চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম, রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম হয়। সাড়ে তিন মাসেই এ ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারে। এতে করে খরচ কম, লাভজনক হওয়ায় এবং রোপা আমন ধানের খর গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারায় ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় রোপা আমন চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ বেড়ে গেছে এ উপজেলার রোপা আমন চাষিদের।
রোপা আমন মৌসুমে একটি জনপ্রিয় জাত হলো অ্যারাইজ এ জেড (হাইব্রিড) ৭০০৬। এ জাতের রোপা আমন ধান চাষে বিঘাপ্রতি গড় ফলন হয় ১৮ মণ। সাড়ে তিন মাসেই এ ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারে। ফলে ধান কাটার পরেই সরিষা চাষাবাদ করতে পারে কৃষক। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ২৯০ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রামের কৃষক মো. হুমায়ন কবির বলেন, এ বছর আমি ৩০ শতক জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে, বাজার দরও ভালো।
উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রামের মাঠ পরিদর্শনের সময় শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন, অল্প দিনে রোপা আমন ধান ঘরে উঠার ফলে কৃষকরা সহজেই সরিষা চাষে যেতে পারবে। কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আধুনিক জাতের রোপা আমন ধান এবং সার বিতরণ করেছি। আগামীতে এ উপজেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।