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে দুই জায়গায় ফি দেয়া লাগতো। এবার আমরা মাইগ্রেশনের বিষয়টি চালু করবো, সাথে ভর্তি ফি`র বিষয়টিও সংযুক্ত করবো। যেনো কেউ এক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ফি সমন্বয় করে দেয়া যায় সেই বিষয়টি পরবর্তী সভায় আমরা তুলবো। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, শ্রম, কষ্ট এমনকি আর্থিক বিষয়ে যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা যায় সে ব্যাপারে আমরা ভাবছি।
তিনি আরও বলেন, `পরীক্ষার তারিখ, ফিসহ সব বিষয়ে আগামী ৩০ মে পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভা শেষে ফি, পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।`
এর আগে গত ৮ এপ্রিল গুচ্ছের সমন্বয় কমিটির সভায় এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, ১০ সেপ্টেম্বর মানবিক আর সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিলেও এবার নতুন ২ টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২ টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষাকে আনন্দময় ও বিদ্যালয়কে শিশুর প্রিয় প্রাঙ্গণ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য ১ হাজার ১৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যার নাম ‘দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প’। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর শিক্ষার্থীদের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা এবং পরিপূর্ণ উন্নতির ধারাবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস পাবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নতুন রূপে সাজানো হবে।
এতে করে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত হবে। এছাড়া উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। সব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান সিকদার, প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। এ প্রকল্পের আওতায় নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, শিশুদের খেলাধুলা, বিনোদন ও অভিভাবকদের ওয়েটিং রুমসহ শিক্ষাপোযোগী সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধুমাত্র বই মুখস্ত করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার লক্ষ্য নয়। গ্রন্থগত বিদ্যা শিক্ষার্থীকে জ্ঞান পিপাসু, কৌতুহলদ্দীপক ও জানতে আগ্রহী করে তোলে না বরং এটি শিক্ষার্থীর মনন ও বোধে এক ধরণের দৈন্যের উদ্ভব ঘটায় যা তাকে সামনে এগুবার পথ রুদ্ধ করে দেয়। এ জন্য শিক্ষার্থীর মনে অনুসন্ধিৎসা জাগ্রত করতে হবে, পাঠ্যপুস্তকের বাইরের জগতের সৌন্দর্যকে তার সামনে মেলে ধরতে হবে, শুনতে ও শোনাতে, জানতে ও জানাতে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীকে জ্ঞানার্জনে উৎসাহী করে তুলতে হবে; যা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সৃষ্টির দুয়ার খুলে দেবে। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এথিকস এডভান্স টেকনোলজি লি. (ইএটিএল) আয়োজিত মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ইএটিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মারসি এম. টেম্বন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এডুটিউব কুইজ কনটেস্টে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা মোবাইল অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিততে পারবে অনেক আকর্ষণীয় পুরষ্কার। দেশের বিভিন্ন থানা, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শেষ করে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জাতীয় পর্যায়ে রাজধানীতে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনন্য সুযোগ থাকবে। এই প্রতিযোগিতায় একদিকে যেমন জ্ঞান আহরণের পথ খোলা থাকবে তেমনি থাকবে বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক পুরষ্কার জয়ের সুযোগ। প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন চলবে ১০ মে থেকে ৯ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশনের লিংক হচ্ছে https://contest.edutubebd.com/| প্রতিযোগিতার প্রতিটি পর্যায়ে থাকবে আকর্ষণীয় পুরষ্কার এবং চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী দল পাবে ৫ লক্ষ টাকার প্রথম পুরষ্কার এবং রানার আপ দল পাবে ৩ লক্ষ টাকার ২য় পুরষ্কার। সবমিলিয়ে রয়েছে ২৬ লাখ টাকার পুরস্কার।
|
|
|
|
আমাদের অনেকের স্বপ্ন থাকে বিদেশে পড়াশোনা করার। সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন কিভাবে করতে হয় সেটা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। তবে কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কেননা দেশের বাইরে বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের সনদ যেমন- আইইএলটিএস (IELTS), জিআরই (GRE), জিএমএটি (GMAT), পিটিই (PTE) থাকতে হয়। তবে আজকে আমরা জানবো পিটিই (PTE) একাডেমিক সম্পর্কে। আপনি যদি বিদেশে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে আপনি পিটিই একাডেমিকের মতো ভাষা পরীক্ষার ভূমিকা জানা জরুরি। এই অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমটি আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলা, লেখা, পড়া এবং শোনার দক্ষতা নির্দেশ করে একটি স্কোর প্রদান করে। এবং এটি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনার আবেদনকৃত কোর্সের জন্য যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।
