লেবানন-ইসরাইলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। ইসরাইল নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সংকটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক লেবানন প্রবাসীদের ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৮০০ বাংলাদেশি ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
আগামী ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ৫৩ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ জন বাংলাদেশি ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছে। পর্যায়ক্রমে তাদের ফেরত আনা হবে।’
রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘বৈরুতে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। ফলে সেখানে বিমান চলাচল অত্যন্ত সীমিত। যে কারণে প্রথমে বাংলাদেশিদের জেদ্দায় আনা হবে এবং সেখান থেকে ঢাকায় আনা হবে।’
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা সহায়তা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফিরে আসার পরে সমাজে তাদের প্রতিষ্ঠা করার জন্যও সহায়তা দেবে সংস্থাটি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত বাংলাদেশিদের ফেরত নিয়ে আসা হবে। কারা প্রথমে আসবে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথমে আহত, অসুস্থ, নারী ও শিশুরা প্রথমে আসবে। এরপর সবাইকে নিয়ে আসা হবে।’
কতদিনে ফেরত আনার কাজ চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিমানের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০ জন বাংলাদেশিকে আনা সম্ভব হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ফেরত আনা হবে।’