গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত কোনাবাড়ী এলাকায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। সুমাইয়া আক্তার মীম (১৩) নামে ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায়।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে কোনাবাড়ী থানার নীলনগর এলাকার হযরত উম্মে হাবিবাহ্ (র.) মহিলা মাদ্রাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোনাবাড়ী এলাকায় হযরত উম্মে হাবিবাহ্ (র.) মহিলা মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির আবাসিকের ছাত্রী ছিল সুমাইয়া আক্তার মীম। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পড়া শেষ করে সবাই ঘুমাতে যায়। রোববার (২৭ অক্টোবর) ভোর ৫ টার সময় তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে ওই মাদ্রাসার ম্যাডামরা। সেসময় ওড়না কেটে লাশ নিচে নামিয়ে রাখে তারা। পরে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত মীমের বাবা মনু মিয়া জানান, ভোরে মাদ্রাসা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় আমার মেয়ে অসুস্থ্য। কিন্তু মাদ্রাসায় এসে দেখি আমার মেয়ের লাশ। তিনি বলেন, আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
উম্মে হাবিবাহ্ (র.) মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্বারী মো. শামীম সরকার জানান, সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কেন সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এটা কি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা। এর সঙ্গে জড়িত যেই থাকুক তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) তাইম উদ্দিন বলেন, আমরা বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ওই মাদ্রাসা থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীর লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি অরও বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।