কোন দেশ PTE গ্রহণ করে ? যেহেতু পিটিই একাডেমিক ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, তাই এটি আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার একটি হিসেবে বিবেচিত। এটি যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, যেখানে ৯৯ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে এটি গ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে শীর্ষস্থানীয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএল, কিংস কলেজ লন্ডন এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের মতো প্রতিষ্ঠান। এর পরিবর্তে আপনি স্বপ্নের দুই দেশ আমেরিকা ও কানাডা খুঁজছেন? আচ্ছা, আপনি জেনে খুশি হবেন, ৯০ ভাগ কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১ হাজারেরও বেশি আমেরিকান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিটিই ফলাফল স্বীকৃতি দেয়। পার্শাল কিংবা ফুলব্রাইট বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আপনি অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে।উল্লেখ্য, পিটিই-একাডেমিক হলো ইংলিশের পিয়ারসন টেস্ট যা অস্ট্রেলিয়ান সরকার ছাত্র ভিসার পাশাপাশি মাইগ্রেশন ভিসার জন্য স্বীকৃত।
আমি PTE একাডেমিক পরীক্ষা কোথায় নিতে পারি ? প্রথম ধাপ হল একটি অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করা, যা আপনি পাঁচ মিনিটের নমুনা পরীক্ষার পর করতে পারেন। আপনি অনলাইনে উপলব্ধ সম্পদ দিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারেন। একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে, অনলাইনে আপনার স্লট সুরক্ষিত করার সময় এসেছে; ২৪ ঘন্টার আগাম বুকিং গ্রহণ করা হয়। যদিও এটি একটি অনলাইন পরীক্ষা, আপনাকে অবশ্যই একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে। ১১৬ টিরও বেশি দেশে ৩৫০ টিরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যা আপনাকে বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে না গিয়ে প্রচুর বিকল্প দেয়।
পরীক্ষার বিন্যাস কি ? পিটিই একাডেমিক পরীক্ষার তিনটি উপাদান রয়েছে, মোট তিন ঘন্টা। কথা বলা এবং লেখা (যা ৭৭ থেকে ৯৩ মিনিটের মধ্যে নেওয়া উচিত), পড়া (৩২ থেকে ৪০ মিনিট) এবং শোনা (৪৫ থেকে ৫৭ মিনিট)। তবে আপনি পড়া এবং শোনার অংশগুলোর মধ্যে ১০ মিনিটের বিরতি নিতে পারেন। গ্লোবাল স্কেল অফ ইংলিশ ব্যবহার করে আপনাকে ১০ থেকে ৯০ পয়েন্টের মধ্যে দেওয়া হবে- এবং আপনি এই স্কোরটি মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে (২ কার্যদিবসের) মধ্যে পাবেন। আপনি এই ফলাফল আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের সাথে PTE এর বিনামূল্যে অনলাইন টুলের মাধ্যমে ভাগ করতে পারেন।
কিভাবে গ্রেড করা হবে ?
আপনি ভাবছেন পিটিই একাডেমিক পরীক্ষা কীভাবে এত দ্রুত গ্রেড করা হয়? যেহেতু এটি সম্পূর্ণ অনলাইন কম্পিউটার ভিত্তিক, তাই আপনাকে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পদ্ধতি দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে। এটি একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে যা শুধুমাত্র আপনার ভাষা দক্ষতার জন্য আপনাকে স্কোর করে, যা মানুষের চিহ্নিতকরণের অনুকরণ করে।
পরিশেষে বলা যায়, IELTS থেকে PTE তুলনামূলক অনেক সহজ। যার পক্ষে IELTS ৫.৫ এর বেশি পাওয়া অসম্ভব, সেও PTE পরীক্ষায় সামান্য চেষ্টাই ৫৮ পেতে পারে, যা IELTS ৬.৫। PTE অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য- ইমিগ্রেশন ও পড়াশুনা দুটিতে গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া, কানাডা, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ের অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি PTE গ্রহণ করে থাকে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এবং PTE পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন।
আলবার্টা এডুকেশন ঠিকানা- শাহ আলী প্লাজা, মিরপুর-১০, ঢাকা। মোবাইল: +880 1717-466508
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : ২০২৩ সালের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় সময় ও সিলেবাস নির্ধারণ করেছে সরকার। চলতি বছরের এই দুটি পরীক্ষা সময়সূচি আগেই জানানো হয়েছি।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে এবং উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা জুনে অনুষ্ঠিত হবে
এসএসসি ও এইচএসসির সময় জানালেও জেএসসি পরীক্ষা হবে কিনা সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।
করোনা মহামারির কারণে গত দু বছর অষ্টম শ্রেণির এ সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। এ বছর জেএসসি পরীক্ষা হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক এবং এপ্রিলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে এলেও করোনাভাইরাস মহামারী সেই সূচি পাল্টে দিয়েছে।
২০২০ সালে কোভিডের সংক্রমণ শুরুর আগেই এসএসসির পরীক্ষা নিতে পেরেছিল সরকার। পরে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সে বছর আর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তার বদলে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ফল দেওয়া হয়।
দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। নয় মাস পিছিয়ে নভেম্বরে এসএসসি ও আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় গতবছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় তিন বিষয়ে। আর এইচএসসি পরীক্ষা হয় তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়নি। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ওমিক্রনের প্রভাব শুরু হওয়ার আগে চলতি বছর ১৪ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে দু`দিন করে সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছে তারা। এর মধ্যে ২০ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণে আবারও প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
তিনি জানান, গেল ১৫ মার্চ থেকে তারা সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে সপ্তাহে ছয় দিন করে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এই নবম ও দশম শ্রেণিতে মিলে সর্বমোট ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সুযোগ পাবে। যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় তারা ৩১৬ কর্মদিবস ক্লাস করার কথা। তাছাড়া এই শিক্ষার্থীরা ২০২০ সালে ৮ম শ্রেণিতে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেনি। এমনকি নবম শ্রেণির পরীক্ষাও দিতে পারেনি।
এসব দিক বিবেচনায় ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য ঘোষিত সিলেবাস অনুসারেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি এসময় আরও উল্লেখ করেন, ‘যদিও এই পুরো সময়টায় তারা টেলিভিশনের ক্লাসে এবং অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছে, অ্যাসাইনমেন্ট করেছে। এসব ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলো ২০২২-এর পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারেই পরিচালিত হয়েছে।’
|
|
|
|
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান রচিত ‘পঞ্চাশের রিকনসিলেশন ও অন্যান্য প্রবন্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
অমর একুশে বইমেলায় টিএসসি গেট সংলগ্ন সোহরাওয়াদী উদ্যানে মেরিট ফেয়ার প্রকাশনে (স্টল ৪৯৭-৪৯৯) সোমবার বিকাল ৪টায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি এম শহীদুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সহকারী প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন বিভাগের দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ড. মীজানুর রহমান রচিত ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ’ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। পরবর্তীতে তিনি ‘বাজারজাতকরণ’, ‘বাজাজাতকরণ নীতিমালা’, ‘স্নাতক বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক আরো তিনটি গ্রন্থ রচনা করেন এবং পাঠকপ্রিয়তার কারণে বাজারজাতকরণ গ্রন্থের একটি সহজ সংস্করণও তিনি তৈরি করেন, যা মার্কেটিং বিভাগের বাইরের পাঠকদের নিকটও অত্যন্ত সমাদৃত।
২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি পাঠকমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে তাঁর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়ন ভাবনা’ ও ২০১৯ সালে ‘উত্তরগণতন্ত্র ও লিংকনের পিপল’ নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালে তাঁহার ‘বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সাম্প্রতি বাংলাদেশ’ ও ‘সংকটে মার্কেটিং’ দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ২০২১ সালে তাঁর ‘Bangabandhu Bangalees and Relevant Thoughts’ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গণেও তিনি বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কোষাধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, আইসিএমএ-বাংলাদেশের কাউন্সিল মেম্বার, ম্যাকসন্স স্পিনিং ও আরএসআরএম লি. এর পরিচালক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।
অধ্যাপক মীজান বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। আইসিবি’র সাবসিডিয়ারি এএমসিএল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও মেট্রো স্পিনিং লি.-এর ইনডিপেন্ডেন্ট পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের এলামনাই অ্যাসােসিয়েশন, মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট।
ড. মীজান ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, চীন ও কানাডায় বিভিন্ন সেমিনার-কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন বক্তৃতা প্রদান করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, তিনি দুই মেয়াদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন : ইংল্যান্ডের University of Bedfordshire- এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পিএইচডি করছেন সিলেটের অজপাড়াগাঁয়ের রিজওয়ান বিন সুলাইমান। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত জনপদ রাঙারাইয়ে তার পৈত্রিক নিবাস। সেখান থেকে উঠে এসে তিনি আজ ইংল্যান্ডের University of Bedfordshire এ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পিএইচডি করছেন, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণে যা রীতিমতো অবাক করার মতো। রিজওয়ানের এ সফলতা শুধু কানাইঘাট আর সিলেটের গর্বের বিষয় নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্বের বিষয়।
রিজওয়ানের জন্ম অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও ধার্মিক পরিবারে। পিতা হাফিজ সুলাইমান। তিনি একটি মাদরাসার প্রিন্সিপালও বটে। রিজওয়ানের দাদা ছিলেন, খ্যতিমান আলেম, ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা, নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা ইব্রাহিম চতুলী (এমএলএ-১৯৪৬)।
রিজওয়ান, ২০১০ সালে সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে জৈন্তা ডিগ্রী কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। ২০১৪ সালে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সেখানে ভর্তি হন Glyndwr University Wrexham (গ্লিন্ডোর বিশ্ববিদ্যালয় রেক্সাম)। Glyndwr University Wrexham থেকে ২০১৮ সালে সফলতার সাথে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এর অন্যতম প্রসিদ্ধ সার্টিফিকেশন CCNA অর্জন করেন ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে Post graduation (স্নাতকত্তর) ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হন University of Bedfordshire। একাডেমিক পারফর্মেন্সের পাশাপাশি তিনি Cybersecurity এর অন্যতম প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন, C|EH কৃতিত্বের [৯২%] সাথে পাশ করেন ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে University of Bedfordshire থেকে ডিস্টিংশন পেয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে University of Bedfordshire- এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পিএইচডি গবেষণারত আছেন। তাঁর পিএইচডি গবেষণার বিষয়, কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা [Artificial Intelligence] ব্যবহারে ব্যাংকিং সিস্টেমে কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। University of Bedfordshire ভর্তি হওয়ার আগে তিনি ডারবি ইউনির্ভাসিটি, মানচেস্টার ইউনিভার্সিট এবং Charles Sturt University, Australia এর মত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও Scholarship এ পিএইচডি-এর অফার পান। পিএইচডি গবেষণার পাশাপাশি এখন পর্যন্ত তার ১৫টি গবেষনালব্দ সাইন্টিফিক আর্টিকেল, বই, থিসিস পেপার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এবং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত গবেষণার মধ্যে নিম্নক্ত গবেষণা আন্তর্জাতিক মহলে বেশ প্রশংসা অর্জন করে: ১. A Framework to Mitigate Attacks in Web Applications ২. Security Analysis for Vehicle To Everything Communication Over 5g Network ৩. A Review on Concepts and Technologies of 6G Cellular Network and Future Scope ৪. Applications of Block-Chain Technology and Related Security Threats ৫. Algorithms and Security Concern in Blockchain Technology ৬. AI Based Chat bot: An Approach of Utilizing On Customer Service Assistance ৭. Artificial Intelligence Based Autonomous Car
গবেষণার পাশাপাশি তিনি University of bedfordshire এ খন্ডকালিন লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রিজওয়ান তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে চান বলেও জানান।
|
|
|
|
এইচএসসি পরীক্ষার পরেই ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। যাতে তারা তাদের প্রত্যাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে নিতে পারে। ভর্তি পরীক্ষার সময়টা সর্বশেষ প্রস্তুতির সময়। ভর্তি পরীক্ষার এই সময়টাকে বলা হয় ভর্তিযুদ্ধ। আর এই ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হতে প্রয়োজন সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ।
এই ভর্তিযুদ্ধে যারা মানবিক বিভাগ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য রয়েছে ‘খ’ ইউনিট। এই ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) থেকে প্রশ্ন হয়। আর এবার অনলাইনে প্রস্তুতিটাও নিতে হবে জোরালো, গুছিয়ে নিতে হবে পড়াশোনাটাও। বাংলা পাঠ্যবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এখন পুরো বই পড়ে সময় নষ্ট না করে বিশেষ বিশেষ অধ্যায়ের ওপর নজর দিতে হবে। আর বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে সন্ধি, উপসর্গ, সমাস- এগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সাধারণ জ্ঞানের কিছু বাছাই করা বিষয় না পড়ে সব বিষয়েই চোখ বোলানো উচিত।
পত্রিকা পড়া আর নেটে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে গ্রামার সাইটগুলো একটু ভালো করে ঝালিয়ে নিতে হবে। আর যেহেতু লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করা হয়েছে, তাই ইংরেজিতে ভালো করার বিকল্প নেই। নিয়মিত অনুশীলন করলে ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব।
প্রস্তুতির ক্ষেত্রে: -উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের কোনো বিকল্প নেই। -বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান প্রতিটি বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে। -কোচিং সেন্টারকে দিকনির্দেশক, প্রশ্নব্যাংককে গাইডলাইনস ভেবে স্বনির্ভর হতে হবে। -সময় নষ্ট না করে আতœবিশ্বাসী ও পরিশ্রমের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
আত্মবিশ্বাস ধরে রাখলে সফলতা আসবেই। নিয়মমাফিক পরিশ্রমের পাশাপাশি কৌশলীও হওয়া প্রয়োজন। অপ্রয়োজনে ফোন ব্যবহার না করে সময়ের সঠিক ব্যবহার করে অনুশীলন সম্পর্কে সচেতন এবং নিজের উপর আতœবিশ্বাস রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ঠিক রেখে সামনে এগিয়ে যেতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন যাই হোক, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখো, সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ। মহামারীর এই সময়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে ভর্তি পরীক্ষার অপেক্ষা না করে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে।
লেখক- মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : বাতিল হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা। চলতি বছর থেকে আর থাকছে না আর এ পরীক্ষা। একই সঙ্গে বাতিল হতে যাচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ দুই পরীক্ষা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। আগামী রোববারের মধ্যে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে।
এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই ফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেওয়ার চিন্তা আছে।
শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘ না করে বছরের মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিভিত্তিক লেখাপড়া শেষ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের আমরা ন্যূনতম ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখনই তারা স্কুলে যাবে। যেহেতু কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্টার : খ্রিস্টান মিশনারি পরিচালিত ৪ কলেজ ছাড়া বাকি কলেজগুলোতে এসএসসি উত্তীর্ণ ফলের ভিত্তিতেই উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার চার কলেজ যথা নটর ডেম, হলিক্রস, সেন্ট জোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করতে শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল পরীক্ষা নেবে।
আগামী ৯ আগস্ট রোববার থেকে শুরু হবে অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। দেশের অন্যান্য কলেজে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত ওই সব কলেজ কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ওই চারটি কলেজে আগামী ৯ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে ভার্চুয়াল লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, নটর ডেম কলেজ, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেবে। এরা নিজেদের মান বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চার কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।
একাদশ শ্রেণিতে সাধারণত শিক্ষার্থীর আবেদনের পছন্দক্রম থেকে একটি কলেজ ভর্তির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ভর্তির পুরো কাজটি অনলাইনে সম্পাদন করা হয়। ভর্তির যোগ্যতা এসএসসির প্রাপ্ত ফলাফল। উল্লিখিত চার কলেজ বাদে দেশের বাকি কলেজগুলোতে এই নিয়মেই ভর্তিকার্যক্রম চলবে।
রোববার থেকে শুরু হওয়া এই ভর্তি কার্যক্রম চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরই মধ্যে তিন ধাপে অনলাইন ভর্তির সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়ায় এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনপ্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। শুধু অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে এবার আবেদন ও ভর্তি ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
২০২০ সালের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে। এরা সবাই চাইলেই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে। দেশের কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ২৫ লাখেরও বেশি আসন রয়েছে।
তবে রাজধানী ঢাকা এবং জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা কলেজগুলোতেই শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ থাকে বেশি। অনেক উপজেলা পর্যায়ের কলেজের বেশির ভাগ আসনই প্রতি বছর খালি থাকে।
|
|
|
|
সজীব প্রধান: বর্তমান সময়ে চাকরি যেন সোনার হরিণের চেয়েও দামি। বিসিএস সহ সকল চাকরিতেই এ কথা সমানভাবে প্রযোজ্য। বিসিএস এ মাত্র ২ হাজার পদের বিপরীতে ৪ লাখেরও বেশি প্রার্থী আবেদন করে। অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রেও আবেদন সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রতি বছর। সব শিক্ষার্থী একটি ভালো জবের স্বপ্ন দেখেন নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য। এই রণাঙ্গনে টিকে থাকতে অনেকেই শুরু থেকে সচেতন ও নিবেদিত প্রাণ।
চাকরির বাজারের দুর্দশা দেখে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নিতে থাকে এবং জব রিলেটেড বই পত্র পড়তে আরম্ভ করে যা সমীচীন নয়। তবে সময় নষ্ট করাও একদম উচিত নয়। তাহলে কি করবেন? আপনার বেসিকটাকে স্ট্রং করার সময় এই তিন বছর। গাইড মুখস্ত করে কখনো ভালো জব পাবেন না। জবের ময়দানে শেষ হাসিটা সেই হাসবে যার বেসিক খুব শক্তিশালী। তাই এই তিন বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নোক্ত পরামর্শ রইলো।
১) আপনার অনার্সের বিষয়ের উপর জোর দিন। প্রথম তিন বছরে সিজিপিএ এগিয়ে রাখুন। পরে চাকরির ও ডিপ্টের পড়াশোনা একসঙ্গে করতে গিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়তে পারেন। যাতে ৩.০০ এর উপরে এমনকি সম্ভব হলে ৩.৫০ থাকে। অনেকেই ভাবেন সাবজেক্ট পড়ে কি হবে? জবের ক্ষেত্রে এটাতো লাগবে না। আমি বলব আমি ভুল ভাবছেন। যেকোন ভাইভাতে আপনাকে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় থেকেই জিজ্ঞাসা করা হবে-আপনি যে সাবজেক্টেরই হোন না কেন। আর নিজের সাবজেক্টের কোশ্চেন না পারায় ভাইভা ফেল করেছে এমন মানুষের অভাব নেই। তাছাড়া আপনি যদি শিক্ষক হয়ে যান তাহলেতো আর কথাই নাই।
২) চাকরির লেখাপড়ায় সাধারণত ৪টি বিষয় থাকে (বিসিএস এ আরো কিছু বিষয় আছে)। ইংরেজি, বাংলা, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। এগুলোর মধ্যে ইংরেজি আর গণিত সবার জন্য পার্থক্য গড়ে দেয়। আর এমন প্রার্থীর সংখ্যা খুব কম যারা ৪টিতেই সমান পারদর্শী। একজন সম্মানিত শিক্ষক এটি বুঝাতে গিয়ে বলেছিলেন দেশে তামিম, মুস্তাফিজ অনেক থাকলেও সাকিব একজন ই। সো ট্রাই টু বি এ সাকিব।
ইংরেজিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পর্যন্ত আপনি যতটুকু গ্রামার পড়েছেন ততটুকুই যথেষ্ট। শুধুই মাথায় রাখলেই হবে। ইংরেজিতে বেসিক স্ট্রং করতে ইংরেজি পত্রিকা বুঝে বুঝে পড়ুন। নতুন শব্দগুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন। ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং কিছু কিছু অনুশীলন করতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করুন। আর গাইড থেকে আপাতত দূরে থাকুন।
গণিতঃ চাকরির ক্ষেত্রে গণিত বড় একটি ফ্যাক্টর। এখানে ভালো থাকলে চাকরির জন্য মূল প্রস্তুতির সময় অনেক রিলাক্সড ফিল করবেন। গণিতে ভালো করার জন্য এ বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তিগণ বোর্ড বইয়ের গণিত অনুশীলন করতে বলেন। সুতরাং ষষ্ঠ-নবম শ্রেণীর গণিত আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। নিজে না পারলে যিনি পারেন-বন্ধু/ক্লাসমেট যেই হোক-তার সহযোগিতা নিবেন।
সাধারণ জ্ঞানঃ এই বিষয়ে আপনার জন্য পত্র-পত্রিকাই যথেষ্ট। আন্তর্জাতিক, সম্পাদকীয়, বাণিজ্য ও খেলা-ধূলোর পাতায় বিশেষভাবে নজর দিন। মাসে একটি কারেন্ট এফেয়ার্স পড়লে আরো ভালো হয়।
৩) এই তিন বছরে আপনি মৌলিক কিছু বই পড়ুন। যেমন: অসামাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং প্রধানমন্ত্রীর বই যেমন: ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, সাদা-কালো’ ইত্যাদি।
বিভিন্ন উপন্যাস যেমন মা- আনিসুল হক, জোসনা ও জননীর গল্প, বাদশাহ নামদার ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই যেমন: একাত্তরের দিনগুলি, আমি বীরাঙ্গনা বলছি, দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ, একাত্তরের ডায়েরি ইত্যাদি। বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কিত বই যেমন ‘বাংলাদেশ ইতিহাস পরিক্রমা- কে এম রাইসুদ্দিন, দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতা, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ঐতিহাসিক, সাহিত্য, দেশি-বিদেশি, আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে পারেন। অনেকে কবিতা পড়তে ভালোবাসেন, পড়ুন। নবম শ্রেণির ভূগোল পড়া যেতে পারে। মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানের বেসিক ধারণা রাখা ভালো। এজন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান(সাধারণ বিজ্ঞান) বই পড়া যেতে পারে।
উপর্যুক্ত প্রতিটি কথা অভিজ্ঞতার আলোকে বলা, মুখস্থ কথা নয়। তাই এই কথাগুলো অনুসরণ করলে আমার মনে হয় জব সেক্টরে প্রতিযোগিতার মহারণে আপনি ভালো করবেন।
৪) আর যারা চতুর্থ বর্ষে আছেন তারা চাকরির মূল প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। দিনে ১০/১২ ঘন্টা পড়ার জন্য ব্যয় করুন। সম্ভব হলে একটির বেশি টিউশনি নয়, অথবা একটিও নয়। পার্টটাইম জব ছেড়ে দিন। আর যদি সম্ভব না হয় তো খুব পরিশ্রম করুন। টিউশন, পার্টটাইম জব করেও পড়া যায়। এসব মেইনটেইন করেও ভালো জব করছেন এমন উদাহারণ কম না। দরকার পরিশ্রমের।
অনেকেই জানতে চান জব কোচিং করবেন কিনা? আসলে এটা পারসন টু পারসন ভেরি করে। ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারদের গ্রুপে একটি পোল দেওয়া হয়েছিল। তাতে প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। কোন কোচিং না করেই ক্যাডার হয়েছেন এমন ক্যাডার ই বেশি। তবে আমি বলি, কোচিং সেন্টারে যাতায়াতে বেশি সময় নষ্ট না হলে করতে পারেন। এতে পড়ালেখায় স্পৃহা আসবে। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুতিকে শাণিত করতে পারবেন। তাছাড়া কোচিংএ যারা ক্লাস নেন তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ। তাদের গাইডলাইন আপনাকে অনেক সহযোগিতা করবে। ফলে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না বোধ হয়।
৫) যারা মাস্টার্সে আছেন তাদের কিছু বলার নেই। আপনারা ইতোমধ্যেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে আমি বলব চেষ্টা করে যান এবং কখনো হতাশ হবেন না। যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি আপনার রিজিকের ব্যবস্থাও করেছেন। আপনাকে চেষ্টার মাধ্যমে একটু খোঁজে নিতে হবে। কারণ দুনিয়া অলৌকিক নিয়মে চলে না। এখানে মাধ্যম ছাড়া প্রায় কিছুই হয় না।
শেষে একটি কথা না বললেই নয়। আমাদের সমাজ আপনার পড়াশোনা ও ডিগ্রির মূল্যায়ন করবে চাকরি দিয়ে। আপনার সার্টিফিকেট যত মোটাই হোক না কেন ভালো জব না পেলে সমাজের কাছে তা খড়কুটো ছাড়া কিছুই না।
পরামর্শদাতাঃ মোঃ রেজুয়ানুল হক, ৩৮তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত। উপস্থাপনায়: মুহম্মদ সজীব প্রধান
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: কলেজ কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা না করায় ঝুঁকি নিয়েই ছাত্রাবাসে থাকতে হচ্ছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রাবাসের অর্ধেক শিক্ষার্থীকে। গত ২ অক্টোবর ‘আক্কাছুর রহমান আঁখি’ ছাত্রাবাসের ২১২ নম্বর কক্ষের ছাদ ধসে পড়ার পর ৫০ শতাংশ কক্ষকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কলেজটির ছাত্রদের একমাত্র এই হোস্টেলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্রাবাস ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ণ সব রুমেই ছাত্ররা থাকছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে খালি করার কথা বলায় কেউ রুম ছেড়ে যায়নি, বলেন ২১৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা মিজানুর রহমান। এ কক্ষসহ মোট ২১টি কক্ষকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘোষিত কক্ষগুলোর মধ্যে আরও আছে নিচ তলার ১০৪, ১০৫, ১০৬, ১০৮ ও ১০৯ নম্বর, দ্বিতীয় তলার ২০২, ২০৫, ২০৬, ২০৮, ২০৯, ২১১, ২১২ ও ২১৭ নম্বর এবং তৃতীয় তলার ৩০১, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫, ৩০৭, ৩০৯ ও ৩১৯ নম্বর কক্ষ। মিজান বলেন, বললে তো আর সাথে সাথে বের হওয়া যায় না। আমরা চাই, কক্ষগুলোর সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ হোক। কবে থেকে এ কক্ষগুলোর সংস্কার শুরু হবে তা বলতে পারেননি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু হায়দার আহমেদ নাসেরও। তিনি বলেন, এটা সরকারের ব্যাপার, তারা টেন্ডার করবে, তারপর সংস্কার শুরু হবে। ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ছাত্রাবাস মাত্র তিনটি। এরমধ্যে ছাত্রীদের আবাসনের জন্য রয়েছে দুটি ছাত্রাবাস, যার একটির অবস্থান কলেজ ক্যাম্পাসে, অন্যটি বনানীতে। ১৯৮৩ সাল থেকে তিতুমীর কলেজের ছাত্রাবাস হিসাবে ব্যবহৃত আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাসের ৪৬টি কক্ষে মোট ১৮৮ জনের আবাসনের ব্যবস্থা আছে। তবে থাকে প্রায় ৫০০ জন। সে হিসেবে ঝুকিপূর্ণ কক্ষে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী অবস্থান করছে বলে ছাত্রাবাসের বাসিন্দারা জানিয়েছেন। কবে এসব কক্ষের সংস্কার কাজ শুরু হবে তাও জানেন না তারা। প্রকৌশল দপ্তর থেকে লোক এসে ফাটল ধরা অংশ ভেঙে দিয়ে গেছে। বলা হয়েছে দ্রুত সময়ে সংস্কার করা হবে। এক মাস শেষ হতে চলল, কিন্তু সংস্কার করা হয়নি, বলেন ৩০২ নম্বর রুমের বাসিন্দা নীরব আহসান রাসেল। কখন ভেঙে পড়ে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নাই। আবার কলেজ থেকে বলা হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটলে দায়দায়িত্ব ছাত্রদের। অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু হায়দার বলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব (শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী) আসছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে গেছেন, আমি খালি করার নোটিস দিয়েছি। ছাত্ররা রুম না ছাড়লে আমার কী করার? বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, হলই তো নেই। বিকল্প কোথায় পাঠাব? ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত কক্ষগুলোর সংস্কার কাজ ‘হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা। সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে, এরপর ওই কক্ষগুলোতে থাকা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পলেস্তারা খসে পড়ায় কিছু কক্ষের সংস্কার করতে হবে। আমরা দুটি কক্ষকে বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করেছি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ফাটল ধরা সব কক্ষকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নোটিস দিয়েছে।
|
|
|
|
ক্যারি অন পরীক্ষা পদ্ধতি পুর্নবহালের দাবিতে বিজয়নগরসহ নানা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট : উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে পরীক্ষার ফলাফলও হাতে পেয়ে গেছেন তারা। তবে শিক্ষার্থীদের তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা কম থাকায় দুশ্চিন্তা কাটেনি তাদের।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ অংশগ্রহণ করে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তার মধ্যে জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন।
জানা গেছে, জাতীয় ও উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসনসংখ্যা মাত্র ৪৩ হাজারের কিছু বেশি। সরকারি মেডিক্যাল, ডেন্টাল, টেক্সটাইল কলেজ ও মেরিন একাডেমিতে আসন আছে মাত্র চার হাজার ২৯৮টি।
ইউজিসি সূত্র আনুযায়ী, দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৩৭টি, তার মধ্যে দুটির কার্যক্রম এখোনো শুরুই হয়নি। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের হিসাবে ৩৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা ৪৩ হাজার ২৪৯টি। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ বিষয়ে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা খুবই অপ্রতুল। এ ছাড়া যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ রয়েছে সেগুলোর আসনসংখ্যাও সিমিত।
জানা যায়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৬৬০০, রাজশাহীতে ৩৮৫১, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০০, বুয়েটে ৯৯১, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫৩৩, জাহাঙ্গীরনগরে ২২৩৫, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪২৬, শাবিপ্রবিতে ১৭০৮, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৭৯, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০, হাজী মোহাম্মদ দানেশে ১৮০০, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ২৪৬৩, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৭০০, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০, চট্টগ্রাম প্রকৌশলে ৬৪১, রাজশাহী প্রকৌশলে ৭২৫, খুলনা প্রকৌশলে ৮১৫, ঢাকা প্রকৌশলে ৫৬০, নোয়াখালী বিজ্ঞানে ৯০৩, জগন্নাথে ২৮৪৫, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০, কবি নজরুলে ৫৭০, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারিতে ২১০, সিলেট কৃষিতে ৩৭০, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৬৫৫, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ৪৮০, বেগম রোকেয়ায় ১২৪৫, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৫৫০, শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৬৮০, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৬৫ এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১০টি আসন রয়েছে।
এবার থেকে কার্যক্রম শুরু হওয়া রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা ১০০টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে আসন দুই লাখ চার হাজার ২০০টি ও পাস কোর্সে দুই লাখ ৪০ হাজার। উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৩৪ হাজার। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। এ ছাড়া ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ৭২ হাজার ৩০৫টি। তবে এক বছরে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সে হিসাবে আসন দুই লাখ ১৬ হাজার ৯১৫টি।
বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টালের সংখ্যা বাড়লেও উচ্চ হারে ফির কারণে উচ্চবিত্ত শিক্ষার্থীরা ছাড়া অন্যদের সেখানে পড়া অসম্ভব। ২২টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসনসংখ্যা ২৯৫১টি, ৯টি সরকারি ডেন্টালে ৫৬৭টি, ছয়টি সরকারি টেক্সটাইলে ৪৮০টি ও সরকারি মেরিন একাডেমিতে আসন মাত্র ৩০০টি। তবে ৫৩টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন ৪২৭৫টি, ১৪টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ৮৯০টি এবং ১৭টি বেসরকারি মেরিন একাডেমিতে ১৩৬০টি আসন রয়েছে।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাথে একীভূত হচ্ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জবি ভিসির সভাকক্ষে এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জবি ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভাকক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পোগোজ স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুর রহমান পর্বতসহ অন্যান্য সদস্যদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্তসভায় জবির সাথে পোগোজ স্কুল একীভূত হওয়ার নীতিগত এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. সেলিম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. ওহিদুজ্জামান, পোগোজ স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ও পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এখন থেকে পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আর-এর ল্যাবরেটরি স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বর্তমান পোগোজ স্কুলটির নতুন নাম হবে “পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়”।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ধার্যকৃত ভ্যাট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ হাসান আরিফ ও বিচারপতি জে এম দেবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তথ্যসচিব, শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও এনবি আরের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট হাসান এন এস আজিম।
এ বিষয়ে আবেদনকারীর অপর আইনজীবী “িারুস সালাম বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য কোনো ভ্যাট দিতে হয় না; বরং তাদের সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় এবং খরচ বহন করা হয়। একই দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও দুই রকম সিদ্ধান্ত হওয়ায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তাই শুনানিতে আমরা আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এই প্রজ্ঞাপন অবৈধ। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন।’
গত ৪ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানম-ি শাখার দুই শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন ও আরিফ মাহমুদ এবং শিক্ষক “িারুস সালাম ৪ আগস্ট এই রিট দায়ের করেন।
|
|
|
|
|
|
|